২০১৩ থেকে ২০১৬ সালের মধ্যে জার্মানিতে আসা শরণার্থীদের ৪৯ শতাংশ পাঁচ বছরের মধ্যে চাকরি পেয়েছেন বলে সরকারি জরিপ বলছে৷ এদের ৬৮ শতাংশ পূর্ণ বা খণ্ডকালীন চাকরি করছেন৷
বিজ্ঞাপন
জার্মানির অভিবাসন ও শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা, বাম্ফ-এর অন্তর্ভুক্ত ‘ইন্সটিটিউট ফর লেবার মার্কেট অ্যান্ড ভকেশনাল রিসার্চ’ বা আইএবি জরিপটি করেছে৷
আইএবি বলছে, ১৯৯০ দশকের শুরু থেকে ২০১৩ সালের মধ্যে জার্মানিতে যারা শরণার্থী হিসেবে এসেছিলেন তাঁদের ৪৪ শতাংশ পাঁচ বছরের মধ্যে চাকরি পেতে সমর্থ হয়েছিলেন৷ সে হিসেবে ২০১৩ সালের পর আসা শরণার্থীরা বেশি চাকরি পেয়েছেন৷
শরণার্থীদের জন্য ইন্টিগ্রেশন ও ভাষা কোর্সে বিনিয়োগ বাড়ানোয় এটি সম্ভব হয়েছে বলে মনে করছে আইএবি৷
২০১৫ সালের পর শরণার্থী ছাড়া আশ্রয়প্রার্থীদের প্রশিক্ষণের জন্যও বিনিয়োগ বাড়ানো হয় বলে জানায় সংস্থাটি৷
কেমন চাকরি?
চাকরি পাওয়া শরণার্থীদের মধ্যে ৬৮ শতাংশ পূর্ণ বা খণ্ডকালীন চাকরি পেয়েছেন৷ ১৭ শতাংশ শরণার্থী প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন, বেতনও পাচ্ছেন৷ তিন শতাংশ আছেন ইন্টার্নশিপে৷ সেখান থেকেও তাঁরা কিছু আয় করছেন, তবে তা অনেকসময় জীবনযাপনের জন্য যথেষ্ট হয় না৷ আর বাকি ১২ শতাংশ শরণার্থী তথাকথিত ‘মিনি-জব’ করছেন৷ এসব চাকরিতে বেতন সর্বোচ্চ সাড়ে চারশো ইউরো (প্রায় ৪২ হাজার টাকা) হয়ে থাকে৷
জরিপ বলছে, চাকরি পাওয়া শরণার্থীদের মধ্যে মাত্র ২৯ শতাংশ নারী৷
প্রায় আট হাজার শরণার্থীর উপর জরিপটি পরিচালিত হয়েছে৷
জেডএইচ/কেএম (ডিপিএ, কেএনএ)
২০১৫ সালের ছবিঘরটি দেখুন...
যেভাবে জার্মান শিখছেন উদ্বাস্তুরা
একদল রাজনৈতিক আশ্রয়প্রার্থী বন শহরের রাস্তা, বাজারঘাটে ঘুরে বেড়াচ্ছেন জার্মান ভাষাশিক্ষার কাজে৷ সেই সঙ্গে জার্মানির মানুষজন ও সংস্কৃতিও কিছুটা চেনা হয়ে যাচ্ছে৷ একেই বলে বোধ হয় ‘প্রোঅ্যাকটিভ’ পন্থায় ভাষা শেখা!
ছবি: DW/M. Hallam
উদ্বাস্তুদের জন্য ভাষাশিক্ষার পাঠক্রম
জার্মানিতে রাজনৈতিক আশ্রয় পাওয়া এক কথা, এখানে স্থায়ীভাবে বসবাস করা আরেক কথা৷ কারণ তার জন্য প্রয়োজন জার্মান ভাষা শেখা৷ সেটা তো শুধু ক্লাসরুমের বেঞ্চিতে বসেই নয়, বাস্তব ও ব্যবহারিক জীবনেও জার্মান ভাষা ও সংস্কৃতি সম্পর্কে অনেক কিছু শেখা যায় – যেমন বন শহরের পথেঘাটে৷
ছবি: DW/M. Hallam
‘ইন্টেগ্রেশন কোর্স’
বিদেশি-বহিরাগতকে সমাজে অন্তর্ভুক্ত করা, সমাজের অংশ করে তোলাকে জার্মানে বলে ‘ইন্টেগ্রেশন’৷ এসিবি লিঙ্গুয়া ল্যাঙ্গুয়েজ স্কুল রাজনৈতিক আশ্রয়প্রার্থীদের জন্য একটি বিশেষ ইন্টেগ্রেশন কোর্স চালু করেছে৷ সেই কোর্স অনুযায়ী পড়ুয়াদের মাঝেমধ্যে ক্লাসরুম ছেড়ে পথে বেরিয়ে অচেনা পথচারী বা দোকানিদের জার্মানে প্রশ্ন করতে বলা হয়েছে: ‘আচ্ছা, এটা কী ফল? ঐ সবজিটার নাম কী?’
ছবি: DW/M. Hallam
আনারসের আর্বি যেন কী?
দেখলে চিনতে পারার কথা৷ দামটা না লিখলেও চলে, কিন্তু ভবিষ্যতে কাজে লাগতে পারে...৷
ছবি: DW/M. Hallam
পরীক্ষায় নকল নয়, তবে শর্টকাট চলে
ছাত্রদের বলে দেওয়া হয়েছে মোবাইল ব্যবহার না করতে, বরং রাস্তা বা অন্যান্য খোঁজখবরের জন্য মানুষজনকে জার্মানে প্রশ্ন করতে৷ কিন্তু ধরুন যদি বাসাম-এর মতো কাউকে পাওয়া যায়, যে জার্মান আর আর্বি, দু’টো ভাষাই জানে, তাহলে তো পোয়াবারো!
ছবি: DW/M. Hallam
বেটোফেন যেন কবে জন্মেছেন?
লুডভিশ ফান বেটোফেন সম্ভবত বন শহরের সবচেয়ে বিখ্যাত সন্তান৷ জন্মেছিলেন ১৭৭০ সালে, শহরের মূল চত্বরের কাছের একটি গলিতে বেটোফেনের জন্মের বাড়ি না দেখলে, বন-এ কিছুই দেখা হলো না৷ রাদওয়ান আয়ুজ ও তাঁর ছেলে আলি অতিকষ্টে বেটোফেনের জন্মের তারিখটা খুঁজে বার করেছেন৷
ছবি: DW/M. Hallam
রাস্তাঘাট চেনা
টিমকে হয়ত বলে দেওয়া হয়েছে, ‘ফ্রিডেন্সপ্লাৎস’, মানে শান্তির চত্বরে যাও৷ অথবা ৬০৮ নম্বর বাস কোথায় যাচ্ছে? পরের বাসটা আসবে কখন? বাসটা আবার থামে একটি উদ্বাস্তু আবাসের কাছে, যেখানে দলের অনেকের বাস৷
ছবি: DW/M. Hallam
বন থেকে চিঠি
কোথাও বসে পোস্টকার্ড লেখা হলো ক্লাসের নতুন কাজ৷ তার জন্যে পোস্ট অফিসে গিয়ে স্ট্যাম্প কিনে, পোস্টকার্ডে সেঁটে পোস্ট করতে হবে৷ স্ট্যাম্পের ‘রিসিট’ রেখে দিতে হবে৷
ছবি: DW/M. Hallam
পয়েন্ট মানেই ‘প্রাইজ’
এরপরেও ডয়চে ভেলের রিপোর্টার যে দলটির সাথে ছিলেন, তাঁরা খুব ভালো ফলাফল করতে পারেনি – সম্ভবত রিপোর্টারের কচকচানি, তার ওপর আবার রিপোর্টারকে কোনো প্রশ্নের উত্তর জিগ্যেস করা চলবে না, এই কারণে৷