1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

হিজাব নিয়ে বিতর্ক

বাসাক ও্যজাই/আরবি৫ জানুয়ারি ২০১৪

জার্মান স্কুলে মুসলিম শিক্ষিকারা হিজাব পরে কাজ করবেন, এমনটাই আশা করে নব গঠিত ‘ফেডারেল মুসলিম নারী সংগঠন’৷ মুসলমান নারীদের অধিকার রক্ষাই তাদের লক্ষ্য৷

Kopftuch in Schwarz-Rot-Gold
ছবি: picture-alliance/dpa

নারী সংগঠনটির প্রধান ডেরিয়া শাহানের আশা মুসলিম নারীরা জার্মান সমাজে আরো বেশি করে দায়িত্ব নেবেন, দৃশ্যমান হবেন, মনোযোগ আকর্ষণ করবেন৷

লড়াই করার সঠিক সময়

তাঁর মতে মুসলিম মেয়েদের ‘লড়াই' করার সঠিক সময় এখনই৷ সদ্য গঠিত এই সংগঠনটি ‘টার্কিশ-ইসলামিক ইউনিয়ন ফর রিলিজিয়াস অ্যাফায়ার্স' বা ডিআইটিআইবি-র একটি অঙ্গ সংস্থা৷ ডিআইটিআইবি তুর্কি অভিবাসীদের নিয়ে গঠিত একটি বড় মুসলিম সংগঠন৷ সদস্য সংখ্যা দুই লক্ষের ওপর৷ এর সঙ্গে সম্পৃক্ত ৯০০টি মসজিদ সংস্থা৷ মূলত ধর্মীয় কাজকর্মের দায়িত্বে থাকলেও পাশাপাশি সামাজিক সমস্যা বিশেষ করে নারী ও যুব সমাজের নানা রকম অসুবিধা নিয়ে মাথা ঘামায় ডিআইটিআইবি৷

মুসলমান মেয়েদের জার্মান সমাজে আরো বেশি করে সম্পৃক্ত করেই ক্ষান্ত দিতে চান না ডেরিয়া শাহান৷ তিনি চান হিজাব পরা নিয়ে বিতর্কটা আবার চাঙা হোক৷ তাঁর ভাষায় ‘‘আমরা চাই যে সব শিক্ষিকা হিজাব পরেন, তাদের সমস্যার একটা সমাধান হোক৷''

হিজাব নিয়ে বিতর্ক নতুন নয়

জার্মানিতে হিজাব নিয়ে বিতর্ক নতুন নয়৷ বাডেন-ভ্যুর্টেমব্যার্গের এক শিক্ষিকা হিজাব পরার অনুমতি পাননি বলে আদালতে মামলা দায়ের করেছিলেন৷ ২০০৩ সালে কার্লসরুহের ফেডারেল সাংবিধানিক আদালতের রায়ে বলা হয় এই শিক্ষিকাকে হিজাব পরায় বাধা দেওয়া যাবে না, কারণ এর আইনগত কোনো ভিত্তি নেই৷ এই পরিপ্রক্ষিতে জার্মানির রাজ্যগুলি নিজেরাই নতুন আইন প্রণয়ন করে৷ আটটি রাজ্য এব্যাপারে ‘ধর্ম নিরপেক্ষ' আইন জারি করে৷ যাতে সব ধরনের ধর্মীয় প্রতীক চিহ্নই স্কুল থেকে বাদ দেওয়ার কথা বলা হয়েছে৷

দ্রুত আইন প্রণয়ন করা হয়েছে

শিক্ষাবিজ্ঞানী ইয়াসেমিন কারাকাসোগ্লু সমালোচনা করে বলেন, এক্ষেত্রে দ্রুত আইন প্রণয়নের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে৷ যদিও সাংবিধানিক আদালতে বিষয়টি নিয়ে সামাজিক আলাপ আলোচনার প্রয়োজন রয়েছে বলে জানিয়েছিল৷ কিন্তু এধরনের কোনো আলাপ আলোচনা আদৌ সংঘটিত হয়নি৷

আইনি দিক ছাড়াও হিজাব পরা একটি সামাজিক বিতর্কিত বিষয়৷ যে সব মেয়ে হিজাব পরেন তাঁরা হিজাবকে সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় পরিচিতি হিসাবে দেখেন৷ অন্যদিকে সমালোচলকরা এটিকে ধর্মীয় রাজনৈতিক প্রতীক হিসাবে মনে করেন৷

তুরস্ক সরকারের ধ্যান ধারণার প্রতিফলন

এসপিডির প্রাক্তন সাংসদ তুর্কি বংশোদ্ভূত লালে আকগুন মনে করেন এই বিতর্কটা শুধু ব্যক্তিগত পর্যায়ে হিজাব পরা নিয়ে নয়৷ তাঁর ভাষায়, ‘‘ঠিক তুরস্কের মতোই৷ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে হিজাব পরাকে দৃশ্যমান করাই এর লক্ষ্য৷ যেমন বিশ্ববিদ্যালয়ে, প্রশাসনে ও রাজনীতিতে৷ এর ফলে জার্মান সমাজেও একটা সংবেদনশীল প্রতিক্রিয়া হবে৷''

হিজাব নিয়ে বিতর্ক নতুন নয় (ফাইল ফটো)ছবি: Farouk Batiche/AFP/Getty Images

তুরস্কের বর্তমান রক্ষণশীল সরকার কিছুদিন আগে সরকারি চাকরি বাকরিতে হিজাব নিষিদ্ধকরণ উঠিয়ে দিয়েছে৷ অবশ্য কিছু কিছু ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম রয়েছে৷ নারী পুলিশ, নারী বিচারক, নারী আইনজীবী ও নারী সেনাদের এখনও হিজাব পরা নিষেধ৷

উদারমনা মুসলমানদের শক্তিশালী করতে হবে

লালে আকগুন ডিআইটিআইবি-কে দোষারোপ করে বলেন যে, সংস্থাটি যেন তুর্কি সরকারের ‘বর্ধিত হাত' হিসাবে কাজ করছে৷

আঙ্কারায় নেওয়া সিদ্ধান্তগুলি জার্মানিতে বাস্তবায়ন করার চেষ্টা করা হয়৷ ডিআইটিআইবি-র নব গঠিত নারী সংগঠন তুরস্ক সরকারের রক্ষণশীল ধ্যান ধারণাকে জার্মানিতেও প্রতিষ্ঠিত করতে চায়৷

লালে আকগুন নিজেও এই ভাবধারার বিরোধী৷ তিনি জোর দিয়ে বলেন, ‘‘আমিও একজন মুসলিম নারী৷ জার্মান রাজনীতির উচিত মুক্তমনা মুসলমানদের হাতকে শক্তিশালী করা৷''

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ