1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

জার্মানিতে চরম দক্ষিণপন্থিদের রমরমা

২ সেপ্টেম্বর ২০১৯

পূর্বের দুই রাজ্যের নির্বাচনে জার্মানির চরম দক্ষিণপন্থি শক্তি সরকার গঠন করতে না পারলেও ভালো ফল করেছে৷ ফলে চ্যান্সেলার আঙ্গেলা ম্যার্কেলের মহাজোট সরকারের ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন উঠছে৷

Landtagswahl in Sachsen 2019 | von Storch & Urban & Meuthen
ছবি: Reuters/W. Rattay

বিগত সংসদ নির্বাচনে চরম দক্ষিণপন্থি এএফডি বা ‘জার্মানির জন্য বিকল্প' আসনের বিচারে জার্মানির প্রধান বিরোধী দল হিসেবে আত্মপ্রকাশ করার পর থেকেই অস্বস্তি কাটছে না৷ প্রত্যেক রাজ্য ও পৌর নির্বাচনে দলটির ফলাফলের দিকে সবার নজর থাকে৷ বাকি সব রাজনৈতিক দল এএফডি-র সঙ্গে জোট সরকার গড়ার সম্ভাবনা উড়িয়ে দিলেও তাদের একক শক্তি নিয়ে দুশ্চিন্তা থেকেই যায়৷ বিশেষ করে জার্মানির পূর্বাঞ্চলে এমন ঝুঁকির আশঙ্কা বার বার দেখা গেছে৷ রবিবার ব্রান্ডেনবুর্গ ও স্যাক্সনি রাজ্যের নির্বাচনের আগেও বিষয়টি নিয়ে চরম উৎকণ্ঠা বিরাজ করছিল৷ ফল প্রকাশের পর দেখা গেল, সরকার গড়ার জন্য প্রয়োজনীয় আসন না পেলেও এই দল দুই রাজ্যেই অত্যন্ত ভাল ফল করেছে৷ ফেডারেল সংসদের মতো এই দুই রাজ্যেও এএফডি প্রধান বিরোধী দলের মর্যাদা পেতে চলেছে৷

জার্মানির দুই প্রধান রাজনৈতিক দল রবিবারের নির্বাচনে কোনোক্রমে শীর্ষস্থান ধরে রাখতে পেরেছে৷ ব্রান্ডেনবুর্গ রাজ্যে সামাজিক গণতন্ত্রী এসপিডি ও স্যাক্সনি রাজ্যে রক্ষণশীল সিডিইউ দল সর্বোচ্চ আসন পেয়েছে৷ এবার তাদের জোট সরকার গড়ার উদ্যোগ শুরু করতে হবে৷ বিদায়ী জোট যথেষ্ট আসন না পাওয়ায় সেই প্রক্রিয়া কঠিন হতে পারে৷ তবে এএইডি-বিরোধিতার প্রশ্নে ঐক্যের উপর ভর করে বাকি সব রাজনৈতিক দলই কোনোক্রমে সরকারি জোট গঠনে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে বলে ধরে নেওয়া হচ্ছে৷ নির্বাচনে সাফল্যের পর এএফডি ম্যার্কেল জমানার অবসানের আগাম বার্তা দিচ্ছে৷

জার্মান রাজনীতিতে এমন সংকটের কারণ নিয়ে রোববারও রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা মাথা ঘামিয়েছেন৷ তাঁদের মতে, ফেডারেল স্তরে চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল-এর ইউনিয়ন শিবির ও এসপিডি দলের জোট সরকার দিনে দিনে জনপ্রিয়তা হারানোয় একের পর এক রাজ্য নির্বাচনে এই দুই রাজনৈতিক শক্তি সমর্থন হারাচ্ছে৷ সাবেক পূর্ব জার্মানির কমিউনিস্ট পার্টির উত্তরসূরি বাম দল বহুকাল পূবের রাজ্যগুলিতে প্রতিবাদী শক্তি হিসেবে পরিচিত ছিল৷ কিন্তু এই দলও একাধিক রাজ্য সরকারে যোগ দেওয়ায় বেশ জনপ্রিয়তা হারিয়েছে৷ সেই শূন্যস্থান পূরণ করতে এগিয়ে এসেছে এএফডি৷ বিদেশি ও অভিবাসন-বিরোধী, পপুলিস্ট দল হিসেবে তারা প্রতিষ্ঠান-বিরোধী ভোট আদায় করতে বার বার সফল হচ্ছে৷ এমনকি দলের মধ্যে বার বার নব্য-নাৎসিরা মাথাচাড়া দিয়ে উঠলেও ব্যালট বক্সে তার কোনো প্রভাব দেখা যাচ্ছে না৷

এ প্রেক্ষাপটে ম্যার্কেল-এর নেতৃত্বে মহাজোট সরকার সম্পূর্ণ মেয়াদ শেষ করতে পারবে কিনা, সেই প্রশ্ন আবার উঠে আসছে৷ আরও জনপ্রিয়তা হারানোর বদলে এসপিডি ও ইউনিয়ন শিবিরের মধ্য থেকেই সরকার ভেঙে দেবার দাবি উঠছে৷ বিশেষ করে নতুন নেতৃত্বের খোঁজে এসপিডি দল এই মুহূর্তে নিজস্ব অস্তিত্ব রক্ষার মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছে৷ দলের অনেক সদস্য সরকারি জোটে থাকার ঘোর বিরোধী৷ নতুন নেতৃত্ব এমন সিদ্ধান্ত নিলে এসপিডি সরকার ছেড়ে বিরোধী আসনে চলে যেতে পারে৷ সে ক্ষেত্রে ম্যার্কেল-কে হয় নতুন জোটসঙ্গী খুঁজতে হবে অথবা আগাম নির্বাচনের পথ বেছে নিতে হবে৷ অবশ্য চতুর্থবার চ্যান্সেলর হবার পর তিনি আর এই পদে থাকবেন না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন ম্যার্কেল৷

এসবি/কেএম (রয়টার্স, ডিপিএ)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ