1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

আসছে হিটলারের ‘মাইন কাম্ফ’

২৮ ডিসেম্বর ২০১৫

প্রায় ৭০ বছর নিষিদ্ধ থাকার পর আবার জার্মানির বাজারে আসছে হিটলারের লেখা প্রচারণামূলক বই ‘মাইন কাম্ফ'৷ তবে নির্ভেজাল অবস্থায় নয়, সঙ্গে থাকছে প্রায় ৩,৫০০ মন্তব্য৷

ছবি: picture-alliance/dpa/Constantin Film Verleih GmbH

He's back! Hilter's Tour of Germany

03:30

This browser does not support the video element.

আডলফ হিটলার ও তার নাৎসি ভাবাদর্শের পরিণতি গোটা বিশ্বের ইতিহাসে তুলনাহীন৷ যুদ্ধবিগ্রহ ছাড়াই ঠান্ডা মাথায় সুপরিকল্পিতভাবে ৬০ লক্ষ মানুষের নিধনযজ্ঞের মতো ঘটনা এর আগে অথবা পরে ঘটেনি৷ ইহুদি জাতিকে নিশ্চিহ্ন করে দিতে হিটলার ‘কনসেনট্রেশন ক্যাম্প' তৈরি করিয়েছিলেন, যেখানে প্রায় কারখানার মতো ‘দক্ষতার সঙ্গে' মানুষ মারার ব্যবস্থা ছিল৷

সেই হিটলারের আত্মজীবনীমূলক গ্রন্থ ‘মাইন কাম্ফ' বা ‘আমার সংগ্রাম' যে যুদ্ধোত্তর জার্মানিতে নিষিদ্ধ হবে, তাতে বিস্ময়ের কোনো কারণ থাকতে পারে না৷ এটি বিশ্বের সবচেয়ে বিপজ্জনক বইগুলির মধ্যে একটি হিসেবে পরিচিত৷ বাভেরিয়া রাজ্যের হাতে এই বইটির স্বত্ব ছিল৷ কিন্তু প্রায় ৭০ বছর পর আগামী ৩১শে ডিসেম্বর সেই স্বত্বের মেয়াদ শেষ হচ্ছে৷ তার পর যাতে বইটির বিভিন্ন সংস্করণ বাজারে ছড়িয়ে যেতে না পারে, জার্মানির সব রাজ্যের বিচারমন্ত্রীরা ২০১৪ সালের শুরুতেই তার প্রস্তুতি নিয়েছেন৷ জার্মানির ফেডারেল বিচারমন্ত্রীও এর প্রেক্ষাপট তুলে ধরেছেন৷

আগামী ৮ই জানুয়ারি মিউনিখ শহরের ঐতিহাসিকদের এক প্রতিষ্ঠান ‘মাইন কাম্ফ'-এর প্রায় ২,০০০ পৃষ্ঠার এক ‘ক্রিটিকাল এডিশন'৷ অর্থাৎ হিটলারের নিজস্ব লেখার পাশাপাশি থাকবে বিশেষজ্ঞদের মন্তব্য৷ উদ্দেশ্য, বইটিকে ঘিরে যে ‘মিথ' বা এক ধরনের সম্ভ্রম রয়েছে, তা দূর করে সঠিক প্রেক্ষাপটে হিটলারের বিকৃত মানসিকতা তুলে ধরা৷ আজকের জার্মানিতেও যারা নব্য নাৎসি ভাবধারার প্রতি আকৃষ্ট হচ্ছে, তাদেরও এর মাধ্যমে সতর্ক করে দিতে চান মিউনিখের ঐতিহাসিকরা৷ জার্মানির শিক্ষক সংগঠনের সভাপতি ডয়চে ভেলের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে স্কুলেও বইটি পড়ানোর পরামর্শ দিয়েছেন৷

সেই প্রচেষ্টা কতটা সফল হবে, তা নিয়ে অবশ্য সংশয়ের শেষ নেই৷ বিশেষ করে কিছু ইহুদি সংগঠনের আশঙ্কা, এর ফলে হিতে বিপরীত হতে পারে৷ মানবতা ও গণতন্ত্রবিরোধী ব়্যাডিকাল শক্তি এই বই পড়ে উলটে বাড়তি উৎসাহ পেতে পারে৷ জার্মানির কেন্দ্রীয় ইহুদি সংগঠনের প্রধান অবশ্য এই উদ্যোগের পক্ষে সায় দিয়েছেন৷ ইসরায়েলেও বিষয়টি নিয়ে চর্চা চলছে৷

বাভেরিয়ার রাজ্য সরকারের পক্ষেও এই সিদ্ধান্ত সহজ ছিল না৷ ইন্টারনেটের যুগে সহজেই এই বইয়ের নাগাল পাওয়া যায়৷ স্বত্ব শেষ হবার পর বইটি প্রকাশিত হবার পথে বাধা সৃষ্টি করাও কঠিন৷ অন্যদিকে যে সরকার উগ্র দক্ষিণপন্থি এনপিডি দলকে নিষিদ্ধ ঘোষণার উদ্যোগ নিচ্ছে, তার পক্ষে সরকারি অর্থে হিটলারের বই প্রকাশ করার বিড়ম্বনাও কম নয়৷

এসবি/ডিজি (ইপিডি, এপি)

বন্ধুরা, হিটলারের ‘মাইন কাম্ফ’ কি আপনি পড়েছেন? জানান নীচের ঘরে৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ