1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

জার্মানিতে উগ্র ইসলামপন্থি সালাফি আন্দোলন

১২ জুলাই ২০১১

জার্মান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী খুব সম্প্রতি উগ্র ইসলামপন্থি সালাফি আন্দোলন সম্পর্কে সতর্ক করে দিয়েছেন৷ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জার্মানিতে অতি মাত্রায় গোঁড়া সালাফিরা বেশ সক্রিয় হয়ে উঠছে৷

জার্মানির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হান্স পেটার ফ্রিডরিশ জার্মান অভ্যন্তরিণ গোয়েন্দা দপ্তরের সাম্প্রতিকতম রিপোর্ছবি: dapd

জার্মান অভ্যন্তরিণ গোয়েন্দা দপ্তরের সাম্প্রতিকতম রিপোর্ট অনুযায়ী জার্মানিতে কট্টর ইসলামি সংগঠনের সংখ্যা ২৯৷ তাদের সদস্য সংখ্যা হবে অন্তত ৩৭ হাজার৷ তবে সালাফিদের ওপর এই দপ্তরের বিশেষ দৃষ্টি৷ কেননা অন্যদের তুলনায় এই গোষ্ঠীর বৃদ্ধি ঘটছে ব্যাপক হারে এবং আরো দ্রুত৷ তবে শুধুমাত্র এই কারণেই সালাফিদের গোষ্ঠী বিপজ্জনক, তা নয়৷ এই দপ্তরের প্রধান হাইনৎস ফ্রম্ বলছেন: ‘‘সালাফিদের প্রত্যেকেই এক একজন সন্ত্রাসী, তা নয়৷ তবে আমাদের জানা সন্ত্রাসীদের প্রায় সবারই হয় সালাফিদের সঙ্গে যোগ ছিল, নয় তারা নিজেরা সালাফি৷''

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হান্স পেটার ফ্রিডরিশ জার্মান অভ্যন্তরিণ গোয়েন্দা দপ্তরের সাম্প্রতিকতম রিপোর্ট পেশ করলেন৷ সঙ্গে দপ্তরের প্রধান হাইনৎস ফ্রম্ছবি: dapd

আরবি ‘সালাফ' শব্দ থেকে এসেছে কথাটা - যার অর্থ পূর্বপুরুষ৷ চতুর্দশ শতকের ইসলামি ধর্মমত অনুযায়ী পূর্বপুরুষদের ধর্মবিশ্বাস এবং জীবনচর্যা কঠোরভাবে মেনে চলে সালাফিরা৷ তিনশো বছর পরে এই ধর্মীয় মত ও পথই সৌদি আরবে ওয়াহাবিবাদের ভিত গড়ে তোলে৷ আজও তা চালু আছে৷ জার্মানিতে সালাফি গোষ্ঠীর অনুসারীরা তাদের প্রচারকাজে ইন্টারনেট আর অন্যান্য আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে থাকে৷ এবং তাদের লক্ষ্য হলো তরুণ মুসলিমরা৷

জার্মানির কেন্দ্রীয় মুসলিম পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আইমান মাজিয়েক মনে করেন সালাফি মতকে ঘিরে যে উগ্রবাদী প্রবণতা জার্মানিতে, এরকম উগ্রবাদ অন্যান্য ধর্মেও মাঝে মাঝে প্রকাশ পায়৷ তবে তিনি বলেন, ব্যাপারটা দেখছে মুসলিম সম্প্রদায়ও৷ তরুণদের উগ্র ইসলামপন্থার দিকে ঝুঁকে পড়াটা ব্যাহত করতে চায় তারা, বলেন তিনি৷

২০১১ সালে বার্লিনে অনুষ্ঠিত ইসলাম সম্মেলনছবি: dapd

সালাফিদের কট্টর মতের প্রবক্তা যারা তারা কিন্তু চায়না যে, মুসলমানরা এদেশের সমাজের মূলধারার সঙ্গে সম্পৃক্ত হোক৷ ইব্রাহিম আবু নাজি তাদেরই একজন৷ তিনি একটি ইন্টারনেট সাইট চালান যার নামের বাংলা করলে দাঁড়ায় - ‘সত্য ধর্ম'৷ এই সাইটে রাখা বক্তব্য ও বিষয় যাতে অভ্যন্তরিণ গোয়েন্দা সংস্থার দৃষ্টি এড়িয়ে অফলাইনেও অনুসরণ করা যায় তার ব্যবস্থাও রাখা হয়েছে৷

ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করা দুই জার্মান - প্রাক্তন বক্সার পিয়ের ফোগেল ও তার মুখপাত্র সোয়েন লাউ গড়ে তুলেছিল ‘বেহেশতের আমন্ত্রণ' নামে একটি উগ্রপন্থি ইসলামি সংগঠন৷ মোয়েনশেনগ্লাডবাখ শহরে তাদের কেন্দ্রীয় দপ্তরকে কেন্দ্র করে স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে তাদের সম্পর্কে উত্তেজনা বাড়তে থাকে৷ সন্ত্রাসি নেতা ওসামা বিন লাদেনের স্মরণে সমাবেশের ডাক দিয়ে বিপাকে পড়ে এই সংগঠন৷ ইতিমধ্যে সংগঠন ভেঙে দিলেও তাদের কাজকর্ম তারা চালিয়ে যাচ্ছে বলেই মনে করা হয়৷

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে জার্মানির কেন্দ্রীয় মুসলিম পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আইমান মাজিয়েকছবি: dapd

জার্মানিতে সালাফিদের সাফল্যের কারণ খুঁজছেন রাজনীতিকরা, বিশেষজ্ঞরা৷ খ্রিষ্টীয় গণতন্ত্রী রাজনীতিক ও জার্মান সংসদের স্বরাষ্ট্র বিষয়ক কমিটির সভাপতি ভল্ফগাং বোসবাখ মনে করেন, এমন হতে পারে যে আপোশ করতে রাজি নয় এমন এক আদর্শের প্রতি মানুষ আকৃষ্ট হয়ে পড়ে৷ বিশেষ করে যেসব মানুষ ভিন্ন ধর্মের ও ভিন্ন মতের অনুসারীদের মুখোমুখি অসহিষ্ণু, মেয়েদের সমান অধিকারে বিশ্বাস করেনা, তাদের কাছে কট্টর ধর্মীয় মত আকর্ষণ করে বইকি৷

বোসবাখ-এর সঙ্গে আইমান মাইজেক অন্তত একটি ব্যাপারে একমত৷ এবং তা হলো উগ্র ইসলামি মত জার্মানিতে বসবাসরত মুসলমানদের সামগ্রিকভাবে ক্ষতিই করছে৷

প্রতিবেদন: পেটার ফিলিপ ভাষান্তর: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক

সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ