জার্মানিতে উচ্চশিক্ষা নিয়ে নানা প্রশ্ন এবং উত্তর
২৪ জানুয়ারি ২০১১ভিসা কীভাবে পাওয়া যাবে?
ভিসা পাওয়ার ক্ষেত্রে যা প্রয়োজন তা হল, বিশ্ববিদ্যালয় আপনাকে ছাত্র বা ছাত্রী হিসেবে গ্রহণ করেছে, আপনি বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্টার্ড স্টুডেন্ট – তা দেখাতে হবে৷ আপনি যে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছেন তা বিশ্ববিদ্যালয়কেই জানাতে হবে৷ এছাড়া আপনি যদি বৃত্তি পেয়ে থাকেন, সেক্ষেত্রে ভিসা পেতে আরো সহজ হবে৷ আপনি যদি বৃত্তি না পান, তাহলে ব্যাঙ্ক এ্যাকাউন্টে বেশ মোটা অঙ্কের টাকা আপানাকে দেখাতে হবে৷ তা হতে হবে সেমেস্টার ফি, থাকা-খাওয়া এবং হাত খরচের অঙ্ক৷ কত টাকা দেখাতে হবে, তা নির্ধারণ করবে বিশ্ববিদ্যালয়৷ তবে দূতাবাস আরো অনেক কিছু দাবি করতে পারে৷ যেমন দূতাবাস বলতে পারে, ‘‘মাস্টার্স করবেন দু'বছর ধরে৷ তাহলে দু'বছরের পুরো টাকা একসঙ্গে দেখাতে হবে৷'' তা হতে পারে প্রায় ২০ লাখ টাকার সমান৷ এক্ষেত্রে বৃত্তিই হবে ভিসা পাওয়ার সবচেয়ে সহজ উপায়৷
ডয়চে ভেলে ফাইনান্স করবে কিনা? ডয়চে ভেলে থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা করবে কিনা?
ডয়চে ভেলে কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বা বৃত্তি প্রতিষ্ঠান নয়৷ তাই ডয়চে ভেলে আপনাকে কখনোই আর্থিকভাবে সাহায্য করতে পারবে না৷ এমনকি প্রয়োজনীয় কোন চিঠিও আপনাদের জন্য লিখবে না৷ এটি একটি সংবাদ মাধ্যম৷ বাংলা বিভাগের কাজ শুধু তথ্য পরিবেশন করা৷ ডয়চে ভেলের বাংলা ওয়েবসাইটে উচ্চশিক্ষা সম্পর্কে বিশেষ অংশেই পাবেন যাবতীয় তথ্য৷
কীভাবে জার্মানির কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়া যায়?
প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়েই ভর্তির বিভিন্ন নিয়ম কানুন আছে৷ আপনাকে ক্লিক করতে হবে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব ওয়েবসাইটে৷ ডয়চে ভেলের ওয়েবসাইটে জার্মানিতে পড়াশোনা পাতায় যদি আপনি ক্লিক করেন তাহলে অনেক প্রশ্নের উত্তর আপনি জানাবেন৷ সেখানে নিখুঁতভাবে গুরুত্বপূর্ণ অনেক তথ্য তুলে দেওয়া আছে৷ সেগুলো দেখুন, জানুন৷
জার্মানিতে পড়াশোনা করতে, এখানে ছাত্র হিসেবে বসবাস করতে কত টাকা লাগবে?
সেটা নির্ভর করছে, আপনি কোথায় পড়াশোনা করতে চান বা কোন বিষয়ে পড়তে চান৷ জার্মানিতে বেশ কিছু রাজ্য টিউশন ফি'র প্রবর্তন করেছে৷ একেক রাজ্য বা একেক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির ফি একেক রকম৷ তা জানার একমাত্র পথ হল বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে ক্লিক করা৷ আমরা বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের খোঁজ খবর দিচ্ছি৷ এরপর বাকি তথ্যগুলো আপনাকেই খুঁজে বের করতে হবে৷
বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য কী কী পরীক্ষা দিতে হবে?
যথেষ্ট জার্মান ভাষা জ্ঞান প্রমাণ করতে পরীক্ষা অবশ্যই আপনাকে দিতে হবে৷ তবে বিশ্ববিদ্যালয় কোন পরীক্ষার রেজাল্ট চাইছে তা বিশ্ববিদ্যালয়ই বলতে পারবে৷ সেই পরীক্ষা হতে পারে – ডিএইচএস, টেস্ট ডাফ, ক্লাইনেস ডয়চেস স্প্রাখডিপ্লোম, গ্রোসেস ডয়চেস স্প্রাখডিপ্লেম অথবা সেন্ট্রালে ওবারস্টুফেন প্রুফুং৷ এছাড়া আপনি ইংরেজি ভাষায় কতটা দক্ষ, তাও জানাতে হবে৷ টোফেল বা আইইএলটি এস স্কোর দেখাতে হবে৷ কত স্কোর প্রয়োজন তা শুধু বিশ্ববিদ্যালয়ই জানাতে পারবে৷
জার্মানিতে কীভাবে পিএইচডি করা যায়?
গত মাসে বন শহরের জেডইএফ নিয়ে একটি পর্ব প্রচার করা হয়েছে৷ সেখানে অত্যন্ত পরিস্কারভাবে বলা হয়েছে, পিএইচডি-র জন্য কীভাবে নিজেকে তৈরি করতে হবে৷ কোন কোন কাগজপত্র জমা দিতে হবে, কোন শর্তগুলো পূরণ করতে হবে৷ ডয়চে ভেলের বাংলা বিভাগের ওয়েবসাইটে জার্মানিতে উচ্চশিক্ষা কলামে সেই তথ্যগুলো এখনো রয়েছে৷
যারা জার্মানিতে পড়াশোনার জন্য আসতে চান – তারা আরো অনেক তথ্য পাবেন ওয়েবসাইটের জার্মানিতে উচ্চশিক্ষার পাতায়৷ ক্যাম্পাসের প্রতিটি পর্ব সেখানে রয়েছে৷ রয়েছে আরও অনেক বাড়তি তথ্য৷
প্রতিবেদন: মারিনা জোয়ারদার
সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন