1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

জার্মানিতে এবারও খরার আশঙ্কা

৪ আগস্ট ২০২০

২০১৮ সালে জার্মানিতে প্রচণ্ড খরা দেখা দিয়েছিল৷ সেই সময় মাটির যে ক্ষতি হয়েছিল তা এখনো কাটিয়ে ওঠা যায়নি৷ এবারও খরার আশঙ্কা করছেন জার্মান কৃষকরা৷

Deutschland Landwirtschaft - Ackerland, Monokulturen
ছবি: Imago/CHROMORANGE/W. Cezanne

ব্রান্ডেনবুর্গ রাজ্যের কৃষক টিম ডেটার তার খেতের মাটি পরীক্ষা করে দেখেছেন, গত কয়েক বছরের খরার কারণে মাটি অনেকখানি শুকিয়ে গেছে৷ এবছরও খরার আশঙ্কা করা হচ্ছে৷ কারণ এ বছর খুব কম বৃষ্টি হচ্ছে৷ ফসলের উপর তার প্রভাব পড়ছে৷ পানির অভাবে মাটি থেকে পর্যাপ্ত পুষ্টি পাওয়া যাচ্ছে না৷ ফলে তাদের বৃদ্ধি ব্যাহত হচ্ছে, এমনকি মারাও যাচ্ছে৷

মাটির গভীরেও পানি কম পাওয়া যাচ্ছে, যা কৃষকদের জন্য এক সমস্যা৷

টিম ডেটার বলেন, ‘‘বিক্রি করার মতো পর্যাপ্ত ফসল পাওয়া যাচ্ছে না৷ ফলে টাকা কম পাচ্ছি৷ আবার ফসল কম হওয়ায় কিনতেও হচ্ছে বেশি৷’’

খরায় জার্মানির কৃষকদের ভরসা স্বয়ংক্রিয় সেচ

04:11

This browser does not support the video element.

জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে জেট স্ট্রিম নামে পরিচিত বায়ুপ্রবাহের চলার ধরন বদলে যাচ্ছে৷ এটি সাধারণত সরল পথে চলে৷ কিন্তু বিজ্ঞানীরা বলছেন, উত্তর মেরুতে তাপমাত্রা বাড়ার কারণে জেট স্ট্রিমের চলার পথে ঢেউ তৈরি হচ্ছে৷ এই পরিবর্তনই উত্তর অ্যামেরিকা ও ইউরোপের চরম আবহাওয়ার জন্য দায়ী৷

হেল্মহলৎস সেন্টার ফর এনভায়রনমেন্টাল রিসার্চের লুই সামানিগো-ইগুইগুরেন বলছেন, ‘‘এই পরিবর্তন আফ্রিকার দক্ষিণাঞ্চল ও গ্রীষ্মমন্ডলীয় এলাকা থেকে আসা গরম হাওয়ার পরিমাণকে প্রভাবিত করে৷ এই দুটি ফ্রন্ট যেখানে মুখোমুখি হয় সেখানে ঢেউ তৈরি হয়৷ সবকিছু ঠিক থাকলে জেট স্ট্রিম স্থিতিশীল থাকে৷ ফলে আপনি স্বাভাবিক আবহাওয়া আশা করতে পারেন৷ কিন্তু যদি কিছু প্রবাহ বেশি উত্তর বা বেশি দক্ষিণে সরে যায়, তাহলে তাপপ্রবাহ বাড়তে পারে৷’’

তিনি বলেন, ‘‘গরম হাওয়া উত্তর দিকে সরে আসার মতো অস্বাভাবিক পরিস্থিতি ২০০৩ সালে ১০ দিনের মতো দেখা যেত, আর এখন দেখা যাচ্ছে প্রায় ৩০ দিন৷ এর আগে এত সময় ধরে এমন পরিস্থিতি দেখা যায়নি৷’’

টিম ডেটার ভাগ্যবান কৃষক৷ কারণ তার স্বয়ংক্রিয় সেচের ব্যবস্থা আছে, যা বিশ্বের অনেক দেশেই নেই৷ এমন ব্যবস্থার কারণে জরুরি অবস্থায়ও তিনি সেচ দিতে পারেন৷ এবং সর্বোচ্চ খারাপ পরিস্থিতিটা এড়াতে পারেন৷ তবে তার আশঙ্কা, ভবিষ্যতে হয়ত এই পদ্ধতি আর কাজ নাও করতে পারে৷ তিনি বলেন, ‘‘বন্যা আর খরার মতো চরম আবহাওয়া ও প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলার পরিকল্পনা করা খুব কঠিন৷ এর একটা আর্থিক প্রভাবও আছে৷ এই অবস্থায় টিকে থাকতে কী করা উচিত তা আপনাকে ভাবতে হবে৷’’

এখন পর্যন্ত টিম ডেটার স্বাভাবিক কাজ করে যেতে পারছেন৷ তবে তিনি এখনও জানেন না, এ বছরটা কেমন যাবে৷ অন্য কৃষকদের মতো তার আশা, এবার যেন একটু বেশি বৃষ্টি হয়৷

লুইস অসবর্ন/জেডএইচ

২০১৯ সালের ছবিঘর দেখুন...

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ