চলতি সপ্তাহেই জার্মানিতে সরকার গড়ার আলোচনা শুরু হতে পারে৷ ইস্টারের ছুটির আগেই সরকার গড়তে চায় ম্যার্কেলের ইউনিয়ন শিবির৷ তবে এসপিডি সদস্যদের অনুমোদন না পেলে সরকার গঠিত হবে না৷
বিজ্ঞাপন
রবিবার দলীয় সম্মেলনে সামান্য ব্যবধানে হলেও অনুমোদন পেয়ে এসপিডি মহাজোট গড়ার আলোচনা শুরু করতে অবশেষে প্রস্তুত৷ তাই ইউনিয়ন শিবিরে সাজসাজ রব৷ তবে সরকার গড়ার তাড়ার পাশাপাশি দর কষাকষির উত্তেজনাও রয়েছে৷ যে বোঝাপড়ার ভিত্তিতে দুই পক্ষ আদৌ সরকার গড়ার পথে অগ্রসর হবার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল, ইউনিয়ন শিবির তারই ভিত্তিতে জোট নিয়ে আলোচনা করতে চায়৷ অন্যদিকে এসপিডি দলের মধ্যে আরও কিছু ছাড় আদায় করার জন্য চাপ রয়েছে৷ নতুন কোয়ালিশন চুক্তিতে দলের মূল বিষয়গুলি যথেষ্ট গুরুত্ব না পেলে এসপিডি সদস্যরা সেই চুক্তি অনুমোদন না-ও করতে পারেন৷ সেক্ষেত্রে তীরে এসে তরী ডুববে৷ অর্থাৎ চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল নতুন মহাজোট সরকার গড়তে ব্যর্থ হবেন৷
এমন প্রেক্ষাপটে দুই শিবিরই প্রবল চাপের মুখে৷ বিশেষ করে সিডিইউ ও সিএসইউ দলের ইউনিয়ন শিবির বড় শরিক হওয়া সত্ত্বেও ছোট শরিক এসপিডি দলকে সহজে আরও ছাড় দিতে প্রস্তুত নয়৷ তবে দুই পক্ষই দ্রুত জোট গড়ার আলোচনা শুরু করতে চায়৷ সোমবার সন্ধ্যায়ই সিডিইউ নেত্রী ম্যার্কেল, সিএসইউ নেতা হর্স্ট সেহোফার ও এসপিডি নেতা মার্টিন শুলৎস মিলিত হতে পারেন৷ তাঁরা জোট সংক্রান্ত আলোচনার কাঠামো স্থির করবেন৷ চলতি সপ্তাহেই আলোচনা শুরু হবার কথা৷ ইউনিয়ন শিবির ইস্টারের ছুটির আগেই স্থিতিশীল সরকার গঠন করার লক্ষ্যমাত্রা স্থির করেছে৷ চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল রবিবার সন্ধ্যায় এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, তাঁর ইউনিয়ন শিবির মহাজোট সরকার গড়ার আলোচনার জন্য প্রস্তুত৷
শেষ পর্যন্ত মহাজোট গড়া সম্ভব হলেও ম্যার্কেল, সেহোফার ও শুলৎস নিজ নিজ দলে আগের তুলনায় দুর্বল হয়ে পড়ছেন৷ দলের মধ্যে যথেষ্ট সমর্থন না থাকায় তাঁদের কর্তৃত্ব নিয়ে প্রশ্ন উঠছে৷ ফলে এমন এক সরকার ৪ বছর স্থায়ী হবে কিনা, তা নিয়ে অনেক মহলে সংশয় রয়েছে৷ চ্যান্সেলর হিসেবে ম্যার্কেল পূর্ণ মেয়াদ সম্পূর্ণ করবেন কিনা, সে বিষয়েও জল্পনাকল্পনা চলছে৷ তবে আপাতত জার্মানি তথা ইউরোপে অনেক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে নতুন সরকারকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে৷ এতকাল জার্মানির মহাজোট সরকারের দুই শরিক যেভাবে কাজ করে এসেছে, মহাজোটের নতুন সংস্করণেও তা অপরিবর্তিত থাকবে বলে আশা করা হচ্ছে৷
এসবি/এসিবি (ডিপিএ, এএফপি)
২০১৬ সালের এই ছবিঘরটি দেখুন..
নানা মুডে আঙ্গেলা ম্যার্কেল
সারা বিশ্বের মিডিয়া জুড়ে জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেলের ছবি৷ তাঁর সরকারি মুখাবয়ব প্রায়শই গম্ভীর, কথা বলেন সুচিন্তিতভাবে৷ ছবি তোলেন দু’হাতের আঙুলগুলো জুড়ে, তাঁর সুপরিচিত ভঙ্গি৷
ছবি: picture-alliance/dpa
সুবিখ্যাত ম্যার্কেল মুদ্রা
ব্রীড়া থেকেই হোক, বা ঝানু রাজনীতিকের পরিশীলিত ভঙ্গিই হোক, ম্যার্কেল যে হাতের আঙুলগুলো জোড়া দিয়ে কী বলতে চাইছেন, তা তিনি নিজেই জানেন...
ছবি: picture-alliance/dpa/Michael Kappeler
ইউরোপীয় রাজনীতিক
সার্বভৌম, উৎসাহী অথচ নিরুদ্বেগ অভিব্যক্তি নিয়ে ইউরোপীয় রাজনীতির মঞ্চে চলাফেরা করেন জার্মান চ্যান্সেলর৷ ছবিতে তিনি ব্রাতিস্লাভায় ইউরোপীয় ইউনিয়নের সাম্প্রতিক শীর্ষবৈঠকে৷
ছবি: picture-alliance/dpa/O. Hoslet
চ্যান্সেলরের সঙ্গে সেলফি
উদ্বাস্তু সংকট ম্যার্কেলের রাজনৈতিক জীবনে একটা বড় প্রসঙ্গ হয়ে দাঁড়িয়েছে৷ তবুও গতবছর বার্লিনের মারৎসান এলাকার একটি উদ্বাস্তু শিবিরে সিরিয়া থেকে আগত এক রাজনৈতিক আশ্রয়প্রার্থীকে তাঁর সঙ্গে সেলফি তোলার সুযোগ দেন ম্যার্কেল৷
ছবি: Getty Images/S. Gallup
সরকারপ্রধান
চ্যান্সেলর হিসেবে ম্যার্কেলকে দেখা যায় তাঁর স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিমা ও ভূমিকায়৷ সঙ্গে ভাইস চ্যান্সেলর সিগমার গাব্রিয়েল৷
ছবি: Reuters/F. Bensch
নারীসুলভ
হঠাৎ কিছুটা অন্তরঙ্গতা ও একটি হাসি৷ ফরাসি প্রেসিডেন্ট ফ্রঁসোয়া ওলঁদকেও পার্ফেক্ট জেন্টলম্যান বলা চলে৷
ছবি: picture-alliance/AP Photo/F. Mori
জোট সরকার
ম্যার্কেলের দুই জোট সহযোগী, এসপিডি প্রধান সিগমার গাব্রিয়েল ও সিএসইউ প্রধান হর্স্ট জেহোফারকে দেখলে বোঝা যায়, ‘অ্যাঞ্জি’ মাথা ঠান্ডা না রাখলে বিপদ ঘটতে কতক্ষণ?
ছবি: picture-alliance/AP Photo/B. von Jutrczenka
বৈজ্ঞানিক মনোবৃত্তি
পদার্থবিদ্যায় ডক্টরেট ডিগ্রির অধিকারিনী ম্যার্কেলের ইন্টারনেট বা ডিজিটাল মিডিয়াগুলোর জন্যে খুব একটা সময় থাকে না৷ তবে টুইট করতে ভালোবাসেন৷ ২০১৫ সালে জাতিসংঘের একটি ফোরামে ফেসবুক প্রতিষ্ঠাতা মার্ক সাকারবার্গের সঙ্গে আগ্রহ নিয়েই আলোচনা করছেন!
ছবি: picture-alliance/dpa
যাজক তনয়া
২০১৬ সালে পোপ ফ্রান্সিসের সঙ্গে ব্যক্তিগত সাক্ষাৎ প্রটেস্টান্ট যাজকের কন্যা ম্যার্কেলের পক্ষে একটি বিশেষ মুহূর্ত৷
ছবি: Reuters/A. Pizzoli
শ্যাম্পেন পান করার মতো উপলক্ষ্য চাই
যেমন জার্মানি ও ফ্রান্সের মধ্যে এলিসি চুক্তির ৫০ বছর পূর্তি৷
ছবি: AP
ক্ষমতার নেশা চেনেন ম্যার্কেল
২০১১ সালে ডয়চে ব্যাংকের প্রধান ইয়োসেফ আকারমান-এর সঙ্গে বৈঠকে সম্ভবত চলতি আর্থিক সংকট নিয়েই কথা হয়েছিল৷
ছবি: AP
ছুটিছাটায়
চ্যান্সেলরও মানুষ, তাঁরও ছুটি লাগে৷ তবে ছুটিতেও পাপারাৎসিদের হাত থেকে মুক্তি নেই আঙ্গেলা ম্যার্কেলের৷ ছবিতে তাঁর স্বামী ইওয়াখিম সাওয়ারকে দেখা যাচ্ছে (বাঁয়ে)৷
ছবি: dapd
সে অনেকদিন আগের কথা
তরুণ সিডিইউ রাজনীতিক আঙ্গেলা ম্যার্কেল দলীয় সতীর্থ আনেট শাভান ও প্রবীণ সিডিইউ রাজনীতিক এর্ভিন টয়ফেল-এর সঙ্গে দক্ষিণ জার্মানিতে সাইকেল টুরে৷ তখনও তাঁর মুখে অভিজ্ঞতা ও ক্ষমতার ছাপ পড়েনি৷