সিরিয়া থেকে আসার পথে শুক্রবারও সাগরে ডুবে মারা গেছেন অন্তত ৪৪ জন৷ পথের সব ঝুঁকি এড়িয়ে জার্মানিতে এসেও টাকা-পয়সা, স্বর্ণালংকার হারাচ্ছেন অনেক শরণার্থী৷ এই নিয়ে শুরু হয়েছে নতুন বিতর্ক৷
বিজ্ঞাপন
শরণার্থী সংকট নিয়ে হিমশিম খাচ্ছে ইউরোপ৷ এই সংকট ইউরোপকে শেষ পর্যন্ত কোন জায়গায় নিয়ে দাঁড় করাবে – এ নিয়ে রাষ্ট্রীয় পর্যায়েও চিন্তা-উদ্বেগের শেষ নেই৷ অবশ্য উদ্বেগের পাশাপাশি সংকট নিরসনের নানা ধরণের চেষ্টাও চলছে৷ শুক্রবার, অর্থাৎ আজই জার্মানি সফরে আসছেন তুরস্কের প্রধানমন্ত্রী দাভুতোগলু৷ ধারণা করা হচ্ছে, দাভুতোগলুর কাছে শরণার্থী সংকট নিরসনে তুরস্ককে আরো সক্রিয় এবং সহায়ক ভূমিকা রাখার অনুরোধই জানাবেন জার্মানির চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল৷
সিরিয়া এবং মধ্যপ্রাচ্য ও আফ্রিকার কিছু দেশ থেকে আগত শরণার্থীদের বিষয়ে ম্যার্কেলের উদারনীতি সারা বিশ্বেই প্রশংসিত৷ তবে দেশে তাঁর সমালোচনা বাড়ছে৷ তাঁর দলও এ মুহূর্তে কিছুটা কোণঠাসা অবস্থায়৷ তবে শরণার্থী ইস্যুতে ম্যার্কেল এখনো অনমনীয়৷ এখনো উদারনীতি অবলম্বন করেই সংকট নিরসন সম্ভব বলে মনে করছেন তিনি৷
শরণার্থীদের প্রিয় জার্মানি, আরো প্রিয় ম্যার্কেল
শরণার্থীদের নিয়ে একটা ছবি সবারই নজর কেড়েছে৷ প্ল্যাকার্ড হাতে এক শিশু, প্ল্যাকার্ডে লেখা, ‘‘উই ওয়ান্ট জার্মানি’’৷ অনেকেই এসে পৌঁছেছেন তাঁদের কাঙ্খিত ঠিকানা জার্মানিতে৷ পছন্দের মানুষ ম্যার্কেলের দেশে এসে খুশি তাঁরা৷
ছবি: picture-alliance/dpa/Bernd von Jutrczenka
জার্মানিকে চাই...
সেই ছবি৷ বুদাপেস্টে তখন শরণার্থীরা বিক্ষোভে ফেটে পড়েছে৷ অস্ট্রিয়া বা জার্মানির উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করতে না পারায় তাঁরা ক্ষুব্ধ৷ সবাই ছুটছিলেন প্ল্যাটফর্মের দিকে৷ পুলিশ ফিরিয়ে দিলো৷ স্টেশনের বাইরে শুরু হলো বিক্ষোভ৷ কারো কারো হাতে তখন ট্রেনের টিকিট৷ কেউ ক্ষোভ জানালেন কোলের সন্তানকে নিয়ে৷ অনেক শিশুর হাতে দেখা গেল, ‘উই ওয়ান্ট জার্মানি’ লেখা কাগজ৷ ইউরোপে এত দেশ থাকতে কেন জার্মানি?
ছবি: Reuters/L. Foeger
আছে নব্য নাৎসি, পুড়েছে শরণার্থী শিবির, তবুও...
জার্মানির কোথাও কোথাও শরণার্থীবিরোধী বিক্ষোভ দেখা গেছে৷ অনেক জায়গায় রাতের অন্ধকারে আশ্রয় শিবিরে লেগেছে আগুন৷ তারপরও অভিবাসনপ্রত্যাশীরা জার্মানিকেই বেছে নিতে চায়৷
ছবি: Getty Images/M. Rietschel
বড় কারণ ম্যার্কেল এবং...
অভিবাসনপ্রত্যাশীদের ব্যাপারে শুরু থেকেই উদার জার্মানি৷ চ্যান্সেলর ম্যার্কেল সবসময়ই অভিবাসী এবং অভিবাসনপ্রত্যাশীদের পাশে ছিলেন৷ পেগিডা আন্দোলনের সময়ও সরকারের অভিবাসীদের পাশে থাকার কথা স্পষ্ট করেই বলেছেন ম্যার্কেল৷ পাশে থেকেছেও৷ জার্মানির সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষও ছিল তাঁর পাশে৷ এখনও আছে৷ এই বিষয়গুলোও মধ্যপ্রাচ্য ও আফ্রিকা থেকে আসা অভিবাসনপ্রত্যাশীদের মনে জার্মানির প্রতি আরো আস্থাশীল করেছে৷
ছবি: picture-alliance/dpa/NDR
তোমাদের স্বাগত
অভিবাসনপ্রত্যাশীরা জার্মানিতে পা রেখেই দেখেছে অবাক হওয়ার মতো দৃশ্য৷ এখানে তাঁরা অনাহূত নয়৷ নিজের দেশ থেকে প্রাণ নিয়ে পালিয়ে এসে জার্মানিতে পাচ্ছেন সাদর সম্ভাষণ!
ছবি: Getty Images/A. Beier
জার্মানির নেতৃত্বে ম্যার্কেল, ইউরোপের নেতৃত্বে জার্মানি
বৃহস্পতিবার আঙ্গেলা ম্যার্কেল বলেছেন, শরণার্থীদের বিষয়ে জার্মানির ভূমিকা হতে হবে অনুসরণীয়, দৃষ্টান্তমূলক৷ জার্মানির সংসদের নিম্নকক্ষ বুন্ডেসটাগে বক্তব্য রাখার সময় তিনি আরো বলেন, অভিবাসন সংকট মোকাবেলায় ইউরোপকেও সফল হতে হবে৷
দেশের সবচেয়ে ক্ষমতাধর মানুষটিকে শরণার্থীরা নিজেদের একজন হিসেবেই বরণ করে নিয়েছিলেন৷ শরণার্থীদের সঙ্গে বন্ধুর মতোই সময় কাটিয়েছেন ম্যার্কেল৷ কয়েকজন শরণার্থী তাঁর সঙ্গে সেলফি তুলতে চেয়েছিলেন৷ সানন্দে তাঁদের আশা পূরণ করেছেন ম্যার্কেল৷
ছবি: picture-alliance/AP Photo/Michael Sohn
7 ছবি1 | 7
এদিকে বৃহস্পতিবারই ফোনে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার সঙ্গে কথা বলেছেন আঙ্গেলা ম্যার্কেল৷ টেলিফোন কথোপকথনের এক পর্যায়ে ওবামা জানিয়েছেন, শরণার্থী সংকট নিরসনের ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্র জার্মানিকে সহায়তা করবে৷
তবে শরণার্থী সংকট নিয়ে আলোচনায় শরণার্থীদের কাছ থেকে টাকা-পয়সা, স্বর্ণালংকার নিয়ে নেয়ার বিষয়টিই বেশি আলোচনায় আসছে৷ জানা গেছে, জার্মানি, ডেনমার্ক এবং সুইজারল্যান্ডের কোথাও কোথাও শরণার্থীদের কাছে টাকা বা কোনো মূল্যবান জিনিস পেলে পুলিশ তা নিয়ে নিচ্ছে৷
জার্মানিতে এত শরণার্থী চায় না তারা
শরণার্থীরা তাদের গন্তব্য হিসেবে জার্মানিকে বেছে নিচ্ছে৷ জার্মানিও তাদের প্রতি সহানুভূতি দেখাচ্ছে৷ কিন্তু জার্মানিতে এত শরণার্থী চান না অনেকে৷
ছবি: picture-alliance/dpa
‘বিশ্বাসঘাতক’ ম্যার্কেল
জার্মানির ইসলাম ও অভিবাসী বিরোধী গোষ্ঠী পেগিডার হাজার হাজার সমর্থক সোমবার জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেলের শরণার্থী নীতির বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করেছে৷ শরণার্থীদের প্রতি নরম মনোভাবের কারণ তারা ম্যার্কেলের বিরুদ্ধে ‘উচ্চ পর্যায়ের বিশ্বাসঘাতকতা’ ও ‘জার্মানির মানুষের বিরুদ্ধে অপরাধ’-এর অভিযোগ আনেন৷
ছবি: picture-alliance/dpa/B. Settnik
শরণার্থীদের নিয়ে কটূক্তি
পেগিডার (প্যাট্রিয়টিক ইউরোপিয়ান অ্যাগেনস্ট দ্য ইসলামাইজেশন অফ দ্য অক্সিডেন্ট) প্রতিষ্ঠাতা লুটৎস বাখমান সম্প্রতি শরণার্থীদের ‘পশু’, ‘আবর্জনা’ ও ‘উচ্ছৃঙ্খল জনতা’ বলে আখ্যায়িত করেন৷ এ জন্য তাঁর বিরুদ্ধে মামলা করেছে সরকার৷
ছবি: picture-alliance/dpa/O.Berg
সমাজে অন্তর্ভুক্তি সম্ভব নয়
সোমবার বিক্ষোভের সময় বাখমান বলেন, শরণার্থীর সংখ্যা দেড় কিংবা দুই মিলিয়নেই থেমে থাকবে না৷ এরপর আসবে তাদের স্ত্রী; আসবে এক, দুই কিংবা তিন সন্তান৷ ফলে এতগুলো লোকের জার্মান সমাজে অন্তর্ভুক্তির কাজ অসম্ভব হয়ে পড়বে৷
ছবি: picture-alliance/dpa/B. Settnik
জার্মান সরকারের অস্বীকার
জার্মানির জনপ্রিয় পত্রিকা ‘বিল্ড’ সরকারের গোপন ডকুমেন্টের উদ্ধৃতি দিয়ে জানিয়েছে, চলতি বছর জার্মানিতে প্রায় দেড় মিলিয়ন শরণার্থী আসবে বলে মনে করছে সরকার৷ যদিও প্রকাশ্যে সরকার বলছে সংখ্যাটা এক মিলিয়ন হতে পারে৷ তবে জার্মান সরকারের এক মুখপাত্র এ ধরনের কোনো গোপন ডকুমেন্টের কথা তিনি জানেন না বলে সাংবাদিকদের বলেছেন৷
ছবি: picture-alliance/dpa/Thalia Engel
শরণার্থীর মৃত্যু
জার্মানির পূর্বাঞ্চলের এক শরণার্থীদের বাসস্থানে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ইরিত্রিয়া থেকে আসা ২৯ বছরের এক শরণার্থীর মৃত্যু হয়েছে৷ অগ্নিকাণ্ডের কারণ এখনও জানা যায়নি৷ এদিকে, জার্মান সরকারের হিসেবে দেখা যাচ্ছে, চলতি বছর শরণার্থী ও তাদের বাসস্থানের উপর হামলার সংখ্যা বেড়েছে৷ এ বছরের প্রথম ছয় মাসেই এরকম ২০২টি ঘটনা ঘটেছে বলে সরকার জানিয়েছে, যেখানে গত বছর সংখ্যাটি ছিল ১৯৮৷
ছবি: picture-alliance/dpa
বিপদে ম্যার্কেল
শরণার্থীদের সঙ্গে এমন আচরণের কারণে নিজ দল সহ অন্যান্য দলের রাজনীতিবিদদের তোপের মুখে পড়েছেন ম্যার্কেল৷ তাঁরা জার্মানির শরণার্থী নীতি ও শরণার্থীদের আগমনের সংখ্যা নিয়ন্ত্রণে চ্যান্সেলরকে আরও কঠোর হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন৷
ছবি: Reuters/F. Bensch
6 ছবি1 | 6
জার্মানির দৈনিক ‘বিল্ড'-কে দেয়া সাক্ষাৎকারে বাভেরিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ইওয়াখিম হ্যারমানও খবরটির সত্যতা স্বীকার করেছেন৷ সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, বাভেরিয়ায় রাজ্যের আইন অনুযায়ীই কখনো কখনো পুলিশ শরণার্থীদের কাছ থেকে টাকা এবং স্বর্ণালংকারের মতো মূ্ল্যবান বস্তু রেখে দিচ্ছে৷ তিনি জানান, অভিবাসন প্রত্যাশীদের সব খরচের দায়িত্ব যেহেতু রাজ্য বা সরকার নেয়, সেহেতু কোনো অভিবাসন প্রত্যাশীর কাছে ৭৫০ ইউরোর বেশি অর্থ থাকলে, পুলিশ তা রেখে দিতে পারে৷
জার্মানির সব রাজ্যে অবশ্য একই আইন কার্যকর নয়৷ বাডেন-ভ্যুর্টেমব্যার্গসহ আরো কিছু রাজ্যে শরণার্থীর কাছে সাড়ে তিনশ ইউরোর বেশি থাকলে বাকি টাকা বা সম্পদ পুলিশ ওই শরণার্থী এবং তাঁর পরিবারের সদস্যদের ভরণপোষণের জন্যই রেখে দিতে পারে৷
এসিবি/ডিজি (এএফপি, ডিপিএ)
শরণার্থীদের বিষয়ে ম্যার্কেলের উদারনীতি কি আপনি সমর্থন করেন? জানান মন্তব্যের ঘরে৷
জার্মানিতে আসার আগে আপনার যা জানা প্রয়োজন
জার্মানিতে শরণার্থী হিসেবে আসার সময় বেশ কিছু বিষয় আপনার মাথায় রাখতে হবে৷ এখানে সবকিছু যত সহজ মনে হয়, আসলে তত নয়৷ এখানে সেরকম দশটি বিষয় উল্লেখ করা হলো৷
ছবি: picture alliance
কাজের অনুমতি ছাড়া কাজ নয়
মধ্যপ্রাচ্য এবং আফ্রিকায় এটা বৈধ হলেও জার্মানিতে কাজের অনুমতি ছাড়া কাজ করা আইনের দৃষ্টিতে অবৈধ৷ কেউ যদি অবৈধভাবে কাজ করা অবস্থায় ধরা পড়ে, তাহলে তার জরিমানা, এমনকি জেলও হতে পারে৷
ছবি: picture-alliance/ZB
কর অবশ্যই প্রদান করতে হবে
জার্মানিতে কর প্রদানের নিয়মকানুন বেশ জটিল৷ তাসত্ত্বেও কর প্রদান না করা এখানে অবৈধ৷ আইন অনুযায়ী, এটা সমাজের বিপরীতে এক ধরনের চুরি৷ কর প্রদান এক ধরনের দায়িত্ব, যেমনটা ট্যাক্স প্রদান৷
ছবি: Fotolia/Joachim B. Albers
শিশুদের প্রতি জোর খাটানো যাবে না
শিশুদের আঘাত করা জার্মানিতে শাস্তিযোগ্য অপরাধ৷ বাড়ি কিংবা স্কুল কোথাও শারীরিক শাস্তি গ্রহণযোগ্য নয়৷
ছবি: DW/R. Azizi
শিশুদের অবশ্যই স্কুলে যেতে হবে
স্কুল বয়সি শিশুরা শুধু বাসায় বসে থাকতে পারবে না, পারবে না কাজে যেতে৷ তাদের যেতে হবে স্কুলে৷ শিশুর বয়স ছয় বছর হলে তাকে অবশ্যই কোনো না কোনো স্কুলে নিবন্ধিত হতে হবে এবং নিয়মিত ক্লাসে যেতে হবে৷
ছবি: picture-alliance/dpa/B. Pedersen
বেশি শব্দ করা যাবে না!
এমনকি নিজের ঘরের মধ্যেও বেশি শব্দ করা যাবে না, যা আপনার প্রতিবেশীদের বিরক্ত করতে পারে৷ বিশেষ করে রাতের বেলা জার্মানিতে এদিকে বিশেষ খেয়াল রাখতে হয়৷
ছবি: picture-alliance/dpa/P. Pleul
সুপারমার্কেটে দরকষার সুযোগ নেই
বাজারে দরকষাকষি বিশ্বের অনেক দেশেই গ্রহণযোগ্য এবং মানুষ তা উপভোগও করে৷ তবে জার্মানিতে সুপারমার্কেট কিংবা অধিকাংশ দোকানপাটে দরদামের সুযোগ নেই৷ দরাদরি করতে চাইলে অনলাইনে চেষ্টা করতে পারেন৷
ছবি: Fotolia/G. Sanders
পশুপ্রাণিকে খেতে দেবেন না!
জার্মানিতে অধিকাংশ প্রাণির মালিক রয়েছে কিংবা তারা বিশেষ আইনের আওতায় পরিচালিত৷ তাই প্রতিবেশির বেড়ালকে তাঁর অনুমিত ছাড়া খাওয়ানো খুব একটা বুদ্ধিমানের কাজ হবে না৷ আর বেড়ালটা যদি মালিকের চেয়ে আপনার প্রতি বেশি অনুগত হয়ে যায় তাহলে মালিক আপনার বিরুদ্ধে মামলাও ঠুকতে পারে!
ছবি: imago/blickwinkel
সময়নিষ্ঠা – জার্মানিতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ
কোনো অ্যাপয়েনমেন্ট থাকলে সেখানে সময়মত যাওয়া এবং সর্বোপরি সময়ের প্রতি সচেতনতা জার্মানিতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ৷ দেরি করে কোথাও যাওয়া ঠিক নয়৷ আর যদি একান্ত দেরি হয় তাহলে যার সঙ্গে সাক্ষাতের কথা তাঁকে তা জানানোই নিয়ম৷
ছবি: picture alliance
নিজের দূরত্ব বজায় রাখুন
অনেক সংস্কৃতিতে অন্যের বাচ্চাকে জড়িয়ে ধরা, চুমু দেয়া কিংবা উপহার দেয়া স্বাভাবিক ব্যাপার৷ তবে জার্মানিতে বিষয়টি তেমন নয়৷ বাচ্চার অভিভাবকের উপর এটা নির্ভর করে৷ তাই শিশুটা যদি বন্ধুত্বপূর্ণ আচরণও করে তবুও নিজের দূরত্ব বজায় রেখে তার সঙ্গে কথা বলুন৷
ছবি: picture alliance/Bildagentur-online
রাস্তায় গাড়ি পরিষ্কার নয়
অবশ্যই বাড়ির কাছে গাড়ি পরিষ্কার করাটা সাশ্রয়ী৷ তবে জার্মানিতে এটা নিষিদ্ধ৷ কারণ এতে পরিবেশের ক্ষতি হয়৷ তাই গাড়ি পরিষ্কার করতে চাইলে সেটি নির্দিষ্ট স্থানে নিয়ে যান৷ কিছু জায়গায় নিজ হাতে পরিষ্কারের সুযোগ আছে, কোথাও আছে স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থা৷ তাই পছন্দ আপনার৷