1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

টাকা-পয়সা হারাচ্ছেন শরণার্থীরা

২২ জানুয়ারি ২০১৬

সিরিয়া থেকে আসার পথে শুক্রবারও সাগরে ডুবে মারা গেছেন অন্তত ৪৪ জন৷ পথের সব ঝুঁকি এড়িয়ে জার্মানিতে এসেও টাকা-পয়সা, স্বর্ণালংকার হারাচ্ছেন অনেক শরণার্থী৷ এই নিয়ে শুরু হয়েছে নতুন বিতর্ক৷

Mazedonien Grenzübergang zu Griechenland Gevgelija
ছবি: picture alliance/AP Photo/B. Grdanoski

শরণার্থী সংকট নিয়ে হিমশিম খাচ্ছে ইউরোপ৷ এই সংকট ইউরোপকে শেষ পর্যন্ত কোন জায়গায় নিয়ে দাঁড় করাবে – এ নিয়ে রাষ্ট্রীয় পর্যায়েও চিন্তা-উদ্বেগের শেষ নেই৷ অবশ্য উদ্বেগের পাশাপাশি সংকট নিরসনের নানা ধরণের চেষ্টাও চলছে৷ শুক্রবার, অর্থাৎ আজই জার্মানি সফরে আসছেন তুরস্কের প্রধানমন্ত্রী দাভুতোগলু৷ ধারণা করা হচ্ছে, দাভুতোগলুর কাছে শরণার্থী সংকট নিরসনে তুরস্ককে আরো সক্রিয় এবং সহায়ক ভূমিকা রাখার অনুরোধই জানাবেন জার্মানির চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল৷

সিরিয়া এবং মধ্যপ্রাচ্য ও আফ্রিকার কিছু দেশ থেকে আগত শরণার্থীদের বিষয়ে ম্যার্কেলের উদারনীতি সারা বিশ্বেই প্রশংসিত৷ তবে দেশে তাঁর সমালোচনা বাড়ছে৷ তাঁর দলও এ মুহূর্তে কিছুটা কোণঠাসা অবস্থায়৷ তবে শরণার্থী ইস্যুতে ম্যার্কেল এখনো অনমনীয়৷ এখনো উদারনীতি অবলম্বন করেই সংকট নিরসন সম্ভব বলে মনে করছেন তিনি৷

এদিকে বৃহস্পতিবারই ফোনে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার সঙ্গে কথা বলেছেন আঙ্গেলা ম্যার্কেল৷ টেলিফোন কথোপকথনের এক পর্যায়ে ওবামা জানিয়েছেন, শরণার্থী সংকট নিরসনের ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্র জার্মানিকে সহায়তা করবে৷

তবে শরণার্থী সংকট নিয়ে আলোচনায় শরণার্থীদের কাছ থেকে টাকা-পয়সা, স্বর্ণালংকার নিয়ে নেয়ার বিষয়টিই বেশি আলোচনায় আসছে৷ জানা গেছে, জার্মানি, ডেনমার্ক এবং সুইজারল্যান্ডের কোথাও কোথাও শরণার্থীদের কাছে টাকা বা কোনো মূল্যবান জিনিস পেলে পুলিশ তা নিয়ে নিচ্ছে৷

জার্মানির দৈনিক ‘বিল্ড'-কে দেয়া সাক্ষাৎকারে বাভেরিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ইওয়াখিম হ্যারমানও খবরটির সত্যতা স্বীকার করেছেন৷ সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, বাভেরিয়ায় রাজ্যের আইন অনুযায়ীই কখনো কখনো পুলিশ শরণার্থীদের কাছ থেকে টাকা এবং স্বর্ণালংকারের মতো মূ্ল্যবান বস্তু রেখে দিচ্ছে৷ তিনি জানান, অভিবাসন প্রত্যাশীদের সব খরচের দায়িত্ব যেহেতু রাজ্য বা সরকার নেয়, সেহেতু কোনো অভিবাসন প্রত্যাশীর কাছে ৭৫০ ইউরোর বেশি অর্থ থাকলে, পুলিশ তা রেখে দিতে পারে৷

জার্মানির সব রাজ্যে অবশ্য একই আইন কার্যকর নয়৷ বাডেন-ভ্যুর্টেমব্যার্গসহ আরো কিছু রাজ্যে শরণার্থীর কাছে সাড়ে তিনশ ইউরোর বেশি থাকলে বাকি টাকা বা সম্পদ পুলিশ ওই শরণার্থী এবং তাঁর পরিবারের সদস্যদের ভরণপোষণের জন্যই রেখে দিতে পারে৷

এসিবি/ডিজি (এএফপি, ডিপিএ)

শরণার্থীদের বিষয়ে ম্যার্কেলের উদারনীতি কি আপনি সমর্থন করেন? জানান মন্তব্যের ঘরে৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ