জার্মানিতে করোনা ভাইরাসের টিকার সীমাবদ্ধতা নিয়ে নানা আলোচনা, সমালোচনার মধ্যেই জানা গেল ইতোমধ্যে এক কোটি মানুষকে এই টিকা প্রদান করেছে ইউরোপের দেশটি৷ দেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রী নিশ্চিত করেছেন এই তথ্য৷
বিজ্ঞাপন
স্বাস্থ্যমন্ত্রী ইয়েন্স স্পান শনিবার বলেন, ‘‘টিকা নেয়া এক কোটি মানুষের মধ্যে ৪৩ লাখ উভয় ডোজ গ্রহণ করেছেন৷’’ যারা ইতিমধ্যে টিকার দুই ডোজই পেয়েছেন তারা পুরোপুরি নিরাপদ বলেও মন্তব্য করেন তিনি৷
প্রসঙ্গত, ডিসেম্বর মাসের শেষ নাগাদ করোনা টিকা দেওয়া শুরু করে জার্মানি৷ টিকা দেওয়া শুরুর পরপরই সমালোচনায় পড়ে ইউরোপের শক্তিধর এ দেশটি৷ যথেষ্ট টিকা মজুদ আছে কী না, কাদের, কীভাবে টিকা প্রদান করা হবে এসব বিষয়ে শুরুতে নিশ্চিত হতে না পারায় জনগণের মধ্যে হতাশা তৈরি হয়৷ তবে সব সংশয় কাটিয়ে ধীরে ধীরে টিকাদানের বিষয়টি এগিয়ে নিয়ে যায় দেশটি৷
এদিকে, টিকা গ্রহনকারীদের দৈনন্দিন চলাফেরায় বিধিনিষেধ শিথিল করার কথা ভাবছে সরকার৷ স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, যারা ইতিমধ্যে করোনা টিকার দুটি ডোজই গ্রহণ করেছেন তারা পুরোপুরি নিরাপদ এমনটা বিবেচনায় নিয়ে তাদের জীবনযাত্রা শিথিল করার বিষয়টি সরকার বিবেচনা করছে৷
উল্লেখ্য, করোনা ভাইরাসের তৃতীয় ঢেওয়ের মুখে পড়েছে জার্মানি৷ ক্রামাগত বাড়তে থাকা সংক্রমণের হার নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে স্বাস্থ্যব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা ডাক্তারদের৷ গত বছর করোনা ভাইরাস ধরা পড়ার পর এখন পর্যন্ত মোট আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ২৯ লাখ৷ আর করোনায় আক্রান্ত হয়ে ৭৭ হাজারের বেশি মানুষ মারা গেছেন ইউরোপের কেন্দ্রের দেশটিতে৷
আরআর/এআই (এএফপি, এপি রয়টার্স, ডিপিএ)
আরব পর্যটকদের আসার আশায়
প্রতি বছর প্রচুর পেট্রোডলার নিয়ে চলে আসেন তারা৷ এসে ঘুরে বেড়ান, টাকা ওড়ান৷ করোনার কারণে এবার এখনো আসতে পারেননি৷ তবে জার্মানির মিউনিখ শহরের হোটেলগুলোর আশা, শিগগিরই আবার নামবে আরব পর্যটকদের ঢল৷
ছবি: AP
জার্মানিতে মধ্যপ্রাচ্যের পর্যটক
প্রতি বছর মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো থেকে প্রচুর পর্যটক আসেন জার্মানিতে৷ সবচেয়ে বেশি আসেন বাভারিয়ার রাজধানী মিউনিখে৷ ২০১৯ সালে মিউনিখে সব মিলিয়ে পাঁচ লাখ ৩০ হাজার জন আরব রাত যাপন করেছেন৷
ছবি: picture-alliance/dpa/P. Kneffel
তারা চান শীতল হাওয়া
মধ্য প্রচ্যের পর্যটকরা মূলত গ্রীষ্মে জার্মানি, ব্রিটেন, ইটালি বা ইউরোপের অন্য কোনো দেশে বেড়াতে আসেন৷ নিজের দেশের ভয়ঙ্কর গরম থেকে বাঁচতেই ছুটে আসেন তারা৷
ছবি: imago/Action Pictures/P. Schatz
চান সবুজ প্রকৃতি
মধ্যপ্রাচ্যের মরু অঞ্চলের একেবারে বিপরীত প্রকৃতি বলেও আরব পর্যটকদের কাছে ইউরোপ খুব প্রিয়৷ বেশি প্রিয় আল্পস পর্বতের কাছের শহরগুলো৷ সেখানে সবুজ ঘাস, গাছপালা তো আছেই, স্বচ্ছ, নীল আকাশটাকে প্রায় ছুঁয়ে ফেলা পাহাড়ও আছে৷ তাই জার্মানি, সুইজারল্যান্ড এবং জালসবুর্গ রাজ্যের মতো স্থান তাদের খুব টানে৷
ছবি: picture-alliance/dpa/S. Derder
যা খুশি কেনার সুযোগ
কেনাকাটার জন্য ইউরোপের শহরগুলো, বিশেষ করে মিউনিখের তো তুলনাই হয় না৷ তাই আরব শেখদের কাছেও এ শহর খুব প্রিয়৷
ছবি: Imago/R. Peters
নিরাপত্তা
জার্মানির নিরাপত্তা ব্যবস্থা সব দেশের পর্যটককেই টানে৷ তবে সব দেশের মানুষের তো আর ইউরোপে চুটিয়ে ঘুরে বেড়ানোর মতো টাকা নেই আর আরবদের তার কোনো অভাব নেই৷
ছবি: Reuters/W. Rattay
পোশাক পরার স্বাধীনতা
মিউনিখ বা জার্মানির অন্যান্য শহরে যে কোনো পোশাক পরে নিশ্চিন্তে চলাফেরা করা যায়৷ আরকেটা বিষয় হলো, ফ্রান্স এবং নেদারল্যান্ডসের মতো জার্মানিতে এখনো বুরকা নিষিদ্ধ হয়নি৷ তাই আরব পর্যটকদের কাছে জার্মানি এখনো খুব প্রিয়৷
ছবি: picture-alliance/MediaPunch/D. Corredor
চিকিৎসাসেবা
আগের মতো এত না হলেও মধ্যপ্রাচ্য থেকে এখনো অনেক আরব পর্যটক জার্মানিতে আসেন আধুনিক এবং উন্নত চিকিৎসাসেবা নিতে৷
ছবি: picture-alliance/dpa/S. Kahnert
আরবদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা
আরব পর্যটকদের জন্য তাই অনেক হোটেলে আরবি জানা কর্মীদের নিয়োগ দেয়া হয়৷ মেনু তৈরি হয় আরবদের পছন্দকে মাথায় রেখে৷ অনেক হোটেল রুমে থাকে তির চিহ্ন৷ সেই তির জানিয়ে দেয় পবিত্র মক্কা শরিফ কোন দিকে৷ সুতরাং নামাজ পড়তে কোনো অসুবিধা হয় না কারো৷
ছবি: picture-alliance/dpa/P. Kneffel
করোনায় কাবু পর্যটন
করোনা সংকটের কারণে আর সব দেশের মতো জার্মানির পর্যটন শিল্পেও ধস নেমেছে৷ লকডাউন এবং বিমান যোগাযোগ বন্ধের কারণে মধ্যপ্রাচ্য থেকে কোনো পর্যটক আসা একেবারে বন্ধ৷
ছবি: Imago/C. Thiel
তাদের অপেক্ষায় উন্মুখ
মিউনিখসহ জার্মানির অনেক শহরের হোটেলগুলো আশা করছে, মধ্যপ্রাচ্য থেকে পর্যটকদের আসা শিগগিরই শুরু হবে৷ সম্প্রতি ঝুঁকিপূর্ণ দেশের তালিকা থেকে সংযুক্ত আরব আমীরাতের বাদ পড়া আশাবাদী করেছে তাদের৷