ইসলাম ধর্মের উৎসবে জার্মানিতে ছুটি অনুমোদন হবে কি?
১৫ অক্টোবর ২০১৭
জার্মানির মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ এলাকাগুলোতে ইসলাম ধর্মের উৎসব বা বিশেষ দিনগুলোতে ছুটির প্রস্তাব তুলেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী৷ যদিও এই প্রস্তাবের তীব্র বিরোধিতা করেছে কট্টর ডানপন্থি দল এএফডি৷
বিজ্ঞাপন
মুসলমানদের ধর্মীয় উৎসবের দিনগুলোতে ছুটির প্রস্তাব বৈপ্লবিক সিদ্ধান্ত মনে হলেও দেশের কয়েকটি রাজ্যে এ ব্যবস্থা আগে থেকেই বহাল রয়েছে৷ ‘‘একটি দেশের যেসব জায়গায় মুসলমানদের সংখ্যা বেশি, সেখানে তাদের ধর্মীয় উৎসবে ছুটি দেয়া যেতেই পারে, তাই নয় কি!'' এমনটাই প্রস্তাব স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী টোমাস ডেমিজিয়ের-এর৷ তবে তাঁর এই প্রস্তাবে আবারও বিতর্ক মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে৷
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর এই প্রস্তাবে নিজের দল খ্রিষ্টীয় গণতন্ত্রী ইউনিয়ন বা সিডিইউ-এর রাজনীতিবিদদের মধ্যেই বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে৷ কেননা এবারের নির্বাচনে দলটির ভোট হারানোর পেছনে অন্যতম কারণ হিসেবে মুসলিমদের প্রতি সদয় ভাবকেই দায়ী করা হচ্ছে, যা তাদের রক্ষণশীল ভাবধারার একেবারে বিপরীত৷ তবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এক্ষেত্রে যে যুক্তি তুলে ধরেছেন তা অগ্রাহ্য করার কোনো কারণ নেই৷ তিনি বলেছেন, ‘‘১লা নভেম্বর ‘অল সোল'স ডে' বা সর্ব আত্মা দিবস পালন করা হয় মৃত ব্যক্তিদের স্মরণে, এটা কেবল সেসব অঞ্চলেই হয় যেখানে ক্যাথলিকরা বাস করেন৷''
এই প্রস্তাবের প্রতিক্রিয়া:
লোয়ার স্যাক্সনিতে সিডিইউ দলের চেয়ারম্যান বার্নড আলথুসমান এই প্রস্তাব অনুমোদনের বিপক্ষে মত দিয়েছে৷ তিনি বললেন, ‘‘জার্মানিতে বিভিন্ন দিবসে ছুটি দেয়াটা দীর্ঘদিনের প্রথা৷ কিন্তু সেটা নির্দিষ্টি কয়েকটি দিনের, যা যুগ যুগ ধরে চলে আসছে৷ তাই এটা পরিবর্তনের আমি কোনো দরকার দেখছি না৷''
সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমগুলোতেও এরইমধ্যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর এই প্রস্তাব নিয়ে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে৷ জার্মানির কট্টর ডানপন্থি দল এএফডি-র শীর্ষ রাজনীতিবিদ বেট্রিক্স ফন স্ট্রর্চ টুইটে লিখেছেন, ‘‘না! না! না! মুসলিমদের ছুটির দিন বিবেচনা করার আগেই দেশে ছুটির দিনগুলো নিয়ে একটি আইন করার আহ্বান জানানো হোক৷''
মুসলামদের কেন্দ্রীয় কাউন্সিল এই প্রস্তাবকে ইতিবাচক হিসেবেই দেখছে৷ কাউন্সিলের চেয়ারম্যান আয়মান মাজিক বলেছে, ‘‘এ ধরনের উৎসবের দিনকে স্বীকৃতি দিলে তা বিভিন্ন ধর্মের সঙ্গে সম্প্রীতি বাড়াতে সহায়ক হবে৷ কেননা রমজানের শেষে একজন মুসলিম পুলিশ কর্মকর্তা যখন ঈদের দিন ছুটি চাইবেন, সেদিন যেন খ্রিষ্টান ধর্মের অনুসারী তাঁর সহকর্মী উপলব্ধি করতে পারেন যে বড়দিন বা ক্রিসমাসের সময় তাঁরা যে কারণে ছুটি পান, সে কারণেই এই ছুটিটা তাঁকে দেয়া হচ্ছে৷ এই ছুটির অনুমোদন হলে প্রত্যেকটি ধর্মের মানুষের মধ্যে এই বোধটা জন্মাবে৷''
জার্মানিতে শান্তির পক্ষে মুসলমানদের মিছিল
কেউ এসেছেন সিরিয়া যুদ্ধের বিভীষিকার দেয়াল ভেদ করে, কেউ জার্মানিতে বাস করছেন প্রজন্মের পর প্রজন্ম৷ মুসলমানদের নামে চলা সন্ত্রাসের প্রতিবাদ জানাতে সবাই কোলনে মিলেছেন এক কাতারে৷ যেখানে সংহতি জানিয়েছেন ভিন্ন ধর্মের মানুষও৷
ছবি: DW/S. Niloy
সিহাম, কোলন
‘‘আমি চাই, এই সন্ত্রাসের অবসান হোক৷ সন্ত্রাসের পথ ভুল পথ৷ উদার মুসলিমদের উচিত এই সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে আরো সরব হওয়া৷ এ জন্য তাদেরকে ঘর থেকে বের হতে হবে৷ তাদেরকে বলতে হবে, ওরা যেটা করছে, এটা আমাদের ইসলাম নয়৷ কোরআন এটা বলে না৷ কোরআন শান্তির গ্রন্থ৷ তাই এর অনুসারীদেরকেও শান্তিপূর্ণ থাকতে হবে৷’’
ছবি: DW/S. Niloy
ইউদানুর কারাকাস, তুর্কি বংশদ্ভূত জার্মান
‘‘সন্ত্রাসের বিষয়ে আমার যে অবস্থান সেটা জানান দিতেই আমি এখানে এসেছি৷ যদিও আমি একজন মুসলিম, কিন্তু জীবন পদ্ধতিতে আমি কঠোরভাবে ইসলাম অনুসরণ করি না৷ তারপরও মুসলিম হিসাবে আমাকে নানা প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়৷’’
ছবি: DW/S. Niloy
হাফসা
‘‘সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে কথা বলতে আমরা এখানে এসেছি৷’’
ছবি: DW/S. Niloy
বেইজা
‘‘আমরা সন্ত্রাসের পক্ষে নই৷ যারা সন্ত্রাসের পক্ষে থাকে, ইসলামের নামে সন্ত্রাস করে, আমরা তাদের দলে নই৷ ইসলাম শান্তিপূর্ণ ধর্ম৷ আমরা শান্তিপূর্ণভাবেই বাস করতে চাই৷’’
ছবি: DW/S. Niloy
প্রিয়াম শঙ্কর ঘোষ, জার্মানি প্রবাসী বাংলাদেশি
‘‘মুসলমানদের আলাদা করে সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে বলার কিছুই নাই৷ কোনো সন্ত্রাসের জন্য কোন মুসলিমকে দায়ী করারও কোনো কারণ নাই৷ এ কারণে আমি এ ধরনের প্রতিবাদের পক্ষে না৷ মুসলমান হিসেবে এভাবে সমাবেশ করলে অস্ত্রটা তারাই পেয়ে যায়৷ সাময়িকভাবে এটাকে ইতিবাচক মনে হলেও এটা আসলে দীর্ঘমেয়াদে ক্ষতি করে৷ দীর্ঘ মেয়াদে ফল পেতে হলে তাদেরকে এটেনশন দেয়া যাবে না৷’’
ছবি: DW/S. Niloy
মো. বেলাল হোসেন, জার্মানি প্রবাসী বাংলাদেশি
‘‘কোনো একটা সন্ত্রাসী হামলা হলেই দায় চলে আসে মুসলমানদের উপর৷ এভাবে দোষারোপ আমরা চাই না৷ সন্ত্রাসীর কোনো ধর্ম নাই৷ তারা কেবলই সন্ত্রাসী৷’’
ছবি: DW/S. Niloy
হেইদা
‘‘পৃথিবীকে এই সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে৷ শান্তির জন্য সকলকে একত্রে লড়তে হবে৷ আমি এই ধরনের একটা উদ্যোগের জন্য বছরের পর বছর অপেক্ষা করেছি৷ ইন্টারনেটের মাধ্যমে জেনে চলে এসেছি৷ কেনো তাদেরকে দোষারোপ করা হয়৷ আমি তো সব জায়গায় খুবই বন্ধুত্বপূর্ণভাবে মুসলিমদেরকে পেয়েছি৷’’
ছবি: DW/S. Niloy
আম্মার, জার্মানি প্রবাসী সিরিয়ান
‘‘সিরিয়ার সরকার, আইসিস সবাই সন্ত্রাস করে৷ এদেরকে আলাদা করে দেখার কিছু নাই৷ সিরিয়ার মুসলমানদেরকে কেউ এই দিকে ঠেলে দেয়, কেউ ওই দিকে৷ আমরা এদের কাউকেই পছন্দ করি না৷ আমরা শান্তি চাই৷ আমরা অন্য ধর্মের মানুষকেও পছন্দ করি৷’’
ছবি: DW/S. Niloy
বিলাল, জার্মানি প্রবাসী সিরিয়ান
‘‘আমরা দেখাতে চাই, ধর্মের সাথে সন্ত্রাসের কোনো সম্পর্ক নেই৷ সন্ত্রাস মানে সন্ত্রাস, সেটা আইসিস করলেও সন্ত্রাস৷ সিরিয়ার সরকার করলেও সন্ত্রাস৷ সব সন্ত্রাসকে না বলতে হবে৷’’
ছবি: DW/S. Niloy
সামা, ফ্রাঙ্কফুট
‘‘আমরা একটা বার্তা দিতে চাই, আমরা জানাতে চাই যে, আমরা সন্ত্রাসী নই৷ আমরা শান্তি চাই৷ আমরা কোনোভাবেই শান্তি বিরোধী নই৷’’
ছবি: DW/S. Niloy
ইমান, ফ্রাঙ্কফুট
‘‘আমি একজন মুসলমান হিসেবে জার্মানির বর্তমান পরিবেশ মেনে নিতে পারি না৷ একটা সাধারণীকরণ রয়েছে, তুমি যদি মুসলিম হও, তাহলে অটোমেটিকালি তুমি একজন সন্ত্রাসীও৷ অনেকের মধ্যেই এটা আছে৷ এটার প্রতিবাদ করতেই আমি ফ্রাঙ্কফুট থেকে এখানে এসেছি৷’’
ছবি: DW/S. Niloy
11 ছবি1 | 11
রাজ্যভিত্তিক ছুটির দিন:
জার্মানিতে কয়েকটি রাজ্যেমুসলমানদের উৎসবের দিনগুলোতে ছুটি এরই মধ্যে প্রচলন হয়েছে৷ বার্লিন, হামবুর্গ এবং ব্রেমেনে মুসলিম শিক্ষার্থীরা মুসলমানদের ধর্মীয় উৎসব বা বিশেষ ধর্মীয় দিনগুলোতে ছুটি নিতে পারেন৷ আর যারা বিভিন্ন পেশায় কর্মরত আছেন তাদের সুযোগ রয়েছে, কাজ চলাকালীন মসজিদে গিয়ে নামাজ পড়ার৷ বিশেষ করে বার্লিনে রমজান এবং ঈদ উল-আজহায় মুসলমানদের এই অধিকার নিশ্চিত করা হয়েছে৷
জার্মানিতে ছুটির দিনগুলো এক এক রাজ্যে এক একদিন৷ বিশেষ কিছু ছুটি আছে যেগুলো কেবল কয়েকটি রাজ্যের জন্য প্রযোজ্য৷ পুরো দেশে ন'টি সরকারি ছুটির দিন রয়েছে৷ তবে কেবল ৩রা অক্টোবর পুনরেকত্রীকরণ দিবস রাষ্ট্রীয়ভাবে পালিত হয়৷
জার্মানির সবচেয়ে বড় মসজিদ
জার্মানির সবচেয়ে বড় মসজিদটির নির্মান কাজ শুরু হয় ২০০৯ সালে, কোলনে৷ ২০১৭ সালে এটির নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে৷ ইতোমধ্যে বেশ বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে এই মসজিদ নিয়ে৷
ছবি: picture-alliance/dpa/M. Becker
ইউরোপের অন্যতম বড় মসজিদ
কোলনের কেন্দ্রীয় মসজিদ হিসেবে পরিচিত এই মসজিদটি ইউরোপের অন্যতম বড় এবং জার্মানির সবচেয়ে বড় মসজিদ৷ এটির আয়তন ৪৫০০ বর্গমিটার৷ এতে একসঙ্গে দুই থেকে চার হাজার মুসল্লির নামাজ আদায়ের ব্যবস্থা রয়েছে৷ জার্মানিতে তুর্কি মুসলিমদের সংগঠন ডিটিব মসজিদটি নির্মাণ করেছে৷ নামাজের পাশাপাশি সেখানে বিভিন্ন ধর্মের মধ্যে সংলাপ, খেলাধুলা আয়োজনের ব্যবস্থা এবং দোকান ও লাইব্রেরি রয়েছে৷
ছবি: picture-alliance/dpa/O. Berg
ভিন্ন ডিজাইনের মসজিদ
‘নন-অটোমান’ ডিজাইন অনুসরন করে মসজিদটি তৈরি করা হয়েছে৷ এতে কংক্রিট এবং কাঁচের দেয়াল ও গম্বুজ রয়েছে৷ দু’টি মিনারতের উচ্চতা ৫৫ মিটার করে৷ আর মসজিদের ভেতরে দেয়ালে বিভিন্ন ক্যালিগ্রাফি রয়েছে৷
ছবি: Picture alliance/dpa/M. Becker
দীর্ঘদিনের স্বপ্ন
কোলনে বসবাসরত তুর্কিরা দীর্ঘদিন ধরেই এমন এক মসজিদের স্বপ্ন দেখছিলেন৷ তবে মসজিদটির নির্মাণ কাজ শুরুর পর নানা বিতর্ক সৃষ্টি হয়৷ এমনকি ২০১১ সালে বিপুল প্রতিবাদের মুখে এটির নির্মাণকাজ কিছুদিনের জন্য মন্থরও করা হয়৷ অভিবাসীবিরোধী চক্র এটি নির্মাণের বিরোধিতা করে৷ তবে পত্রিকার এক জরিপে দেখা যায়, শহরের ৬৩ শতাংশ বাসিন্দা এটি তৈরির পক্ষে৷
ছবি: picture-alliance/dpa
চোখে পড়ার মতো স্থাপনা
জার্মানিতে প্রায় পাঁচ মিলিয়নের মতো মুসলমান বাস করেন৷ তাঁদের একটি বড় অংশই তুর্কি বংশোদ্ভূত৷ কোলনে বসবাসরত সোয়া লাখ মুসলমানের জন্য সত্তরটির মতো মসজিদ রয়েছে৷ অধিকাংশ মসজিদই এমন জায়গায় তৈরি যা সচরাচর চোখে পড়েনা৷ তবে এই মসজিদটি ব্যতিক্রম৷
ছবি: Picture alliance/dpa/O. Berg
খরচ কম নয়
মসজিদটি তৈরিতে কমপক্ষে সতের মিলিয়ন ইউরো খরচ হয়েছে৷ তবে এখনও কিছু কাজ বাকি রয়েছে বলে জানা গেছে৷ এই অর্থের অধিকাংশই দিয়েছে ডিটিব৷ কিছু অর্থ সংগ্রহে সহযোগিতা করেছে একটি গির্জা৷
ছবি: picture alliance/dpa/Geisler
পল ব্যোম, স্থপতি
কোলন কেন্দ্রীয় মসজিদটির নকশা করেছেন পল ব্যোম৷ তিনি এবং তাঁর বাবা মূলত গির্জার ডিজাইন করার জন্য বিখ্যাত৷ তবে সমজিদটি তৈরির মাধ্যমে তিনি তাঁর দক্ষতাকে অন্যস্তরে নিয়ে গেছেন৷
ছবি: AP
প্রার্থনার এক স্বচ্ছ ঘর
‘উন্মুক্ত’ এবং ‘উজ্জ্বল’৷ মসজিদটির ডিজাইন সম্পর্কে এই দুটো শব্দই উচ্চারণ করেছেন ব্যোম৷ মসজিদটির মধ্যে প্রাকৃতিক আলো নিশ্চিত করতে দেয়ালে প্রচুর কাঁচ ব্যবহার করা হয়েছে৷ আর মসজিদটি অন্যান্য ধর্মাবলম্বীদের জন্যও উন্মুক্ত৷ যেকেউ সেখানে প্রবেশ করতে পারেন৷
ছবি: Lichtblick Film GmbH/Raphael Beinder
জার্মান স্টাইলে তৈরি মসজিদ
কোলনের মানুষ মসজিদটিকে স্থানীয় ভাষায় বলেন, ‘ক্যোলশ ম্যুশি’৷ আর মসজিদটির ডিজাইনেও জার্মান ছোঁয়া রয়েছে৷ প্রচলিত তুর্কি মসজিদগুলো যেরকম, এই মসজিদটি মোটেও সেরকম নয়৷
ছবি: picture alliance / dpa
কিছু শর্ত
কোলন কর্তৃপক্ষ মসজিদটি নির্মাণের অনুমতি দেয়ার পাশাপাশি কিছু শর্তও জুড়ে দিয়েছে৷ এগুলোর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে, সেখানে জার্মান ভাষা শিক্ষার আয়োজন থাকতে হবে৷ পাশাপাশি ইমামকে জার্মান ভাষায় দক্ষ হতে হবে৷ আর খুতবা দিতে হবে এমন ভাষায়, যা নামাজ পড়তে আসা মুসল্লিরা বুঝতে পারেন৷ মোটের উপর, প্রার্থনায় অংশ নিতে আসা পুরুষ এবং নারীদের সমান মর্যাদা দিতে হবে৷
ছবি: picture-alliance/dpa
9 ছবি1 | 9
ফলকার ভাগেনার/এপিবি
দেবারতি গুহ
এ বিষয়ে আপনার কোন মতামত থাকলে লিখুন নীচে মন্তব্যের ঘরে৷