জার্মানির বড় রাজনৈতিক দলগুলির যুব সংগঠনগুলি কম-বেশি সক্রিয়৷ বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে অবশ্য দলীয় রাজনীতি নিষিদ্ধ৷ জার্মানির তরুণ প্রজন্ম তাদের বিষয়গুলি নিয়ে নানা মঞ্চে সোচ্চার হবার সুযোগ পায়৷
বিজ্ঞাপন
দক্ষিণ এশিয়ায় বেশিরভাগ ক্ষেত্রে রাজনীতি মানেই দলীয় রাজনীতি৷ অর্থাৎ, কোনো রাজনৈতিক ভাবধারায় উদ্বুদ্ধ হয়ে সমমনা মানুষের সঙ্গে জোটবদ্ধ হয়ে কোনো লক্ষ্য পূরণ করার দৃষ্টান্ত খুবই বিরল ঘটনা৷ বরং প্রতিষ্ঠিত কোনো রাজনৈতিক দল বা তার যুব, ছাত্র, কৃষক, নারী বা অন্য কোনো সংগঠনের ছত্রছায়ায় থাকাটাই অনেক সহজ৷ সেক্ষেত্রে সর্বোচ্চ নেতৃত্বই সাধারণত উপর থেকে নির্দেশ দিয়ে থাকে৷ নীচের স্তর থেকে উপরে দলের গতি নির্ধারণের ঘটনার কথা কেউ শুনেছে কি?
জার্মানিতে শিক্ষার্থীরা যেভাবে বসবাস করেন
এর আগে কখনো প্রথম সেমিস্টারে এত ছাত্র দেখা যায়নি৷ ক্লাসে পড়াশোনার পাশাপাশি একটি থাকার জায়গাও তো চাই? থাকার জায়গা পাওয়া কিন্তু মোটেই সহজ ব্যাপার নয়৷ এই ছবিঘরের মধ্য দিয়ে জানা যাক কে কোথায় জায়গা পায়৷
ছবি: DW/V. Wüst
অনিশ্চয়তা
নতুন সেমিস্টার শুরু হয়েছে, কিন্তু হোস্টেলগুলোতে জায়গা নেই৷ এখন শিক্ষার্থীরা কি করবে? মাথা গোঁজার একটা ঠাঁই তো চাই! একটা ব্যবস্থা তো করতেই হবে! মিউনিখ এবং ফ্রাংকফুর্ট সবচেয়ে ব্যয়বহুল শহর৷ বাভারিয়া রাজ্য একটি ঘর ভাড়া গড়ে ৪৯৩ ইউরো আর ফ্রাংকফুর্টে ৪২১ ইউরো৷
ছবি: picture-alliance/dpa
মায়ের কাছে থাকা
শতকরা ২৭ জন শিক্ষার্থী পড়াশোনার সময় মায়ের কাছেই থাকে৷ এতে করে শুধু যে খরচ কম হয় তা নয়, মায়ের কাছে থাকার আরামই আলাদা৷ কাপড়চোপড় সবসময় ধোঁয়া থাকে আর ফ্রিজ থাকে ভর্তি, অর্থাৎ খাওয়া-দাওয়ার চিন্তা নেই৷ তাছাড়া সন্তান যত বড়ই হোক না কেন বাবা-মায়ের কাছে তারা সবসময়ই আদরের৷
ছবি: Fotolia/Jeanette Dietl
জরুরি অবস্থায় জিমে থাকা
প্রথম সেমিস্টারে প্রায় সমস্যা হয় বড় শহরগুলোতে, বিশেষ করে মিউনিখ, কোলোন বা ফ্রাংকফুর্টে৷ এত ভাড়া দিয়ে অনেকের পক্ষেই বাসা নেওয়া সম্ভব হয় না, তাই অনেক সময় ক্যাম্পাসের জিমে একটি ম্যাট্রেস পেতেই রাতে ঘুমোতে হয়৷
ছবি: picture-alliance/dpa
হোস্টেলে জায়গা পাওয়া ভাগ্যের ব্যাপার!
শতকরা মাত্র ১২ জন ছাত্র হোস্টেলে জায়গা পেয়ে থাকে৷ বেশিরভাগ সময় সেখানে দুই তিনজনকে একসাথে থাকতে হয়৷ কোলোনের একটি ছাত্রদের হোস্টেলের ভাড়া ২৩০ ইউরো৷
ছবি: picture-alliance/dpa
থাকার জন্য কন্টেনার
৮০’র দশক থেকেই অনেক ছাত্র কন্টেনার-এ থাকা শুরু করে৷ কন্টেনার ঘরগুলো খুবই ছোট ছোট৷
ছবি: Manfred Kovatsch
নিরাপত্তা প্রহরী হিসেবে থাকা
কোনো কোনো মালিক তাঁদের ফ্যাক্টরি, হাসপাতাল বা স্কুলের ঘরগুলো একেবারে খালি রাখতে চান না৷ তাই অনেক সময় ছাত্রদের নিরাপত্তা কর্মী হিসেবে সেখানে থাকতে দেন৷ তবে সেখানে কিছু নিয়ম-কানুন মেনে চলতে হয়৷ যেমন ধূমপান করা, কুকুর-বেড়াল পোষা বা কোনো ধরনের পার্টি করার অনুমতি থাকেনা সেখানে৷
ছবি: DW/L.Heller
বিদায় বাড়ি !
তবে সব শিক্ষার্থী কিন্তু বাবা-মায়ের সাথে থাকতে পারেনা কারণ বিশ্ববিদ্যালয় প্রায়ই থাকে বাড়ি থেকে অনেক দূরে৷ অর্থাৎ মায়ের হোটেল থেকে এবার বিদায়ের পালা!
ছবি: DW/V. Wüst
7 ছবি1 | 7
সম্প্রতি জার্মানিতে সরকার গঠনের প্রচেষ্টার সময় একটি বিষয় সবার নজর কেড়েছিল৷ সামাজিক গণতন্ত্রী এসপিডি দল গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে মহাজোট সরকারে যোগ দেওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে চেয়েছে৷ দলের বিশেষ করে যুব সংগঠন সেই প্রস্তাবের তুমুল বিরোধিতা করেছে৷ দলের শীর্ষ ও অন্যান্য নেতার সামনে দাঁড়িয়ে চাঁচাছোলা ভাষায় সমালোচনা করেছেন যুব সংগঠনের নেতা৷ এমন ঘটনা বাংলাদেশ বা ভারতে কল্পনাও করা যায় না৷ এই প্রেক্ষাপটে জার্মানিতে যুব সংগঠনগুলির ভূমিকা নিয়ে আগ্রহ দেখা দিয়েছে৷
জার্মানিতে বিশ্ববিদ্যালয় স্তরে ছাত্রদের সংগঠন বা কমিটি থাকলেও সেখানে দলীয় রাজনীতি নিষিদ্ধ৷ তবে সব বড় রাজনৈতিক দলেরই যুব সংগঠন রয়েছে৷ একদিকে তারুণ্যের হাওয়া, নতুন আইডিয়া নিয়ে আলোচনার মঞ্চ – অন্যদিকে ভবিষ্যৎ নেতা তৈরি করার আঁতুড়ঘর হিসেবেও কাজ করে থাকে এই সব সংগঠন৷ যেমন, প্রাক্তন চ্যান্সেলর গেয়ারহার্ড শ্র্যোডার এসপিডি যুব সংগঠনের সভাপতি ছিলেন৷ তারপর সংসদ সদস্য এবং শেষ পর্যন্ত চ্যান্সেলর হন৷ অনেকে আবার মনে করেন, একবার যুব সংগঠনে স্থান পেলে দলের শীর্ষ নেতৃত্বে পৌঁছাতে বরং সমস্যা হতে পারে৷ তবে সম্প্রতি এসপিডি দলের যুব সংগঠনকে যতটা খোলামেলাভাবে শীর্ষ নেতৃত্বকে চ্যালেঞ্জ করতে দেখা গেছে, সব দলে সব ক্ষেত্রে সে রকম পরিবেশ দেখা যায় না৷
দুর্লভ ছবিতে বাংলাদেশে ছাত্র আন্দোলনের ইতিহাস
বাংলাদেশে ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন, ১৯৬২ ও ৬৪ সালের শিক্ষা কমিশন রিপোর্টের বিরুদ্ধে আন্দোলন, ১৯৬৬ সালে ছয় দফার আন্দোলন, ’৬৯-এর গণঅভ্যুত্থান, ’৭০-এর নির্বাচন, ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে তৎকালীন ছাত্রসমাজের ভূমিকা অপরিসীম৷
ছবি: Journey/A. Hoque
ছাত্র রাজনীতির গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকা
এদেশের ভূখণ্ডের জন্মের সঙ্গে মিশে আছে ছাত্র রাজনীতির গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকা৷ ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন, ’৫৪-র যুক্তফ্রন্ট নির্বাচন, ’৬২-র শিক্ষা কমিশনের বিরুদ্ধে আন্দোলন, ’৬৬-র ঐতিহাসিক ৬ দফা ও ১১ দফা, ’৬৯-এর গণঅভ্যুত্থান, ’৭০-এর নির্বাচন, ’৭১-এর মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীনতা অর্জনসহ প্রতিটি ঐতিহাসিক বিজয়ের প্রেক্ষাপট তৈরি ও আন্দোলন সফল করায় তৎকালীন ছাত্রছাত্রীদের ভূমিকা অপরিসীম৷
ছবি: Journey/A. Hoque
তৎকালীন ছাত্রনেতারা
নূরে আলম সিদ্দিকী, আসম আবদুর রব, শাহজাহান সিরাজ, আবদুল কুদ্দুস মাখন থেকে শুরু করে তোফায়েল আহমেদ, মতিয়া চৌধুরী, রাশেদ খান মেনন এবং ওই সময়ের অন্যসব জাতীয় ও আঞ্চলিক পর্যায়ের ছাত্রনেতারা দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে জাতীয় স্বার্থ রক্ষার রাজনীতি করতেন৷
ছবি: Journey/A. Hoque
ভাষা আন্দোলন
১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনে যে ছাত্ররা সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছে পরবর্তীতে তারা প্রত্যেকেই এদেশের স্বাধীনতা আন্দোলনে একেকটি পিলার হিসেবে ভূমিকা রেখেছেন৷ ১৯৫২ সালে পূর্ববাংলায় বাম রাজনীতি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে গড়ে ওঠে ইস্ট পাকিস্তান স্টুডেন্টস ইউনিয়ন৷
ছবি: Journey/R. Hoque
বঙ্গবন্ধু পথপ্রদর্শক
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অসমাপ্ত আত্মজীবনী যে কোনো রাজনীতিবিদ ও ছাত্র সংগঠনগুলোর জন্য পথপ্রদর্শক৷ বঙ্গবন্ধু অল্প বয়স থেকে রাজনীতি ও অধিকার সচেতন ছিলেন এবং সক্রিয় রাজনীতিতে অংশগ্রহণ করেছিলেন তিনি৷
ছবি: Journey/M. Alam
ছয়দফা কর্মসূচি
১৯৬৬ সালে ছাত্র আন্দোলনের ইতিহাসের যুগান্তকারী ঘটনা৷ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছয়দফা কর্মসূচি এবং পরবর্তীকালে তাঁর বিরুদ্ধে আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা রুজু হলে ছয়দফা সমর্থন ও শেখ মুজিবের মুক্তির দাবিতে ছাত্রদের মধ্যে এক নজিরহীন ঐক্য গড়ে ওঠে৷
ছবি: Journey/A. Hoque
ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান
১৯৬৯ সালে সকল ছাত্রসংগঠন সর্বদলীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ গঠন করে এবং জাতীয় ও সমাজতান্ত্রিক ধারণাপুষ্ট ১১-দফা দাবিনামা উপস্থাপন করে৷ এর ফলে আইয়ুব খানকে আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা প্রত্যাহার ও শেখ মুজিবকে মুক্তিদানে বাধ্য হয়৷ মুক্তিলাভের পর শেখ মুজিবুর রহমান এক জনসমাবেশে ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ প্রদত্ত ‘বঙ্গবন্ধু’ উপাধি গ্রহণের মাধ্যমে ছাত্রদের এ প্রভাবকে স্বীকৃতি দেন৷
ছবি: Journey/R. Talukder
স্বাধীনতা সংগ্রামে ছাত্রদের ভূমিকা
১৯৭১ সালের ১ মার্চের পরে ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ বাঙালি জাতীয়তাবাদ ও বাংলাদেশ জাতিসত্তার ধারণাগুলো বাস্তবায়নের লক্ষ্যে অগ্রসর হয়৷ ১৯৭১ সালের ২ মার্চ তারা বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করে৷ পরদিন তারা পল্টন ময়দানে ‘আমার সোনার বাংলা’ জাতীয় সংগীত হিসেবে গৃহীত হয়৷ শেখ মুজিবের সাতই মার্চের ভাষণ ছিল ছাত্রদের আকাঙ্ক্ষারই বহিঃপ্রকাশ৷
ছবি: Journey/R. Talukder
ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ
১৯৭১ সালের পঁচিশ মার্চের মধ্যরাতে জনগণের উপর পাকবাহিনীর আক্রমণ ৩ মার্চ ছাত্রদের স্বাধীনতা ঘোষণার যৌক্তিকতা প্রমাণ করে৷ ২৬ মার্চের স্বাধীনতা ঘোষণা ছিল বস্তুত ৩ মার্চ সর্বদলীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের স্বাধীনতা ঘোষণারই স্বীকৃতি৷ উল্লেখ্য, মুজিবনগর সরকার যথার্থভাবেই ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের জাতীয়তাবাদী অভিধাগুলি, যেমন দেশের নাম, জয় বাংলা স্লোগান, জাতীয় পতাকা ইত্যাদিকে স্বীকৃতি দিয়েছিল৷
ছবি: Journey
মুক্তিযুদ্ধে ছাত্র সমাজ
একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে ঘটনাবলি বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, মুক্তিযুদ্ধে ছাত্রসমাজের ভূমিকা ছিল অহঙ্কার করার মতো৷ গোটা জাতিকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ করতে অসাধারণ ভূমিকা পালন করেছিলেন বিভিন্ন স্কুল কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা৷ মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে শিক্ষার্থীদের বড় অংশ সরাসরি মুক্তিযুদ্ধে যোগ দেয়৷
ছবি: Journey/M. Alam
স্বৈরাচার পতনের আন্দোলন
হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের শাসনের বিরুদ্ধে আন্দোলনে এবং ১৯৯১ সালে তাঁর পতন ঘটানোর ক্ষেত্রে পুনরায় ছাত্ররা ঐক্য ও শক্তির পরিচয় দিয়েছে৷ ১৯৯০ সালের ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে তৎকালীন ক্ষমতাসীন সেনাশাসক জেনারেল হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ সরকারের পতন হয়৷ শুরু হয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে অগ্রযাত্রা৷
ছবি: Journey/Y. Saad
২০০২ শামসুন্নাহার হল আন্দোলন
২০০২ সালের ২২ জুলাই রাত ১টায় অর্থাৎ ২৩শে জুলাই দিবাগত রাতে শামসুন্নাহার হলে ছাত্রীদের ওপর রাতের অন্ধকারে পুলিশের নির্মম নির্যাতনের ঘটনায় গড়ে ওঠা আন্দোলনে উপাচার্য অধ্যাপক আনোয়ারউল্লাহ চৌধুরী পদত্যাগ করতে বাধ্য হন৷ ২৩ শে জুলাই সকাল থেকে ছাত্রদল ব্যতীত ক্যাম্পাসের ক্রীয়াশীল সব ছাত্র সংগঠন এবং সাধারণ শিক্ষার্থীরা প্রতিবাদী হয়ে ওঠে৷ ১ লা আগস্ট পদত্যাগে বাধ্য হন ভিসি৷
ছবি: Journey/Z. Islam
২০০৭ সালে ছাত্র আন্দোলন
২০০৭ সালের ২০ আগস্ট ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের খেলার মাঠে ফুটবল খেলা দেখাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনায় চার শিক্ষক ও আট শিক্ষার্থীকে গ্রেফতার করা হয়৷ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে আটক হন আট শিক্ষক, এক কর্মকর্তা৷
ছবি: Journey/S.-M. Gorki
ছাত্র আন্দোলনের মুখে শিক্ষকদের মুক্তি
দু’দিন শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে অন্তত কয়েকশ জন আহত হয়৷ পরে ছাত্রদের আন্দোলনের মুখে দণ্ড পাওয়া রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের চার শিক্ষককে ডিসেম্বরে ছেড়ে দিতে বাধ্য হয় তৎকালীন সরকার৷ ২০০৮ সালের জানুয়ারিতে আটক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ও শিক্ষকদের ছেড়ে দেয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার৷
ছবি: Journey/S.-M. Gorki
13 ছবি1 | 13
সার্বিকভাবে জার্মানিতে দলীয় রাজনীতি সংকটের মুখে পড়েছে৷ আদর্শের ভিত্তিতে প্রধান দলগুলি গঠিত হলেও একবিংশ শতাব্দীতে তাদের সেই নির্দিষ্ট চরিত্র অনেকটা ফিকে হয়ে গেছে৷ ফলে কোন বিষয়ের ভিত্তিতে কোন দলকে সমর্থন করা উচিত, তা নিয়ে ভোটারদের মনে সংশয় বাড়ছে৷ দলগুলির সক্রিয় সদস্যদের সংখ্যাও কমে চলেছে৷ বর্তমান কর্মব্যস্ত জীবনযাত্রায় দলীয় রাজনীতিতে সক্রিয় ভূমিকা পালন করার সময়ও অনেকেরই আর নেই৷ যুব সংগঠনগুলিও একই সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে৷
জার্মানির যুব সমাজের মধ্যে রাজনৈতিক সচেতনতার মাত্রা অতীতের তুলনায় অনেক কমে গেছে বলেও সমালোচনা শোনা যায়৷ উচ্চশিক্ষা ও পেশাগত প্রশিক্ষণের বেড়ে চলা চাপও তার অন্যতম কারণ৷ অনেক গবেষকের মতে, দল বা আদর্শের বদলে নির্দিষ্ট কিছু বিষয় নিয়ে তরুণ-তরুণীরা অনেক বেশি আবেগপ্রবণ৷ ফলে তাঁদের প্রতিবাদ-বিক্ষোভ বা নাগরিক উদ্যোগে বেশি অংশ নিতে দেখা যায়৷ রাজনৈতিক দলের বদলে পরিবেশবাদী সংগঠন গ্রিনপিস অথবা বিশ্বায়ন-বিরোধী সংগঠন ‘অ্যাটাক'-এর ছত্রছায়ায় তাঁরা প্রায়ই বেশি স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন৷
আজকের এই ডিজিটাল যুগে রাজনৈতিক কার্যকলাপের মঞ্চও বদলে যাচ্ছে৷ ফেসবুক, টুইটার, বা হোয়াটসঅ্যাপে লাগামহীন আদানপ্রদানের সুযোগের পূর্ণ সুযোগ নেয় তরুণ প্রজন্ম৷ দলীয় কাঠামো ও রীতিনীতির বেড়া ভেঙে যুব সংগঠনের ‘ভার্চুয়াল মঞ্চ'-গুলি নির্ভেজাল আদানপ্রদানের পরিবেশ সৃষ্টি করেছে৷ এসপিডি দলের যুব সংগঠনের ফেসবুক পাতায় তার স্বাদ পাওয়া যায়৷
এসবি/ডিজি
আপনার কি কিছু বলার আছে? লিখুন নীচের মন্তব্যের ঘরে৷