1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

জার্মানিতে গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধিতে রাশ টানার উদ্যোগ

১১ অক্টোবর ২০২২

জার্মানির সরকার নিয়োজিত এক বিশেষজ্ঞ কমিশন গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির ধাক্কা কমাতে কিছু প্রস্তাব পেশ করেছে৷ ৯,৬০০ কোটি ইউরো ব্যয় করে সরকার সেই প্রস্তাব কার্যকর করার অঙ্গীকার করছে৷

Deutschland Berlin | Übergabe Bericht | Unabhängige Kommission für Erdgas und Wärme | Scholz, Habeck, Lindner
জার্মানির চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎস, অর্থনীতি এবং জলবায়ু বিষয়ক মন্ত্রী রবার্ট হাবেক এবং অর্থমন্ত্রী ক্রিস্টিয়ান লিন্ডনার (বাঁ থেকে ডানে)ছবি: Clemens Bilan/EPA-EFE

ইউক্রেন যুদ্ধের জের ধরে জার্মানি তথা ইউরোপে প্রাকৃতিক গ্যাসের মূল্য অস্বাভাবিক হারে বেড়ে চলেছে৷ শীতের মাসগুলিতে ঘর গরম রাখার প্রয়োজন বেড়ে চলায় সেই মূল্যবৃদ্ধি আরও গতি পাচ্ছে৷ তার উপর নিষেধাজ্ঞার আওতার বাইরে থাকা সত্ত্বেও রাশিয়া থেকে গ্যাস সরবরাহ কার্যত বন্ধ হয়ে গেছে৷ শীতকালে গ্যাসের চাহিদা মেটাতে জার্মানির মতো দেশ আগেভাগে গ্যাসের সঞ্চিত ভাণ্ডার প্রায় শতভাগ ভরে রেখেও মূল্যবৃদ্ধিতে রাশ টানতে পারছে না৷ ফলে জনসাধারণ ও শিল্পজগতের উপর চাপ কমাতে সরকারের উপর জরুরি পদক্ষেপ নেবার জন্য চাপ বাড়ছে৷

নীতিগতভাবে এমন সহায়তার রূপরেখা প্রস্তুত করলেও ঠিক কীভাবে সরাসরি সাধারণ মানুষ এবং ছোট ও মাঝারি মাপের শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলিকে গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির ধাক্কা থেকে কিছুটা হলেও রেহাই দেওয়া যায়, সে বিষয়ে ঐকমত্য অর্জন করা সহজ হচ্ছিল না৷ সোমবার সরকার নিয়োজিত বিশেষজ্ঞদের এক কমিশন সেই লক্ষ্য নির্দিষ্ট কিছু পরামর্শ তুলে ধরেছে৷ এর আওতায় ডিসেম্বর মাসের গ্যাসের বিল সরকার পুরোপুরি বহন করতে পারে এবং আগামী বছরের মার্চ মাস থেকে গ্যাসের চাহিদার ৮০ শতাংশের ক্ষেত্রে মূল্যের ঊর্দ্ধসীমা বেঁধে দেওয়া হতে পারে৷ বাকি ২০ শতাংশের মূল্য মুক্ত বাজারের উপর ছেড়ে দেবার পরামর্শ দিয়েছে কমিশন৷ জার্মানির সরকার ৯,৬০০ কোটি ইউরো ব্যয় করে বিশেষজ্ঞ কমিশনের প্রস্তাব দ্রুত কার্যকর করার অঙ্গীকার করেছে৷ উল্লেখ্য, চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎসের সরকার আগেই জ্বালানি সংকট সামলাতে ২০ হাজার কোটি ইউরোর তহবিল গড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে৷ সেই তহবিল থেকেই গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধিতে রাশ টানতে এই সব পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে ধরে নেওয়া হচ্ছে৷

বিশেষজ্ঞ কমিশনের অন্যতম সদস্য ও এক শ্রমিক সংগঠনের প্রধান মিশায়েল ভাসিলিয়াডিস এ প্রসঙ্গে বলেন, জার্মানিতে সঞ্চিত গ্যাসের ভাণ্ডার প্রায় ভর্তি থাকা সত্ত্বেও সরবরাহ নিয়ে দুশ্চিন্তা থেকে যাচ্ছে৷ তার মতে, কমিশন নির্দিষ্ট প্রস্তাবের মাধ্যমে সার্বিকভাবে মূল্যস্ফীতিতে রাশ টানার চেষ্টা করেছে৷

শুধু গ্যাসের গ্রাহক নয়, শিল্পজগতের উপরেও চাপ কমিয়ে জার্মান অর্থনীতির বর্তমান সংকট কমানো সরকারের অন্যতম লক্ষ্য৷ তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, শুধু মূল্যবৃদ্ধিতে রাশ টানলেই হবে না, জ্বালানির চাহিদাও এক পঞ্চমাংশ না কমাতে পারলে শীতের মাসগুলিতে সংকট এড়ানো সম্ভব হবে না৷

জ্বালানি ও মূল্যস্ফীতি সংকট সামলাতে জার্মানির সরকারের নানা উদ্যোগ সত্ত্বেও প্রতিবাদ-বিক্ষোভ অব্যাহত রয়েছে৷ বিশেষ করে দেশের পূর্বাংশে নিয়মিত এমন বিক্ষোভ দেখা যাচ্ছে৷ সোমবার উত্তর পূর্বের মেকলেনবুর্গ-ফোয়রপমার্ন রাজ্যের ১৫টি ছোটবড় শহরে প্রায় ৭,০০০ মানুষ পথে নেমেছিলেন বলে পুলিশ জানিয়েছে৷ কিছু বিক্ষোভকারী সংকট মেটাতে ইউক্রেনকে অস্ত্র সরবরাহ বন্ধ করে রাশিয়ার উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেবার দাবি জানিয়েছে৷

এসবি/কেএম (রয়টার্স/ডিপিএ)

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ