ওক গাছে বাস করা ঘাতক শুঁয়োপোকায় ছেয়ে গেছে জার্মানি৷ এদের লোমগুলো শরীরে .ব্যাশ ও শ্বাসকষ্টের কারণ হতে পারে৷ জলবায়ু পরিবর্তনে কারণেই এই উপদ্রব বলে ধারণা করা হচ্ছে৷
বিজ্ঞাপন
ওক গাছ থেকে শুঁয়োপোকাগুলো ছড়িয়ে পড়ার কারণে গেল কয়েক সপ্তাহে জার্মানি জুড়ে অনেকগুলো প্রি-স্কুল, সাঁতারের লেক ও পুল বন্ধ করে দেয়া হয়৷ রাইনিশে পোস্ট পত্রিকার প্রতিবেদন অনুযায়ী, কোলন শহরের ২৫০টি ওক গাছের সত্তর ভাগই এই শুঁয়োপোকাগুলোর উৎস৷
নর্থ রাইন-ওয়েস্টফালিয়ার অন্য শহরগুলো ও পশ্চিম ব্যাভারিয়াতেও তা ছড়িয়ে পড়েছে৷ এ সব অঞ্চলে গাছগুলোকে বেড়া দিয়ে রাখা হয়েছে৷ এছাড়া বন্ধ করে দেয়া হয়েছে পার্ক এবং স্কুলের মাঠগুলো৷
‘‘এত খারাপ অবস্থা কখনো হয়নি৷'' রাইনিশে পোস্টকে বলেন একটি ওলফগাঙ আউলেয়ার নামে পেস্ট কন্ট্রোল কোম্পানির এক কর্মী৷
হাঁপানি বা অ্যাজমা উপশমের কিছু উপায়
হাঁপানি বা অ্যাজমা বলতে সাধারণত শ্বাস-প্রশ্বাসের কষ্টকেই বোঝানো হয়৷ ছোট-বড় অনেকেই কষ্ট পায় এ রোগে৷ তবে আঁশযুক্ত খাবার শ্বাসনালীর এই সংক্রমণকে দূরে রেখে শ্বাসকষ্ট কমাতে সহায়তা করে৷ সেই খাবারগুলি কী? ছবিঘর থেকে জেনে নিন৷
ছবি: picture-alliance/dpa/B. Pedersen
হাঁপানি বা অ্যাজমা
পশুর উৎপাদিত কোনো কিছুতেই বলতে গেলে আঁশ নেই৷ বিশেষজ্ঞদের মতে একজন সাধারণ মানুষের জন্য দিনে কম পক্ষে ৩০ গ্রাম আঁশ প্রয়োজন৷ দানা বা বীজযুক্ত খাবার এবং বিভিন্ন ফল ও সবজিতে রয়েছে প্রচুর আঁশ৷
ছবি: picture-alliance/dpa
রুটি
রুটি কম-বেশি সব বাড়িতেই খাওয়া হয়৷ তবে আজকাল আটাকে মেশিনে ঘষে-মেজে দেখতে সুন্দর, সাদা করে তোলার ফলে আটার আসল গুণ বা আঁশ রয়ে যায় মেশিনেই৷ বলা বাহুল্য, দানাযুক্ত খাবারে বেশি আঁশ থাকে৷ তাই লাল আটা বা ভূষিসহ বাদামি আটার রুটি খেয়ে শ্বাসনালীর সংক্রমণকে দূরে রাখার পরমর্শ দেন হাঁপানি বিশেষজ্ঞরা৷
ছবি: Fotolia/Grecaud Paul
চাল
আতপ চালের চেয়ে সেদ্ধ চালে পুষ্টিগুণ বেশি৷ তাই লাল চাল বা সেদ্ধ চালের ভাত খাওয়াই ভালো৷ সেদ্ধ চালে ভিটামিন বি-১ এবং খনিজ পদার্থ কিছুটা বেশি থাকে৷ লাল আটা, লাল চালের ভাত অথবা রুটি গ্যাস্ট্রিক ও ডায়বেটিসকেও দূরে রাখতে সহায়তা করে৷
ছবি: MISEREOR/Achim Pohl
ফল ও সবজি
বিভিন্ন ফলে রয়েছে প্রচুর আঁশ৷ বিশেষ করে আপেল, এপ্রিকট, পাকা আম, কাঁঠাল, আমলকির মতো নানা ফলে যথেষ্ট আঁশ বা ফাইবার রয়েছে৷ এছাড়া গাজর, শিম, পটল, ঢ্যাঁড়স, বাঁধাকপি, টমেটো, মটরশুটি বা ব্রকোলি ইত্যাদিতে সবজিতেও রয়েছে যথেষ্ট পরিমাণ আঁশ৷
ছবি: Fotolia/DragonImages
দেশি খাবার
মুগ, ছোলা ও অন্যান্য ডালেও আঁশ আছে৷ অনেকের ধারণা যে, ফল বা ভালো খাবার বলতে শুধু বিদেশি ফল বা খাবার বোঝায়৷ এটা মোটেই ঠিক নয়৷ আমাদের দেশেই রয়েছে আঁশ ও ভিটামিনযুক্ত প্রচুর খাবার, যা দামের দিক থেকে সস্তা তো বটেই, তুলনামূলকভাবে টাটকাও৷
ছবি: CC/rachel in wonderland
শুকনো ফল ও বাদাম
অনেকের ধারণা শুকনো ফল মানেই ভালো নয় – এটা আসলে ঠিক নয়৷ সব সময় হয়ত সব ফল ঘরে থাকে না৷ তাই কম চিনি দেওয়া বা চিনি ছাড়া শুকনো ফল, কাঠ বাদাম বা অন্যান্য বাদাম ঘরে রেখে দেওয়া যায়, যা প্রয়োজন হলেই খাওয়া যেতে পারে৷ তাছাড়া বাজারে পাওয়া যায় সূর্যমুখী ফুলের বিচি, তরমুজের বিচি, কুমড়োর বিচির মতো নানা ফল ও সবজির বিচি, যা শরীরের জন্য খুবই উপকারী৷
ছবি: Fotolia/photocrew
বিশেষ পরামর্শ
অবশ্য যাঁরা আঁশযুক্ত খাবার আগে তেমন খাননি, নতুন করে খাওয়া শুরু করছেন, তাঁদের জন্য অ্যাজমা-বিশেষজ্ঞ ডা. বেনইয়ামিন মার্সলান্ড-এর দেওয়া টিপস: ‘‘প্রথমেই বেশি বেশি না খেয়ে আস্তে আস্তে শুরু করতে হবে৷ তা না হলে পেটে বায়ু হওয়া, পেটে ভরা ভরা ভাব বা পেট ব্যথাও হতে পারে৷ সবচেয়ে জরুরি, এ সব খাওয়ার পাশাপাশি প্রচুর পানি পান করা, যাতে তা হজম হয়৷ তবেই কাঙ্খিত ফল পাওয়া যাবে৷’’
ছবি: picture-alliance/dpa/B. Pedersen
7 ছবি1 | 7
এই লার্ভাগুলোর লোমের কাঁটায় থাউমেটোপোয়েইন নামক এক ধরনের প্রোটিন থাকে, যা চামড়ায় .ব্যাশ তৈরি করে৷ আক্রান্ত স্থান ফুলে যেতে পারে, এবং শ্বাসকষ্ট হওয়ার আশঙ্কা থাকে৷ যাদেরঅ্যালার্জিও অ্যাজমার সমস্যা আছে তাদের জন্য এর আক্রমণ খুবই বিপজ্জনক৷ এমনকি কোনো কোনো ক্ষেত্রে মৃত্যুও ডেকে আনতে পারে৷
‘‘বৃদ্ধ, শিশু ও যাদের অ্যালার্জি আছে, তাদের স্বাস্থ্য ঝুঁকি অনেক বেশি৷'' বলেন পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র পেটার শ্যুৎস৷
গত এপ্রিলের শেষে ব্রিটেনেও শুঁয়োপোকার উপদ্রব বেড়ে যায়৷ তখন ব্রিটিশ বন কমিশন একটি সতর্কতা জারি করে৷
শ্যুৎস বলেন, ‘‘ঠান্ডা পাহাড়ি এলাকার চাইতে তুলনামূলক উষ্ণ সমতলভূমি এলাকায় শুঁয়োপোকার উপদ্রব বেশি৷''
‘‘জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে এই লার্ভাগুলো লোয়ার ফ্রাংকোনিয়া অঞ্চল থেকে দক্ষিণ ব্যাভারিয়া অঞ্চলে ছড়িয়েছে৷'' বলেছেন ব্যাভারিয়ার বন বিভাগের প্রধান হুবার্ট মেসমেয়ার৷
ওক গাছে শুঁয়োপোকাদের বাসাগুলো মাটি থেকে ২০ থেকে ৩০ মিটার ওপরে থাকে৷ দূরবীনের সাহায্যে এ সব বাসাগুলো খুঁজে তাদের বিশেষ পদ্ধতিতে ধ্বংস করা হচ্ছে৷
শুধু ওক গাছেই এই শুঁয়োপোকাদের দেখা যায়৷ মে মাস নাগাদ এদের দেখা মেলে এবং জুলাই ও সেপ্টেম্বরের মধ্যে এরা মথে রূপান্তরিত হয়৷
জলবায়ু পরিবর্তন রোধে যে ৫টি দেশ সফলতা দেখাচ্ছে
মানবজাতির জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে জলবায়ু পরিবর্তন৷ এই অবস্থা চলতে থাকলে বন্যা, খরা এবং দাবদাহের মতো চরম আবহাওয়ার কবলে পড়বে পৃথিবী৷ এখানে এমন কয়েকটি দেশের কথা থাকছে, যারা জলবায়ু পরিবর্তন রোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে৷
ছবি: UNDP
একার পক্ষে সম্ভব নয়
বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তন কেবল কয়েকটি দেশের একার পক্ষে রোধ করা সম্ভব নয়৷ এর জন্য প্রয়োজন বিশ্বের প্রতিটি দেশের উদ্যোগ এবং সহযোগিতা৷ সবচেয়ে বড় সমস্যাটা হলো, প্রতি বছর মোট জ্বালানি ব্যবহারের ক্ষেত্রে আমরা এখনও কার্বনভিত্তিক উৎসের উপর ৮৫ ভাগ নির্ভরশীল৷
ছবি: Getty Images/Anadolu Agency/C. Ozedel
ডেনমার্ক
বিশ্বে সবচেয়ে জলবায়ুবান্ধব দেশ বলা হয় ডেনমার্ককে৷ দেশটি ২০৫০ সালের মধ্যে একাই জীবাশ্ম জ্বালানি ব্যবহারের লক্ষ্যমাত্রায় এগিয়ে চলেছে৷ জলবায়ু পরিবর্তন রোধের সবচেয়ে কার্যকর নীতি বলা হয় কার্বন নিঃসরণ কমানো এবং নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার৷ সেদিক দিয়ে পরিবেশ নিয়ে যাঁরা পড়ালেখা করছেন, তাঁরাও উচ্চশিক্ষার জন্য বেছে নেন এই দেশটিকে৷
ছবি: picture alliance/AP Photo
চীন
পরিবেশবান্ধব দেশ হওয়ার পথে চীনকে এখনও অনেকটা পথ পাড়ি দিতে হবে৷ তবে দেশটি নবায়নযোগ্য জ্বালানির ক্ষেত্রে যে পরিমাণ বিনিয়োগ করছে, তা চোখে পড়ার মতো৷ বিশ্বে সৌরশক্তি ব্যবহারের অন্যতম দেশ হিসেবে পরিচিত চীন৷ আন্তর্জাতিক শক্তি কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৬ সালে দেশটি ৩৪ গিগা ওয়াটেরও বেশি সৌরশক্তি ব্যবহার করেছে, যা যুক্তরাষ্ট্রের প্রায় দ্বিগুণ৷
ছবি: UNDP
ফ্রান্স
প্যারিস চুক্তি এবং জলবায়ু পরিবর্তন রোধে বিশ্বে অন্যতম ভূমিকা রাখছে ফ্রান্স৷ ২০৫০ সালের মধ্যে দেশটি কার্বন নিঃসরণ ৭৫ শতাংশ কমিয়ে ফেলার পরিকল্পনা নিয়ে এগোচ্ছে৷ পারমাণবিক শক্তি ব্যবহার করে দেশের ৮০ শতাংশ চাহিদা মেটাচ্ছে ফ্রান্স৷ এরই মধ্যে গ্রিন হাউজ গ্যাস নিঃসরণ কমিয়ে ফেলেছে৷ প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাক্রোঁ সম্প্রতি জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক গবেষকদের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন, যাতে তাঁরা ফ্রান্সে এসে কাজ করেন৷
ছবি: Reuters/B. Tessier
ভারত
বিশ্ব অর্থনীতির অন্যতম শক্তিধর দেশ ভারতে প্রচুর জ্বালানির চাহিদা রয়েছে৷ সেই চাহিদার কথা মাথায় রেখে ভারতের বর্তমান সরকার কেন্দ্রীয় পর্যায়ে নবায়নযোগ্য জ্বালানি ব্যবহারের নীতি ঠিক করেছে৷ দেশটি ক্রমেই সৌরশক্তি ব্যবহারের ক্ষেত্রে বিশ্ব বাজারে তৃতীয় শক্তিধর দেশ হিসেবে নিজেদের অবস্থান গড়ে তুলছে৷ ভারতে বর্তমানে কয়লার চেয়েও সৌরশক্তি সস্তা৷
ছবি: Getty Images for SATC/S. Barbour
সুইডেন
২০৪৫ সালের মধ্যে সব ধরনের গ্রিনহাউজ গ্যাস নিঃসরণ বন্ধ করার ব্যাপারে একটি আইন পাস করেছে সুইডেন সরকার৷ জলবায়ু মন্ত্রী বিশ্বের অন্যান্য দেশগুলোকে প্যারিস চুক্তি বাস্তবায়নের আহ্বান জানিয়েছেন৷ দেশটির অর্ধেকেরও বেশি জ্বালানি নবায়নযোগ্য উৎস থেকে আসে৷ জলবায়ু পরিবর্তন রোধে বেশ কিছু পদক্ষেপ নিচ্ছে দেশটি৷