1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

চাকরির বাজার

১ সেপ্টেম্বর ২০১২

জার্মানিতে দ্বিতীয় প্রজন্মের অভিবাসীরা এই দেশেই শিকড় গাড়ছে৷ কিন্তু অভিবাসী পরিচয়ের কারণে চাকরির বাজারে তাদের কদর কম দেখা যায়৷ সেই পরিস্থিতি পরিবর্তনের জন্য নতুন উদ্যোগ নিয়েছে জার্মানির সরকার৷

ছবি: Kooperationsverbund Jugendsozialarbeit/Matthias Steffen

জার্মানিতে বিশ্ববিদ্যালয় যাওয়ার আগেই আউসবিল্ডুং বা কারিগরী প্রশিক্ষণে অংশ নেওয়ার ব্যবস্থা আছে৷ তাই প্রতি বছর বহু ছাত্রছাত্রী বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা না করে কারিগরী প্রশিক্ষণ নিয়ে চাকরির বাজারে প্রবেশ করে৷ তবে এই ক্ষেত্রে বৈষম্য লক্ষ্য করা যায়৷ অভিবাসী পরিবার থেকে আসা স্কুল ছাত্রছাত্রীরা এই বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কারিগরী প্রশিক্ষণে অংশ নেওয়ার সুযোগ কম পায়৷ আবার কোথাও শিক্ষানবিশ হিসেবে কাজ করার আবেদন করলেও তাতে সাড়া মেলে কম৷

জার্মানিতে গত কয়েক বছরে স্কুল ত্যাগী ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা কমে এসেছে৷ আবার এই সঙ্গে অভিবাসী পরিবারের শিক্ষার্থীদের সমস্যাও বাড়ছে৷ এই দুই পক্ষের ছাত্রছাত্রীরাই যাতে কোথাও শিক্ষানবিশের কাজ পায় সেজন্য জার্মান সরকার নতুন একটি প্রকল্প হাতে নিয়েছে যার নাম ‘পেশাগত প্রশিক্ষণে সহযোগিতা'৷ এর উদ্দেশ্য হচ্ছে বৈষম্য দূর করা এবং শিক্ষানবিশ হিসেবে কাজ করার সুযোগ তৈরি করা৷

জার্মানির পেশাগত প্রশিক্ষণ বিষয়ক ইন্সটিটিউটের অধীনে এই প্রকল্পের কাজ চলছে৷ অন্তত ১৭ টি জায়গায় এই প্রকল্প কাজ করছে৷ এর প্রধান জাবিনে স্টাইনার্ট বলেন, ‘‘আমরা চাই এই ডুয়াল প্রশিক্ষণে আরও বেশি তরুণ-তরুণীকে সম্পৃক্ত করতে, কারণ এই খাতে একটি ফাঁক রয়ে গেছে৷ প্রচুর আবেদনকারী রয়েছে যারা সরাসরি কোন কোম্পানিতে আবেদন করে না৷ আবার অন্যদিকে অনেক কোম্পানি রয়েছে যারা নতুন তরুণ শিক্ষানবিশ খুঁজে বেড়াচ্ছে৷''

ছবি: picture-alliance/dpa

এই প্রকল্পের আওতায় একজন শিক্ষার্থীকে একটি সুনির্দিষ্ট কাজের জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত করে দেয়া হয়৷ সংশ্লিষ্ট কোম্পানির শিক্ষানবিশদের কাছ থেকেও তারা জরুরি ধারণা লাভ করে৷ অভিবাসী পরিবারের শিক্ষার্থীদের নিয়ে জার্মানির অনেক প্রতিষ্ঠানেরই অনীহা দেখা যায়৷ সেটি দূর করার চেষ্টা করা হয় এই প্রকল্পে, জানালেন জাবিনে স্টাইনার্ট৷ তার ভাষায়, ‘‘ আমরা চেষ্টা করি উভয় পক্ষকে কাছাকাছি নিয়ে আসতে এবং তাদের একে অপরের ব্যাপারে যে বদ্ধমূল ধারণা রয়েছে তা দূর করতে৷ যাতে তারা সেখানে শিক্ষানবিশ হিসেবে কাজ করার সুযোগ পায় এবং পরে তারা সেখানে পুরোপুরি প্রশিক্ষণ নিতে পারে৷''

বর্তমানে ছোট ও মাঝারি মোট ১৫টি পেশার আগ্রহীদের নিয়ে জার্মান সরকারের পেশাগত প্রশিক্ষণে সহযোগিতা প্রকল্পটি চলছে৷ অংশগ্রহণকারীদের বয়স ১৭ থেকে ২৫৷ বেশিরভাগই এক কিংবা দুই বছর আগে স্কুল পাশ করেছে৷ তাদের একজন ১৮ বছর বয়সী বশির৷ তিনি বলেন, ‘‘এখানে আসার পর শুরু থেকেই একজনকে কতগুলো বিষয় শিখতে হয়, গণিত, জার্মান, ইংরেজি৷ এগুলো স্কুলেও শেখানো হয়৷ এগুলো আবার নতুন করে শিখতে আমার ভালোই লাগছে৷ কারণ দুই বছর আগে তো স্কুল ছেড়েছি৷''

আরব পরিবারের মেয়ে ফেহদাও এই প্রকল্পে অংশ নিচ্ছেন৷ গত বছর স্কুল থেকে দশম শ্রেণি পাশ করেছেন৷ তবে কোথাও প্রশিক্ষণের সুযোগ করে উঠতে পারেন নি৷ তিনি বলেন, ‘‘গত বছর থেকেই চেষ্টা করছি নার্সের একটি প্রশিক্ষণ নেওয়ার জন্য৷ প্রায় সব জায়গাতেই আবেদন করেছিলাম৷ সত্যি বলতে কি আমার মনে হয়েছিলো, যে আমার রেজাল্ট ভালো তাই হয়তো সুযোগ পাবো৷''

জার্মানির চাকরির বাজারে যে বৈষম্য রয়েছে সেটি নতুন প্রকল্প কতটুকু দূর করতে পারে সেটিই এখন দেখার বিষয়৷

প্রতিবেদন: জাবিনে রিপপ্যারগার/আরআই

সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ