1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

জার্মানিতে সর্বনিম্ন প্রবৃদ্ধি

১৫ জানুয়ারি ২০২০

জার্মানির একযুগের অথর্নৈতিক প্রবৃদ্ধির ধারায় বড় ধরনের পতন ঘটেছে ২০১৯ সালে৷ ব্রেক্সিট ও বিশ্ব বাণিজ্য নিয়ে চলমান দ্বন্দ্বকে এজন্য দায়ী করেছেন বিশেষজ্ঞরা৷ এমন অবস্থায় চাপ বাড়ছে ম্যার্কেল সরকারের উপর৷

Deutschland | Deutsche Börse
ছবি: picture-alliance/dpa

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে জার্মানির অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ধারাবাহিকভাবে কমছে৷ বড় ধরনের পতন হয়েছে বিদায়ী বছরে৷ ২০১৯ সালে জিডিপি প্রবৃদ্ধি নেমে এসেছে মাত্র দশমিক ছয়ভাগে৷ ২০১৮ সালে এই হার ছিল এক দশমিক পাঁচ ভাগ আর ২০১৭ সালে দুই দশমিক পাঁচ৷

সব মিলিয়ে ২০১৩ সালের পর জিডিপির সর্বনিম্ন প্রবৃদ্ধির রেকর্ড হয়েছে গত বছর৷ জার্মানির ফেডারেল স্ট্যাটিসটিকস অফিস এই হালনাগাদ পরিসংখ্যান প্রকাশ করেছে৷

তবে এই খারাপ খবরের মধ্যেও ইতিবাচক দিকটি হচ্ছে টানা ১০ বছরের মত প্রবৃদ্ধির ধারা বজায় রেখেছে ইউরোপের সবচেয়ে বড় অর্থনীতি৷ দুই জার্মানির একত্রীকরণের পরে এই প্রথম এত দীর্ঘ সময় ধারাবাহিকতা বজায় রাখা সম্ভব হয়েছে৷ 

অর্থনীতির ধীরগতির কারণ

প্রবৃদ্ধি কমার জন্য মূলত বিশ্ব বাণিজ্য পরিস্থিতিকে দায়ী করছেন বিশেষজ্ঞরা৷ যুক্তরাষ্ট্র আর চীনের মধ্যে চলমান বাণিজ্য দ্বন্দ্ব রপ্তানিনির্ভর জার্মান অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে৷ তার সঙ্গে যোগ হয়েছে ব্রেক্সিট ইস্যু৷ পাশাপাশি জার্মানির প্রধান রপ্তানি খাত গাড়ি শিল্পও ক্রান্তিকালের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে৷ বৈদ্যুতিক জ্বালানি নির্ভর প্রযুক্তিতে রূপান্তরের পথে রয়েছে তারা৷

স্বর্ণযুগ কি শেষ হতে চলেছে?

২০০৯ সাল থেকে প্রবৃদ্ধির ধারা বজায় রেখেছে জার্মানি৷ কিন্তু সাম্প্রতিক পরিসংখ্যান দেখে বিশ্লেষকেরা মনে করছেন ইউরোপের সবচেয়ে বড় অর্থনীতি তার সেরা সময়টা পার করে ফেলেছে৷

বেরেনবার্গ ব্যাংকের হোলগার স্মিডিং এএফপিকে বলেন, ‘‘জার্মানি প্রবৃদ্ধির যে স্বর্ণযুগ দেখেছে ধীরে ধীরে তার প্রান্তে এসে পৌছেছে৷'' তবে আশার বিষয় হল, ২০১৯ সালেও জার্মানির জিডিপিতে এক দশমিক পাঁচ ভাগ উদ্বৃত্ত ছিল৷ যা বিনিয়োগ করে অর্থনীতির গতি ফেরানো সম্ভব বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা৷ ‘‘এই উদ্বৃত্ত ডিজিটালাইজেশন, অবকাঠামো আর শিক্ষার মত কিছু প্রতিষ্ঠিত খাতে বিনিয়োগ করা উচিত,'' বলেন আইএনজি ব্যাংকের অর্থনীতিবিদ কার্স্টেন জেস্কি৷

চাপ বাড়ছে ম্যার্কেলের উপর

অর্থনীতির এই পরিস্থিতিতে চাপ বাড়ছে ম্যার্কেল সরকারের উপর৷ এর ফলে জোট সদস্য সোশ্যাল ডেমোক্রেটদের (এসপিডি) সাথে আঙ্গেলা ম্যার্কেলের ক্রিশ্চিয়ান ডেমোক্রেটিক ইউনিয়নের (সিডিইউ) বিরোধ বাড়তে পারে৷

এসপিডি সামাজিক খাতে ব্যয় ও বিনিয়োগ বৃদ্ধির জন্য চাপ দিয়ে আসছে৷ বর্তমান পরিস্থিতিতে কিছু নীতিগত পরিবর্তনের আভাসও মিলছে৷ মঙ্গলবার রেল নেটওয়ার্কের উন্নয়নে ছয় হাজার ২০০ কোটি ইউরো বিনিয়োগের একটি ঘোষণা এসেছে সরকারের কাছ থেকে৷

তবে সামনের দিনে জার্মানির অর্থনীতি কেমন যাবে তা নিয়ে বিশেষজ্ঞদের মধ্য সংশয় রয়েছে৷ কেন্দ্রীয় ব্যাংক বুন্ডেসবাঙ্কের পূর্বাভাস বলছে, ২০২০ সালে প্রবৃদ্ধি গত বছরের পর্যায়ে থাকবে৷ আবার অনেক বিশ্লেষকের ধারণা তা কিছুটা বেড়ে এক ভাগ হবে৷ কেননা ২০১৯ সালের চেয়ে চলতি বছর বেশি কর্মদিবস পাওয়া যাবে৷   

এফএস/কেএম (এএফপি, ডিপিএ, রয়টার্স)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ