1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

কারো স্বস্তি, কারো শঙ্কা

মার্টিন কচ/এসিবি১৯ জানুয়ারি ২০১৩

জন্মহার বাড়ছে না, কিন্তু বেড়ে চলেছে জনসংখ্যা৷ হ্যাঁ, জার্মানিতে এমনটিই ঘটছে৷ আর তাতে এখন কোনো সমস্যা না হলেও, হতেই বা কতক্ষণ! স্পেনের অবস্থা দেখলে দুশ্চিন্তা দূরে রাখাও যে ‘অসম্ভব’৷

ছবি: picture-alliance/dpa

কয়েক বছর আগে স্পেন যেমন ছিল জার্মানি এখন তার চেয়েও ভালো অবস্থায়৷ স্পেন থেকে প্রচুর মানুষ আসছে জার্মানিতে, আসছে কাজের সন্ধানে৷ কাজ তো আছেই জার্মানিতে৷ বিশেষ করে প্রকৌশলী, চিকিৎসক, সেবিকার মতো বিশেষায়িত পেশার লোকদের জন্য তো উদাত্ত আহ্বান জানিয়েই রেখেছে আঙ্গেলা ম্যার্কেলের দেশ৷ এ দেশে আসুন, জার্মান জানা থাকলে ভালো, না জানা থাকলে শিখুন, তারপর কাজে নেমে পড়ুন৷ এমন সুযোগ যাঁরা নিতে চান, তাঁরা আসছেন দলে দলে৷ গত কয়েক বছরে গ্রিস, স্পেন, বুলগেরিয়ার মতো ইউরোপীয় ইউনিয়নের কিছু দেশ থেকে তো অভিবাসী হতে আগ্রহী দক্ষ কর্মীর সংখ্যা বাড়ছে হু হু করে! ২০১২ সালে তিন লক্ষ মানুষ এসেছে জার্মানিতে, তাঁদের বেশিরভাগই ইউরোপীয় ইউনিয়নের দক্ষিণ এবং পূর্বাঞ্চলের দেশগুলোর অধিবাসী৷

এভাবে দক্ষ কর্মীরা এলে আপাতত দু'পক্ষেরই লাভ৷ জার্মানি পাচ্ছে দক্ষ কর্মীদের সেবা আর যে সব দেশ অর্থনৈতিক মন্দার ধকল সামলাতে না পেরে নাজেহাল, তারা বাঁচছে বেকার আরো বাড়ার শঙ্কা থেকে৷ তাই আপাতত কোনো তরফেই কোনো উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা নেই৷

২০১২ সালে তিন লক্ষ মানুষ এসেছে জার্মানিতে, তাঁদের বেশিরভাগই ইউরোপীয় ইউনিয়নের দক্ষিণ এবং পূর্বাঞ্চলের দেশগুলোর অধিবাসীছবি: picture-alliance/dpa

বরং জার্মানিতে কেউ কেউ ভাবছেন অভিবাসীদের উপযু্ক্ত মর্যাদা দেয়া হচ্ছে কিনা – এ বিষয়টি নিয়ে৷ দৈনন্দিন জীবনে খুব চোখে পড়ার মতো মর্যাদাহানিকর ঘটনা অভিবাসীদের বেলাতেও জার্মানিতে ঘটে না বললেই চলে৷ কিন্তু কিছু যে ঘটে, তা নিয়ে খোদ জার্মানদেরই কেউ কেউ চিন্তিত৷ অফিস-আদালতে কোনো কাজে গেলে ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হয় অভিবাসিদের – এ বিষয়টি বেশ পীড়া দেয় জনসংখ্যা ও উন্নয়ন বিভাগের স্টেফান কনহার্টকে৷ তিনি মনে করেন, জার্মানরা যে অভিবাসীদের খোলা মনে মেনে নিচ্ছে না – এ সত্যই বেরিয়ে আসছে এমন আচরণ থেকে৷ অতীতে জার্মানরা যে বাইরের দুনিয়া থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছিল সে কথা মনে করিয়ে দিয়ে তিনি বলেন, ‘‘জার্মানদের উচিত এ মানসিকতায় পরিবর্তন আনা৷''

অভিবাসীদের ব্যাপারে জার্মান সরকারের দৃষ্টভঙ্গিরও পরিবর্তন চান অনেকে৷ কনহার্ট তাঁদের সঙ্গে একমত৷ বিশেষ করে শুধু প্রকৌশলী, চিকিৎসক বা সেবিকার মতো পেশাজীবীদেরই আসতে দেয়া আর বাকি সবার ব্যাপারে জার্মান সরকারের অনাগ্রহকে তাঁর কাছেও অযৌক্তিক মনে হয়৷ তিনি মনে করেন, স্বাস্থ্যসেবা খাতের অন্য পদগুলোতেও অভিবাসীদের কাজ করার সুযোগ দেয়া উচিত৷

অবশ্য এভাবে ঢালাওভাবে বিদেশিদের কাজ করতে দিলে নতুন সমস্যা দেখা দেয়ার আশঙ্কাও আছে৷ আশঙ্কাটা একেবারে অমূলক হলে তো এখন আর কাজের আশায় স্পেন থেকে শত শত মানুষ জার্মানিতে পাড়ি জমাতো না৷ কয়েক বছর আগে স্পেনকেও উন্নত জীবনযাপনের আদর্শ ঠিকানা ভাবতেন অনেকে৷ হাজার হাজার অভিবাসীকে তখন কাজের সুযোগ করে দিয়েছে স্পেন সরকার৷ তাঁদের কাজ হয়েছে৷ তাঁদের অনেকেই পেয়েছেন বেকারত্বের অভিশাপ থেকে মুক্তি৷ কিন্তু স্পেনের তরুণদের মধ্যে বেকারত্ব বেড়েছে দিন দিন৷ এখন সেখানকার অবস্থা এতটাই সঙ্গিন যে সেই স্পেনের মানুষদেরই কাজের সন্ধানে এবার আসতে হচ্ছে জার্মানিতে৷ জার্মানিতে অবশ্য খুব তাড়াতাড়ি এমন ভয়াবহ পরিস্থিতি সৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা নেই৷ যদি হয়ও, জার্মানদের আগে ঝড়টা হয়তে যাবে অভিবাসীদের ওপর দিয়েই৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ