1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

জার্মানিতে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব

১১ আগস্ট ২০১১

গ্রীষ্মকালে জার্মানিতে বর্ষা, ভীষণ ঠাণ্ডা, সবাইকে সোয়েটার এবং জ্যাকেট পরে বাড়ি থেকে বের হতে হচ্ছে৷ বিশ্বব্যাপী আবহাওয়া ও তাপমাত্রা পরিবর্তনের লক্ষণ কী এটাই? বিশেষজ্ঞরা চিন্তিত৷

People drive vehicles through a flooded road in Seoul, South Korea, Wednesday, July 27, 2011. Heavy rain sent a landslide barreling into a resort in Chuncheon, a northern South Korean town Wednesday. (AP Photo/Lim Hun-jung) KOREA OUT
ফাইল ছবিছবি: AP

গত বছর কোপেনহেগেনে আবহাওয়া ও পরিবেশ নিয়ে আলোচনা মুখ থুবড়ে পড়েছে৷ তাহলে কী এবছর কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে? জার্মান আবহাওয়া দপ্তর জলবায়ু ও পরিবেশের ওপর তীব্র নজর রাখছে৷ সেখানকার কর্মীরা পরিবর্তনগুলো তাঁরা নিঁখুতভাবে নথিপত্রে রাখছেন৷ সেই সঙ্গে কারণগুলোও খুঁজে বের করার চেষ্টা করছেন তাঁরা৷

গত এপ্রিল মাসে জার্মান আবহাওয়া দপ্তরের আবহাওয়া বিশ্লেষক গেরহার্ড মুলার ভেস্টারমায়ার জানান, ‘‘এপ্রিল মাসে গরম পড়েছে খুব বেশি, খটখটে রোদ এবং আবহাওয়া ছিল অত্যন্ত শুষ্ক৷ গত পাঁচ বছরে এরকম এপ্রিল আমরা মাত্র দু'বার পেয়েছি৷ ২০০৭ এবং ২০০৯ সালে৷ আর তৃতীয়বার এলো ২০১১ সালে৷ সবচেয়ে কম গরম যেদিন ছিল, সেদিনও ১১ ডিগ্রী তাপমাত্রা লক্ষ্য করা গেছে৷ অথচ সাধারণত তা ৭-এর বেশি হয় না৷ ২০০১ সালের এপ্রিলে সবচেয়ে বেশি গরম পড়েছে৷ ১৮৮১ সালের পর এতো গরম এপ্রিল জার্মানি পায়নি৷

ফাইল ছবিছবি: picture alliance/dpa

তাপমাত্রার পাশাপাশি, নিম্নচাপ এবং হঠাৎ করেই প্রচণ্ড রোদ – এসবই পরিষ্কার বুঝিয়ে দিয়েছে ২০১০ সালের গ্রীষ্মকালে আবহাওয়ার কতটা হেরফের হয়েছে৷ ভেস্টারমায়ার'এর কথায়, ‘‘জার্মানির পূর্বাঞ্চলে বন্যা দেখা দিয়েছে কয়েকবার৷ কোনো কোনো জায়গায় তিনবার বন্যা হয়েছে৷ বৃষ্টিপাত হয়েছে তূলনামূলকভাবে অনেক বেশি৷ ব্রান্ডেনবুর্গ এবং স্যাক্সনিরাজ্যে আবহাওয়া ছিল চূড়ান্ত পর্যায়ে৷ সেটা বৃষ্টি, রোদ বা বন্যা যেটাই হোক না কেন৷ সেখানে মানুষ ধরেই নিয়েছে যে সারাক্ষণই নিম্নচাপ থাকবে৷''

আবহাওয়া দপ্তর সবসময়ই সেই দিন এবং তার পরের দিনের আবহাওয়া কেমন হবে তা নিয়ে কথা বলে, লেখালেখি করে৷ এবং সবসময়ই দেখা গেছে যে, একটি শহর নিয়েই তারা ব্যস্ত৷ যেন যে মানুষ যে শহরে থাকে, তার কাছে সেই শহরের আবহাওয়ার খবর জানাটাই জরুরি৷ অথচ বিষয়টি সেরকম নয়৷ এসব দপ্তরে যাঁরা কাজ করছেন, তাঁরা অনেকেই আবহাওয়া নিয়ে গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছেন৷ পরিবেশকে রক্ষা করার বিভিন্ন কথাও তাঁরা বিভিন্ন সময় বলেছেন৷

জার্মান আবহাওয়া দপ্তরের প্রেসিডেন্ট গেরহার্ড আড্রিয়ান জানান, ‘‘২০১০ সাল ছিল পরিবেশকে ধ্বংস করার জন্য মোক্ষম একটি বছর৷ প্রথম ছয় বছরেই আমরা ৩১ হাজার মিলিয়ন টন কার্বন-ডাই-অক্সাইড উৎপাদন করেছি৷ এটা আবহাওয়া এবং পরিবেশের জন্য খুবই দুঃখজনক একটি খবর৷''

প্রতিবেদন: মারিনা জোয়ারদার

সম্পাদনা: দেবারতি গুহ

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ