রবিবার দীর্ঘ আলাপ-আলোচনার পর অভিবাসন প্রসঙ্গে সিএসইউ-এর সঙ্গে আপোশ সম্ভব হওয়ার পর, সবুজ দল ও এফডিপি দলের সঙ্গে আলোচনা শুরু হতে চলেছে আগামী ১৮ই অক্টোবর৷
বিজ্ঞাপন
জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল আজ সোমবার এই তথ্য জানিয়েছেন৷ তিনি বলেন,সিডিইউ ও সিএসইউ‘‘(রবিবারের আলোচনার পর) এমন একটি যৌথ ফলাফলে আসতে পেরেছে, যা এফডিপি ও সবুজ দলের সঙ্গে প্রাথমিক আলাপ-আলোচনার উপযোগী ভিত্তি হতে পারবে, বলে আমার ধারণা৷'' বার্লিনে সিএসইউ নেতা হর্স্ট জেহোফার-এর সঙ্গে একটি যৌথ সাংবাদিক সম্মেলনে এসব মন্তব্য করেন ম্যার্কেল৷
টানাপোড়েন
সিডিইউ ও সিএসইউ দলের নেতৃবর্গ রবিবার বার্লিনে মিলিত হন প্রধানত অভিবাসনের ব্যাপারে দুই ইউনিয়ন দলের মধ্যে বোঝাপড়া সৃষ্টির উদ্দেশ্যে – কেননা সিএসইউ অভিবাসীদের সংখ্যা বছরে দু'লাখে সীমিত করার দাবি জানিয়ে আসছে৷ অপরদিকে ম্যার্কেল গোড়া থেকেই সিএসইউ নেতা হর্স্ট জেহোফার-এর এই পরিকল্পনার বিরোধী৷ ম্যার্কেলের মতে অভিবাসী, বস্তুত রাজনৈতিক আশ্রয়প্রার্থীদের সংখ্যা বেঁধে দেওয়া অসাংবিধানিক কাজ হবে৷
সেপ্টেম্বরের নির্বাচনের পর সিডিইউ-সিএসইউ দলকে এখন জোট সরকার গঠন করতে হবে৷ এখনকার জোট সহযোগী এসপিডি দল এবার বিরোধীপক্ষে যাবার সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর ম্যার্কেলকে এখন মুক্ত গণতন্ত্রী এফডিপি ও সবুজদের সঙ্গে জোট সরকার গঠনের কথা ভাবতে হচ্ছে৷ এফডিপি ও সবুজদের সঙ্গে আলোচনাতেও অভিবাসন একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রসঙ্গ হয়ে দাঁড়াবে; কিন্তু তার আগে সিডিইউ-সিএসইউ-এর মধ্যে বিষয়টি নিয়ে মতপার্থক্য, এমনকি মতবিভাজন দূর করা প্রয়োজন ছিল৷
অভিবাসনকে ইস্যু করেই উগ্র দক্ষিণপন্থি এএফডি দল পালে হাওয়া ও হালে পানি পেয়েছে এবং ফেডারাল পর্যায়ে প্রথমবার ভোটে নেমেই সংসদে তৃতীয় বৃহত্তম গোষ্ঠী হয়ে দাঁড়িয়েছে৷ এক্ষেত্রে এএফডি যেমন সিডিইউ-সিএসইউ, তেমনই বামঘেঁষা দলগুলির কাছ থেকে ভোটার ভাঙাতে সক্ষম হয়েছে৷
নতুন অভিবাসন আইন?
প্রায় দশ ঘণ্টার ম্যারাথন আলাপ-আলোচনার পর দৃশ্যত সিডিইউ ও সিএসইউ দল অভিবাসন ও উদ্বাস্তু নীতির ব্যাপারে নীতিগতভাবে একমত হতে পেরেছে৷ এখন থেকে প্রতিবছর দুই লক্ষ অভিবাসী নেয়া হবে বলে ঐকমত্যে পৌঁছেছে দল দুটি৷
ডয়চে ভেলের রুপ্যার্ট ভিডারভাল্ড-এর মতে এই আপোশের কারণে এমন একটি নতুন অভিবাসন আইনের সূচনা হতে পারে, যা সবুজ ও মুক্ত গণতন্ত্রীদেরও সমর্থন পাবে৷
সিডিইউ-সিএসইউ দল ইউরোপীয় ইউনিয়নের বহির্সীমান্ত সুরক্ষিত করা, রাজনৈতিক আশ্রয়প্রাপ্তির অযোগ্য অভিবাসীদের স্বদেশে প্রত্যাবর্তন করানো ও অভিবাসীদের যাতায়াতের পথে অবস্থিত দেশগুলির সঙ্গে সহযোগিতার ব্যাপারে একাধিক প্রস্তাব দেবে, বলে মনে করা হচ্ছে৷ বিশেষ দক্ষতা বা প্রশিক্ষণ সম্পন্ন অভিবাসীদের জন্য একটি নতুন আইনও প্রত্যাশা করা হচ্ছে৷
সবুজ দলের যুগ্ম নেতা চেম ওয়েজদেমির সোমবার বলেন, সিডিইউ ও সিএসইউ অভিবাসন প্রসঙ্গে যে আপোশে এসেছে, তার ফলে জোট সরকার গঠন সংক্রান্ত আলাপ-আলোচনা আরো জটিল হতে পারে৷ ‘‘এটা এখন সিডিইউ-সিএসইউ (দলের) অবস্থান, কিন্তু তা ভবিষ্যৎ সরকারের অবস্থান নয়,'' সরকারি জেডডিএফ টেলিভিশন সংস্থাকে বলেন ওয়েজদেমির৷ রক্ষণশীলরা যে ঠিক কি চায়, তা তাঁর কাছে এখনও স্পষ্ট নয়, বলে তিনি মন্তব্য করেন৷
বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাধর নারীর ব্যক্তিগত জীবন
তিনি সুপার মার্কেটে বাজার করেন, নাপিতের দোকানে অন্যদের পাশে বসে অপেক্ষা করেন, এমনকি সরকারি ভবন নয়, নিজের বাড়িতে থাকাই তাঁর পছন্দ৷ তিনি আর কেউ নন, বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাধর নারী জার্মান চ্যান্সেলার আঙ্গেলা ম্যার্কেল৷
ছবি: Reuters/H. Hanschke
ম্যার্কেলের নাপিত উডো ভালৎস
২০১৫ সালে ফোর্বস ম্যাগাজিনের বিবেচনায় বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাধর নারী আঙ্গেলা ম্যার্কেল৷ উডো ভালৎস (ছবিতে মাঝখানে) গত দশ বছর ধরে ম্যার্কেলের চুল কাটেন৷ তাঁর কথায়, ‘‘চ্যান্সেলার হওয়ার আগেও তিনি যেমন সেলুনে অন্যদের সাথে বসতেন, এখনও তাই করেন৷ তাঁকে কোনো বিশেষ ছাড় দেওয়া হয় না৷ অর্থাৎ তিনিও অন্যদের মতো ৬৫ ইউরো দেন৷ একদম আগের মতো আছেন তিনি৷’’
ছবি: picture-alliance/schroewig
নিজেদের বাড়িতেই থাকেন
বার্লিনের ‘মিউজিয়াম আইল্যান্ড’-এর একটি জাদুঘরের কাছে নিজস্ব, কিন্তু পুরানো একটা ফ্ল্যাটে থাকেন আঙ্গেলা ম্যার্কেল ও তাঁর স্বামী ইওয়াখিম সাউয়ার৷ শুধু নিরাপত্তার জন্য দু’জন পুলিশ বাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে থাকে৷ এছাড়া কিন্তু সব কিছু আগের মতো আছে৷ এই যেমন, ছুটি পেলে আজও কাছের উকারমার্ক নামের ছোট্ট শহরে চলে যান দু’জনে৷ সেখানেই তিনি বড় হয়েছেন!
ছবি: picture-alliance/dpa
নিজেই বাজার করেন
চ্যান্সেলার ম্যার্কেল সাধারণ সুপার মার্কেটেই বাজার করতে যান, বিশেষ করে যেগুলো একটু বেশি সময় খোলা থাকে৷ বাজার করা সম্পর্কে আঙ্গেলা ম্যার্কেল একবার এক দোকানিকে বলেছিলেন, ‘‘আমার এই অল্প অবসর সময়ে বাজার করার মতো সব কাজই করার চেষ্টা করি, যেমনটা আগে করতাম৷ অবশ্য যখন নিজে পারি না, তখন বাজারের লিস্ট তৈরি করে স্বামীর হাতে তুলে দেই৷’’
ছবি: picture-alliance/Markus C. Hurek
তিনিই ‘চ্যান্সেলার’
দোকানের একজন নারী কর্মী জানান, ‘‘চ্যান্সেলার ম্যার্কেল অন্যান্য ক্রেতার মতোই কিছু খুঁজে না পেলে কোথায় কী রাখা আছে, তা সাধারণ গৃহিনীদের মতোই জানতে চান৷ তাঁর নিরাপত্তার জন্য দেহরক্ষী সাথে না থাকলে কেউ হয়ত বুঝবেই না যে তিনিই আমাদের ‘অ্যাঞ্জি’৷’’ কর্মীটি আরো জানান, ‘‘শত ব্যস্ততার মধ্যেও কিন্তু চ্যান্সেলারের মুখে হাসিটুকু লেগে থাকে, যা ভীষণ ভালো লাগে৷’’
ছবি: Getty Images/AFP/J. Eisele
চ্যান্সেলারের পছন্দ ফ্রেঞ্চ চিজ
জার্মান চ্যান্সেলার আঙ্গেলা ম্যার্কেলের ভীষণ পছন্দ ফ্রেঞ্চ চিজ বা পনির, যা তিনি নিজেই কিনতে ভালোবাসেন৷ আর সে’কথাই গর্ব করে জানান ডিপার্টমেন্টাল স্টোরের একজন কর্মী৷
হাতে দামি ব্যাগ নেওয়ার চেয়ে ভালো খাওয়া-দাওয়া ম্যার্কেলের কাছে বেশি গুরত্বপূর্ণ৷ যখন তিনি রান্না করার সময় পান না, তখন স্বামী ইওয়াখিম সাউয়ারকে নিয়ে বার্লিনের ‘কাসামবালিস’ নামের একটি রেস্তোরাঁয় খেতে যান৷ দামি খাবারের চেয়ে অবশ্য ‘গ্রিক মিটবল’-এর মতো সাধারণ খাবারই বেশি পছন্দ বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাধর এই নারীর৷
ছবি: picture alliance/Markus C. Hurek
বিলাসিতা পছন্দ নয়
অন্যান্য রাজনীতিকদের মতো বিলাসিতা আঙ্গেলা ম্যার্কেলের তেমন পছন্দ নয়৷ বরং সাধারণ জীবনযাপনই তাঁর বেশি ভালো লাগে৷ তাই তিনি যতটা সম্ভব সেভাবেই চলার চেষ্টা করেন স্বামীকে নিয়ে৷
ছবি: picture-alliance/dpa/C. Fusco
চাই মুক্ত হাওয়া আর হাঁটা-চলা
আঙ্গেলা ম্যার্কেল সময় সুযোগ পেলে স্বামীকে সাথে নিয়ে হাঁটতে বের হন৷ শারীরিক এবং মানসিকভাবে ‘ফিট’ থাকতে মুক্ত বাতাসে হাঁটা-চলা যে ভীষণ জরুরি – সেটা তিনি যেন সকলে চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছেন৷ এই না হলে বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাধর নারী!
ছবি: picture-alliance/AP Photo/AP Photo/C. De Luca
8 ছবি1 | 8
তাড়া ও তাড়না
রবিবারের আলাপ-আলোচনার আগেই সিএসইউ দল ম্যার্কেলের কাছে যে দশ দফা দাবি পেশ করবে, তার ফিরিস্তি প্রকাশ করেছিল৷ দক্ষিণপন্থি পপুলিস্ট দল এএফডি-কে রোখার জন্য সিএসইউ-এর কৌশলের দু'টি উপাদান হল দেশপ্রেম ও ‘‘জার্মান মূল্যবোধ''-কে জাতীয় সংস্কৃতির মূল নির্দেশক করা৷ সেপ্টেম্বরের নির্বাচনে এএফডি ১২ শতাংশ ভোট পায়, যার ফলে ৫০ বছর পরে এই প্রথম আবার একটি উগ্র দক্ষিণপন্থি দল জার্মান সংসদে আসন গ্রহণ করতে চলেছে৷
নির্বাচনের পর পরিস্থিতি এই যে, তথাকথিত ‘জামাইকা জোট' গঠন করা সম্ভব না হলে, মধ্যকালীন নির্বাচন ছাড়া দৃশ্যত আর কোনো পন্থা থাকবে না৷ কিন্তু জামাইকা জোট গঠন সম্পর্কে আলাপ-আলোচনা শুরু করার আগে সিডিইউ-সিএসইউ দলের অন্তর্দ্বন্দ্ব ও অভ্যন্তরীণ কোঁদলের অবসান ঘটানো প্রয়োজন ছিল৷ এর পরেও থাকছে মুক্ত গণতন্ত্রী ও সবুজদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা, যা দৃশ্যত ১৮ই অক্টোবর শুরু হতে চলেছে৷ এ সবে মাসের পর মাস কেটে যেতে পারে, অথচ ইউরোপীয় অর্থনীতির ইঞ্জিন হল জার্মানি; কাজেই এদেশে সরকার গঠনে অনিশ্চয়তা গোটা ইউরোপে তার প্রভাব ফেলতে বাধ্য৷
যে কারণে ম্যার্কেলের সিডিইউ দলের রাজনীতিক ও চলতি সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী টোমাস ডেমেজিয়ের-কে শনিবার বলতে শোনা যায়, ‘‘আমাদের শীঘ্র একটি সরকার গঠন করতে হবে৷ এটা শুধু আমাদের নিজেদের ব্যাপার নয়৷''
এসি/জেডএইচ (এএফপি, রয়টার্স, ডিপিএ)
যেভাবে প্রতিদ্বন্দ্বীদের পরাস্ত করেন ম্যার্কেল
এমনকি ২০১৭ সালের নির্বাচনের আগেও তাঁর পথে বাধা হয়ে দাঁড়ানো রাজনীতিবিদদের নিষ্ক্রিয় বা পাশে সরিয়ে দিয়েছেন জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল৷ নিজের দল বা বিরোধী দলের অনেক নেতাকেই নানাভাবে ঠেকিয়েছেন তিনি৷
ছবি: picture-alliance/dpa/ANP/R. De Waal
‘কোল গার্ল’ যখন গুরুকে ছাড়লেন
দীর্ঘদিন চ্যান্সেলর পদে থাকে হেলমুট কোল ম্যার্কেলকে মন্ত্রিসভায় প্রথম সুযোগ দিয়েছেন এবং তাঁর উত্থানে সহায়তা করেছিলেন৷ কিন্তু ১৯৯৮ সালে চ্যান্সেলর পদ হারানোর পর ম্যার্কেল এবং সিডিইউ তাঁর বিপক্ষে চলে যায়৷ কোল কিছু সূত্র থেকে নগদ অর্থ সাহায্য নিয়েছিলেন৷ কিন্তু সে সব সূত্রের বিস্তারিত তিনি জানাননি যা দলের জন্য ক্ষতিকর বলে মন্তব্য করেছিলেন সেসময় সিডিইউ’র সাধারণ সম্পাদক আঙ্গেলা ম্যার্কেল৷
ছবি: picture-alliance/dpa/A. Altwein
গেয়ারহার্ড শ্র্যোডার – রাজনৈতিক ক্যারিয়ারের সমাপ্তি
২০০৫ সালের নির্বাচনে এসপিডি’র চ্যান্সেলর শ্র্যোডারকে পরাস্ত করেন ম্যার্কেল৷ তবে এই পরাজয়ে শ্র্যোডারের নিজের দাম্ভিকতাও কিছুটা ভূমিকা রেখেছিল৷ সেই নির্বাচনে খুব অল্প ব্যবধানে সিডিইউ’র কাছে হেরে যায় এসপিডি৷ যদিও নির্বাচনের আগে টিভি বিতর্কে তিনি দাবি করেছিলেন, যে জার্মানরা চায় তিনি ক্ষমতায় থাকুন৷ কিন্তু বাস্তবে তা হয়নি এবং তিনি রাজনীতি থেকে বিদায় নেন৷
ছবি: picture-alliance/dpa
ফ্রাঙ্ক-ভাল্টার স্টাইনমায়ার - দীর্ঘদিনের সঙ্গী
শুরুতে ম্যার্কেলের অধীনে চারবছর পররাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন ফ্রাঙ্ক-ভাল্টার স্টাইনমায়ার৷ এরপর ২০০৯ সালের জাতীয় নির্বাচনে তাঁকে চ্যালেঞ্জ করেন সামাজিক গণতন্ত্রীদের এই রাজনীতিবিদ৷ কিন্তু সেই নির্বাচনে সুবিধা করতে পারেনি স্টাইনমায়ারের দল৷ পরবর্তীতে ২০১৩ সালে আবারো ম্যার্কেলের অধীনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হন স্টাইনমায়ার৷ আর চলতি বছরের মার্চ মাস থেকে তিনি জার্মানির প্রেসিডেন্ট৷
ছবি: picture-alliance/dpa/S. Kembowski
গ্যুন্টার ও্যটিঙার - পথের কাঁটা দূর হলো
ম্যার্কেল যে শুধু তাঁর সম্ভাব্য প্রতিদ্বন্দ্বীদের রাজনীতি থেকে দূরে সরিয়ে দেন এমন নয়৷ বরং নিজের দলে থাকা সম্ভাব্য প্রতিদ্বন্দ্বীদের লোভনীয় অন্য কোন পদেও পাঠিয়ে দেন৷ তাঁর সহকর্মী বাডেন-ভ্যুর্টেমব্যার্গ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী গ্যুন্টার ও্যটিঙারকে ২০১০ সালে তিনি ইউরোপীয় কমিশনে বড় পদে পাঠিয়ে দেন৷ অথচ ও্যটিঙারের সেই পদ পাওয়ার মতো কোনো অভিজ্ঞতাই ছিল না৷
ছবি: picture-alliance/dpa/P. Seeger
রোনাল্ড কখ - বাতিলের তালিকায় ফেলে দেয়া
দুই কারণে রোনাল্ড কখ পরিচিত৷ প্রথমত, তিনি দলাই লামার বন্ধু৷ দ্বিতীয়ত, সরকারের দ্বৈত নাগরিকত্ব চালুর পরিকল্পনার বিরুদ্ধে কয়েক মিলিয়ন স্বাক্ষর সংগ্রহের জন্য৷ হেসে রাজ্যের এই রাজ্য প্রধান কখনো ম্যার্কেলের উত্থানে বাধা না হলেও হঠাৎ করেই মনে করেছিলেন তাঁকে বার্লিনে বড় পদের জন্য ডাকা হবে৷ কিন্তু ম্যার্কেলকে তাঁকে সেরকম কোন সুযোগ দেননি৷
ছবি: picture-alliance/dpa
ক্রিস্টিয়ান ভুল্ফ - একজন দুর্ভাগা রাষ্ট্রপতি
ক্রিস্টিয়ান ভুল্ফ প্রেসিডেন্ট হিসেবে ম্যার্কেলের প্রথম পছন্দ ছিলেন না৷ কিন্তু ২০১০ সালে হর্স্ট ক্যোলার পদত্যাগ করার পর সিডিইউ বর্তমান প্রতিরক্ষামন্ত্রী উরসুলা ফন ডেয়ার লাইয়েনের ব্যাপারে ঐকমত্যে পৌঁছাতে না পারায় ভুল্ফ সুযোগ পেয়ে যান৷ ভুল্ফ তখন লোয়ার স্যাক্সনি রাজ্যের রাজ্যপ্রধান৷ পরবর্তীতে অবশ্য দুর্নীতির দায়ে প্রেসিডেন্টের পদ ছাড়তে হয় তাঁকে৷
ছবি: picture-alliance/dpa
পেয়ার স্টাইনব্রুক – সঠিক মানুষ, ভুল সময়
২০১৩ সালে ম্যার্কেল যখন তাঁর ক্যারিয়ারের তুঙ্গে, তখন এসপিডি থেকে তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে বেছে নেয়া হয় পেয়ার স্টাইনব্রুক’কে৷ ম্যার্কেলের অধীনে একসময় অর্থমন্ত্রী থাকা এই রাজনীতিবিদের চ্যান্সেলর পদ পাওয়ার সব যোগ্যতাই ছিল৷ কিন্তু সময়টা ঠিক ছিল না৷ ম্যার্কেলের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সুবিধা করতে পারেননি তিনি৷