জার্মানির দক্ষিণাঞ্চলে ইন্টারসিটি এক্সপ্রেস ট্রেনে ছুরি হামলায় বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন৷ ঘটনার কারণ এখনও নিশ্চিত করতে পারেনি পুলিশ৷
বিজ্ঞাপন
শনিবার জার্মানির বাভারিয়া রাজ্যে চলন্ত ট্রেনে এই ঘটনা ঘটে৷ হামলার সময়ে ট্রেনটি রেগেন্সবুর্গ থেকে নুরেমব্যর্গ যাচ্ছিল৷ জার্মানির সংবাদ মাধ্যম বিল্ডের তথ্য অনুযায়ী, হামলায় তিনজন আহত হয়েছেন৷ দুইজনের পরিস্থিতি গুরুতর৷ তবে কারো অবস্থাই আশঙ্কাজনক নয়৷
পুলিশ হামলাকারীকে গ্রেপ্তার করেছে৷ তারা বলছে, এখন আর কোন ঝুঁকি নেই৷ ‘‘এই মুহূর্তে ঘটনায় জড়িত ব্যক্তির বিষয়ে আর কোন বাড়তি তথ্য নেই,’’ বিবৃতিতে জানিয়েছে পুলিশ৷ পুলিশের এক মুখপাত্র বিআর টুয়েন্টিফোর নামের একটি সম্প্রচার মাধ্যমকে বলেন, হামলার বিস্তারিত এখনও পরিস্কার নয়৷ সকাল নয়টা বিশ মিনিটে পুলিশ এই ঘটনায় ফোন কল পেয়েছিল৷
বিল্ড তাদের প্রতিবেদনে বলেছে, তদন্তকারীরা ঘটনার সঙ্গে কোন সন্ত্রাসী যোগসাজশ খুঁজে পায়নি৷ ট্রেনটিকে ন্যুরেমবার্গের দক্ষিণে জয়বার্সডর্ফে থামানো হয় বলে জানিয়েছে পুলিশ৷ ঐ দুই শহরের মধ্যে রেল যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ৷
এফএস, জেডএ (ডিপিএ, রয়টার্স)
গত বছরের ছবিঘর দেখুন...
জার্মানিতে পুলিশের ওপর হামলা
করোনাকালে জার্মানিতে যুবকদের তাণ্ডব এবং পুলিশের ওপর হামলার ঘটনা বাড়ছে। প্রথমে স্টুটগার্ট, তারপর ফ্রাঙ্কফুর্টে এই ধরনের ঘটনা ঘটেছে। দুই শহরেই পুলিশ আক্রান্ত হয়েছে। আক্রমণকারী যুবকরা মূলত অভিবাসী।
ছবি: picture-alliance/dpa/Julian Rettig
স্টুটগার্টের হাঙ্গামা
কয়েকশ যুবক গিয়ে দোকান ভাঙচুর করে। জিনিস লুঠ করে। রাস্তায় ফেলে। তারপর পুলিশের সঙ্গে তাদের সংঘর্ষ হয়। দোকানের ভাঙা কাচে ভরে যায় রাস্তা।
ছবি: picture-alliance/dpa/F. Rumpenhorst
ফ্রাঙ্কফুর্টেও সংঘর্ষ
ফ্রাঙ্কফুর্টের ছবিটাও আলাদা ছিল না। এখানে যুবকরা পুলিশকে লক্ষ্য করে বোতল ছোড়ে। আশপাশের লোকেরা যুবকদের থামানো দূরের কথা, বরং তাদের উৎসাহিত করছিলেন।
ছবি: picture-alliance/dpa/Hit Radio FFH
ফ্রান্সের সঙ্গে তুলনা
স্টুটগার্ট ও ফ্রাঙ্কফুর্টে যা হয়েছে তার সঙ্গে ফ্রান্সের তুলনা করা হচ্ছে। ফ্রান্সের শহরতলিতেও একই ঘটনা ঘটেছে। জার্মানির মতো সেখানেও অভিবাসী যুবকরা দাঙ্গা করেছেন, পুলিশকে আক্রমণ করেছেন। জর্জ ফ্লয়েডের হত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভ থেকে সহিংসতা হয়েছে।
ছবি: Getty Images/AFP/A. C. Poujoulat
করোনাকালে কেন
বিতর্কটা জার্মানিতে শুরু হয়ে গিয়েছে। করেনাকালের কড়াকড়ি, ঘরবন্দি থাকতে বাধ্য হওয়া, ভবিষ্যৎ নিয়ে অনিশ্চয়তা ও হতাশার বহিঃপ্রকাশ কি এই হামলা? কিছু বিশেষজ্ঞ বলছেন, করোনার সময়ে হতাশা আসা স্বাভাবিক। কিন্তু শুধু সে জন্যই এই হাঙ্গামা সেটা বলা অতি সরলীকরণ হবে। কারা হাঙ্গামা করছে, কেন করছে, সেটাও বুঝতে হবে।
ছবি: picture-alliance/dpa/Hit Radio FFH
কেন অভিবাসীরা
জার্মানি ও ফ্রান্সে হাঙ্গামা ও পুলিশকে আক্রমণের সঙ্গে জড়িত মূলত অভিবাসীরা। যে প্রশ্নটা উঠছে, তা হলো, এটা কি নিছক আইন-শৃঙ্খলার সমস্যা, না কি সমস্যাটা অভিবাসীদের? নানা কারণে কি তাঁদের মধ্যে সহিংসতার প্রবণতা বাড়ছে? বিশেষজ্ঞরা এ নিয়ে একমত নন।