1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

জার্মানিতে তৈরি হাইড্রোজেন-চালিত ট্রেনের বিপুল সম্ভাবনা

১৫ নভেম্বর ২০২২

শুধু ব্যাটারিচালিত গাড়িই যথেষ্ট মাত্রায় কার্বন নির্গমন কমাতে পারবে না, অন্যান্য যাত্রীবাহী যানকেও ‘কার্বন নিউট্রাল' করতে হবে৷ জার্মানিতে হাইড্রোজেন-চালিত ট্রেন সেই পথেই সঠিক পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে৷

জার্মানিতে চলছে হাইড্রোজেন-চালিত ট্রেন
জার্মানিতে চলছে হাইড্রোজেন-চালিত ট্রেনছবি: Karl Harenbrock

জার্মানির উত্তরের ছোট শহর ব্রেমারফ্যোর্ডের স্টেশনে লোকাল ট্রেন প্রবেশ করছে৷ যে সে ট্রেন নয়, হাইড্রোজেনের শক্তিকাজে লাগিয়ে সেটির ইঞ্জিন চলে৷ ছাদের উপর ফুয়েল সেল থেকে শক্তি চাকার মধ্যে ইলেকট্রিক ইঞ্জিনে চলে যায়৷ ডিজেল লোকোমোটিভের বিকল্প হিসেবে চালু করা পরিবেশবান্ধব এই ট্রেনের সব যাত্রী অবশ্য কোনো পার্থক্য টের পান না৷

তবে সমস্যা হলো, সেই হাইড্রোজেন কাছের এক রাসায়নিক কারখানা থেকে আসছে এবং জীবাশ্মভিত্তিক জ্বালানি কাজে লাগিয়ে সেটি উৎপাদন করা হয়েছে৷ অর্থাৎ সেই হাইড্রোজেন মোটেই সিওটু-নিউট্রাল নয়৷ কিন্তু অদূর ভবিষ্যতে নাকি এমনটা হবে না৷ প্রকল্পের প্রধান আলেক্সান্ডার স্যোর্নার সে বিষয়ে বলেন, ‘‘সেই লক্ষ্যে আমরা বর্তমানে ব্রেমারফ্যোর্ডের এক পেট্রোল পাম্পে এক ইলেকট্রোলিসিস প্লান্ট বসানোর পরিকল্পনা করছি৷ বায়ু অথবা সৌরশক্তি দিয়ে সেটি চালানো হবে৷ এভাবে আমরা স্থানীয় পর্যায়েই গ্রিন হাইড্রোজেন উৎপাদন করতে পারবো৷ তখন গোটা যানটি নির্গমন ছাড়াই চলতে পারবে৷''

ফ্রান্সের আল্সটোম কোম্পানির ইঞ্জিনিয়াররা জার্মানির লোয়ার স্যাক্সনি রাজ্যের কারখানায় ট্রেনটি তৈরি করেছেন৷ এমন হাইড্রোজেন-চালিত ট্রেন আন্তর্জাতিক সহযোগিতার ফসল৷ কামরাগুলি পোল্যান্ড থেকে এসেছে৷ ফুয়েল সেল ক্যানাডায় তৈরি হয়েছে৷ এটই বিশ্বের প্রথম কারখানায় তৈরি হাইড্রোজেন ট্রেন৷ আল্সটোম কোম্পানির আন্দ্রেয়াস ফ্রিক্সেন বলেন, ‘‘ইউরোপ অবশ্যই এ ক্ষেত্রে পথিকৃতের ভূমিকা নিচ্ছে, কারণ এখানে প্রযুক্তি সবচেয়ে বেশি অগ্রসর হয়েছে এবং সেরা পরিবেশ রয়েছে৷ তবে আমরা গোটা বিশ্বে চাহিদার আশা করছি৷''

জার্মানিতে তৈরি হাইড্রোট্রেন

03:18

This browser does not support the video element.

আল্সটোমের প্রতিযোগী হিসেবে সিমেন্স কোম্পানি জার্মান রেল কোম্পানির সঙ্গে সহযোগিতার মাধ্যমে ‘মিরেও প্লাস এইচ' নামের মডেল তৈরি করেছে৷ তবে আপাতত সেই ট্রেনের পরীক্ষামূলক যাত্রা চলছে৷

দুই বছর পর সিমেন্স কোম্পানির তৈরি লোকাল ট্রেন ট্র্যাকে নামার কথা৷ প্রকাশ্যে সেই ট্রেনের প্রথম যাত্রা বেশ সফল হয়েছিল৷ কিন্তু জার্মান রেলের ডিজেলমুক্ত হতে আরও অনেক সময় লাগবে৷ জার্মান রেল কোম্পানির কর্মকর্তা রিশার্ড লুৎস বলেন, ‘‘রেলের প্রায় ৩,০০০ ডিজেল ইঞ্জিনের বিরুদ্ধে আমরা সংগ্রাম ঘোষণা করেছি৷ জলবায়ুর স্বার্থে আমরা কমপক্ষে ২০৪০ সালের মধ্যে বাতিল করতে চাই৷ সে সময়ের মধ্যেই জার্মান রেল কোম্পানি পুরোপুরি ক্লাইমেট নিউট্রাল হতে চায়৷''

হাইড্রোজেন ট্রেন পুরোপুরি ডিজেল ইঞ্জিনের বিকল্প হয়ে উঠতে পারবে কিনা, তা যথেষ্ট পরিমাণ সস্তার ও পরিবেশবান্ধব হাইড্রোজেন উৎপাদনের উপর নির্ভর করছে৷

আপাতত হাইড্রোজেন ট্রেনকে বাস্তব পরিস্থিতিতে টিকে থাকতে হবে৷

কার্ল হারেনব্রক/এসবি

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

বাংলাদেশ