২০১৮ সালে জার্মানির রাস্তায় সাত লক্ষ ৪৫ হাজার যানজট সৃষ্টি হয়েছিল৷ ২০১৭ সালের তুলনায় তা তিন শতাংশ বেশি৷ জার্মানির অটোমোবাইল ক্লাব এডিএসি বৃহস্পতিবার এই তথ্য জানিয়েছে৷
বিজ্ঞাপন
এডিএসি বলছে, যানজটের জন্য যাত্রীদের অতিরিক্ত চার লক্ষ ৫৯ হাজার ঘণ্টা গাড়িতে বসে থাকতে হয়েছে৷
জার্মানির সবচেয়ে জনবহুল রাজ্য নর্থরাইন ওয়েস্টফালিয়াতে সবচেয়ে বেশি যানজট লেগেছিল৷ সংখ্যার হিসেবে জার্মানির মোট যানজটের প্রায় ৩৫ শতাংশই হয়েছিল এই রাজ্যে৷ এর পরে আছে বাভারিয়া (১৭ শতাংশ) ও বাডেন-ভ্যুর্টেমব্যার্গ (১১ শতাংশ)৷ উল্লেখ্য, বিএমডাব্লিউর সদরদপ্তর বাভারিয়ার মিউনিখ এবং মার্সিডিজ বেনৎসের সদরদপ্তর বাডেন-ভ্যুর্টেমব্যার্গের স্টুটগার্টে অবস্থিত৷
ভয়াবহ যানজটের আটটি শহর
৩৮টি দেশের ১ হাজার ৬৪টি শহরের অবস্থা পর্যালোচনা করে বিশ্বের সবচেয়ে ভয়াবহ যানজটের শহরের তালিকা করেছে ইনট্রিক্স৷ সেই তালিকায় অ্যামেরিকা আর ইউরোপের শহরই বেশি৷
ছবি: picture alliance/dpa/W.Lei
সবচেয়ে ভয়াবহ যানজটের শহর
ট্রাফিক বিশ্লেষণ করাই ইন্ট্রিক্সের কাজ৷ এবার সে কাজ করতে গিয়ে তারা দেখেছে, অফিস শুরু আর শেষের সময়টায় ট্রাফিক পরিস্থিতি সবচেয়ে খারাপ থাকে যুক্তরাষ্ট্রের লস এঞ্জেলেসে৷ পরিসংখ্যান বলছে, সেখানকার গাড়িচালকদের প্রতি বছর পিক আওয়ারে অন্তত ১০৪ ঘণ্টা গাড়িতে বসে থাকতে হয়৷
ছবি: picture-alliance/Frank Duenzl
দ্বিতীয় স্থানে মস্কো
মস্কোর গাড়িচালকদের বছরে পিক আওয়ারে অন্তত ৯১ ঘণ্টা বসে থাকতে হয় গাড়িতে৷
ছবি: Getty Images/Y.Kadobnov
নিউ ইয়র্কও কম যায় না
যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কেও বলতে গেলে সারা বছরই পিক আওয়ারে যানজট লেগে থাকে৷ সেখানে বছরে কমপক্ষে ৮৯ ঘণ্টা যানজটের কারণে গাড়িতেই বসে থাকতে হয় চালকদের৷
ছবি: picture alliance/dpa/blickwinkel
যুক্তরাষ্ট্রের আরেক শহর
সান ফ্রান্সিসকোর গোল্ডেন গেট ব্রিজ এলাকায় পিক আওয়ারে গাড়ি যেন চলতেই চায় না৷ আর সারা শহরে যানজটের কারণে প্রতি বছর প্রত্যেক চালকের অন্তত ১৪শ ডলারের ক্ষতি হয়৷ সব চালকের ক্ষতি যোগ করলে যোগফলটা ৩০০ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যাবে৷
ছবি: Getty Images/J.Sullivan
ব্রাজিলের সাও পাওলো
তালিকায় পঞ্চম স্থানে আছে ব্রাজিলের সাও পাওলো৷ সেই শহরে বছর কমপক্ষে ৭৭ ঘণ্টা জ্যামের কারণে চালকদের গাড়িতেই বসে থাকতে হয়৷
ছবি: picture alliance/dpa/C.Faga
লন্ডন
ইউরোপের যে দেশগুলোতে ট্রাফিক জ্যামের দুর্ভোগ সবচেয়ে বেশি, ইংল্যান্ড তার অন্যতম৷ ইউরোপের সবচেয়ে ভয়াবহ ট্রাফিক জ্যামের তিনটি দেশের একটি ইংল্যান্ড৷ ইংল্যান্ডের শহরগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি যানজট থাকে লন্ডনে৷ সেখানে বেশি ট্রাফিক জ্যাম হয় নাকি উইন্ডো শপিংয়ের কারণে৷
ছবি: Getty Images/S.Barbour
চীন, জাপান নেই কেন?
ইনট্রিক্স চীন এবং জাপানসহ এশিয়ার বেশ কিছু দেশের যানজট পরিস্থিতি বিশ্লেষন করেনি৷ সে কারণে তালিকায় চীন, জাপানসহ এশিয়ার অনেক দেশই নেই ৷ বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাও হয়ত সে কারণেই তালিকার বাইরে৷
ছবি: picture alliance/dpa/W.Lei
আফ্রিকাও বাদ
আফ্রিকার বেশির ভাগ দেশেই যানজট নিত্যদিনের ব্যাপার৷ তারপরও তালিকায় আফ্রিকার কোনো শহরের নাম আসেনি, কারণ, ইন্ট্রিক্স এখনো ওই মহাদেশ নিয়ে কাজ শুরু করেনি৷
ছবি: Getty Images/P.U.Ekpei
8 ছবি1 | 8
২০১৮ সালে সপ্তাহের বুধবার দিনটি সবচেয়ে বেশি যানজটের দিন ছিল৷ ২০১৭ সালে সেই দিনটি ছিল বৃহস্পতিবার৷ এডিএসি বলছে, গতবছর প্রতি বুধবার গড়ে পাঁচ হাজার ৯০০ কিলোমিটার দীর্ঘ যানজট লেগেছে৷ আর বৃহস্পতিবার যানজটের দৈর্ঘ্য ছিল গড়ে পাঁচ হাজার ৮০০ কিলোমিটার৷
যানজট সবচেয়ে কম লেগেছে শনি ও রবিবার৷ কারণ, এই দুদিন জার্মানিতে সপ্তাহান্ত এবং সে কারণে অফিস, আদালত ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ থাকে৷ এছাড়া সপ্তাহান্তে যানজট কমাতে রবিবার বেশিরভাগ ট্রেলার ট্রাক চলার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে৷
২০১৮ সালের সবচেয়ে বেশি যানজটময় দিনটি ছিল ২৮ জুন, বৃহস্পতিবার৷ সেদিন গ্রীষ্মের ছুটির ট্রাফিক আর কর্মদিবসের ট্রাফিক সব একসঙ্গে মিলে ঐ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল৷
ব্রেমেন, লোয়ার সাক্সোনি আর সাক্সোনি-আনহাল্ট রাজ্য গ্রীষ্মের ছুটি শুরুর সময় প্রায় ১৩ হাজার কিলোমিটার দীর্ঘ যানজট সৃষ্টি হয়েছিল বলে জানিয়েছে এডিএসি৷
ডেভিস ফানঅপড্রোপ/জেডএইচ
যানজট থেকে বাঁচতে উড়ন্ত গাড়ি
ফিলিপাইন্সের একজন উদ্ভাবক উড়তে পারে এমন একটি গাড়ি তৈরি করেছেন, যাকে ফ্লাইং স্পোর্টস কার বলছেন তিনি৷ সড়কে সময় নষ্ট থেকে বাঁচতে ভবিষ্যতে পরিবহণ ব্যবস্থা কেমন হবে, এই গাড়িতে তারই প্রকাশ ঘটেছে বলে মনে করা হচ্ছে৷
ছবি: Reuters/E. Lopez
ড্রোনের প্রযুক্তি
মানুষহীন ছোট ড্রোনে ব্যবহৃত ‘মাল্টিকপ্টার’ প্রযুক্তিতে পরিচালিত হয় এই গাড়ি৷ এর উদ্ভাবক কিজ মেনদিওলা ক্যামেরা চালাতেন, এক সময় নাচতেন তিনি৷
ছবি: Reuters/E. Lopez
উড়বে ২০ ফুট উঁচুতে
‘কনসেপ্টো মিলেনিয়া’ নামের এই গাড়ি ঘণ্টায় ৩৭ মাইল বেগে ২০ ফুট পর্যন্ত উঁচুতে উড়তে পারে৷ তবে এর প্রথম ফ্লাইট হয় ১০ মিনিটের মতো৷ অভিনব এই গাড়িতে উড়ছেন একজন সাংবাদিক৷
ছবি: Reuters/E. Lopez
বাঁচিয়ে দেবে কয়েক ঘণ্টা
২২০ পাউন্ড (প্রায় ১০০ কেজি) বহণে সক্ষম এই উড়ন্ত গাড়িয় ফিলিপাইন্সের রাজধানী ম্যানিলার মতো যানজটের শহরগুলোতে চলাচলের জন্য কয়েক ঘণ্টা সময় বাঁচিয়ে দেবে বলে জানান মেনদিওলা৷
ছবি: Reuters/E. Lopez
এসেছে অস্ট্রিলয়ান কোম্পানি
ছয়টি লিথিয়াম আয়ন ব্যাটারিতে চলে এই গাড়ি৷ এর একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়ার পর অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে এ প্রকল্প এগিয়ে নেয় স্টার৮ নামের একটি অস্ট্রেলিয়ান কোম্পানি৷ অভিনব এই গাড়িতে উড়ছেন একজন সাংবাদিক৷
ছবি: Reuters/E. Lopez
উড়িয়ে রাখে মটর
ক্রাফট্স ১৬ রোটারি মটর এই গাড়িকে উড়িয়ে রাখে৷ উড়তে উড়তে যাওয়ার সুবিধা সম্পর্কে মনেদিওলা বলেন, ‘‘সড়কে কোনো দূরত্বে যেতে যেখানে এক ঘণ্টা লাগবে, সেখানে এতে আপনি মাত্র পাঁচ মিনিটে পৌঁছে যাবেন৷’’
ছবি: Reuters/E. Lopez
উদযাপন
ফিলিপাইন্সের বাতানগাস প্রদেশে রোববার নিজের উদ্ভাবিত উড়ন্ত গাড়ির পরীক্ষা চালানোর পর আনন্দ উদযাপনে কিজ মেনদিওলা৷