1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

জার্মানিতে দুর্নীতি

৭ জুন ২০১২

ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল ব্রাসেলস’এ এক রিপোর্টে ইউরোপের দেশগুলির দুর্নীতির চিত্র তুলে ধরেছে৷ দুর্নীতিমুক্ত দেশগুলির শীর্ষে রয়েছে ডেনমার্ক, নরওয়ে এবং সুইডেন৷

Symbolbild zur Korruption: Ein Mann im Anzug steckt mehrere Hundert Euro Scheine in seine Tasche. Eingestellt am 13.9.2011. © granata68 - Fotolia.com Korrupter Geschäftsmann © granata68 #28961612
ছবি: granata68/Fotolia

ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল ইউরোপের ২৫টি দেশের ওপর পরীক্ষা চালিয়েছে৷ যোগাড় করেছে বিভিন্ন ধরণের তথ্য৷ কোন দেশটি সবচেয়ে বেশি দূর্নীতিগ্রস্ত তা বের করার চেষ্টা করেছে৷ গতকাল ব্রাসেলস'এ ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল তাদের প্রতিবেদন জমা দেয়৷ জার্মানির অবস্থান বেশ ভাল৷ জার্মানিতে দুর্নীতি রয়েছে, তবে তা অন্যান্য দেশের মত এত তীব্র নয়৷

ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনালের প্রতিবেদনে বলা হয় যে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এবং সরকারের মধ্যে বোঝাপড়া বেশ ভাল – এবং বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই দেখা গেছে তা একসময় দুর্নীতির দুয়ারে গিয়ে পৌঁছেছে৷ এবং ঠিক তখনই দেশের অর্থনীতি ভেঙে পড়েছে৷

জার্মানির সাবেক চ্যান্সেলর গেয়ারহার্ড শ্র্যোডার কোনো অবস্থাতেই দুর্নীতির আশ্রয় নেন নি৷ অন্ততপক্ষে কোন ধরণের আইন অমান্য করে তিনি কোন কাজ করেননি৷ ২০০৫ সালে নির্বাচনে হেরে যাওয়ার পর তিনি রুশ পাইপলাইন কনসর্টিয়াম ‘নর্থ স্ট্রিম'এর পরিচালক মণ্ডলীদের একজন নিযুক্ত হন৷ তারপরেও গুঞ্জন কিছুটা থেকেই যায়৷ প্রশ্ন উঠতে পারে, শ্র্যোডার এবং ‘নর্থ স্ট্রিম'এর সঙ্গে দুর্নীতির সম্পর্ক কোথায়? ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনালের মতে, ‘দূর্নীতি হচ্ছে – যখন ক্ষমতাকে নিজের ব্যক্তিগত লাভের জন্য ব্যবহার করা হয়৷' ডয়চে ভেলেকে কথাগুলো বলেন ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনালের ক্রিস্টিয়ান হুমবর্গ৷

জার্মানি প্রসঙ্গে তিনি বললেন, ‘‘প্রতিবেদনে আমরা যেটা করিনি, তা হলো তালিকা তৈরি করা৷ কে এক নম্বর, কে দুই নম্বর তা জানানো৷ তবে কোন দেশ দুর্নীতির মুখে পড়বে, তা দেশের মনোভাব থেকেই বোঝা যায়৷ জার্মানি এক্ষেত্রে অত্যন্ত শক্ত অবস্থানে রয়েছে৷ জার্মানিতে, জার্মান মানুষের মধ্যে সততা বেশি দেখা গেছে বা লক্ষ্য করা গেছে৷ এই দেশে নিয়ম-কানুন মেনে চলা হয়৷ সবাই আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল৷ তবে জার্মানির চেয়েও ভাল ফল করেছে বেশ কয়েকটি দেশ৷ স্ক্যান্ডিনেভিয়ার দেশগুলো রয়েছে শীর্ষে৷ সেখানে দুর্নীতির ছোঁয়া একেবারেই নেই৷''

কোন দেশগুলো দুর্নীতিমুক্ত? ডেনমার্ক, নরওয়ে এবং সুইডেন রয়েছে শীর্ষে৷ কারণ এই দেশগুলোতে আইনের শাসন বেশ কড়া৷ প্রায় প্রতিটি সংস্থার ওপরই নজর রাখা হয়৷ আইন মেনে চলা সবাই দায়িত্ব এবং কর্তব্য বলে মনে করে৷ দেশগুলোর বিচার ব্যবস্থার কাঠামোও তার দায়িত্ব পালন করছে যথাযথ৷ সেই তুলনায় গ্রিস, ইটালি, পর্তুগাল এবং স্পেনে সরকারি কর্মচারীদের দায়িত্ব ও কর্তব্যকে প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয়েছে৷ সরকারি দপ্তরগুলোতে অদক্ষ লোক বসে আছে, তারা দপ্তর চালাচ্ছে৷ অনিয়ম চলছে – কারো কোন মাথাব্যাথা নেই৷ দূর্নীতি পৌঁছেছে চরমে – তাতেও সরকারের কোন ভ্রূক্ষেপ নেই৷

১৯৯৫ সাল থেকে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল সন্দেহমূলক দূর্নীতি এবং নিশ্চিত দুর্নীতির মধ্যে পার্থক্য তুলে ধরেছে৷ জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক ব্যবসায়ীদের সাক্ষাৎকার নেয়া হয় বিভিন্ন সময়ে৷ তাদের উত্তর থেকেই বেরিয়ে আসে নানা তথ্য, বিভিন্ন দেশে দুর্নীতির নানা রূপ৷ সেদিক থেকে জার্মানির অবস্থান অনেক ভাল৷ ১৮৩ দেশের মধ্যে জার্মানির অবস্থান ১৪৷ শীর্ষে রয়েছে স্ক্যান্ডিনেভিয়ার দেশগুলো৷

প্রতিবেদন: মার্সেল ফুর্স্টেনাউ / মারিনা জোয়ারদার
সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ