1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

জার্মানিতে সরকার গঠনের উদ্যোগ

২১ নভেম্বর ২০১৭

জোট সরকার গঠনের উদ্যোগ ব্যর্থ হবার পর জার্মানিতে নতুন নির্বাচনের সম্ভাবনা দেখা দিচ্ছে৷ কিন্তু জার্মান প্রেসিডেন্ট সরকার গঠনের সব সম্ভাবনা খতিয়ে দেখতে বিভিন্ন দলের নেতাদের সঙ্গে আলোচনা শুরু করছেন৷

নতুন নির্বাচনের জন্য প্রস্তত জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল
ছবি: Reuters/A. Schmidt

জার্মান প্রেসিডেন্টের পদ যে শুধু আলঙ্কারিক নয়, সোমবার থেকে তা আবার স্পষ্ট হয়ে উঠেছে৷ সাধারণ নির্বাচনের প্রায় দু'মাস পরে ‘জামাইকা' জোট সরকার গঠনের উদ্যোগ ব্যর্থ হয়েছে৷ এই অবস্থায় সংসদ ভেঙে নতুন করে নির্বাচন ডাকার কঠিন সিদ্ধান্ত নেবার আগে জার্মান প্রেসিডেন্ট ফ্রাংক-ভাল্টার স্টাইনমায়ার বাকি সব বিকল্প খতিয়ে দেখতে চান৷ সেই লক্ষ্যে তিনি একাধিক দলের নেতাদের সঙ্গে নিভৃতে আলাপ-আলোচনা করছেন৷ সোমবার তিনি বলেন, ‘‘সব দলই আশা করি সংলাপের জন্য প্রস্তুত৷''

বর্তমান সংকট কাটানোর সহজ চাবিকাঠি রয়েছে সামাজিক গণতন্ত্রী এসপিডি দলের হাতে৷ প্রেসিডেন্ট হবার আগে পর্যন্ত স্টাইনমায়ার এই দলেরই নেতা ছিলেন৷ কিন্তু সোমবারই দলের সভাপতি মার্টিন শুলৎস আরও একবার সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, তাঁর দল আবার মহাজোট সরকারের সদস্য হবে না৷ তিনি বলেন, এসপিডি দল নতুন নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত৷ জনমত সমীক্ষা অনুযায়ী, দলের সমর্থকরাও এই অবস্থানের পক্ষে৷ বুধবার শুলৎস প্রেসিডেন্ট স্টাইনমায়ারের সঙ্গে আলোচনা করবেন৷

নতুন নির্বাচন হলে জার্মান চ্যান্সেলর হিসেবে আবার ইউনিয়ন শিবিরের প্রার্থী হতে প্রস্তুত আঙ্গেলা ম্যার্কেল৷ নির্বাচনের আগে তিনি ভোটারদের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, যে জয়ের ক্ষেত্রে তিনি আরও চার বছরের জন্য চ্যান্সেলর থাকতে চান৷ ম্যার্কেল সেই প্রতিশ্রুতি ভাঙাতে চান না৷ সংখ্যালঘু সরকার গঠনের চেয়ে নতুন নির্বাচনই চাইছেন তিনি৷

জার্মানিতে নতুন নির্বাচনের বিকল্প কী হতে পারে, এখনো তার কোনো স্পষ্ট রূপরেখা দেখা যাচ্ছে না৷ আবার নতুন করে ‘জামাইকা' জোট গঠনের প্রচেষ্টার কথা শোনা যাচ্ছে৷ যে দল সপ্তাহান্তে এই আলোচনা ভেঙে দিয়েছে, জার্মান প্রেসিডেন্ট মঙ্গলবারই সেই উদারপন্থি এফডিপি দলের নেতা ক্রিস্টিয়ান লিন্ডনারের সঙ্গে আলোচনা করবেন৷ জামাইকা জোট গঠনের প্রস্তুতি প্রায় সম্পূর্ণ হয়ে গিয়েছিল বলে অন্য দলগুলির কয়েকজন প্রতিনিধি যে দাবি করেছেন, লিন্ডনার তা অস্বীকার করেন৷ তিনি আলোচনায় সবুজ দলের আধিপত্যের সমালোচনা করেন৷

জার্মানিতে রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা ইউরোপসহ গোটা বিশ্বে গভীর আগ্রহের সৃষ্টি করছে৷ বিশেষ করে ইউরোপীয় ইউনিয়নের মধ্যে সংস্কারসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তের প্রেক্ষাপটে জার্মানিতে দ্রুত এক স্থিতিশীল সরকার গঠনের প্রয়োজনীয়তা দেখা দিচ্ছে৷ আগামী সরকারের প্রধান থাকলেও চ্যান্সেলর ম্যার্কেল কতটা শক্তিশালী থাকতে পারবেন, সেই প্রশ্নও বিভিন্ন মহলে উঠে আসছে৷

এসবি/ডিজি (ডিপিএ, রয়টার্স)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ