1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

নাৎসি তাণ্ডবের ৭৫ বছর

সারা ইয়ুডিট হোফমান/এসবি৯ নভেম্বর ২০১৩

৯ই নভেম্বর একাধিক কারণে জার্মানির ইতিহাসে গুরুত্বপূর্ণ৷ ১৯৮৯ সালে এ দিনটিতে বার্লিন প্রাচীরের পতনের ঘটনা স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে৷ কিন্তু ১৯৩৮ সালে নাৎসিদের তাণ্ডব দিনটিকে কলঙ্কময় অধ্যায়ের সূচনা হিসেবে স্মরণীয় করে রেখেছে৷

English: Interior view of the destroyed Fasanenstrasse Synagogue, Berlin, burned on Kristallnacht; November Pogroms. Date 8 March 2010, 07:36:44 Source Flickr: Interior view of the destroyed Fasanenstrasse Synagogue, Berlin, burned during the November Pogroms Author: Center for Jewish History, NYC This image, which was originally posted to Flickr, was uploaded to Commons using Flickr upload bot on 18:17, 12 February 2013 (UTC) by Jonund. On that date it was tagged as no known copyright restrictions
ছবি: gemeinfrei

ক্ষমতায় আসার কিছুদিনের মধ্যেই নাৎসিদের স্বরূপ স্পষ্ট হতে শুরু করে৷ বিশেষ করে ইহুদি-বিদ্বেষ ধাপে ধাপে মারাত্মক রূপ নেয়, যার পরিণতি সুপরিকল্পিত ইহুদি নিধন যজ্ঞ, যার ফলে প্রায় ৬০ লক্ষ মানুষকে কনসেন্ট্রেশন ক্যাম্পে বা অন্যভাবে খুন করা হয়৷ ১৯৩৫ সাল থেকেই একের পর আইন করে নাৎসিরা ইহুদিদের অধিকার খর্ব করতে শুরু করে৷ একে একে তাদের প্রায় সব নাগরিক অধিকার ছিনিয়ে নেয়া হয়৷

৯ই নভেম্বর রাতে সেই পৈশাচিক হত্যাযজ্ঞের অশনি সংকেত টের পাওয়া গিয়েছিল৷ জার্মানি ও সদ্য অধিকৃত অস্ট্রিয়ায় ইহুদিদের বিরুদ্ধে তাণ্ডব শুরু হয়৷ কয়েক'শো সিনাগগ বা ইহুদি উপাসনা গৃহে লুটপাট চালানো হয়৷ কিছু সিনাগগে আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়৷ কয়েকটি পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে যায়৷ পথেঘাটে ইহুদিদের প্রকাশ্যে নানাভাবে অপমান করা হয়, তাদের মারধোর করা হয়৷ হত্যার ঘটনাও ঘটেছে৷ পুলিশ নীরব দর্শক হয়ে ছিল৷ জ্বলন্ত সিনাগগ বা ইহুদিদের দোকানে আগুন নেভানোর চেষ্টাও তারা করেনি৷ শুধু আগুন যাতে আশেপাশের ঘরবাড়িতে ছড়িয়ে না পড়ে, সেটুকু শুধু নিশ্চিত করেছে তারা৷

নাৎসিদের ইহুদি নিধন যজ্ঞের অন্যতম প্রধান শিবির আউশভিৎসছবি: picture-alliance/dpa

এর পরদিন থেকেই আসল ঘটনা শুরু হয়৷ এ দিন ৩০,০০০ ইহুদি পুরুষকে ডাখাউ, সাক্সেনহাউসেন ও বুখেনভাল্ড কনসেন্ট্রেশন ক্যাম্পে পাঠানো হয়েছিল৷ তাদের ধরে নিয়ে যাবার সময় পরিবারের সদস্যদের কেউ কল্পনা করতে পারেনি, তাদের প্রিয়জনদের কী পরিণতি হতে চলেছে৷

১৯৩৮ সালের ৯ ও ১০ই নভেম্বর বার্লিন শহরের চিত্র ছিল ভয়াবহ৷ সরকারি নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও ব্যাপক আকারে লুটপাট চলেছে এই দুই দিন৷ তরুণ গুন্ডাদের দল ইহুদি দোকান বা সিনাগগ থেকে দামি সামগ্রী ছিনিয়ে নিয়ে প্রকাশ্যে সেগুলি দেখিয়েছে৷ সে সময়ে বার্লিনে সক্রিয় বিদেশি কূটনীতিকদের বয়ান থেকে এমন অনেক ঘটনা সম্পর্কে জানা যায়৷ পরে ২০টি দেশের কূটনীতিকদের প্রতিবেদন নিয়ে একটি সংকলনও প্রকাশিত হয়েছিল৷

কনসেন্ট্রেশন ক্যাম্পের চুল্লিতে পোড়ানো হত ইহুদিদের মৃতদেহছবি: AP

এমন পরিস্থিতির আলোকে বাকি বিশ্বের দায়ও এড়িয়ে যাওয়া যায় না৷ জার্মানির মধ্যে এমন ভয়ংকর পরিস্থিতির কথা জানতে পেরেও সে সময়ে কোনো হস্তক্ষেপের কথা ভাবেনি আন্তর্জাতিক সমাজ৷ আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে নাৎসি সরকারের সঙ্গে কোনো একটা বোঝাপড়া সম্ভব বলে মনে করেছিল বিভিন্ন দেশের সরকার৷ তবে এটাও মনে রাখতে হবে, ইহুদি নিধন যজ্ঞ সম্পর্কে গোটা বিশ্ব সে সময়ে কিছুই জানতো না৷ এমনকি যে সব কূটনীতিক এমন আভাস পেয়েছিলেন, তাঁরাও বিশ্বাস করতে পারেন নি যে মানুষ আদৌ এমন কাজ করতে পারে৷ একমাত্র চীনের শাংহাই শহরে ইহুদি শরণার্থী বিনা ভিসায় আশ্রয় পেয়েছিলেন৷ তবে খুব বেশি মানুষ সেই সুযোগ গ্রহণ করতে পারেননি৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ