1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ব্যঙ্গ-কৌতুকের দল সংসদে ঢুকবে

মার্ক ল্যুপকে/এসি৩১ আগস্ট ২০১৩

দলটির নাম ‘দি পার্টাই’, অর্থাৎ শুধুই ‘দল’৷ একটা রাজনৈতিক দলের আর কিই বা নাম হতে পারে৷ এই বিশেষ দলটির কাজ হলো রাজনীতি নিয়ে ব্যঙ্গ-কৌতুক করা৷ তাদের আসন পাবার সম্ভাবনা থাক আর নাই থাক, মজা কিন্তু পাচ্ছেন সবাই৷

ছবি: Getty Images

গোড়াতেই একটা অর্ধসত্য ঠিক করে নেওয়া যাক৷ দলটির পুরো নাম হলো ‘‘শ্রম, আইনের শাসন, জীবজন্তুর অধিকার, অভিভাবকদের উৎসাহপ্রদান ও তৃণমূল গণতন্ত্রের উদ্যোগ দল''৷ জার্মান রাজনৈতিক দলগুলির ইতিহাসে দীর্ঘতম নাম৷ উদ্দেশ্য ছিল: সব ভোটারদের জন্যই কিছু একটা রাখা৷ সে প্রচেষ্টা সফল হয়েছে, কিন্তু গোটা নামটা মনে রাখা কারো পক্ষে সম্ভব নয়৷ তাই সংক্ষেপে: ‘দি পার্টাই', বা ‘দল'

দলের সদস্য হতে গেলে দ্বিতীয় যে গুণটি থাকা চাই, সেটি হলো, প্রচুর পরিমাণ বিয়ার পানের প্রবণতা ও ক্ষমতা৷ দলের নির্বাচনী কর্মসূচিতেই বলা আছে: ‘ডাস বিয়ার এন্টশাইডেট', অর্থাৎ ‘বিয়ারেই সিদ্ধান্ত'৷ যার অর্থ হতে পারে: বিয়ার খেয়ে ভোট দিন৷ দ্বিতীয়ত, কোন দল ভোটারদের বিনি খরচায় কি পরিমাণ বিয়ার খাওয়াচ্ছে৷

দলের নেতা মার্টিন জনেনবর্নছবি: picture-alliance/dpa

আসলে এসপিডি দল তাদের একটি পোস্টারে স্লোগান রেখেছিল: ‘ডাস ভির এন্টশাইডেট', অর্থাৎ ‘আমি' নয়, ‘আমাদের' কথা ভেবে, জনতার কথা ভেবে সিদ্ধান্ত নিন৷ স্লোগানটা অর্ধেক মানুষ বুঝতে পারেননি৷ আর যারা বুঝেছেন, তারাও শুধু হেসেছেন৷ এভাবেই ‘দি পার্টাই' প্রতিষ্ঠিত রাজনৈতিক দলগুলির নির্বাচনী স্লোগান, বোলচাল ইত্যাদির একটি ব্যঙ্গাত্মক সংস্করণ পরিবেশন করে৷

হামবুর্গের একটি প্রসিদ্ধ নিষিদ্ধ এলাকার বারে এই পার্টাই দলের কিছু সদস্যের দেখা পাওয়া যাবে – কেননা তাদের সব কিছুই প্ররোচনা৷ নয়ত এক হামবুর্গেই দলের ৭০০ সদস্য আছে, সারা জার্মানিতে ন'হাজার৷ উত্তরের ল্যুবেক শহরে তারা পৌরসভাতে একটি আসন জয় করতে পেরেছে৷ জার্মানিতে ব্যঙ্গ-কৌতুকের দ্বিতীয় বৃহত্তম পত্রিকা ‘টাইট্যানিক' হলো এই দলের মানসিক ঘরবাড়ি৷ বলতে কি, পত্রিকাটির কিছু সম্পাদক এই দলের প্রতিষ্ঠাতা৷

শব্দ নিয়ে খেলা

ছবি: picture-alliance/dpa

বাইরে থেকে যা ব্যঙ্গ-কৌতুক বলে মনে হয়, ঠিক সেই উপাদান দিয়েই এই দল বিশ্বের ও মানবজাতির উন্নতি করতে বদ্ধপরিকর৷ কিন্তু তাদের ১৩-দফা নির্বাচনী কর্মসূচিতে অর্থের চেয়ে অনর্থ, অর্থাৎ শব্দ নিয়ে খেলাই বেশি – যা বুঝতে জার্মান ভাষাটা জানা থাকা দরকার: যেমন ‘‘ফ্রাউয়েনকোটে'' শব্দটির অর্থ হলো মহিলাদের জন্য আসন সংরক্ষণ৷ ‘দল'-এর কর্মসূচিতে তা হয়ে দাঁড়িয়েছে ‘‘ফাউলেনকোটে'', যার অর্থ দাঁড়ায় অলস, নিষ্কর্মা, কুঁড়েদের জন্য আসন সংরক্ষণ৷ আঙ্গেলা ম্যার্কেলকে মিশরের হোসনি মুবারকের মতো খাঁচায় পুরে বিচার করার দাবিও শুধু ‘দল'-ই তুলতে পারে৷

ব্যঙ্গ সর্বত্র: যেমন ‘দল' আগামী নির্বাচনে ১০০ শতাংশ ভোট সংগ্রহ করতে চায়৷ হামবুর্গের নতুন অপেরা হাউসকে জেপেলিন ওঠা-নামার স্টেশনে পরিণত করার আইডিয়াটাই বা কেমন? আসলে সব মিলিয়ে ‘দল' শুধু এটাই দেখাতে চাইছে: রাজনীতি যখন প্রহসন হয়ে ওঠে, তখন প্রহসনেরই বা রাজনীতি করতে আপত্তি কোথায়?

আপত্তি থাকবে কেন? ‘দল' অবলীলাক্রমে এবারকার সংসদীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার অনুমোদন পেয়েছে৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ