1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

জার্মানিতে পড়তে আসা বাংলাদেশি শিক্ষার্থীর সঙ্গে কথোপকথন

৫ ডিসেম্বর ২০১১

আজকাল পত্রিকার পাতা খুললেই জার্মানিতে লেখাপড়া নিয়ে বিভিন্ন কোম্পানির বিজ্ঞাপন দেখা যায়৷ আগে যেটা দেখা যেত ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া বা ক্যানাডার ক্ষেত্রে৷ ফলে গত দু’তিন বছরে জার্মানিতে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীর সংখ্যা বেড়েছে৷

Studenten sitzen am Mittwoch (19.10.11) waehrend einer Einfuehrungsveranstaltung in einem Hoersaal der Johannes-Gutenberg-Universitaet in Mainz. Mit einem offiziellen Festakt wurden Studienanfaenger am Mittwoch an der groessten rheinland-pfaelzischen Hochschule begruesst. Die Rekord-Erstsemesterzahl des vorigen Wintersemesters von fast 5.900 werde sicher erreicht, vielleicht sogar noch uebertroffen, wie die Universitaet mitteilte. (zu dapd-Text) Foto: Martin Oeser/dapd
জার্মানির একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের একাংশছবি: dapd

এমনই একজন জাহিদুর রহমান লিমন৷ পড়ছেন রাইন-ভাল ইউনিভার্সিটি অব অ্যাপলায়েড সায়েন্সে৷ বিষয় ইউজেবিলিটি ইঞ্জিনিয়ারিং৷ মানুষের সঙ্গে কম্পিউটারের যোগাযোগ নিয়ে পড়াশোনা হয় এই বিষয়ে৷ লিমন মাস্টার্স করছেন৷ কারণ অনার্সটা তিনি করে এসেছেন বাংলাদেশ থেকে, লেদার টেকনোলজিতে৷ জার্মানিতে এসেছেন গত বছর সেপ্টেম্বরে৷ তাঁর কাছে প্রথমেই জানতে চাই, কেন তিনি জার্মানিতে পড়তে এলেন৷

‘‘দুটো কারণ - এক, প্রযুক্তিতে জার্মানি সবচেয়ে সেরা এবং এখানকার লেখাপড়ার মানও বেশ উন্নত৷ এবং দুই, বিনা বেতনে পড়ার সুবিধা৷''

জার্মানিতে আসার আগে লিমন ঢাকার গ্যোয়েটে ইন্সটিটিউট থেকে জার্মান ভাষার উপর প্রশিক্ষণ নিয়েছেন৷ যদিও লেখাপড়ার জন্য ভাষা জানার প্রয়োজন নেই, কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক কাজগুলো ঠিকভাবে করতে ভাষা জানাটা জরুরি বলে মনে করেন লিমন৷

জার্মানির ট্যুবিঙ্গেন বিশ্ববিদ্যালয়ছবি: picture-alliance/dpa

তিনি বলছেন, বিদেশি শিক্ষার্থী, যারা স্কলারশিপ ছাড়া জার্মানিতে পড়তে আসে তারা যেন এসেই দিশেহারা হয়ে না পড়ে সেজন্য কিছু ব্যাংক ও প্রতিষ্ঠান প্রথম সেমিস্টারের জন্য স্কলারশিপ দিয়ে থাকে৷ পূর্ববর্তী ফলাফলের উপর নির্ভর করে প্রতিষ্ঠানগুলোই স্কলারশিপের জন্য শিক্ষার্থী বাছাই করে থাকে - লিমন যেটা পেয়েছিলেন৷ এজন্য তিনি বাংলাদেশে থাকতেই রাইন-ভাল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অফার লেটার পাওয়ার পর জার্মান বিভিন্ন ব্যাংকে তার অনার্সের ফলাফল পাঠিয়েছিলেন৷ লিমন বলছেন প্রথম সেমিস্টারে ভাল ফলের উপর নির্ভর করে দ্বিতীয় সেমিস্টারেও স্কলারশিপ জোগাড় করা সম্ভব৷ এবং এভাবে পুরো লেখাপড়াটাই শেষ করা সম্ভব৷

তিনি বলেন, বাংলাদেশ থেকে অনেকে পড়তে এসে টাকা জোগাড়ের জন্য পার্ট টাইম চাকরি খোঁজে৷ কিন্তু দুটো একসঙ্গে করতে গিয়ে দেখা গেছে যে, কোনোটাই ঠিকভাবে করা হয়ে ওঠেনা৷ ফলে আসল যে উদ্দেশ্য পড়াশোনা করা, সেটাই ব্যাহত হয়৷

লিমনের কাছে জানতে চেয়েছিলাম পত্রিকার বিভিন্ন বিজ্ঞাপন সম্পর্কে৷ আদৌ কি জার্মানিতে পড়তে আসার জন্য এসব কোম্পানির সঙ্গে যোগাযোগ করা প্রয়োজন? তিনি বললেন, ‘‘কোনো দরকার নেই৷ ঘরে বসে নিজে নিজেই আবেদন করে ভর্তি হওয়া সম্ভব, এমনকি স্কলারশিপও জোগাড় করা সম্ভব৷''

লিমন বলছেন অন্যান্য জায়গার তুলনায় জার্মানিতে জীবনযাপন খরচ অনেক কম৷ বাংলাদেশি টাকায় প্রতিমাসে ২২ থেকে ২৫ হাজার টাকার মধ্যেই চলা সম্ভব বলে জানান তিনি৷ ‘‘আমি সিগারেট বা অ্যালকোহল খাইনা৷ বিনোদনের জন্যও তেমন খরচ করিনা৷ ফলে প্রতি মাসে থাকা-খাওয়া ও ইন্টারনেট বাবদ দু'শো থেকে সোয়া দু'শো ইউরোর মতো খরচ হয় আমার৷ বাংলাদেশি টাকায় যেটা ২২ থেকে ২৫ হাজার টাকার মতো৷''

সবশেষে লিমনের কাছে প্রশ্ন ছিল পড়ালেখা শেষে চাকরি পাবার সম্ভাবনা সম্পর্কে৷ তিনি বললেন, ‘‘আইটি সেক্টর এবং মেকানিক্যাল ও ইলেকট্রিক্যাল ক্ষেত্রে চাকরির অনেক সুযোগ আছে৷''

প্রতিবেদন: জাহিদুল হক

সম্পাদনা: রিয়াজুল ইসলাম

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ