1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

পাইরেটদের পরাজয়

ইয়োহানা স্মেলার/এআই২৮ জানুয়ারি ২০১৩

তরুণ, স্বতঃস্ফূর্ত এবং ভিন্ন: জার্মানির পাইরেট পার্টি সম্পর্কে এসবই বলা হতো এতকাল৷ গত ১৮ মাসে টানা কয়েকটি নির্বাচনে বিস্ময়কর ফলাফলও দেখিয়েছে সে দল৷ কিন্তু এখন মনে হচ্ছে তাদের জাহাজ চড়ায় আটকে গেছে৷

+1 Eine Piratenflagge weht in Wildpoldsried (Schwaben) im Wind (Foto vom 21.06.2012). Foto: Karl-Josef Hildenbrand dpa pixel
ছবি: picture-alliance/dpa

নির্বাচনে হারার পর এতটা হাস্যরসের শিকার সম্ভবত কম দলই হয়েছি, যেমনটা ঘটেছে পাইরেটদের ক্ষেত্রে৷ তরুণ এই দল সম্প্রতি লোয়ার সাক্সনির নির্বাচনে বাজে ভাবে হেরেছে৷ রাজ্য সংসদের একটি আসনও জয় করতে পারেনি তারা৷ এই পরাজয়ের পর থেকেই গণমাধ্যমে তাদের নিয়ে খবর আসছে বিভিন্ন শিরোনামে: ‘ডুবে যাচ্ছে জাহাজ' , ‘পতাকা আর উড়ছে না', ‘পালে হাওয়া নেই' সহ নানা রকম শিরোনামে পাইরেটদের জায়গা দিচ্ছে পত্রিকাগুলো৷

সাংবাদিক এবং রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা ইতিমধ্যে একটি বিষয়ে ঐক্যমত্যেও পৌঁছে গেছেন৷ তা হচ্ছে, রাজনৈতিক অদক্ষতা সত্ত্বেও নজরকাড়া দলটি, যারা কিনা দেড় বছর আগে প্রতিষ্ঠার পর থেকে বিস্ময়কর সব জয় অর্জন করেছে, তারা এখন ধ্বংসের মুখে৷

বার্লিনের পাইরেট পার্টির প্রধান মার্টিন ডেলিয়ুসছবি: picture-alliance/dpa

অল্প কিছু বিশ্বস্ত সমর্থক

পাইরেটদের এই পতনের কারণও বিশ্লেষণ করা হচ্ছে৷ রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ কার্স্টেন কোস্মিডার মনে করেন, পাইরেটরা মানুষের মধ্যে বিস্ময় জাগিয়েছিল, কিন্তু সেই বিস্ময় দীর্ঘস্থায়ী হয়নি৷

সূচনালগ্ন থেকেই এই দলকে নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছেন কোস্মিডার৷ তিনি বলেন, পাইরেটদের যারা ভোট দিয়েছে তাদের মধ্যে মাত্র দুই শতাংশ মানুষ দলটির স্বত্ব সংরক্ষণ নিয়মাবলীর সংস্কারের দাবি সম্পর্কে সচেতন৷ ফলে এই দলটি প্রায়শই সংসদে যেতে প্রয়োজনীয় পাঁচ শতাংশ ভোটের বেড়া অতিক্রমে ব্যর্থ হচ্ছে এবং যেসব অঞ্চলে সাধারণ মানুষ তাদের ভোট দিচ্ছে, শুধুমাত্র সেখানেই আসন দখলে সমর্থ হচ্ছে তারা৷

এখন পর্যন্ত বার্লিন, নর্থ রাইন ওয়েস্টফালিয়া, সারল্যান্ড এবং শ্লেসউইগ-হল্সটাইনে পাইরেটরা বিস্ময়কর সাফল্য দেখিয়েছে৷ কোস্মিডার বলেন, এসব এলাকার ভোটাররা অন্যান্য দল থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে এবং পাইরেটদের সুযোগ দিয়েছে৷ তাদের ধারণা ছিল, পাইরেটরা সবকিছুই ভিন্নভাবে করবে৷

অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব

অথচ গত কয়েক সপ্তাহ ধরে ক্রমান্বয়ে ভুল কারণে সংবাদ শিরোনামে আসছে পাইরেটরা৷ আরো পরিষ্কারভাবে বললে, দলের নেতৃত্বে বিরোধ অত্যন্ত প্রকট আকার ধারণ করেছে৷কোস্মিডার এই বিষয়ে বলেন, ‘এখন বোঝা যাচ্ছে, পাইরেটরা আসলে মোটেই ব্যতিক্রম নন৷ অন্যান্য রাজনীতিবিদদের মতো তাদেরও একই ধরণের সমস্যা রয়েছে৷ তাদের মধ্যে অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব রয়েছে এবং কাঙ্খিত পদ প্রাপ্তির জন্য দরাদরি তারাও করে৷ সবকিছু বিবেচনায় আনলে তারা পুরোপুরি বাকিদের মতো৷'

নর্থ রাইন ওয়েস্টফালিয়াসহ কয়েকটি রাজ্যের সংসদে পাইরেটদের প্রতিনিধি রয়েছেনছবি: dapd

বার্লিনের পাইরেট পার্টির প্রধান মার্টিন ডেলিয়ুস ডয়চে ভেলেকে জানান, তাদের যোগাযোগ ঘাটতি রয়েছে৷ তিনি বলেন, ‘হ্যাঁ, আমরা ভুল করেছি৷ সামাজিক প্রশ্ন, নূন্যতম বেতন কাঠামো এবং ঐক্যবদ্ধ ইউরোপ ইস্যুতে আমাদের পরিষ্কার অবস্থান রয়েছে৷ এই অবস্থান ভবিষ্যতে আরো স্বচ্ছভাবে সবার কাছে পৌঁছাতে হবে৷'

কোস্মিডার মনে করেন, পাইরেটদের মধ্যকার ‘উম্মুক্ত লড়াই' আসলে তাদের অদক্ষতার প্রমাণ দেয়৷ আর পাইরেট নেতা তাদের যে অবস্থানের কথা বলছেন, তাঁর সঙ্গে সর্বশেষ নির্বাচনের আগে করা জরিপের তেমন মিল খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না৷ কেননা, পাইরেটদের পরিচিতি মূলত প্রযুক্তি নির্ভর একটি দল হিসেবে যারা ইন্টারনেট স্বত্ব সংস্কারে বদ্ধপরিকর৷ বলাবাহুল্য, রাজনীতির মাঠে পাইরেটদের এই পরিচয় এখন আর যথেষ্ট নয়৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ