করোনা সংকটে ঘরবন্দি দশায় সারাবিশ্বেই গৃহনিপীড়ন বেড়ে গেছে৷ সাধারণত নারীরাই এর শিকার হন, তবে অভিযোগ আছে পুরুষদেরও৷ পুরুষদের সেই অভিযোগ জানতে জার্মানির দুটি রাজ্য হটলাইন নম্বর চালু করেছে৷
বিজ্ঞাপন
জার্মানির নর্থ রাইন-ওয়েস্টফালিয়া এবং বাভারিয়া রাজ্যে বুধবার গৃহে নিপীড়নের ঝুঁকিতে থাকা পুরুষদের জন্য একটি হটলাইন নম্বর চালু হয়েছে৷ ওই নম্বরে, বিশেষ করে গৃহনির্যাতন ও যৌন নির্যাতনের শিকার পুরুষরা ফোন করে তাদের অভিযোগ জানাতে পারবেন৷ এছাড়া দুর্ব্যবহারের শিকার বা চাপের মুখে বিয়ে করতে বাধ্য হওয়ার ঝুঁকিতে আছেন যেসব পুরুষ তারা এবং অন্যান্য নির্যাতনের শিকার পুরুষরাও ওই নম্বরে কল করে তাদের অভিযোগ জানাতে এবং সাহায্য চাইতে পারবেন৷
দুই অঙ্গরাজ্যের পক্ষ থেকে একটি যৌথ সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘‘আমরা আশা করছি, এই হটলাইন পুরুষদের বিরুদ্ধে হওয়া নৃশংসতা বন্ধের একটি উপায় হবে৷’’
জার্মানির বাকি রাজ্যগুলোতেও একই ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানানো হয়েছে৷
জার্মানির পরিবারমন্ত্রী ফ্রাঞ্জিসকা গিফায়ে করোনা সংকটের শুরু থেকেই বারবার এ বিষয়ে সতর্ক করে বলেছিলেন, এতে গৃহবিবাদ বাড়ছে, বাড়ছে গৃহনির্যাতন৷
নর্থ রাইন-ওয়েস্টফালিয়ার ইক্যুয়ালিটি মিনিস্টার ইনা শারেনবাহ বলেন, সাধারণভাবে নারীরাই ভুগছেন বেশি৷ তাই নারীদের সহায়তা দিতেই বেশির ভাগ তহবিল ও সম্পদ ব্যয় করা হচ্ছে৷ কিন্তু ২০১৮ সালের একটি পরিসংখ্যানে দেখা গেছে সঙ্গীদের মধ্যে বিবাদে ১৮ দশমিক ৭ শতাংশ ক্ষেত্রে পুরুষ গৃহনির্যাতনের শিকার হয়েছেন৷
পুরুষদের জন্য চালু হওয়া হটলাইন নম্বরটি হলো +৪৯৮০০১২৩৯৯০০৷
এসএনএল (এএফপি, ডিপিএ)
২০১৭ সালের ছবিঘরটি দেখুন...
মানবিক সম্পর্কে হতাশা, পুরুষ ঝুঁকছে পুতুলে
জাপানের অনেক পুরুষের মাঝে মানবিক সম্পর্কে হতাশা দেখা দিয়েছে৷ তাঁদের অনেকে ঝুঁকছেন পুতুলের দিকে৷ কেউ ঘর ভেঙে নতুন এই সম্পর্কে জড়াচ্ছেন৷ আবার কারো ঘর ভাঙছে এই সম্পর্কে জড়ানোয়৷
ছবি: Getty Images/B.Mehri
মাসায়ুকি ওজাকির ভালোবাসা
ছবিটি দেখে হঠাৎ মনে হতে পারে, কোনো ব্যক্তি তাঁর অসুস্থ্য স্বজনকে নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন৷ ছবিতে দেখা যাওয়া মাসায়ুকি ওজাকি পরম মমতায় যাকে বয়ে নিয়ে যাচ্ছেন, তাঁকে তিনি স্বজনই মনে করেন৷ তবে হুইল চেয়ারে করে নারীকে দেখা যাচ্ছে, তিনি কোনো কারণে অসুস্থ্য নন৷ কোনো দুর্ঘটনায় তাঁর চলার ক্ষমতা শেষ হয়ে যায়নি৷ এভাবেই তাঁকে তৈরি করা হয়েছে৷ হ্যাঁ, তাকে তৈরিই করা হয়েছে৷ নারীমূর্তিটি বাস্তবে একটা পুতুল৷
ছবি: Getty Images/B.Mehri
মায়ুর সঙ্গে যাত্রা
ওজাকি পুতুলটির নাম রেখেছেন মায়ু৷ কোনো এক শো রুমে দেখে পছন্দ হয়ে যাওয়া মায়ু ধীরে ধীরে ওজাকির জীবনে প্রভাব বিস্তার করতে থাকে৷ নিজের জায়গা করে নিয়েছে পরিবারের অন্যদের মাঝেও৷ ‘রাবার রোমান্সে’-র এই সঙ্গীকে নিয়ে ড্রাইভেও বের হন ওজাকি৷
ছবি: Getty Images/B.Mehri
হতাশ ওজাকি ফিরতে চান না মানবিক সম্পর্কে
মানবিক ভালোবাসায় হতাশ ওজাকি দাবি করেছেন, তাঁর নতুন এই প্রেম ‘লাভ অ্যাট ফার্স্ট সাইটে’-র মতো৷ তিনি আর ফিরতে চান না মানবিক সম্পর্কে৷ যদিও তিনি তাঁর স্ত্রী এবং সন্তানের সঙ্গে এখনো একই ছাদের নীচেই বাস করছেন৷
ছবি: Getty Images/B.Mehri
পরিবারে অশান্তি-বিভেদ
যেহেতু এই পুতুল ব্যবহার হয় যৌনতায়ও৷ তাই এটা অনেকের পারিবারিক জীবনে অশান্তি ডেকে আনছে৷ ৬২ বছর বয়স্ক সেনজি নাকাজিমার জীবনেও তাই ঘটেছে৷ তাঁর পুতুল প্রেমিকার নাম সাওরি৷ সাওরিকে নাকাজিমার ছেলে মেনে নিলেও মেয়ে মানতে পারেনি৷ পারিবারিক বাসায় সাওরির প্রবেশ নিষিদ্ধ৷
ছবি: Getty Images/B.Mehri
পুতুল-মানবী
সার্ফিংয়ের জন্য সৈকতে নেয়ার পূর্বে সাওরিকে প্রস্তুত করছেন তিনি৷ এভাবেই জীবনের সঙ্গে জড়িয়ে গেছে পুতুল মানবী৷
ছবি: Getty Images/B.Mehri
নতুন জাপানী-প্রবণতা
কেবল ওজাকি নয়, নতুন এই সম্পর্কে ঝুঁকছেন দেশটির বিপুর সংখ্যক পুরুষ৷ প্রতি বছর দুই হাজার এ রকম পুতুল বিক্রি হচ্ছে জাপানে৷ এই পুতুলগুলের দাম ৬ হাজার মার্কিন ডলারের মতো৷ পুতুলের আঙুল প্রয়োজন ও পছন্দ মতো নেয়া যায়৷ আলাদা করা যায় মাথা ও যৌনাঙ্গও৷ অর্থাৎ মনে না ধরলে মুখ এবং যৌনাঙ্গ পাল্টে ফেলা যায় অচিরেই৷
ছবি: Getty Images/B.Mehri
সত্যিকারের স্পর্শ মেলে?
পুতুল প্রস্তুতকারক ওরিয়েন্ট ইন্ডাস্ট্রির ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিডেও সুচিয়া বলেন, ৭০-এর দশকের পর এ পণ্য উৎপাদনে প্রযুক্তি অনেক এগিয়ে গেছে৷ এখন এটা অনেকটা বাস্তবের মতোই মনে হয়৷ ছুঁয়ে দেখলে মনে হবে, আপনি সত্যিকারের মানুষের ত্বকই স্পর্শ করছেন৷ অনেক বেশি পুরুষ এখন এটা কিনছে৷ কারণ তাঁরা এর সঙ্গে সত্যিকারের যোগাযোগ করতে পারছেন বলে মনে করছেন৷