1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

হুমায়ূন আহমেদের স্মৃতিচারণ

১ সেপ্টেম্বর ২০১২

জনপ্রিয় কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদ এর প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে এবং স্মৃতিচারণ করতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মতো জার্মানিতেও বাংলা ভাষাভাষী মানুষ নানা কর্মসূচির আয়োজন করছেন৷ আলোচনা করছেন তাঁর সৃষ্টিশীলতার নানা দিক নিয়ে৷

ছবি: Mustafiz Mamun

সম্প্রতি জার্মানির ফ্রাঙ্কফুর্ট ও স্টুটগার্টসহ বেশ কিছু শহরে অনুষ্ঠিত হয়েছে প্রয়াত হুমায়ূন আহমেদ স্মরণে আলোচনা ও সাহিত্য সভা৷ এ বিষয়ে জার্মানিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মান্যবর মসুদ মান্নান ডয়চে ভেলের সাথে একান্ত সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘‘আমরা যে কয়েক হাজার বাংলা ভাষাভাষী মানুষ জার্মানির বিভিন্ন শহরে অবস্থান করছি তাদের মধ্যে যারা হুমায়ূন আহমেদের লেখা ও সাহিত্যকর্মের সাথে পরিচিত তারা অত্যন্ত ব্যথিত হয়েছে তাঁর এই অকাল মৃত্যুতে৷ গত সপ্তাহে তাই এই স্বনামধন্য লেখকের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে এবং তাঁর শিল্পকর্ম নিয়ে আলোচনা করতে ফ্রাঙ্কফুর্ট শহরে দু'টি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়৷ প্রথমটি ছিল প্রবাসী বাংলা ভাষাভাষীদের উদ্যোগে আয়োজিত৷ সেটি আয়োজন করেন সংগঠক বাবুল, হামিদুল খান এবং আবৃত্তিকার ফাহিম৷ সেখানে পশ্চিমবঙ্গের বাংলা ভাষাভাষী মানুষও হুমায়ূনের শিল্পকর্ম নিয়ে আলোচনায় অংশ নেন৷ এছাড়া দেশ সাংস্কৃতিক গোষ্ঠী আরেকটি অনুষ্ঠান করে এবং তারা আলোচনা সভার পাশাপাশি একটি সুন্দর সাময়িকী প্রকাশ করে যেটি হুমায়ূন আহমেদের স্মৃতির উদ্দেশ্যে উৎসর্গ করে৷''

জার্মানিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মান্যবর মসুদ মান্নানছবি: DW

বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী মহান ব্যক্তিত্ব হুমায়ূন আহমেদের অকাল মৃত্যুতে বাংলাদেশের সাহিত্য-সাংস্কৃতিক অঙ্গনের অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত মসুদ মান্নান বলেন, ‘‘আমি নিজে ব্যক্তিগতভাবে হুমায়ূন আহমেদের খুব ভক্ত৷ সত্তরের দশক থেকেই তাঁর প্রথম প্রকাশিত উপন্যাস ‘নন্দিত নরকে'র সাথে আমি পরিচিত৷ পাশাপাশি আমাদের দেশে বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনীর উপর খুব বেশি কিছু লেখা হয়নি৷ কিন্তু তিনি বাংলাদেশ হওয়ার পর যারা নিজেদের লেখনির মধ্য দিয়ে বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনীকে সুপ্রতিষ্ঠিত করেছেন মানুষের মনে, সেরকম একটি বই লিখেছিলেন সত্তরের দশকে৷ সেটির নাম ছিল ‘তোমাদের জন্য ভালোবাসা'৷ আমি নিজে তাই অন্তরের অন্তস্থল থেকে আমার প্রিয় লেখকদের একজন হুমায়ূন আহমেদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাচ্ছি৷''

প্রতিবেদন: হোসাইন আব্দুল হাই

সম্পাদনা: আরাফাতুল ইসলাম

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ