1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

জার্মানিতে ফিরেছেন ইউচেল

১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৮

তুরস্কের কারাগার থেকে মুক্ত হয়ে জার্মানিতে ফিরেছেন জার্মান-তুর্কি সাংবাদিক ডেনিস ইউচেল৷ প্রায় এক বছর বিনা অপরাধে কারাবাস করেছেন তিনি৷ তিনি ছাড়া পেলেও তাঁর আরো ছয় সতীর্থ সাংবাদিক তুরস্কে যাবজ্জীবন কারাভোগ করছেন৷

Türkei Freilassung von Deniz Yücel
ছবি: Getty Images/AFP/Y. Akgul

শুক্রবার সন্ধ্যায় বার্লিনে আসেন ইউচেল৷ এয়ারোওয়েস্টের একটি চার্টার্ড বিমানে করে বার্লিনের টেগেল বিমানবন্দরে এসে নামেন তিনি৷ তাঁর সতীর্থ ও বন্ধুরা তাঁকে স্বাগত জানান৷

ইউচেলের মুক্তি ও দেশে ফেরত আসা জার্মান সরকারের অনেকদিনের দাবি ছিল৷ এছাড়াও আরো পাঁচ জার্মান ও একশ'রও বেশি তুর্কি সাংবাদিক তুরস্কে কারাগারে অন্তরীন আছেন৷ 

তুরস্কের বার্তা সংস্থা আনাদোলু শুক্রবার প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে যে, যে ভবনে ইউচেলের মুক্তির রায় দেয়া হয়েছে, সেই একই ভবনে আরো ছয় জন সাংবাদিককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে৷

এর মধ্যে আহমেত আলতান, তাঁর ভাই মেহমেত আলতান ও নাজলি ইলিচাকের মতো নামকরা সাংবাদিকরা রয়েছেন৷

এদের বিরুদ্ধে ২০১৬ সালের জুলাই মাসে ব্যর্থ অভ্যুত্থানের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ আনা হয়েছে৷ একইসঙ্গে ঐ অভ্যুত্থানের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে এটাই কোনো ব্যক্তি বা ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে প্রথম রায়৷

জার্মানির বাঘা রাজনীতিকরা মনে করছেন যে, ইউচেলের মু্ক্তির মানে জার্মানি-তুরস্ক সম্পর্কে বিরাট ইতিবাচক পরিবর্তন এসেছে এমনটা ধারণা করার কোনো কারণ নেই৷ যদিও গেল এক বছর ধরে ইউচেলের কারাবাস নিয়ে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কের চরম অবনতি ঘটেছে৷

প্রেসিডেন্ট ফ্রাংক-ভাল্টার স্টাইনমায়ার, চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী জিগমার গাব্রিয়েল খুব সতর্কভাবে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন৷

‘‘আমি তাঁর জন্য খুশি, তাঁর স্ত্রী ও পরিবারের জন্য খুশি, কারণ তাঁরা এক বছর খুব কঠিন সময় পার করেছেন৷'' ম্যার্কেল বলেন৷ ‘‘আমি জানি যে তুরস্কের কারাগারে আরো অনেকেই আছেন যারা ইউচেলের মতো এতটা পরিচিত নন, তাদের মামলারও দ্রুত নিষ্পত্তি হবে এমনটাই আশা করছি৷''

পররাষ্ট্রমন্ত্রী গাব্রিয়েল দিনটিকে একটি শুভ দিন হিসেবে ঘোষণা করেন৷ তবে এই মুক্তির জন্য আঙ্কারার সঙ্গে কোনো চুক্তিতে যেতে হয়েছে এমন সন্দেহ নাকচ করে দেন তিনি৷

‘‘আমি নিশ্চয়তা দিতে পারি যে, এই মুক্তির বিনিময়ে কোনো চুক্তি করিনি৷'' সাংবাদিকদের মু্ক্তির ব্যাপারে তিনি আরো বলেন, ‘‘এখানেই শেষ নয়, বরং শুরু৷''

স্টাইনমায়ার আশা প্রকাশ করেন যে, এই মুক্তির ঘটনার মধ্য দিয়ে জার্মানি ও তুরস্কের সম্পর্কের উন্নতির দিকে যাওয়ার একটি পরিস্থিতি তৈরি হলো৷

সিডিইউ/সিএসইউ'র অন্য নেতাদেরও অনেকেই এই মুক্তিকে স্বাগত জানালেও তুরস্কের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন৷ তারা মনে করেন না যে, এখনই জার্মানি ও তুরস্কের সম্পর্ক ইতিবাচক মোড় নিয়ে নিয়েছে৷

এদিকে, ‘ফ্রি ডেনিস অ্যাসোসিয়েশন' নামক একটি অনলাইন প্লাটফর্ম থেকে শুক্রবার ফেসবুক ও টুইটারে ইউচেলের একটি ভিডিও প্রকাশিত হয়েছে৷ সেখানে ইউচেল বলেন যে, তাঁর গ্রেফতার ও মুক্তি কোনোটিই ‘বিচার ও আইনের সঙ্গে যুক্ত নয়'৷

‘‘মজার ব্যাপার হল, আমি এখনো জানি না কেন আমাকে এক বছর আগে গ্রেফতার করা হল, আর কেনই বা আজ ছেড়ে দেয়া হল৷'' ভিডিওতে বলেন ইউচেল৷ ‘‘আমার বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ দাখিল করা হয়নি৷''

তিনি পরিবার, বন্ধু, সতীর্থ ও জার্মান সরকারকে তাদের সমর্থনের জন্য ধন্যবাদ জানান৷

তবে ইউচেল অধ্যায় এখনো শেষ হয়নি৷ তুরস্কের রাষ্ট্রীয় আইনজীবীরা তাঁর বিরুদ্ধে ‘একটি জঙ্গি সংগঠনের পক্ষে প্রপাগান্ডা চালানোর' অভিযোগ এনেছেন৷

তারা ইউচেলের ১৮ বছরের কারাদণ্ডের আবেদন করেছেন৷

ইউচেলের জার্মানি ও তুরস্ক উভয় দেশেরই নাগরিকত্ব আছে৷ তিনি জার্মান দৈনিক ডি ভেল্টের সাংবাদিক৷ গত বছর ফেব্রুয়ারিতে তুরস্কের একটি পুলিশ স্টেশনে একটি প্রতিবেদনের বিষয়ে আলোচনার কথা বলে তাঁকে ডেকে আনা হয়৷

সেখানেই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়৷

ছাড়া পেলেন জার্মান-তুর্কি সাংবাদিক

01:24

This browser does not support the video element.

জেডএ/এসিবি (এএফপি, ডিপিএ, রয়টার্স)

 

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ