সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এবং অন্যান্য অনলাইন মাধ্যমে বন্যাদুর্গত এলাকা থেকে ৬০০ শিশুর মরদেহ উদ্ধারের গুজব ছড়িয়ে পড়েছে৷ কিন্তু এই গুজব ছড়ালো কিভাবে? ডয়চে ভেলে চেষ্টা করেছে এই গুজবের উৎস খুঁজে বের করার৷
বিজ্ঞাপন
প্রথমত এটা জেনে রাখা জরুরি যে, কোবলেনৎস পুলিশ মধ্য জুলাইয়ের বন্যায় ‘আর উপত্যকা' থেকে ৬০০ শিশুর মরদেহ উদ্ধারের খবরের কোনো ভিত্তি নেই বলে জানিয়েছে৷
ডয়চে ভেলেকে দেয়া এক লিখিত বক্তব্যে পুলিশের মুখপাত্র জানান, ‘‘যেসব এলাকায় বিশাল সংখ্যায় মরদেহ উদ্ধারের গুজব শোনা যাচ্ছে, সেসব জায়গায় এমন কোনো তথ্য আমরা পাইনি৷ অন্য কোনো এলাকাতেও এত বিপুল সংখ্যক মরদেহ পাওয়া যাওয়ার কথা আমাদের নজরে আসেনি৷ ‘চিন্তাভাবনা না করেই' অনলাইনে গুজব ছড়ানোর ব্যপারে জনগণকে সতর্কও করেছে পুলিশ৷
বন্যাপরবর্তী সংকট নিয়ে জার্মানিতে উদ্বেগ
02:58
পুলিশের কাছ থেকে পাওয়া সবশেষ তথ্য অনুযায়ী রাইনলান্ড-পালাটিনেট রাজ্যে ১৩৪ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে, এখনও নিখোঁজ রয়েছেন ৫৯ জন৷ পার্শ্ববর্তী নর্থরাইন-ওয়েস্টফালিয়া রাজ্যে ৪৭ জন মারা গেছেন৷ বেলজিয়ামেও মারা গেছেন ৪১ জন৷
গুজব ছড়াচ্ছে কোত্থেকে?
ডয়চে ভেলের অনুসন্ধানে জানা গেছে, একটি সংবাদের কিছু অংশ বিকৃত হয়ে এই গুজব ছড়াতে ভূমিকা রেখেছে৷ জার্মান টিভি চ্যানেল এনটিভির সকালের সংবাদ আয়োজনে একটি প্রতিবেদন প্রচার করা হয়৷ সেই প্রতিবেদনের ১৫ সেকেন্ডের একটি ক্লিপ কেটে অনলাইনে ছড়িয়ে দেয়া হয়৷ সেটিই পরবর্তীতে ভাইরাল হয়ে পড়ে৷
এই ভিডিও ক্লিপে দেখা যায় এক জার্মান প্রতিবেদক ধ্বংসস্তুপের সামনে দাঁড়িয়ে আছেন৷ ভিডিওতে তাকে বলতে শোনা যায়, ‘‘... এখনও লাইভ৷ একদিকে এটি একটি বেদনাদায়ক অভিজ্ঞতা৷ দূর থেকে ভেসে আসা শিশুদের মরদেহ নিজেদের বাড়িতে পেয়েছেন, এমন বাসিন্দাদের সঙ্গে আমরা কথা বলতে পেরেছি৷ অন্যদিকে প্রশ্ন হচ্ছে, বন্যা কি আরো হবে? তারা বলছেন...''৷ কথার মাঝখানেই ক্লিপটি শেষ হয়ে গেছে৷
বিস্তারিত তথ্যের জন্য এনটিভি এবং টিভি চ্যানেলটির মালিক আরটিএল ডয়েচলান্ড মিডিয়া গ্রুপের মুখপাত্রের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল ডয়চে ভেলে৷ তারা নিশ্চিত করেছেন যে ২২ জুলাই সকাল নয়টার সংবাদে প্রচারিত হওয়া প্রতিবেদনের একটি ক্ষুদ্র অংশ এটি৷ প্রতিবেদক উপস্থিত ছিলেন বন্যায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত অঞ্চলগুলোর একটি আল্টেনআর এর আল্টেনবুর্গে৷
সংবাদ প্রচারের কিছুক্ষণের মধ্যেই ভিডিও ভাইরাল হতে শুরু করে৷ নীচের স্ক্রিনশটটিতে দেখা যাচ্ছে ২২ জুলাই সকাল ১০:৫৫ তে ফেসবুকে এই ভিডিও পোস্ট করা হয়৷ তবে এই পোস্টে ৬০০ মৃতদেহের কোনো উল্লেখ ছিল না৷
বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে ষড়যন্ত্র তত্ত্ব
শুরুর দিককার পোস্টগুলোর সঙ্গে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে শুরু হওয়া চরম ডানপন্থি কিউআনোন আন্দোলনের সংযোগ স্পষ্ট৷ কিউআনোন সমর্থকরা মনে করেন, একটি বৈশ্বিক গ্রুপ শিশুদের মাটির নীচে বাংকার ও টানেলে আটকে রেখে তাদের ওপর গোপন ও প্রাণঘাতি পরীক্ষানিরীক্ষা চালাচ্ছে৷ এই ষড়যন্ত্র তত্ত্ব যারা প্রচার করেন, তারা মনে করছেন যে বন্যার কারণে মাটির নীচের পরীক্ষাগার থেকে শিশিদের মরদেহ ভেসে উঠেছে৷
এই ক্লিপের সঙ্গে ৬০০ সংখ্যাটি কোত্থেকে প্রচার হলো, তা শনাক্ত করা বেশ কঠিন৷ ডয়চে ভেলে পুরো প্রতিবেদনটি দেখেছে, কিন্তু সেখানে কোথাও এই সংখ্যার উল্লেখ করা হয়নি৷
এরপর দ্রুতই বিশ্বজুড়ে ভিডিও ক্লিপটি ছড়িয়ে পড়ে৷ ২৬ জুলাই ইউটিউবে ইংরেজি শিরোনাম দিয়ে এটি আপলোড করা হয়৷ ভিডিওর বর্ণনা অংশে দাবি করা হয় জার্মান রিপোর্টার ৬০০ শিশুর মরদেহ ভেসে আসার কথা বলে হয়েছে৷ অনেক ভিউয়ার প্রতিবেদনকের কথার সঠিক অনুবাদ মন্তব্যে লিখলেও সেগুলো তেমন একটা গুরুত্ব দেয়া হয়নি৷
জার্মানির যে বন্যা বাংলাদেশের কথা মনে করিয়ে দেয়
জার্মানিতে হঠাৎ বন্যায় প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ১৮০ জন মানুষ, এখনো নিখোঁজ দেড় শতাধিক৷ ১৪ জুলাইয়ের সেই বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত বাড নয়নার-আরভাইলার অঞ্চলের বর্তমান পরিস্থিতির কিছু ছবি তুলে এনেছেন ডয়চে ভেলের আরাফাতুল ইসলাম৷
ছবি: Arafatul Islam/DW
ক্ষতচিহ্ন সর্বত্র
জার্মানির বাডনয়নার-আরভাইলার অঞ্চলে গেলেই ছোট্ট একটি খাল চোখে পড়বে৷ ‘আর’ নামের সেই নদী বাংলাদেশের বিবেচনায় অবশ্য খাল বলাই শ্রেয়৷ সাধারণত ষাট বা সত্তর সেন্টিমিটারের বেশি পানি থাকে না৷ কিন্তু টানা কয়েকদিনের ভারী বর্ষণে হঠাৎ করে সেই নদীর পানি বেড়ে কয়েক মিটার৷ পাহাড়ের ঢাল বেয়ে ছুটে আসে সেই পানিতে লণ্ডভণ্ড হয়ে যায় আশেপাশের এলাকা৷ ছবিতে ‘আর’ নদীর উপরে একটি ভাঙা সেতু দেখা যাচ্ছে৷
ছবি: Arafatul Islam/DW
ভেঙ্গে গেছে ঘরবাড়ি, বিশেষ করে নীচের তলা
বাড নয়নার-আরভাইলার অঞ্চলের অনেক বাড়ি কয়েকশত বছরের পুরনো৷ সাধারণ সময়ে পর্যটকদের জন্য অন্যতম আকর্ষণীয় এই অঞ্চলের সেসব বাড়িঘর পানির তোড় সামলাতে পারেনি৷ সেখানকার অনেক পুরনো বাড়ি পানির ধাক্কায় ভেঙ্গে গেছে, কিংবা নীচের তলার সবকিছু পানিতে ভেসে গেছে৷ ছবিতে ক্ষতিগ্রস্ত একটি বাড়ির ভেতরের চিত্র দেখা যাচ্ছে৷
ছবি: Arafatul Islam/DW
উপড়ে গেছে ট্রেন লাইন, ভেঙ্গে গেছে রাস্তা
বাড নয়নার-আরভাইলারের মূল ট্রেনলাইনটি পানির চাপে পুরোপুরি নষ্ট হয়ে গেছে৷ কোথাও কোথাও রেল লাইনের চিহ্নও নেই৷ এমনকি রাস্তাও আর নদীতে বিলিন হয়ে গেছে৷ ছোট্ট নদীটিকে এখন বেশ বড় মনে হয়, যদিও পানি নেমে গেছে আগের মতোই অনেক নীচে৷
ছবি: Arafatul Islam/DW
রাস্তায় পড়ে আছে দামি গাড়ি
বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার রাস্তাঘাটে এখনো পড়ে আছে অনেক গাড়ি৷ হঠাৎ বন্যায় সেসব গাড়ি দুমড়েমুচড়ে গেছে৷
ছবি: Arafatul Islam/DW
নেই বিদ্যুৎ কিংবা পানির সংযোগ
১৪ জুলাই বন্যার পর এখনো সংশ্লিষ্ট অঞ্চলে বিদ্যুৎ ও পানি সরবরাহ ব্যবস্থা চালু করা যায়নি৷ বরং যেভাবে বিদ্যুৎ ও পানি সরবরাহ ব্যবস্থা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তা পুনরায় কবে চালু করা যাবে তা নিয়েও অনিশ্চয়তা রয়ে গেছে৷ তবে, সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগে সেখানে সব বাড়ির সামনে সাময়িক পানি কন্টেইনার বসানো হয়েছে৷ গাড়িতে করে পানিভর্তি সেসব কন্টেইনার নিয়ে যাওয়া হয়৷
ছবি: Arafatul Islam/DW
বিকল্প ব্যবস্থা জেনারেটর
বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থা চালু না থাকলেও অনেক বাড়িতেই জেনারেটর চালু করা হয়েছে৷ এসব জেনারেটর থেকে উৎপাদিত বিদ্যুৎ দিয়ে ঘরবাড়ির ময়লা আবর্জনা পরিষ্কারসহ অন্যান্য কাজ করা হচ্ছে৷
ছবি: Arafatul Islam/DW
বড় চ্যালেঞ্চ আবর্জনা পরিষ্কার
বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় হাজার হাজার টন ময়লা আবর্জনা সৃষ্টি হয়েছে যা না সরালে সংস্কার কার্যক্রম পরিচালনা করা কঠিন৷ আপাতত তাই বড় বড় ট্রাকে করে ময়লা আবর্জনা সরাতেই ব্যস্ত অনেকে৷
ছবি: Arafatul Islam/DW
সহায়তায় সেনাবাহিনী
আরভাইলার অঞ্চলে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তায় সেনাবাহিনীও নিয়োগ করা হয়েছে৷ সেনা সদস্যরা এলাকাটি পরিষ্কারে সহায়তার পাশাপাশি বিভিন্ন গাড়িতে তেলও ভরে দিচ্ছে বিনামূল্যে৷
ছবি: Arafatul Islam/DW
সময় লাগবে অনেক
বাংলাদেশের মতো দেশগুলো এরকম বন্যার সঙ্গে পরিচিত হলেও জার্মানিতে গত অর্ধশতকে এরকম বন্যা দেখা যায়নি৷ শীতপ্রধান এই দেশটিতে এমন প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণ হিসেবে জলবায়ু পরিবর্তনকে দায়ী করছেন বিশেষজ্ঞরা৷ জার্মানিতে এখন ঘনঘন দীর্ঘ সময় ধরে অবিরাম ভারী বৃষ্টিপাত হচ্ছে যা অতীতে দেখা যায়নি৷
ছবি: Arafatul Islam/DW
বড় ক্ষতির মুখে ওয়াইন উৎপাদকরা
জার্মানির বাড নয়নার-আরভাইলার এলাকা ওয়াইনের জন্য বিখ্যাত৷ সেখানকার পাহাড়ে আঙ্গুর চাষ করা হয়৷ বন্যার কারণে ওয়াইন উৎপাদকরা বড় ক্ষতির মুখে পড়েছেন৷ যেসব ওয়াইনের বোতল উদ্ধার করা হয়েছে সেগুলো বিক্রি করে ক্ষতি পোষানোর চেষ্টা করছেন অনেকে৷
ছবি: Arafatul Islam/DW
মানুষ মানুষের জন্য
বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় জার্মানির বিভিন্ন অঞ্চল থেকে সাধারণ মানুষ গিয়ে স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে কাজ করছেন৷ কেউ কাজ করছেন সংগঠনের ব্যানারে, কেউবা একান্তই ব্যক্তি উদ্যোগে৷ তারা ময়লা আবর্জনা পরিষ্কারের পাশাপাশি বাড়ি বাড়ি খাবার এবং পানীয়ও পৌঁছে দিচ্ছেন৷
ছবি: Arafatul Islam/DW
গরম খাবারের আয়োজন
বাড নয়নারে গরম খাবারের আয়োজন করেছেন একদল স্বেচ্ছাসেবী৷ সেখানে কাজ করা প্রীতি জানান, প্রতিদিন ছয়হাজারের মতো মানুষকে গরম খাবার সরবরাহ করছেন তারা৷
ছবি: Arafatul Islam/DW
যার যা প্রয়োজন নিয়ে যাচ্ছেন
রাস্তার পাশে নিত্যপ্রয়োজনীয় বিভিন্ন সামগ্রী সাজিয়ে রাখা হয়েছে৷ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তরা সেখান থেকে নিজেদের প্রয়োজনমত জিনিসপত্র নিয়ে যেতে পারছেন৷
ছবি: Arafatul Islam/DW
চালক, আরোহীদের জন্য পানীয়
বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার রাস্তায় দাঁড়িয়ে এভাবে পানীয় সরবরাহ করছেন একদল স্বেচ্ছাসেবী৷
ছবি: Arafatul Islam/DW
মানুষ মানুষের জন্য
বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার মানুষের পাশে দ্রুত দাঁড়িয়েছেন অন্যান্য এলাকার মানুষেরা৷ এই কঠিন সময়ে সাধারণ মানুষের এই সহযোগিতায় কৃতজ্ঞ বাড নয়নার-আরভাইলার অঞ্চলের বাসিন্দারা৷ বিভিন্ন বাড়ির সামনে তাই তারা ধন্যবাদ সূচক বিভিন্ন ব্যানার টাঙ্গিয়েছেন৷
ছবি: Arafatul Islam/DW
পর্যটকরা ফিরবেন কবে?
বাড নয়নার-আরভাইলার অঞ্চল অনেকটাই পর্যটন নির্ভর৷ প্রতিবছর লাখ লাখ মানুষ সেখানে হাইকিং করতে কিংবা ওয়াইন পরখ করতে যান৷ তবে, পাহাড় ঘেরা এই অঞ্চলে পর্যটকরা আবার কবে যেতে পারবেন তা নিশ্চিত নয়৷ কেননা, বন্যার ক্ষতি মেরামতে আপাতত সেখানে স্বেচ্ছাসেবী, সাংবাদিক ও জরুরি সেবা প্রদানকারী ছাড়া অন্য কাউকে যেতে দেওয়া হচ্ছে না৷
ছবি: Arafatul Islam/DW
আরো দেখুন
জার্মানিতে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত বাড নয়নার-আরভাইলার অঞ্চল থেকে শুক্রবার ফেসবুকে একাধিক লাইভ করেছেন ডয়চে ভেলের সাংবাদিক আরাফাতুল ইসলাম৷ সেসব লাইভে সেখানকার পরিস্থিতি আরো বিস্তারিত দেখতে চাইলে ‘‘আরো+’’ লিংকে ক্লিক করুন৷
ছবি: Arafatul Islam/DW
17 ছবি1 | 17
বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভিডিওটির একই ধরনের বর্ণনা জাপানি, ডাচ এবং স্প্যানিশ ভাষাতেও খুঁজে পেয়েছে ডয়চে ভেলে৷ একটি টুইটে দাবি করা হয়, এই তথ্য জানানোর সময় নাকি রিপোর্টারকে থামিয়ে দেয়া হয়েছিল৷
কিন্তু শিশুদের মরদেহ সত্যিই পাওয়া গেছে, তাই না?
উদ্ধারকারীরা ধ্বংসস্তুপে মরদেহ খুঁজে পেয়েছেন, এনটিভিও দুটি জায়গায় এ বিষয় উল্লেখ করেছে৷ এর একটি হচ্ছে এই প্রতিবেদনে, অন্যটি আল্টেনআর এর এক পুলিশ কর্মকর্তার সাক্ষাৎকারে৷
এনটিভির প্রতিবেদক এই তথ্যের সূত্র হিসেবে কী ব্যবহার করেছে জানতে চায় ডয়চে ভেলে৷ উত্তরে এনটিভি জানায়, ‘‘কেউ কেউ আমাদের শিশুদের মৃত্যুর তথ্য জানিয়েছেন৷ একজন ছিলেন আল্টেনবুর্গের বাসিন্দা যিনি আমাদের প্রতিবেদকের কাছে বন্যার রাতের অভিজ্ঞতার বর্ণনা দেন৷ তার বিস্তারিত তথ্য প্রতিবেদনেই বলা রয়েছে৷''
‘সংবেদনশীল' বিষয় হওয়ায় শিশুর মরদেহ নিয়ে কোনো তথ্য জানাতে অপারগতা প্রকাশ করেছে কোবলেনৎস পুলিশ৷ তারা জানিয়েছে, ‘‘সম্মান প্রদর্শনের জায়গা থেকে আমরা মৃতদেহ ঠিক কোন জায়টগায় পাওয়া গেছে বা অন্য কোনো ব্যক্তিগত তথ্য দিতে পারছি না৷ কোনো তথ্য দিলে ছোট শহরগুলোতে মৃত ব্যক্তিদের চিহ্নিত করা অপেক্ষাকৃত সহজ হবে৷''
তথ্য বিশ্লেষণ করে সবশেষে এটা বলা যায় যে, জার্মানির বন্যাদুর্গত এলাকায় বিশাল সংখ্যায় শিশুদের মরদেহ উদ্ধারের তথ্য সঠিক নয়৷
সম্পাদকের নোট: ভুয়া সংবাদ আরো বেশি প্রচার হওয়া ঠেকাতে সোমাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার হওয়া পোস্টগুলোর লিংক এই সংবাদে যুক্ত না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ডয়চে ভেলে৷ একই কারণে নাম প্রকাশ না করে পোস্টগুলোর স্ক্রিনশট যুক্ত করা হয়েছে৷