1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

জার্মানিতে বারান্দায় সৌরবিদ্যুতের ব্যবহার বাড়ছে

৫ জুন ২০২৪

শুধু বিদ্যুৎ গ্রিডের উপর নির্ভরশীল না থেকে বাসার জ্বালানির একাংশ উৎপাদন করলে কেমন হয়? জার্মানিতে সরকারি উৎসাহে বারান্দায় সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদনের প্রবণতা বেড়েই চলেছে৷ বিনিয়োগের খরচও দ্রত উঠে আসছে৷

বার্লিনের একটি বাড়ির বারান্দা
জার্মানিতে বাসার বারান্দায় অনেকেই সৌর বিদ্যুৎ প্লান্ট বসাচ্ছেনছবি: Bernd Diekjobst/dpa tmn/picture alliance

জার্মানিতে বাসার বারান্দায় সৌর বিদ্যুৎ কেন্দ্রের আকর্ষণ বেড়েই চলেছে৷ ব্যালকনি সোলার প্লান্ট ছাদের উপর ফটোভোল্টাইক সিস্টেমের মতোই কাজ করে, তবে অনেক ছোট আকারে৷ সেটা বারান্দায় বসানো যায়, বারান্দার রেলিংয়ে ঝুলিয়ে দেওয়া যায়৷ তাছাড়া সাধারণ ব্র্যাকেটই ইনস্টলেশনের জন্য যথেষ্ট৷

ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে রোব্যার্ট ডিটরিশ প্রায় এমন একশো ইউনিট বসিয়েছেন৷ গোটা প্রণালী ব্যাখ্যা করে তিনি বলেন, ‘‘সাধারণত বারান্দার সিস্টেমে একটি বা দুটি সোলার মডিউল থাকে৷ সেই মডিউলের ক্রিস্টাল সূর্যের আলোকে ডিসি কারেন্টে রূপান্তরিত করে৷ এই ইনভার্টার ডিসি-কে সাধারণ বাসায় ব্যবহৃত এসি বিদ্যুৎ হিসেবে ব্যবহারের যোগ্য করে তোলে৷ তারপর আমি এই গ্রাউন্ডেড প্লাগ সকেটে ঢুকিয়ে দেই৷ তখন সেই শক্তি বাসায় ব্যবহার করা যায়৷ আমি তখন সোলার সিস্টেম ব্যবহার করে মিক্সার বা কেটলি চালাতে পারি৷''

বারান্দায় উৎপাদিত বিদ্যুৎ দ্রুত ব্যবহার করলে সরাসরি উপকার পাওয়া যায়৷ বাড়তি বিদ্যুৎ পাবলিক গ্রিডে চলে যায়৷ জার্মানির ফেডারেল নেটওয়ার্ক সংস্থার বিশেষজ্ঞদের মতে, এই সিস্টেমের মাধ্যমে অনেক অর্থ সাশ্রয় করা যায়৷ সংস্থার প্রতিনিধি পেটার স্ট্রাটমান বলেন, ‘‘কোনো বাসায় ভালো রৌদ্রোজ্জ্বল অবস্থানে দক্ষিণমুখী একটা বড় বারান্দা থাকলে ব্যালকনি সিস্টেম ব্যবহার করে ১৫ শতাংশ বিদ্যুৎ উৎপাদন করা যেতে পারে৷''

খুবই আকর্ষণীয় সম্ভাবনা বটে৷ কাগজেকলমে গোটা জার্মানি জুড়ে প্রায় চার লাখ বাসায় ব্যালকনি সিস্টেম চালু আছে৷ তবে পর্যবেক্ষকদের মতে, আসল সংখ্যা এর প্রায় দ্বিগুণ৷ ফাইনের ঝুঁকি থাকলেও অনেকে নিজেদের বারান্দার বিদ্যুৎকেন্দ্র নথিভুক্ত করেন নি৷ গোটা ইউরোপজুড়ে এমন প্রণালীর জনপ্রিয়তা বাড়ছে৷

সৌরতে ঝুঁকছে জার্মানি

04:09

This browser does not support the video element.

সমালোচকদের মতে, এই সব প্যানেল খুবই দৃষ্টিকটু৷ বিশেষ করে হেরিটেজ তকমাযুক্ত ভবনের জন্য একেবারেই উপযুক্ত নয়৷ ঠিকমতো ইনস্টল করা না হলে সেগুলি ভবনের বাইরের অংশের ক্ষতি করতে পারে অথবা নিরাপত্তার জন্য হুমকি হতে পারে৷ তবে বাড়ির মালিক না হয়েও ভাড়াটিয়া হিসেবে এমন প্যানেল ব্যবহারের পথ আরো সহজ হয়ে উঠেছে৷

বার্লিনে পদার্থবিদ হিসেবে অলিভার লাং সোলার সেল নিয়ে গবেষণা করতেন৷ এখন তিনি ব্যালকনি সিস্টেম বিক্রি করেন৷ তিনি বলেন, বেশিরভাগ মডেলই চীনে তৈরি৷ সবচেয়ে সস্তারগুলির দাম দেড়শো ইউরোর মতো৷ ক্রেতাদের জন্য সেই বিনিয়োগের দ্রুত সুবিধা আদায়ের সুযোগ রয়েছে৷ অলিভার বলেন, ‘‘নিজেই সবকিছু জোড়া দিলে, বেশি দামি ব্র্যাকেট না বেছে নিলে, সবচেয়ে সস্তার মডেল কিনলে এবং বাসায় বেশি সময় কাটালে তিন থেকে চার বছরের মধ্যে খরচ উঠে আসবে৷ চীনে তৈরি এমন মডেল বেশ কয়েক বছর নির্ভরযোগ্যভাবে চালু থাকে৷''

কিন্তু প্রশ্ন হলো, এর ফলে কি পরিবেশেরও সুবিধা হচ্ছে? কারণ ফোটোভোল্টাইক প্যানেল তৈরি করতেও তো অনেক জ্বালানির প্রয়োজন হয়৷ বাস্তবে কিন্তু এমন উদ্যোগ অবশ্যই সার্থক৷ কারণ দুই বছরের মধ্যেই সেগুলি এত জ্বালানি উৎপাদন করে, যা উৎপাদন, পরিবহণ ও বাতিল হওয়ার পর ফেলে দেওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় জ্বালানির সমান৷ তাছাড়া সোলার প্যানেল সামগ্রিকভাবে বেশ টেকসই হয়ে উঠেছে৷

কাটারিনা শানৎস/এসবি

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ