1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

‘না পুরুষ, না স্ত্রী'

৩১ অক্টোবর ২০১৩

ইউরোপে জার্মানিই প্রথম দেশ, যারা এভাবে জেন্ডার বা লিঙ্গ পরিচয়ের ক্ষেত্রে বার্থ সার্টিফিকেটে জায়গাটি খালি রাখার ব্যবস্থা করল – এর ফলে একটি ‘ইন্টারমিডিয়েট সেক্স' বা ‘মধ্যম লিঙ্গ' সৃষ্টি হতে পারে বলে বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা৷

Newborn babies lie in Hanoi Maternity Hospital in Hanoi,Vietnam, Monday, Oct. 29, 2007. Vietnam's preference for boys over girls is further tipping the balance between the sexes in Asia, already skewed by a strong bias for boys among Chinese and Indians. (AP Photo/Chitose Suzuki)
ছবি: AP

‘মধ্যম লিঙ্গ' ব্যাপারটা শুধু নথিপত্রে সীমাবদ্ধ থাকলে ক্ষতি ছিল না, কিন্তু ব্যাপারটা স্কুল অবধিও গড়াতে পারে – এই আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন ‘আইএলজিএ ইউরোপ' নামধারী একটি সমকামী অধিকার গোষ্ঠীর পলিসি ডাইরেক্টর সিলভান এজিয়াস৷ গোষ্ঠীটি স্ত্রী ও পুরুষ সমকামী, উভলিঙ্গ, ট্রান্সসেক্সুয়াল ও ইন্টারসেক্স গোত্রীয় মানুষদের অধিকার রক্ষায় সক্রিয়৷

এজিয়াস-এর বক্তব্য হলো: ‘‘স্কুলে ছেলেদের জন্য আলাদা টয়লেট আছে, মেয়েদের জন্য আলাদা টয়লেট থাকে৷ তাহলে ‘মধ্যম লিঙ্গের' শিশুরা যাবে কোথায়? ছেলেদের এবং মেয়েদের জন্য আলাদা খেলাধুলার ব্যবস্থা আছে – এছাড়া আরো অনেক কিছু৷ আইন তো সেটা বদলাচ্ছে না৷ আইন এই মধ্যম লিঙ্গের মানুষদের জন্য কোনো নিজস্ব জায়গা সৃষ্টি করছে না৷''

জার্মানি কেন এই পদক্ষেপ নিল, তার একাধিক ব্যাখ্যা আছে৷ এই প্রথম জার্মান আইনে স্বীকার করা হলো যে, এমন মানুষ আছে, যারা স্ত্রী-পুরুষের প্রথাগত আইনগত বিভাগগুলির কোনোটাতে পড়ে না৷ পয়লা নভেম্বর থেকে জার্মান পাসপোর্টে জেন্ডারের ক্ষেত্রে পুরুষের জন্য ‘এম' এবং মহিলাদের জন্য ‘এফ' ছাড়াও ‘এক্স' থাকতে পারবে৷

সমকামীদের বিয়ের ছবি (ফাইল ফটো)ছবি: picture-alliance/dpa

অন্যান্য ব্যক্তিগত নথিপত্রের ক্ষেত্রেও অনুরূপ ব্যবস্থা রাখা প্রয়োজন, বলছেন বিশেষজ্ঞরা৷ অপরদিকে বিবাহ কিংবা পার্টনারশিপ আইনের উপর এই সব পরিবর্তনের কি প্রভাব পড়বে, তা এখনও অজানা৷ জার্মানিতে বিবাহ হয় স্ত্রী-পুরুষের মধ্যে৷ উভয়ে একই লিঙ্গের হলে তাদের মধ্যে সিভিল পার্টনারশিপ রেজিস্ট্রি করা হয়৷ যেহেতু নতুন আইনটি শুধুমাত্র শিশুর জন্মের সময়ে আবদ্ধ, সেহেতু তার সংকীর্ণ পরিধিতে উভলিঙ্গ মানুষদের জটিল সমস্যাগুলির সমাধান করা পুরোপুরি সম্ভব হবে না, বলে বিশেষজ্ঞদের ধারণা৷

নতুন জার্মান আইনটির সেরকম কোনো উচ্চাকাঙ্খা ছিল না৷ উদ্দেশ্য ছিল: বাবা-মায়েরা যেন শিশুর জন্মের সঙ্গে সঙ্গে তার লিঙ্গ নির্ধারণ করতে, অথবা লিঙ্গ নির্দেশে সম্মতি দিতে বাধ্য না হন৷ বিশেষ করে সেটা যখন বহুক্ষেত্রেই শিশুর লিঙ্গের উপর তাৎক্ষণিক অস্ত্রোপচারে পর্যবসিত হতে পারে৷ এই পন্থায় বাবা-মা – এবং সম্ভবত শিশু – লিঙ্গ নির্ধারণের জন্য কিছুটা বেশি সময় পেলেও, অপরদিকে জন্ম থেকেই উভলিঙ্গ হিসেবে চিহ্নিত হওয়া এই সব শিশুর ভাগ্যে বহির্জগতে যে কি জুটবে, তা কারো জানা নেই৷

সমকামী অধিকার আন্দোলনকারী সিলভান এজিয়াস বলেন, লিঙ্গ সত্তা অধিকারের ক্ষেত্রে ইউরোপ পিছনে পড়ে রয়েছে৷ এ বছরের সূচনায় অস্ট্রেলিয়া ব্যক্তিবর্গকে তাদের ব্যক্তিগত নথিপত্রে নিজেদের উভলিঙ্গ হিসেবে চিহ্নিত করার অধিকার দেয়৷ এছাড়া অস্ট্রেলিয়ার বৈষম্য প্রতিরোধী আইনেও লিঙ্গ সত্তা যুক্ত করা হয়৷ সে তুলনায় জার্মানি একটি নিরপেক্ষ এথিক্স কাউন্সিলের ২০১২ সালের রিপোর্টের ভিত্তিতে আইনগত ব্যবস্থা নিল৷

জার্মানিতে প্রতি দেড় থেকে দু'হাজার শিশুর মধ্যে একটি উভলিঙ্গ হিসেবে জন্ম নেয়৷

এসি/জেডএইচ (এএফপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ