জার্মানিতে বিচারকদের স্বাধীনতা নিয়ে কোনো প্রশ্ন নেই৷ দেশটির সংবিধান বিচারকদের স্বাধীনতা নিশ্চিত করে৷ তাদের দায়বদ্ধতা শুধু আইনের প্রতি৷ কিন্তু তারপরও কি তাদের উপর কারো প্রভাব নেই?
বিজ্ঞাপন
জার্মানিতে জেলা বা রাজ্য আদালতগুলোতে বিচারক নিয়োগের প্রক্রিয়া সম্পর্কে ক'দিন আগে এক বিচারকের কাছে জানতে চেয়েছিলাম৷ তিনি যা জানালেন তাতে প্রক্রিয়াটি এরকম৷
সাধারণত একজন বিচারক হতে চাইলে তাকে আইন বিষয়ে উচ্চশিক্ষা নিতে হবে৷ খেয়াল রাখতে হবে নির্দিষ্ট কিছু পরীক্ষায় তিনি যেনো বেশ ভালো নম্বর পান৷ তাকে ‘ক্লার্কশিপ’ করতে হবে৷ এরপর নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী আবেদন করা যায়৷ একজন ব্যক্তির তিন থেকে পাঁচ বছরের কাজের অভিজ্ঞতার উপর ভিত্তি করে বিবেচনা করা হয় তাকে শুরুতেই স্থায়ী বিচারক হিসেবে নিয়োগ দেয়া হবে নাকি তিনি আইনজীবী হিসেবে নিয়োগ পাবেন৷
আমাকে তথ্য দেয়া বিচারকের বিস্তারিত পরিচয় জানানো যাচ্ছে না গোপনীয়তা বজায় রাখার স্বার্থে৷ জার্মান আইনের বিস্তারিত নানা দিক সরকারি বিভিন্ন ওয়েবসাইটেই রয়েছে৷ সেগুলো ঘাঁটাঘাটি করলে বিষয়টি নিয়ে আরো ধারণা পাওয়া যায়৷
জার্মানির সংবিধান, যেটি ‘বেসিক ল’ হিসেবে পরিচিত, সেখানে একজন বিচারক শুধুমাত্র সংবিধানের প্রতি দায়বদ্ধ এবং রায় প্রদানের ক্ষেত্রে তাকে অন্য কেউ প্রভাবিত করতে পারবে না বলে উল্লেখ রয়েছে৷
একজন বিচারক যেখানে কাজ শুরু করেন, পুরোটা সময় সেখানেই কাজ করবেন বলেও নিয়ম রয়েছে৷
বিচারকদের আলোচিত পর্যবেক্ষণ, রায়
বাংলাদেশ ও ভারতে বিচারকদের দেয়া পর্যবেক্ষণ ও রায় কখনও কখনও আলোচনার জন্ম দিয়েছে৷ এ বছরই ধর্ষণ মামলার শুনানির সময় ভারতের প্রধান বিচারপতির করা দুটি মন্তব্যের কারণে তার পদত্যাগের দাবি উঠেছিল৷
ছবি: bombayhighcourt.nic.in
বুকে হাত দেয়ার বিচার সম্ভব নয়!
গত জানুয়ারিতে ভারতের বম্বে হাইকোর্টের বিচারপতি পুষ্প গনেড়িওয়ালার দুটি পর্যবেক্ষণ আলোচনার জন্ম দিয়েছিল৷ তিনি বলেছিলেন, যৌন অপরাধের হাত থেকে শিশুদের নিরাপদ রাখার ‘পকসো’ আইনের সংজ্ঞা অনুযায়ী পাঁচ বছরের মেয়ে শিশুর হাত ধরা ও ট্রাউজারের চেন খোলা যৌন হেনস্থা নয়৷ এর কয়েকদিন আগে দেয়া আরেক পর্যবেক্ষণে তিনি বলেছিলেন, ১২ বছরের মেয়ের বুকে হাত দেয়ার ঘটনায় ত্বকে-ত্বকে স্পর্শ না হওয়ায় পকসো আইনে বিচার সম্ভব নয়৷
ছবি: bombayhighcourt.nic.in
স্থায়ী নিয়োগ হলো না
গনেড়িওয়ালার প্রথম পর্যবেক্ষণে স্থগিতাদেশ জারি করেছিল সুপ্রিম কোর্ট৷ গনেড়িওয়ালা এমন সময় ঐ পর্যবেক্ষণ দিয়েছিলেন যখন বিচারপতি হিসেবে তার নিয়োগ স্থায়ী করতে সুপ্রিম কোর্ট কলেজিয়াম সুপারিশ করেছিল৷ দ্বিতীয় পর্যবেক্ষণের পর সেই সুপারিশ বাতিল করে তাকে দুই বছরের জন্য নিয়োগের সুপারিশ করা হয়৷ তবে সরকার সেটিও কমিয়ে তাকে এক বছরের জন্য নিয়োগ দেয়৷
ছবি: Anil Dave/Dinodia Photo/imago images
রেইনট্রি হোটেলকাণ্ড
রেইনট্রি হোটেলে ধর্ষণ মামলার বিচার শেষে বৃহস্পতিবার সব আসামির খালাসের রায় দেন ঢাকার ৭ নম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক বেগম মোছা. কামরুন্নাহার৷ রায়ের পর গণমাধ্যমে খবর প্রকাশ হয় যে, রায় ঘোষণার সময় তিনি ধর্ষণের অভিযোগের ক্ষেত্রে ঘটনার ৭২ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলে পুলিশ যেন মামলা না নেয়, সেই নির্দেশনা দিয়েছেন৷ এরপর সমালোচনা হলে রোববার তার বিচারিক ক্ষমতা সাময়িকভাবে প্রত্যাহার করা হয়৷
ছবি: MAHMUD ZAMAN OVI/bdnews24.com
তবে লিখিত রায়ে যা আছে
মঙ্গলবার রাতে মামলার লিখিত রায় প্রকাশিত হয়৷ রায়ে বিচারক লিখেছেন, অনেক দিন পর মামলা হলে যৌন সহিংসতার প্রমাণ পাওয়া যায় না৷ মামলা করার সময় যদি বিষয়টি দেখা হয়, ৭২ ঘণ্টার মধ্যে যদি মেডিকেল পরীক্ষা করা হয় এবং ফরেনসিক পরীক্ষায় যদি প্রমাণ পাওয়া যায়, তাহলে ধর্ষণ মামলায় তা গুরুত্বপূর্ণ নথি বলে গণ্য হয়৷ তখন ধর্ষণ মামলার অভিযুক্ত ব্যক্তির বিচার নিশ্চিত করা যায় এবং ন্যায়বিচার সর্বোত্তমভাবে করা সম্ভব হয়৷
ছবি: bdnews24.com
ধর্ষককে ধর্ষিতাকে বিয়ের প্রস্তাব
গত মার্চে ভারতের প্রধান বিচারপতি শারদ বোবদে এক মামলার শুনানির সময় ধর্ষণের অভিযোগ ওঠা এক সরকারি কর্মচারীকে ধর্ষিতাকে বিয়ে করার প্রস্তাব দিয়েছিলেন৷ তিনি বলেছিলেন, ‘‘আপনি যদি তাকে বিয়ে করেন তাহলে আমরা সহায়তা করতে পারি৷ তা না হলে আপনি চাকরি হারাবেন, জেলে যাবেন৷’’ ঐ ব্যক্তি ১৬ বছর বয়সি ঐ মেয়েকে বেঁধে রেখে, মুখে কাপড় গুঁজে বারবার ধর্ষণ করেছিলেন বলে অভিযোগ উঠেছিল৷ এছাড়া হত্যারও হুমকি দিয়েছিল৷
ছবি: IANS
পদত্যাগ চেয়ে চিঠি
বোবদের (বামে) পদত্যাগের দাবি জানিয়ে লেখা এক চিঠিতে বলা হয়, ‘‘ধর্ষককে ধর্ষিতাকে বিয়ে করার প্রস্তাব দিয়ে আপনি, ভারতের প্রধান বিচারপতি, মেয়েটিকে এমন একজন নির্যাতনকারীর হাতে তুলে দিতে চেয়েছেন যে তাকে আত্মহত্যার পথে ঠেলে দিয়েছিল৷ তার হাতে আপনি মেয়েটিকে সারাজীবন ধর্ষণের জন্য তুলে দিতে চেয়েছেন৷’’ নারী অধিকার কর্মী ও বিভিন্ন সংস্থায় কর্মরত ব্যক্তিসহ পাঁচ হাজারের বেশি মানুষ ঐ চিঠিতে সই করেছিলেন৷
ছবি: IANS
দম্পতির মধ্যে যৌন মিলন কি ধর্ষণ?
প্রায় একই সময়ে আরেক মামলার শুনানিতে করা বোবদের (ডানে) আরেক বক্তব্যও আলোচনার জন্ম দেয়৷ বিবাহিত দম্পতির মধ্যে যৌন মিলন কখনও ধর্ষণের পর্যায়ে পড়ে কিনা সেই প্রশ্ন তুলেছিলেন তিনি৷ ‘‘স্বামী হয়ত বর্বর হতে পারেন৷ কিন্তু আপনি কি একজন বৈধভাবে বিবাহিত পুরুষ ও স্ত্রীর মধ্যে যৌন মিলনকে ধর্ষণ বলতে পারেন?’’ বোবদে পদত্যাগ করেননি৷ পরের মাসে স্বাভাবিক মেয়াদ শেষ করে তিনি অবসরে গিয়েছিলেন৷
ছবি: IANS
‘ময়ূর ব্রহ্মচারী পাখি, সেক্স করে না’
২০১৭ সালে ভারতের রাজস্থান হাইকোর্টের বিচারপতি মহেশচন্দ্র শর্মা তার শেষ কর্মদিবসে দেয়া নির্দেশনায় গরুকে জাতীয় পশু ঘোষণা ও গো-হত্যায় দোষী সাব্যস্তদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সুপারিশ করেছিলেন৷ পরদিন তার বিদায়ী সংবর্ধনা আনুষ্ঠানে বলেন, ‘‘অনেকেই জানেন না, সারাজীবন ব্রহ্মচারী থাকে ভারতের জাতীয় পাখি ময়ূর৷ তার চোখের জলের মাধ্যমেই সন্তানের জন্ম দেয় ময়ূরী৷ ভগবান শ্রীকৃষ্ণও ময়ূরের পালক মাথায় ধারণ করেছিলেন৷’’
ছবি: Reuters/T. Melville
বিচারক বদলাতে সরকারের প্রস্তাব
২০১৭ সালের স্বাধীনতা দিবসের আমন্ত্রণপত্রে দুই শিশুর আঁকা বঙ্গবন্ধুর ছবি ব্যবহার করেন বরিশালের আগৈলঝাড়ার তৎকালীন ইউএনও তারিক সালমন৷ এই ঘটনায় তার বিরুদ্ধে ‘বঙ্গবন্ধুর ছবি বিকৃত করে ছাপানোর’ অভিযোগে মামলা হলে সালমনকে কারাগারে পাঠান বরিশালের মুখ্য মহানগর হাকিম আলী হোসাইন৷ অবশ্য দুই ঘণ্টা পর তিনিই তার জামিন মঞ্জুর করেন৷ এই ঘটনায় আলী হোসাইনকে বদলির জন্য সুপ্রিম কোর্টে প্রস্তাব পাঠিয়েছিল সরকার৷
ছবি: bdnews24.com
হাস্যকর রায়?
২০১৭ সালে খুলনায় এক অনুষ্ঠানে ছাগল বিতরণ করেন প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ৷ পরে ফেসবুকে স্থানীয় সাংবাদিক আব্দুল লতিফ মোড়ল লেখেন, ‘প্রতিমন্ত্রীর সকালে বিতরণ করা ছাগলের রাতে মৃত্যু’৷ পোস্টে প্রতিমন্ত্রীর ছবি ব্যবহার করায় তার মানহানি হয়েছে এই অভিযোগে মামলা হলে লতিফকে কারাগারে পাঠান সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালত ‘খ’ অঞ্চলের বিচারক নুসরাত জাবিন৷ একদিন পর তিনি তাকে জামিন দেন৷
ছবি: picture alliance/AP/The Flint Journal,Jake May
10 ছবি1 | 10
আপাতদৃষ্টিতে এই প্রক্রিয়া পানির মতো স্বচ্ছ মনে হলেও আসলে পুরোপুরি নিঁখুত বলে কিছু নেই৷ যেমন ‘বেসিক ল’-তে যা উল্লেখ আছে তার ব্যাখ্যা একেকজন একেক রকম দিতে পারেন৷ বিচারকদের সেরকম কোনো ব্যাখ্যা যদি প্রকৃতঅর্থে সংগতিপূর্ণ মনে না হয় কিংবা যদি মনে হয় তিনি ইচ্ছাকৃতভাবে আইনের বাইরে গিয়ে কিছু করছেন সেক্ষেত্রে করণীয় কী?
বিচারকদের জবাবদিহি এবং স্বচ্ছতা নিশ্চিতের জন্য জার্মানির বিচার বিভাগের নিজস্ব অভ্যন্তরীণ কাঠামো রয়েছে৷ সেখানে একজন রাজ্য পর্যায়ের বিচারকের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ উঠলে তা তদন্ত করা হয় এবং সে অনুযায়ী ব্যবস্থাও নেয়া হয়৷ কাঠামোটি এমন যে তাতে বাইরের কোনো পক্ষের অর্থাৎ আইনপ্রণেতাদের হস্তক্ষেপের সুযোগ নেই৷
বরং যে বিচারকের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে তিনি যাতে সুবিচার পান তা নিশ্চিত করা হয় বিভিন্ন ধাপে৷ বিষয়টি জার্মানির সর্বোচ্চ আদালত, যেটিকে সাংবিধানিক আদালত বলা হয়, সেখানেও গড়াতে পারে৷ সাংবিধানিক আদালত শুধুমাত্র সংবিধানের আলোকে রায় দিয়ে থাকে৷
সেই আদালতের রায়ও যদি কারো পছন্দ না হয়, তাহলে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) বিচার আদালত এবং মানবাধিকার আদালতেও বিষয়টি নিয়ে যাওয়ার সুযোগ রয়েছে৷ জার্মানি যেহেতু ইইউর সদস্য, তাই এই দুই আদালত চাইলে দেশটির সর্বোচ্চ আদালতের রায় রিভিউ করতে পারে এবং সেই রায় বাতিলও করতে পারে৷
আইনপ্রণেতাদের কি তাহলে কোনো প্রভাব নেই?
মোটা দাগে জার্মানির বিচার বিভাগ নিজস্ব বিষয়াদি নিজেরাই সুরাহা করতে সক্ষম, এক্ষেত্রে বাহ্যিকভাবে প্রভাব বিস্তারের সুযোগ নেই৷ তবে, ইউরোপের শক্তিশালী গণতন্ত্রের এই দেশটি জনগণের ইচ্ছার প্রতিফলন সর্বত্র ঘটাতে চায়৷ তাই বিচারক নিয়োগের দু'টি পর্যায়ে সুনির্দিষ্টভাবে আইনপ্রণেতা, অর্থাৎ জনগণের প্রতিনিধিদের অংশ নেয়ার সুযোগ রয়েছে৷
প্রথমত, রাজ্যপর্যায়ে বিচারকদের নিয়োগ প্রক্রিয়া চূড়ান্ত করে জুডিশিয়ারি কাউন্সিল৷ এই কাউন্সিলগুলো নির্ধারণ করে কাকে বিচারক হিসেবে নিয়োগ দেয়া হবে কিংবা কাকে পদোন্নতি দেয়া হবে৷ অধিকাংশ কাউন্সিলে সদস্যদের মধ্যে রাজ্য সংসদের সাংসদরা রয়েছেন৷ অর্থাৎ তারা একজন বিচারকের নিয়োগ ও পদোন্নতির ক্ষেত্রে প্রভাব রাখতে পারেন৷
দ্বিতীয়ত, জার্মানিতে প্রধান বিচারপতি বলে কেউ নেই, বরং জার্মানির সর্বোচ্চ আদালত সাংবিধানিক আদালতের বাইরে আরো পাঁচটি কেন্দ্রীয় আদালত রয়েছে যেগুলো সুনির্দিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ের বিচার করে৷ এসব আদালতের বিচারক নির্বাচিত হয় ৩২ সদস্যের কমিটির মধ্যে গোপন ভোটাভুটির মাধ্যমে৷ এই ৩২ সদস্যের মধ্যে ১৬ জন হচ্ছেন ১৬টি রাজ্যের বিচারমন্ত্রী এবং অন্য ১৬ জন জার্মান সংসদ বুন্ডেসটাগের নির্ধারিত প্রতিনিধি৷ এই প্রতিনিধিরা আইনপ্রণেতা নাও হতে পারেন তবে তাদের আইন বিশেষজ্ঞ হতে হবে৷
সর্বোচ্চ আদালতের বিচারক নিয়োগ নিয়ে বিতর্ক
সাংবিধানিক আদালতের বিচারক করা হবেন তা গোপনে নির্ধারণ করেন ১২ জন সংসদ সদস্যের এক কমিটি৷ সর্বোচ্চ আদালতের বিচারক নিয়োগের এই প্রক্রিয়া নিয়ে জার্মানিতে যথেষ্ট বিতর্ক রয়েছে৷ দেশটির আইন বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, এই প্রক্রিয়া অসাংবিধানিক কিনা তা নিয়ে পর্যাপ্ত গবেষণা এখনো করা হয়নি৷
দেখা যায় এই প্রক্রিয়ায় জার্মানির সংসদে সব থেকে বেশি প্রতিনিধিত্ব থাকা বড় দলগুলো জার্মানির সর্বোচ্চ আদালতের বিচারক নিয়োগের ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখতে পারছে৷ কখনো কখনো সব যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও শুধুমাত্র সমর্থনের অভাবে সব বিবেচনায় ভালো বিচারকরাও সর্বোচ্চ আদালতে নিয়োগ পান না৷
অর্থাৎ বিচারক নিয়োগের ক্ষেত্রে আইনপ্রণেতারা ভালোই ভুমিকা রাখতে পারেন৷ কিন্তু নিয়োগের পর বিচারকের স্বাধীনতায় যাতে তাদের হস্তক্ষেপ না থাকে সেজন্য আরো একটি স্তর রয়েছে জার্মানিতে৷
সর্বোচ্চ আদালতে একজন বিচারককে ১২ বছরের জন্য নিয়োগ দেয়া হয়৷ আর জার্মান সংসদের মেয়াদ হয় চার বছরের৷ তাই সরকার বদলের সঙ্গে সঙ্গে বিচারক বদলানো যায় না৷ আর একজন বিচারকের অভিশংসন সংসদের পক্ষে করা দৃশ্যত সম্ভব হলেও কার্যত প্রায় অসম্ভব৷