1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বিতর্কিত ‘গ্র্যুনার পুংক্ট’

গ্যুনটার বির্কেনস্টক / আরবি১৬ জুলাই ২০১৩

২০ বছরেরও বেশি সময় ধরে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার অংশ ‘গ্রিন পয়েন্ট’৷ ইইউ’র এই ব্যবস্থা ইতিমধ্যে মডেল হয়ে দাঁড়িয়েছে৷ অথচ এখন, জার্মানির স্থানীয় প্রশাসন এই কাজের দায়িত্ব বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে নিজের হাতে নিয়ে নিতে চাইছে৷

Ein Mitarbeiter in der Jakob Becker Entsorgungs GmbH in Worms stapelt am 16. Juni 1993 gelbe Säcke mit Kunststoff-Abfällen auf eine riesige Halde. In der Firma können Abfallstoffe aus Kunststoffen und Verbundstoffen durch ein neuartiges Verfahren recycelt werden. 1993 werden vielerorts im Bundesgebiet die sogenannten "gelben Säcke" oder Mülltonnen mit gelben Deckel ausgegeben, in denen die Bürger im Rahmen des Dualen Systems Verpackungsmüll mit dem "Grünen Punkt" sammeln sollen. Zu den Kunststoff- Verbund- und Metallverpackungen zählen z.B. Joghurtbecher, Milch- und Safttüten, Dosen und Plastikflaschen. Die Sammlung von sogenanntem Wertmüll ist bundesweit heftig umstritten, da sie nicht zur Müllvermeidung beiträgt.
ছবি: picture-alliance/dpa

‘গ্রিন পয়েন্ট'-এর ধারণা, লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নিয়ে প্রায়ই বিতর্ক হয়ে থাকে৷ এবার জার্মানির স্থানীয় পানি, বিদ্যুৎ ও গ্যাস সরবরাহ সংস্থা (ভিকেইউ) এতদিনের চালু থাকা বর্জ্য পৃথকীকরণ, সংগ্রহ ও প্রক্রিয়াজাতকরণের পদ্ধতিকে পাল্টাতে চায়৷ কারণ, জার্মান নগর কর্তৃপক্ষ ও পৌরসভাগুলো এখন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ও প্রক্রিয়াজাতকরণের এ দায়িত্ব নিজ হাতে নিতে আগ্রহী৷

১৯৯১ সাল থেকে চালু

১৯৯১ সালে গৃহীত জার্মান প্যাকেজিং নীতিমালার সময় থেকেই গ্রিন পয়েন্ট ব্যবস্থা চালু রয়েছে৷ কেন্দ্রীয় সরকারের তৎকালীন পরিবেশমন্ত্রী ক্লাউস ট্যোপফার-এর সময় এই নীতিমালা গৃহীত হয়৷ এর আওতায় পণ্য উৎপাদনকারী ও সরবরাহকারীদের ওপর তাদের ব্যবহৃত প্যাকেট পুনরায় কাজে লাগাবার জন্য ফেরত নেওয়ার বাধ্যবাধকতা আরোপ করা হয়৷ এর ফলে, প্যাকেট-বর্জ্য থেকে নবায়নযোগ্য উপাদানগুলো আলাদা করে প্রক্রিয়াজাত করার ব্যবস্থা করা হয়৷ এর আগে এইগুলি আবর্জনা ফেলার নির্দিষ্ট স্থানে নিয়ে মাটির নীচে পুঁতে ফেলা হতো৷ ফলে বর্জ্যকে আবার ব্যবহার করা যেত না৷ অন্যদিকে এই নীতিমালা কার্যকর হওয়ার পর থেকে গ্লাস, কাগজ ও প্লাস্টিককে আবারো ব্যবহার উপযোগী করে তোলা হচ্ছে৷ এর ফলে শুধুমাত্র পরিবেশই যে পরিচ্ছন্ন হচ্ছে তাই নয়, একই সাথে দামি কাঁচামাল আমদানি করার ওপর জার্মানির নির্ভরশীলতা কমেছে৷

১৯৯১ সালে গৃহীত জার্মান প্যাকেজিং নীতিমালার সময় থেকেই গ্রিন পয়েন্ট ব্যবস্থা চালু রয়েছেছবি: picture-alliance/dpa

শুরুতে একচেটিয়া বাজার

প্যাকেজিং নীতিমালা বাস্তবায়নের কিছু দিন আগে ডুয়াল সিস্টেম জার্মানি বা ডুয়ালে সিস্টেম ডয়চল্যান্ড (ডিএসডি) খুচরা ও ভোগ্য পণ্য শিল্পপ্রতিষ্ঠান গড়ে তোলে৷ এই প্রতিষ্ঠান ‘গ্রিন পয়েন্ট' ব্যবস্থা চালু করে৷ তবে এই সবুজ বিন্দু শুধু কৌটা, দৈ-এর কাপ এবং দুধের প্যাকেটের গায়ে দেখা যায়৷ পণ্য উৎপাদনকারী ও বিপণনকারীরা নিজেদের প্যাকেটের গায়ে পরিবেশ বান্ধব এই চিহ্ন ছাপাতে চাইলে তাদের ‘লাইসেন্স ফি' জমা দিতে হয়৷ সেই থেকে ভোক্তাদের নতুন অভ্যাস চালু হয় – তা হলো বর্জ্য পৃথকীকরণ৷

বর্তমানে প্যাকেজিং বর্জ্য হলুদ কন্টেইনার, হলুদ ব্যাগ কিংবা গ্লাস ও কাগজের জন্য নির্ধারিত কন্টেনারে আলাদাভাবে ফেলা হয়৷ ডিএসডি তাদের নির্ধারিত কোম্পানিকে এসব নবায়নযোগ্য বর্জ্য সংগ্রহ করার দায়িত্ব দেয়৷ প্রথমদিকে, ডিএসডি গোটা জার্মানি জুড়ে এক্ষেত্রে একচেটিয়া বাজার নিয়ন্ত্রণ করে৷ এরপর ২০০৪ সালে বুন্ডেসকার্টেলআমট বা কেন্দ্রীয় বাণিজ্য জোট স্থাপিত হয়৷ ইতিমধ্যে প্যাকেজিং বর্জ্য ব্যবস্থাপনার কাজে ১০ টি প্রতিষ্ঠান যুক্ত হয়েছে৷

বিধি-বিধানেও রিসাইক্লিং-এর দাবি

জার্মানির স্থানীয় পানি, বিদ্যুৎ ও গ্যাস সরবরাহ সংস্থা (ভিকেইউ)-এর ভাইস-প্রেসিডেন্ট পাট্রিক হাসেনকাম্প বলেন, ‘‘ডিএসডি প্যাকেজিং নীতিমালা প্রণয়নের শুরু থেকেই ক্লিয়ারিং-এর কাজ করেছে৷ তারা লাইসেন্স ফি নিয়েছে এবং লাইসেন্স দিয়েছে৷'' এছাড়া তারা নিজেদের অর্থনৈতিক লাভের দিকে বেশি দৃষ্টি দিয়েছে এবং মোটা অঙ্কের লাভ করছে৷ এর ফলে রিসাইক্লিং-এর মান উপেক্ষিত থেকেছে৷ ভোক্তাদের খরচও করতে হচ্ছে অনেক বেশি৷

বর্তমানে প্যাকেজিং বর্জ্য হলুদ কন্টেইনার, হলুদ ব্যাগ কিংবা গ্লাস ও কাগজের জন্য নির্ধারিত কন্টেনারে আলাদাভাবে ফেলা হয়ছবি: picture-alliance/dpa

বর্জ্য ব্যবস্থাপনার এই কাজটি বেসরকারি সংস্থা ডিএসডি-র বদলে একটি পৃথক কর্তৃপক্ষের হাতে দেওয়ার প্রস্তাব করেন হাসেনকাম্প৷

প্রতিযোগিতা ও কর্মদক্ষতা

ডিএসডি-র মুখপাত্র নর্ব্যার্ট ফ্যোল এই সমালোচনাকে অযৌক্তিক বলে মন্তব্য করেন৷ তিনি বলেন, কোনো বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের লাভ নিয়ে কেউ সমালোচনা করতে পারেনা৷ এছাড়া বিগত বছরগুলোতে প্রতিযোগিতার মাধ্যমে সাধারণ মানুষের খরচের হার ক্রমাগত কমানো হয়েছে৷ ফ্রান্সের দিকে একবার দৃষ্টি দিলেই সহজে বোঝা যায় যে, পৌরসভা প্যাকেজিং বর্জ্য ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব নিলে কোনোভাবেই খরচ কমতে পারে না৷ তাঁর ভাষায়, ‘‘ফ্রান্সে প্যাকেজিং বর্জ্য খুব অল্প পরিমাণে সংগৃহীত হয় এবং খরচও অনেক, এমনকি কোনো কোনো ক্ষেত্রে জার্মানির চেয়েও বেশি৷ কারণ সেখানে কর্মদক্ষতা এবং কার্যকারিতার নিয়ন্ত্রণ নেই৷'' ফলে পৌরসভাগুলো যদি এই বর্জ্য রিসাইক্লিং-এর দায়িত্ব গ্রহণ করে জার্মানিতেও একই অবস্থা সৃষ্টি হবে বলে আশঙ্কা ব্যক্ত করেন ফ্যোল৷

ইইউ জুড়ে ‘গ্রিন পয়েন্ট'

নর্ব্যার্ট ফ্যোল-এর দৃষ্টিতে, ‘গ্রিন পয়েন্ট'-এর সাফল্য অসাধারণ ৷ ইউরোপীয় ইউনিয়ন প্যাকেজিং বর্জ্য ব্যবস্থাপনার যে বিধান রেখেছে, জার্মানি তাঁর চেয়ে স্পষ্টই এগিয়ে গেছে৷ ইউরোপের অন্য কোনো দেশই প্যাকেজিং বর্জ্য ব্যবস্থাপনা এবং রিসাইক্লিং-এর কাজে এতটা অগ্রসর হতে পারেনি৷ ডিএসডির মুখপাত্র জোর দিয়ে বলেন, ‘‘জার্মানি এক্ষেত্রে স্বাভাবিকভাবেই অগ্রদূত''৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ