ঠিক ২০ বছর আগে, অর্থাৎ ১৯৯৩ সালের ২৯শে মে জার্মানির সোলিঙেন শহরে বিদেশিদের উপর উগ্র দক্ষিণপন্থিদের হামলার এক ভয়াবহ ঘটনা গোটা বিশ্বকে স্তম্ভিত করে দিয়েছিল৷ দুই দশক পরে জার্মানি আজ কোথায় দাঁড়িয়ে?
বিজ্ঞাপন
ভয়াবহ সেই দিনটির কথা মনে হলে আজও শিউরে ওঠেন সেচিল চাকিচি৷ ‘‘এই ঘটনার শিকার আমিও তো হতে পারতাম৷'' এইভাবে প্রকাশ করেন তিনি মনের কথা৷
‘‘আমরা আতঙ্কে মাটিন নীচে সেলারে লুকিয়েছিলাম৷ ঘটনার পর এক সপ্তাহ বাচ্চাদের স্কুলে আনা নেওয়া করতাম আমরা৷'' ২০ বছর পর সোলিঙেন শহরের সেই ভয়ানক ঘটনার স্মৃতি চারণ করে জানান আরেক জন, মাইডে কুলাক৷
ভয়াবহ দিনটি
সোলিঙেন ১৯৯৩ সালের ২৯ মে৷ অন্যান্য দিনের মতই একটি দিন ছিল গেঞ্চ পরিবারের জন্য৷ হঠাৎ রাতের আঁধারে আগুন লেগে তছনছ হয়ে যায় সব কিছু৷ তুর্কি বংশোদ্ভূত গেঞ্চদের বাড়িটিতে আগুন লাগিয়ে দেয় বর্ণবাদী সন্ত্রাসীরা৷ মর্মান্তিক ভাবে মারা যায় পাঁচ জন৷ এর আগে বেশ কিছুদিন ধরেই জার্মানির পূর্বাঞ্চলের বিভিন্ন শহরে নব্য নাৎসিদের তাণ্ডব ও হামলার কথা শোনা যাচ্ছিল৷ সোলিঙেন-এ আগুন লাগানোর মধ্য দিয়ে পশ্চিমাঞ্চলে এসে পড়ে বিদেশি বিদ্বেষের ঢেউ৷ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর বিদেশিদের ওপর জঘন্যতম হামলা ছিল সেটি৷
জার্মানির কোলন শহরে প্রবীণদের জীবনযাত্রা
জার্মানিতে অন্যান্য দেশের মতো বাড়ছে প্রবীণদের সংখ্যা৷তাঁরা কেন দীর্ঘজীবী হন, তাদের জীবনযাত্রা, তাঁদের জীবনের সফলতা আসার নানা গল্প জানিয়েছেন কোলনে একটি অভিজাত এলাকায় বসবাসকারী ইতিবাচক চিন্তার কয়েকজন প্রবীণ৷
ছবি: Nurunnahar Sattar
স্বাস্থ্য সচেতন ও ইতিবাচক চিন্তার মানুষ
প্রতিদিনের নাস্তায় অবশ্যই থাকে তাজা ফলের রস, রুটি, কফি ইত্যাদি৷ জো প্রতিদিন বাজারে যায়, লক্ষ্য তাজা ফল, সালাদ কেনা ছাড়াও বাড়ির বাইরে বের হওয়া এবং আশেপাশের লোকজনের খোঁজখবর রাখা৷
ছবি: Nurunnahar Sattar
রিটা এবং জো
আসল নাম মার্গারিটা৷ তবে আদর করে সবাই তাঁকে ডাকে রিটা নামে৷ আর তাঁর স্বামী ইউসেফকে ডাকে জো৷ এই দম্পতি অবসর জীবনেও থাকেন হাসিখুশি আর নানা কাজ নিয়ে ব্যস্ত৷ তরুণ বয়সে ইংল্যান্ড, অ্যামেরিকা, অস্ট্রেলিয়াতে বেশ কয়েক বছর কাটিয়েছেন৷ কোলন শহরের নামি দামি এলাকায় বহু বছর ছিল তাঁদের গহনার দোকান৷ আজকের এই অবস্থানে আসতে দু’জনে মিলে প্রচুর খেটেছেন৷
ছবি: Nurunnahar Sattar
হ্যাপি আওয়ার
জো এর বয়স ৮০৷ নিজ হাতে তৈরি করা বাড়ির সামনের সাজানো বাগানে গরমকালে প্রতিদিন বিকেল ৪টা থেকে ৬টা পর্যন্ত বসেন৷ আর অপেক্ষায় থাকেন তাদেরই মতো আরো কয়েকজনের জন্য৷ এঁরা মনে করেন, শারীরিক এবং মানসিকভাবে সুস্থ থাকার জন্য শুধু ভালো খাবার আর নিয়মিত চেকআপই যথেষ্ট নয়, চাই ভালো বন্ধুবান্ধব আর হাসিতামাশা৷
ছবি: Nurunnahar Sattar
মিলে মিশে থাকা
এই এলাকার প্রায় ৫০টি বাংলো বাড়ির কয়েকটি ছাড়া বাকিগুলোর মালিক কর্মজীবন থেকে অবসর নিয়েছেন৷ অর্থাৎ তাদের বয়স ৬৫’র ওপর৷ এঁদের মধ্যে বেশ কয়েকজন নিয়মিত এই আড্ডায় যোগ দেন, করেন খানিকটা মদ্যপান৷ এই অবসরপ্রাপ্ত ব্যবসায়ী, শিক্ষক, চিকিৎসক, প্রকোশলী ও চাকরিজীবীদের আলোচনার বিষয় পারিবারিক সুখ-দুঃখ থেকে বিশ্বের চলমান রাজনীতি পর্যন্ত৷
ছবি: Nurunnahar Sattar
রিটার দিন শুরু
দেখে বোঝার কোনো উপায়ই নেই যে তাঁর বয়স ৭৫৷ সকালে ঘুম থেকে উঠেই ব্যায়ামের মধ্য দিয়ে তাঁর দিনের শুরু৷ সবসময়ই ফিটফাট থাকেন৷ কি করে সম্ভব জানতে চাইলে বলেন, পুরনো অভ্যাস৷ একসময় তিনি নিজেদের ব্যবসা, দুটো সন্তান মানুষ করা এবং সংসারের সমস্ত কাজসহ নানা সামাজিক অনুষ্ঠানেও অংশ নিতেন৷ এই দম্পতির মতে জীবনে ‘ডিসিপ্লিন’ খুব বড় ব্যাপার৷
ছবি: Nurunnahar Sattar
সকালের নাস্তা
প্রতিদিনের নাস্তায় অবশ্যই থাকে তাজা ফলের রস, রুটি, কফি ইত্যাদি৷ জো প্রতিদিন বাজারে যায়, লক্ষ্য তাজা ফল, সালাদ কেনা ছাড়াও বাড়ির বাইরে বের হওয়া এবং আশেপাশের লোকজনের খোঁজখবর রাখা৷ কোন প্রতিবেশীর কি দরকার, কে ছুটিতে গেছে বা কোনো নতুন প্রতিবেশী এসেছে কিনা সব খবরই থাকে জো’র কাছে – যার দিনের অনেকটা সময় কাটে বাগান করে৷ আর হ্যাঁ, সপ্তাহে দু’দিন নিয়ম করে স্ত্রীর জন্য ফুল কিনতে ভুল হয়না তাঁর৷
ছবি: Fotolia/kab-vision
হাসিখুশি মারিয়ানা
পেশায় ছিলেন স্কুল শিক্ষক৷ স্বামী মারা গেছেন বেশ কয়েক বছর আগে৷ নিজের গাছের যত্ন ছাড়াও প্রতিবেশীদেরও প্রয়োজনে নানা পরামর্শ দিয়ে থাকেন৷ শীতকালে এই প্রবীণ গ্রুপের ‘হ্যাপি আওয়ার’ আড্ডা বন্ধ থাকে বলে তখন বাইরে কোনো রেস্টুরেন্টে খেতে যাওয়া, কোনো থিয়েটার বা কনসার্টে যাওয়ার ব্যবস্থা করেন মারিয়ানা৷ উদ্দেশ্য একসাথে আনন্দ করা৷ তাঁর মতে সুস্থ থাকতে চাইলে ভাবের আদান-প্রদান খুবই জরুরি৷
ছবি: Nurunnahar Sattar
চাই মুক্ত বাতাস আর হাঁটাহাঁটি
শরীর ঠিক রাখতে হাঁটাহাঁটি আর ফুসফুস ঠিক রাখতে মুক্ত বাতাস সেবন করেন প্রবীণরা৷ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর জার্মানদের আজকের এই অবস্থানে আসতে কত কষ্ট করতে হয়েছে তাঁরা তা খুব ভালোভাবেই জানেন৷ তাঁদের অনেকেরই তখন ঠিকমতো খাবার বা থাকার জায়গা ছিল না৷ অথচ এসব কথা এই প্রজন্মের জার্মানরা বুঝতে বা জানতে চায়না – একথা মাঝেমধ্যেই দুঃখ করে বলেন প্রবীণরা৷
ছবি: Fotolia/Fotowerk
বয়স কোনো বাধা নয়
এঁদের বয়স ৬৫ থেকে ৮৩ পর্যন্ত৷ সবাই নিজে গাড়ি চালান এবং পছন্দ করেন চালাতে৷ প্রায় সবাই কম্পিউটার চালাতে অভ্যস্ত৷ ছেলে-মেয়ে বা নাতি-নাতনির সাথে ইমেল বা ফেসবুকেও নিয়মিত যোগাযোগ রাখেন৷ তাঁরা বলেন, ‘সময়ের সাথে কিছুটা তাল মিলিয়ে চলা মানেই ব্রেনের সেলগুলোকে সজাগ রাখা৷’
ছবি: Fotolia/Rido
অসুখকে গুরুত্ব দিলেও মন খারাপ করেন না
বয়সের সাথে অসুখের সম্পর্ক নিবিড়, যা খুবই স্বাভাবিক৷ তাই বলে মন খারাপ নয়৷ অসুখের সময়ও এই প্রবীণ দল একে অন্যের দেখাশোনা করেন৷ ৭৮ বয়সি হান্সের ডায়াবেটিস খুব বেশি৷ কদিন আগে তিনি বাড়ির কাছেই তাঁর অত্যাধুনিক মডেলের ‘আউডি’ গাড়িটি অন্য একটি গাড়ির সঙ্গে লাগিয়ে দিয়েছিলেন৷ তাই এখন মেয়ে বলে দিয়েছে যে, তাঁর ‘গাড়ি চালানো বন্ধ’ – এ কথাই সেদিন হান্স ছলছল চোখে প্রবীণ বন্ধুদের বলছিলেন৷
ছবি: DW / N.Baeva
গান বাজনা
হস্ট অবসরপ্রাপ্ত ডাক্তার৷ শখ অ্যাকোর্ডিয়ান বাজানো আর ছবি আঁকা৷ প্রতিবেশীদের জন্মদিন বা কোনো উপলক্ষ্য হলেই হাতে তুলে নেন অ্যাকোর্ডিয়ান আর তালে তালে নেচে ওঠেন অন্যরাও৷ মজার ব্যাপার হলো, জন্মদিনের দাওয়াত দেবার সময় এঁরা বলে দেন, ‘‘কোনো উপহার নয়, আনন্দ ফুর্তি করার জন্য ‘মন’ নিয়ে এসো৷’’
ছবি: Nurunnahar Sattar
আনন্দ আর ধরেনা
এরকম হালকা আনন্দই বেচে থাকার প্রেরণা যোগায়
ছবি: Nurunnahar Sattar
পোশাককর্মীদের নিয়ে চিন্তা
বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ সব খবরই তাঁরা রাখেন৷ সম্প্রতি বাংলাদেশের পোশাক কারখানা রানা প্লাজা ধসে যাওয়ার খবরে তারা খুবই বিচলিত৷ পোশাক কর্মীদের বেতন অবশ্যই বাড়ানো উচিত বলে তাঁরা মনে করেন৷ তাঁদের মতে পোশাক প্রতি ১ ইউরো বেশি দেওয়া জার্মানদের পক্ষে মোটেই কঠিন নয়৷ তাই তাঁরা এর আশু সমাধান কামনা করছেন৷
ছবি: JEWEL SAMAD/AFP/Getty Images
তরুণদের প্রতি পরামর্শ
তরুণ বয়সই কাজ করার উপযুক্ত সময়, তাই নিজের বুদ্ধি আর শক্তিকে কাজে লাগাও৷ নিয়ম শৃঙ্খলা মেনে চলো এবং ইতিবাচক চিন্তা করো৷ ছোট বড় সবার প্রতি শ্রদ্ধাবোধ রাখো, প্রয়োজনে সাহায্য করো৷ জীবনে সমস্যা আসবেই, মোকাবেলা করো৷ সময়কে ভালোভাবে কাজে লাগাও, সাফল্য আসবেই আসবে৷ তরুণ বয়সে খাটলেই কেবল প্রবীণ বয়সে ভালো থাকা সম্ভব৷
ছবি: Nurunnahar Sattar
14 ছবি1 | 14
এই ঘটনার পর আশেপাশের তুর্কি পরিবাররা ভীত-সন্ত্রস্ত হয়ে পড়েন৷ দরজার নেমপ্লেটে তুর্কি নাম বদলে ফেলেন৷ বাচ্চাদের বাইরের কাপড় চোপড় পরিয়ে বিছানায় পাঠানোর অভ্যাস করেন৷ যদি দ্রুত পালাতে হয়৷ সবাই বাড়িতে অগ্নিপ্রতিরক্ষামূলক ব্যবস্থা নিয়ে মাথা ঘামাতে শুরু করেন৷ যাতে আগুন লাগলে তাড়াতাড়ি নেভানো যায়৷
আজও ভয় কাটেনি
আজ ঘটনার ২০ বছর পরও ভয় কাটেনি তাদের৷ সোলিঙেন-এর তুর্কি বংশোদ্ভূত মেয়েরা নিয়মিত দেখা সাক্ষাৎ করেন, করেন ভাবের আদান প্রদান৷ ‘‘এই আতঙ্ক নিয়ে তো বেশিদিন থাকা যায় না৷'' বলেন এই আসরের একজন সেচিল চাকিচি৷ মাথা নেড়ে সায় দেন আইলা উজুন৷ পেশাশিক্ষা স্কুলের শিক্ষিকা তিনি৷ স্থানীয় রাজনীতিতেও সক্রিয়৷ ঐ ঘটনার পর অভিবাসীদের মধ্যে যে প্রচণ্ড ভীতি বিরাজ করছিল, তা লক্ষ্য করেছেন তিনি৷ ‘‘আবার এরকম কিছু ঘটতে পারে, এই ভয়টি এখনও রয়ে গেছে৷'' জানান আইলা উজুন৷ কোথাও এই ধরনের দুর্ঘটনায় তুর্কি পরিবার জড়িত থাকলে আঁতকে ওঠেন আইলা৷ মনে মনে দোয়া করেন, ঘটনাটি যেন যান্ত্রিক কোনো গোলযোগ থেকে হয়, বর্ণবাদী আক্রমণ থেকে নয়৷
চাঞ্চল্যকর নব্য নাৎসি মামলার শুনানি শুরু হওয়ায় বর্ণবাদ ও বিদেশি বিদ্বেষের বিষয়টি আবার সামনে চলে আসে ভুক্তভোগীদের৷ উল্লেখ্য বিদেশি ও অভিবাসীদের হত্যায় মেতে উঠেছিল জার্মানির পূর্বাঞ্চল সুইকাউ শহরের তিন জার্মান নব্য নাৎসি, দু'জন তরুণ ও একজন তরুণী৷ সেই সাথে ব্যাংক ডাকাতিও চালাতো তারা৷ ১০ বছর পর ধরা পড়ে তাদের এই অপতৎপরতা৷ এতদিন কী করে তারা চোখের আড়ালে থাকতে পারলো তা বুঝে উঠতে পারেননা আইলা উজুন৷ ক্ষোভ প্রকাশ করে প্রশ্ন করেন তিনি, ‘‘কর্তৃপক্ষ কী করছিল, যারা আমাদের করের টাকায় চলে?''
নাগরিকত্বনিলেও বৈষম্য থাকে
অনেক দিন আগেই জার্মান নাগরিকত্ব নিয়েছেন আইলা উজুন৷ মাইডে কুলাকেরও আছে জার্মান পাসপোর্ট৷ ১২ বছর বয়সে জার্মানিতে এসেছেন তিনি৷ জার্মান ভাষাটা রপ্ত করার জন্য বাবা-মা প্রাইভেট শিক্ষকের কাছে পাঁচ বছর পড়িয়েছেন তাঁকে৷ প্রশিক্ষণ নিয়েছেন ওষুধের দোকানের সহকারী হিসাবে৷ তবু নিজেকে তিনি একজন মুসলমান জার্মান বলে মনে করেন মাইডে৷
আইলা উজুনও লক্ষ্য করেছেন, নাম, চেহারা, পোশাক আশাক, ধর্ম, ভাষা ইত্যাদির কারণে মানুষ কীভাবে বৈষম্যের শিকার হয়৷ ‘‘আমি নিজে কোনো হেজাব পরি না৷ কিন্তু কাউকে হেজাব দিয়ে বিচার করি না, যা এই সমাজের অনেকেই করে থাকে৷ তবে আমি যে কোনো কট্টরপন্থার বিরোধী৷ এ দেশে থাকতে হলে তো আমি আমার নামকে বদলাতে পারবো ন৷'' আক্ষেপ করে বলেন আইলা৷
নামের কারণে প্রত্যাখ্যান
সেচিল চাকিচির ছেলেকে এই নামের কারণেই বৈষম্যের শিকার হতে হয়েছে৷ সেচিল জানান, ‘‘আমার ছেলে পড়াশোনা শেষ করে চাকরির জন্য নানা জায়গায় আবেদন করেছিল৷ কিন্তু প্রত্যেক বারই প্রত্যাখ্যান পত্র পায়৷ যখন সে জার্মান নাম নিয়ে আবেদনপত্র পাঠালো, তখনই তাকে ইন্টারভিউর জন্য ডাকা হলো৷''
সোলিঙেনে ১৩০ জাতির লোকজন বসবাস করেন৷ ‘‘জার্মানিতে জন্ম নেয়া ৪০ শতাংশ ছেলেমেয়ে বিদেশি বংশোদ্ভূত৷'' আত্মবিশ্বাসী কণ্ঠে জানান তুর্কি মহিলা সমিতির আইলা উজুন৷ অভিবাসীদের সংখ্যা বাড়ছে এখানে৷ জার্মানিরও প্রয়োজন রয়েছে এই সব মানুষকে৷ কেননা দেশটিতে প্রবীণ জনগোষ্ঠীর সংখ্যা বাড়ছে টানাটানি চলছে কর্মক্ষম মানুষের৷ তাই এখনই চিন্তাভাবনা করতে হবে, কীভাবে জার্মানির সকল মানুষ মিলেমিশে থাকতে পারে৷ সবাই পরস্পরের পাশে এসে দাঁড়াতে পারে৷