সরকারের হিসেব বলছে, ১৯৯০ সালে জার্মানির পুনরেকত্রীকরণের পর গেল মে মাসে সবচেয়ে কম মানুষ কর্মহীন ছিলেন৷ কোম্পানিগুলো আগের চেয়ে অনেক বেশি লোক কাজে নিচ্ছে৷
বুধবার জার্মানির ফেডারেল লেবার এজেন্সি, বিএ প্রকাশিত পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, মে মাসে মাত্র ৫ দশমিক ২ শতাংশ মানুষ জার্মানিতে কর্মহীন ছিলেন৷ এপ্রিলের চেয়ে কমেছে ০ দশমিক ১ শতাংশ৷ অর্থাৎ সোয়া আট কোটি মানুষের দেশে মাত্র ২৩ লাখ কর্মহীন ছিলেন৷
সারা বিশ্বে জার্মান পণ্যের কদর বাড়ার কারণেই ইউরোপের এই পাওয়ার হাউজে বছরের পর বছর ধরে কাজ বাড়ছে এবং কমছে বেকারত্ব৷ মে মাসের পরিসংখ্যান বলছে বছরে প্রায় ১ লাখ ৮২ হাজার মানুষ নতুন কর্ম খুঁজে পাচ্ছেন৷ এই হার ১৯৯০ সালে জার্মানি পুনরেকত্রীকরণের পর সবচেয়ে কম৷
যেসব কারণে মানুষ চাকরি ছাড়ে
কোনো ভালো চাকরি থেকে যখন কাউকে বের করে দেয়া হয়, তাতে যেমন মানুষ ধাক্কা খায়, তেমনি বড় কোনো কোম্পানি যখন তার ভালো কোনো কর্মীকে হারায় তখন তাদেরও সমস্যা হয়৷ ছবিঘরে জানুন কখন মানুষ চাকরি ছাড়ে৷
ছবি: Fotolia
পদোন্নতি
মানুষ সবসময়ই চায় সামনে এগিয়ে যেতে, সে এক জায়গায় আটকে থাকতে চায় না৷ কোনো কোম্পানির অবস্থা দেখে যদি মনে হয় সেখানে কোনো পদোন্নতি বা বেতন বাড়ার সম্ভাবনা নেই এবং কাজেও কোনো রকমফের হবে না, সে অবস্থায় অনেকেই ঐ চাকরি ছাড়তে চায়৷
ছবি: Colourbox
সমস্যা
প্রতিটি অফিসেই কিছু না কিছু ঝামেলা থাকে৷ কখনো কখনো অতিরিক্ত চাপ থাকে৷ কিন্তু যদি দেখা যায় আপনি ভালো কাজ করছেন আর অফিস সেই সুযোগ বুঝে আপনার ওপর অতিরিক্ত কাজ চাপিয়ে দিচ্ছে, এ অবস্থায় আপনার মনে হতে পারে, কোম্পানি আপনার অসহায়ত্বের সুযোগ নিচ্ছে বা শোষণ করছে৷ এমন ভাবনা থেকে তখন আপনি হয়ত চাকরি ছেড়েই দেবেন৷
ছবি: picture-alliance/dpa/M.Wüstenhagen
চ্যালেঞ্জ
কাজে চ্যালেঞ্জ না থাকলে আনন্দ কোথায়? চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করলে বিজয়ের আনন্দ হয়৷ কিন্তু যদি কাজে একঘেয়েমি থাকে, কোন চ্যালেঞ্জ বা প্রতিযোগিতা না থাকে, তবে কর্মস্থল সন্তুষ্টির জায়গা হতে পারে না৷ এমন পরিস্থিতে চাকরি ত্যাগ করাই ভালো৷
ছবি: Colourbox
নিজের পরিচিতি
যখন কোম্পানি কর্মচারির স্বার্থ না দেখে কেবল নিজের স্বার্থ দেখে, তখন কর্মচারি ঐ অফিসের কাজে সন্তুষ্টি পায় না৷ তবে সবচেয়ে বেশি অসন্তুষ্টি তখনই আসে, যখন কাজের স্বীকৃতি মেলে না৷ এ অবস্থায় কর্মীরা চাকরি ছাড়তেই পারে৷
ছবি: Colourbox
পদমর্যাদা
প্রতিটা কোম্পানিতে একটা কাঠামো আছে৷ কিন্তু যেসব কোম্পানিতে অনেকগুলো পদ আছে এবং প্রত্যেকেই নিজেদের ক্ষমতার প্রদর্শন করতে চায়, সেখানে কাজ করাটা খুব মুশকিল৷ এমন অবস্থায় কর্মীরা বুঝতে পারেন সারাজীবন খেটেও উচ্চ পদমর্যাদায় পৌঁছানো যাবে না৷ অগত্যা চাকরি ত্যাগ৷
ছবি: Fotolia/Pixelwolf
5 ছবি1 | 5
পরিসংখ্যান প্রকাশের পর বিএ প্রেসিডেন্ট ডেটলেফ শিলে যে বিষয়টিতে জোর দেন তা হলো, সারা বিশ্বে বাণিজ্য নিয়ে যে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে, তার প্রভাব পড়েনি জার্মানির কর্মক্ষেত্রে৷
তিনি জানান যে, তাঁদের লক্ষ্য হলো, দীর্ঘমেয়াদে কর্মহীনদের সংখ্যা কমানো, যা কমেছে ৭৯ হাজারের মতো৷ লেবার এজেন্সি কর্মকর্তারা জানান, বছরের প্রথম ভাগে বাণিজ্য প্রবৃদ্ধিতে শ্লথগতির পরও কোম্পনিগুলো জনবল নিয়োগে পিছপা হয়নি৷
২০১৭ সালে জার্মানির অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি হয়েছে ২ দশমিক ২ ভাগ৷ সরকার ও বেসরকারি খাতের পর্যবেক্ষণ হলো, ২০১৮-তেও প্রবৃদ্ধি বাড়বে বা ধরে রাখা যাবে৷