জার্মানির প্রায় সব রাজ্যেই উঠেছে এই দাবি৷ বিশেষ করে রবিবার বা অন্য সরকারি ছুটির দিনে মোটরবাইকের শব্দ শুনে শুনে তারা অতিষ্ঠ৷ তাই সপ্তাহে অন্তত একটা দিন (রোববার) মোটরসাইকেল পুরোপুরি নিষিদ্ধ করা অথবা শব্দ নিয়ন্ত্রণের দাবি তুলেছেন তারা৷
দাবি ওঠার পর থেকে প্রতি সপ্তাহান্তে বিভিন্ন শহরে সমবেত হয়ে এ দাবির বিরুদ্ধে সোচ্চার হচ্ছেন হাজার হাজার মোটরবাইক চালক৷ গত সপ্তাহান্তে ফ্রিডরিশহাফেনে ৫০০০ মোটরসাইক্লিস্ট তাদের বাহন নিয়ে জানিয়েছেন প্রতিবাদ৷ হামবুর্গের সেইন্ট পাউলিতে জড়ো হয়েছিলেন ৭৫০জন বাইকার৷
মিউনিখে করোনাকালীন নিষেধাজ্ঞার তোয়াক্কা না করে ছয় হাজার বাইকচালক আওয়াজ তুলেছেন, ‘‘কয়েকজন কুলাঙ্গারের জন্য মোটরবাইক চালানো একদিনের জন্যও নিষিদ্ধ করা যাবে না৷’’ ‘বাইকার্স ফর ফ্রিডম’-এর উদ্যোগে এমন বিক্ষোভ সমাবেশ আরো কিছুদিন বিভিন্ন শহরে প্রতি রবিবার চলবে বলে ধারণা করা হচ্ছে৷
জার্মানির কেন্দ্রীয় পরিবহণ মন্ত্রী আন্দ্রেয়াস শয়ার অবশ্য মোটরসাইকেলের ওপর কোনো নিয়ন্ত্রণ বা নিষেধাজ্ঞা আরোপের বিপক্ষে৷
এলিয়ট ডগলাস/ এসিবি
২০১২ সালে ইরাকে মোটরসাইকেল আরোহীদের একটি ক্লাব গড়ে ওঠে৷ শিয়া-সুন্নি দ্বন্দ্ব পেরিয়ে দেশটিতে ঐক্য প্রতিষ্ঠা করা এই ক্লাবের অন্যতম লক্ষ্য৷
ছবি: Reuters/T. Al-Sudani৪২ বছর বয়সি ইরাকের সরকারি কর্মকর্তা বিলাল আল-বয়াতি (ছবি) ২০১২ সালে মোটর সাইকেল আরোহীদের একটি ক্লাব গড়ে তোলেন৷ ‘‘আমাদের লক্ষ্য ভাতৃত্ব গড়ে তোলা,’’ রয়টার্সকে সম্প্রতি বলেন তিনি৷ এই ক্লাবের মাধ্যমে শিয়া-সুন্নি দ্বন্দ্বে জর্জরিত ইরাকে ঐক্য প্রতিষ্ঠা করতে চান বয়াতি৷
ছবি: Reuters/T. Al-Sudaniঐক্য প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে প্রথম যে কাজটি করা হয়েছে সেটি হচ্ছে, ক্লাবের সদস্যরা কেউ রাজনীতি নিয়ে কথা বলতে পারেন না৷ কেউ সেটা করলে তাঁকে এক-দুইবার নিষেধ করা হয়, তারপর ক্লাব থেকে বের করে দেয়া হয়৷
ছবি: Reuters/T. Al-Sudani‘দ্য ইরাকি বাইকার্স’ নামের ক্লাবটির সদস্য সংখ্যা এখন প্রায় ৩৮০৷ তাঁরা সবাই পুরুষ এবং সব ধর্মের (শিয়া, সুন্নি, খ্রিষ্টান, কুর্দি, তুর্কমেন), বয়সের, পেশার ও সামাজিক শ্রেণির প্রতিনিধি তাঁরা৷ ‘‘এটা একটা ক্ষুদ্র ইরাক,’’ বলেন ক্লাবের ৩৬ বছর বয়সি সদস্য আহমেদ হায়দার, যিনি একটি আন্তর্জাতিক ত্রাণ সংস্থায় কাজ করেন৷
ছবি: Reuters/T. Al-Sudaniক্লাবের আরেকটি উদ্দেশ্য বাইকারদের ভাবমূর্তি উন্নত করা৷ এ লক্ষ্যে ক্লাবের সদস্যরা পুরো দেশ ঘুরে বেড়িয়েছেন৷ ইসলামিক স্টেট বা আইএস-এর বিরুদ্ধে লড়াইরত আহত যোদ্ধাদের রক্ত দিয়ে সহায়তা করেছেন তাঁরা৷
ছবি: Reuters/T. Al-Sudaniবাইকারদের প্রিয় ব্র্যান্ড ‘হার্লে ডেভিডসন’৷ কিন্তু সহজলভ্য না হওয়া এবং ব্যয়বহুল হওয়ায় মার্কিন এই মোটর সাইকেল নির্মাতার তৈরি বাইক চালানো সব ইরাকির পক্ষে সম্ভব হয় না৷ তবে স্থানীয় কারিগররা সাধারণ একটি মোটর সাইকেলকে বিশেষ মোটর সাইকেলে রূপান্তরিত করে থাকেন৷ সেগুলো চালিয়েই দুধের স্বাদ ঘোলে মেটানোর চেষ্টা করেন অনেক ইরাকি৷
ছবি: Reuters/T. Al-Sudaniক্লাবের সদস্যরা যখন রাস্তা দিয়ে বাইক চালিয়ে যান, তখন তাঁদের অনেকের মোটর সাইকেলে ইরাকের পতাকা বাঁধা থাকে৷ বাইকার ক্লাব গঠনের ধারণাটি যুক্তরাষ্ট্র থেকে পেলেও বয়াতি তাঁর ক্লাবের মাধ্যমে নিজ দেশ ইরাককেই সবসময় তুলে ধরতে চান৷
ছবি: Reuters/T. Al-Sudani