তার অনেক কারণ আছে: এ দেশে যৌনব্যাধিকে ব্যাধি বলেই মনে করা হয়; এখানে ৯৩ শতাংশ মানুষের স্বাস্থ্য বীমা আছে; এইচআইভি-র মতো রোগের চিকিৎসা গতানুগতিকভাবে না করে, রোগী অনুযায়ী করা হয়৷
বিজ্ঞাপন
সাবেক পশ্চিম জার্মানিতে যৌনব্যাধি সংক্রান্ত আইন পাশ হয় ১৯৫৩ সালে – সেই আইনে সিফিলিস ও গনোরিয়া গোত্রীয় মাত্র চারটি রোগকে যৌনব্যাধির পর্যায়ে ফেলা হয় ও নির্দেশ থাকে যে, এই রোগ হলে কর্তৃপক্ষকে জানাতে হবে৷ তা সত্ত্বেও পশ্চিম জার্মানিতে ৭৫ শতাংশ সিফিলিস-এর ঘটনা আর প্রায় ৯০ শতাংশ গনোরিয়ার ঘটনা রিপোর্ট করা হতো না৷
সাবেক পূর্ব জার্মানিতে কমিউনিস্ট শাসন থাকার ফলে সরকার সর্বেসর্বা, কাজেই যৌনব্যাধির প্রায় সব কেসই রিপোর্ট করা হতো বলে ধরে নেওয়া হয়৷ ১৯৯০ সালে দুই জার্মানির পুনর্মিলনের পর পশ্চিমের আইনই বলবৎ হয়েছে৷ ১৯৮২ সালে দক্ষিণ জার্মানির মিউনিখে প্রথম এইডস রোগের ঘটনা ঘটে৷ সে-যাবৎ এইডস সংক্রান্ত তথ্য বার্লিনের রবার্ট কখ ইনস্টিটিউটে নথিভুক্ত করা হয় বটে, কিন্তু বাধ্যতামূলকভাবে নয়৷
বাংলাদেশের এইডস পরিস্থিতি
একটা সময় ছিল যখন এইডস রোগের নাম শুনলেই মানুষ ভয় পেত৷ এখন সেই পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে৷ বাংলাদেশে এইডস প্রতিরোধে সরকারের পাশাপাশি স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক বেসরকারি সংস্থাগুলো কাজ করছে৷
ছবি: AP
প্রথম রোগী
১৯৮৯ সালে বাংলাদেশে প্রথম এইডস রোগীর সন্ধান পাওয়া যায়৷ এইচআইভি-র কারণে সৃষ্ট এই রোগটি শরীরের রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা কমিয়ে দেয়৷ ফলে একজন এইডস রোগী খুব সহজেই যে-কোনো সংক্রামক রোগে আক্রান্ত হতে পারেন – যা শেষ পর্যন্ত তাঁর মৃত্যু ঘটাতে পারে৷
ছবি: picture-alliance/dpa
হাজার পেরিয়ে গেছে
বর্তমানে বাংলাদেশে এইডস রোগীর সংখ্যা ১,২৯৯৷ পরিসংখ্যানটা অবশ্য ২০১৩ সালের ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত সংগৃহীত৷ স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম নিজেই চলতি বছরের জুনে সংসদকে এই তথ্য জানিয়েছেন৷
ছবি: picture-alliance/dpa
এইচআইভি আক্রান্তের সংখ্যা
এইডস রোগীর সংখ্যা ১,২৯৯৷ কিন্তু এইচআইভি বা ‘হিউম্যান ইমিউনোডেফিশিয়েন্সি ভাইরাস’-এ আক্রান্তের সংখ্যা ৩,২৪১৷ ২০১৩ সালের ১লা ডিসেম্বর বিশ্ব এইডস দিবসের এক অনুষ্ঠানে এই তথ্য জানানো হয়৷
ছবি: picture-alliance/dpa
নিহতের সংখ্যা
ঐ একই অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যসচিব জানান এইডসে আক্রান্ত হয়ে বাংলাদেশে এখনও পর্যন্ত ৪৭২ জন মারা গেছে৷
ছবি: picture-alliance/dpa
চিকিৎসা সেবা
আশার আলো সোসাইটি, মুক্ত আকাশ বাংলাদেশ কনফিডেনশিয়াল অ্যাপ্রোচ টু এইডস প্রিভেনশন (ক্যাপ) নামের তিনটি প্রতিষ্ঠান এইডস আক্রান্তদের ‘অ্যান্টি-রেট্রোভাইরাল’ বা এআরভি ওষুধ সহ অন্যান্য সেবা দিচ্ছে৷ সরকার ও ‘দ্য গ্লোবাল ফান্ড’-এর কাছ থেকে ওষুধ কেনার অর্থ পায় এই তিন সংস্থা৷
ছবি: AP
সরকারি সেবা
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জুন মাসে জানান আটটি সরকারি হাসপাতালে ‘সিডি-৪’ সেন্টারের মাধ্যমে এইডস রোগীদের শারীরিক অবস্থা নির্ণয় করাসহ এ সব প্রতিষ্ঠানসমূহে রোগীদের স্বাস্থ্য শিক্ষা ও ‘কাউন্সেলিং’ সেবা দেয়া হচ্ছে৷ অবশ্য সেটা ঠিক নয় বলে ডয়চে ভেলের কাছে দাবি করেন ‘মুক্ত আকাশ বাংলাদেশ’-এর নির্বাহী পরিচালক এম এস মুক্তি৷
ছবি: AP
6 ছবি1 | 6
২০০১ সালের পয়লা জানুয়ারি থেকে যে নতুন সংক্রমণ সুরক্ষা আইন চালু হয়েছে, তা অনুযায়ী চিকিৎসকদের একমাত্র হেপাটাইটিস বি রোগের ঘটনা বাধ্যতামূলকভাবে রিপোর্ট করতে হবে৷ বাদবাকি এসটিআই, অর্থাৎ সেক্সুয়ালি ট্র্যান্সমিটেড ইনফেকশনের ক্ষেত্রে দায়িত্ব যদি কারো থাকে, তো স্থানীয় স্বাস্থ্য অধিকারের – সংক্রমিত ব্যক্তিদের টেস্ট করা বা পরামর্শ দেওয়াটা স্বাস্থ্য বিভাগের কাজ৷
ইউরোপ বনাম যুক্তরাষ্ট্র
এসটিডি, অর্থাৎ সেক্সুয়ালি ট্র্যান্সমিটেড ডিজিজ বা যৌনব্যাধির ক্ষেত্রে ইউরোপ আর অ্যামেরিকার ফারাকটা চোখে পড়ার মতো৷ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংগঠনের তথ্য অনুযায়ী ইউরোপে এসটিডি-র ঘটনা অ্যামেরিকার তুলনায় অনেক কম৷ অ্যামেরিকায় যেমন গনোরিয়ার ঘটনা বেশ কিছুটা কমলেও, এখনও ইউরোপের তুলনায় আকাশছোঁয়া৷
এইচআইভি, অর্থাৎ এইডস-এর ক্ষেত্রে ২০১২ সালের গোড়ার দিকের একটা পরিসংখ্যান নেওয়া যাক৷ তখন ওয়াশিংটন ডিসি আর নিউ ইয়র্ক মিলিয়ে এইডস ভাইরাসে সংক্রমিতদের সংখ্যা ছিল এক লক্ষ ২৩ হাজার, যেখানে দু'টি শহরের মোট জনসংখ্যা ছিল ৯০ লাখ৷ তখন জার্মানির জনসংখ্যা আট কোটি বিশ লাখ – তার মধ্যে এইচআইভি সংক্রমিতদের সংখ্যা ৫৬ হাজার৷ অন্যভাবে বলতে গেলে, অ্যামেরিকার দু'টি বড় শহরের এইচআইভি সংক্রমিতদের সংখ্যা গোটা জার্মানির এইচআইভি সংক্রমিতদের দ্বিগুণ৷ আবার যুক্তরাষ্ট্রে যত মানুষ প্রতিবছর নতুন করে এইচআইভি ভাইরাস দ্বারা সংক্রমিত হন, তাদের সংখ্যাও ৫৬ হাজার (২০১২ সালের পরিসংখ্যান)৷
অভিবাসীদের যৌন শিক্ষা দিচ্ছে জার্মানি
যৌন শিক্ষা বিষয়ক এক ওয়েবসাইট নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছে জার্মানিতে৷ মূলত অভিবাসীদের জন্য তৈরি এই সাইটটিতে যৌনাঙ্গ থেকে শুরু করে গর্ভধারণ, হস্তমৈথুন, যৌন সুখের মতো বিষয়গুলি চিত্রলিপিতে দেখানো হয়েছে৷
ছবি: picture-alliance/dpa/J. Stratenschulte
যৌনতা এক ‘নিষিদ্ধ’ বিষয়
আরবি, তুর্কি, ইংরেজি, জার্মানসহ মোট ১২টি ভাষায় যৌনতা বিষয়ক বিভিন্ন তথ্য এবং চিত্রলিপি প্রকাশ করেছে জার্মান সরকার৷ অভিবাসীদের নারী, পুরুষের দেহ সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারণা দিতেই এই উদ্যোগ৷ কেননা, সরকার মনে করছে, তারা এমন অনেক দেশ থেকে এসেছে, যেখানে যৌনতা নিষিদ্ধ এক বিষয়৷ চলুন দেখে নেই সাইটটিতে ঠিক কী আছে৷
ছবি: picture-alliance/dpa/M. Wuestenhagen
বিভিন্ন যৌন সমস্যার সমাধান
মোট ছয়টি বিভাগে যৌনতা, যৌন মিলন, সম্ভোগের রকমফের, যৌনতা বিষয়ক অধিকারের কথা তুলে ধরা হয়েছে সাইটটিতে৷ তবে সবচেয়ে বেশি আলোচিত হচ্ছে ‘সেক্স’ বিভাগটি নিয়ে৷ এতে প্রথমবার সেক্স, কুমারিত্ব, যৌনাসন এবং বিভিন্ন যৌন সমস্যার সমাধান চিত্রলিপির মাধ্যমে ব্যাখা করা হয়েছে৷
ছবি: picture-alliance/blickwinkel
আকার গুরুত্বপূর্ণ নয়, যৌনাঙ্গচ্ছেদ নিষিদ্ধ
ওয়েবসাইটটির ‘বডি’ অংশে নারী-পুরুষের দেহের ধরন, যৌনাঙ্গ, বীর্য ইত্যাদি বিষয়ে বিস্তারিত ধারণা দেয়া হয়েছে৷ পুরুষাঙ্গের আকার বা গড়ন যে যৌন সুখের জন্য গুরুত্বপূর্ণ নয়, তা বিশেষভাবে উল্লেখ করা হয়েছে এই বিভাগে৷ রয়েছে নারীর যৌনাঙ্গচ্ছেদ যে ইউরোপে পুরোপুরি নিষিদ্ধ, সেই কথাও৷
ছবি: picture-alliance/dpa
গর্ভধারণ ও যৌন মিলন
সন্তান জন্মদানের পুরো প্রক্রিয়া এই বিভাগে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হয়েছে৷ সাথে গর্ভধারণের পর কতদিন এবং কিভাবে যৌন সম্পর্ক অব্যাহত রাখা যায়, তা-ও জানানো হয়েছে৷ বলা হয়েছে, কেউ যদি ভুল করে গর্ভধারণ করেন, তাহলে চাইলে গর্ভপাত না করে বাচ্চাটি জন্মের পর দত্তক দেয়া যেতে পারে৷ তবে গর্ভপাতে কোনো বাধা নেই৷
ছবি: picture-alliance/dpa/J. Stratenschulte
কনডম যেভাবে পরবেন
কখনো জানতে চেয়েছেন কনডম কী? ওয়েবসাইটটির এই বিভাগে কনডম ব্যবহারের উপায় চিত্রলিপিতে পরিষ্কারভাবে দেখানো হয়েছে৷ পাশাপাশি অনিরাপদ যৌন জীবনের ফলে নারী ও পুরুষের কী কী রোগ হতে পারে এবং কী করলে তা থেকে মুক্তি সম্ভব, সে কথাও জানানো হয়েছে৷
ছবি: picture alliance/chromorange
সঙ্গীকে দোষ না দিয়ে কথা বলুন
হোক সে যৌন জীবন কিংবা যৌথ সম্পর্কের অন্য কোনো দিক, যে কোনো বিষয়ে সঙ্গীর সঙ্গে সময় নিয়ে খোলামেলা আলোচনার পরামর্শ দেয়া হয়েছে ওয়েবসাইটে৷ তবে আলোচনায় একে-অপরকে দোষ না দিয়ে বরং কার কী প্রত্যাশা সেদিকে গুরুত্ব দিতে বলা হয়েছে৷ প্রয়োজনে সমস্যা সমাধানে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেয়ার উপায়ও জানানো হয়েছে সাইটটিতে৷
ছবি: picture-alliance/dpa
যৌনসম্মতির বয়স ১৮ বছর
জার্মানিতে ১৪ বা ১৫ বছরের একটি ছেলে বা মেয়ে একই বয়সের সঙ্গীর সঙ্গে যৌন সম্পর্ক করতে পারে৷ কিন্তু সেই বয়সের একটি ছেলে বা মেয়ের সঙ্গে ১৬ বা তার বেশি বয়সের কেউ যৌন সম্পর্কে জড়ালে সেটা অপরাধ৷ এমনকি কম বয়সি সঙ্গী সম্মতি দিলেও৷ যৌন মিলনের জন্য নিরাপদ বয়স কমপক্ষে আঠারো৷
ছবি: picture-alliance/Beyond
অভিবাসীদের কি যৌন শিক্ষার দরকার আছে?
এই প্রশ্নটা অনেকেই করছেন সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে৷ এর মানে কি অভিবাসীরা যৌন মিলন সম্পর্কে অজ্ঞাত? এ সব প্রশ্নের জবাবে নির্মাতার জানিয়েছেন, বিশ্বের অনেক দেশে যৌনতা নিয়ে আলোচনা এক ‘নিষিদ্ধ বিষয়’৷ তাই দরকার এমন একটা সাইট৷ বাংলা ভাষাতেও এ রকম একটি সাইটের দরকার বলে ফেসবুকে লিখেছেন একাধিক বাংলা ব্লগার৷
ছবি: picture-alliance/dpa
চিত্রলিপির ‘কৃষ্ণাঙ্গ পুরুষ, শেতাঙ্গ নারী’
ওয়েবসাইটটিতে প্রদর্শিত যৌন মিলনের কিছু চিত্রলিপিতে পুরুষকে কৃষ্ণবর্ণে এবং নারীকে শ্বেতবর্ণে দেখানো হয়েছে৷ আর এটা নিয়েও সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে আপত্তি করেছেন অনেকে৷ কারো কারো মতে, শরণার্থী বা অভিবাসীদের যৌনশিক্ষা, যেমন কনডম পরানো শেখানোর মাধ্যমে আসলে বোঝানো হয়েছে যে, তারা কিছুই জানে না, যা একধরনের ‘বৈষম্যমূলক মনোভাব’৷
ছবি: Andreas Wolf/Fotolia
যারা তৈরি করেছেন
বেলজিয়ামের একটি বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থার সহযোগিতা নিয়ে জার্মানির কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যশিক্ষা কেন্দ্র ‘জানজু ডটডিই’ ওয়েবসাইটটি তৈরি করেছে৷ এ জন্য সময় লেগেছে তিন বছর৷ মূলত অভিবাসীদের বিভিন্ন প্রশ্ন এবং প্রয়োজনীয়তা যাচাই করে সাইটটি তৈরি করা হয়৷ তিন সপ্তাহ আগে প্রকাশের পর থেকে প্রতিদিন গড়ে ২০ হাজার মানুষ এটি ‘ভিজিট’ করছেন৷
ছবি: zanzu.de
10 ছবি1 | 10
জার্মানি এইচআইভি-এইডসের ঘটনা কম রাখল কি করে?
জার্মানিতেও গোড়াতে এইডস-সংক্রান্ত ‘টাবু' ছিল৷ ১৯৮২ সালে প্রথম এইডস কেস ধরা পড়ার পরে এইডস রোগীদের বিচ্ছিন্ন করে রাখার জন্য তাদের ক্যাম্পে রাখা, অথবা এইডস রোগীদের গায়ে উল্কি কেটে তাদের চিহ্নিত করার কথাও নাকি ভাবা হয়েছিল! যদিও কোনোদিনই তা করা হয়নি৷ পরিবর্তে জার্মানির ‘গে কমিউনিটি', অর্থাৎ সমকামী গোষ্ঠীর সঙ্গে বিভিন্ন ফেডারাল সংস্থা সহযোগিতা করে এক নতুন সচেতনতার সৃষ্টি করে৷ সেই সচেতনতাই এইডস রোগ ছড়ানো রোধ করার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় অবদান রেখেছে, বলে বিশেষজ্ঞদের ধারণা৷
এছাড়া জার্মান জনগণের একটি বিপুল অংশ – ৯৩ শতাংশের বেশির স্বাস্থ্য বীমা থাকায়, এইচআইভি-পজিটিভ মানুষরা গোড়া থেকেই নিখর্চায় ট্রিটমেন্ট পেয়ে থাকেন৷ কাজেই জার্মানি ২০০৭ সাল যাবৎ বছরে নতুন এইচআইভি-সংক্রমণের সংখ্যা তিন হাজারের আশেপাশে ধরে রাখতে পেরেছে৷ জার্মান কর্মকর্তারা এইডস সম্পর্কে খোলাখুলি কথা বলে থাকেন; তাঁদের বক্তব্য হলো, এই হলো এইডসের ঝুঁকি; এবার জনতাকে নিজেদেরই সাবধান হতে হবে, নিজেকে রোগমুক্ত রাখার দায়িত্ব নিতে হবে৷
আর থাকছে তথাকথিত শ্যোনব্যার্গার মডেল, যার তিনটি সূত্র হলো, রোগ নির্ণয় হলে পরেই যে রোগীকে হাসপাতালে পাঠানো হবে, এমন নয়; বাড়ির চিকিৎসক বাড়িতেই রোগীর চিকিৎসা করতে পারেন৷ নার্সরাও ডাক্তার ছাড়া রোগীর বাড়িতে গিয়ে ট্রিটমেন্ট করতে পারেন৷ দ্বিতীয়ত, অ্যান্টিরিট্রোভাইরাল ড্রাগস-এর ক্ষেত্রে এইচআইভি সংক্রমিতদের অগ্রাধিকার দেওয়া হয়৷ তৃতীয়ত, এইডস রোগীদের হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার জন্য তিন-চারটি রোগের ফিরিস্তি দেওয়ার দরকার পড়ে না, ‘‘১ দশমিক ৩ এইডস সংক্রান্ত রোগ থাকলেই তাদের হাসপাতালে পাঠানো হয়'', বলে জানিয়েছেন বার্লিনের একটি হাসপাতালের মুখ্য চিকিৎসক৷
বন্ধু, আপনি কি অরুণ শঙ্কর চৌধুরীর সঙ্গে একমত? জানান নীচের মন্তব্যের ঘরে৷