জার্মানিতে রাজনৈতিক আশ্রয়প্রার্থীর সংখ্যা ক্রমাগত বেড়েই চলেছে৷ কিন্তু এ দেশে রাজনৈতিক আশ্রয় পাবার বা প্রদানের প্রক্রিয়াটি কী? আসার পর, কী ধরনের সুযোগ-সুবিধা পাওয়া যায় জার্মানিতে?
বিজ্ঞাপন
হিসেবে জার্মানিতে এলে সীমান্তে, পুলিশের কাছে, কিংবা অন্য কোনো কর্তৃপক্ষের কাছে রাজনৈতিক আশ্রয়ের আবেদন জমা দিতে হবে৷ নথিভুক্ত হবার পর আবেদনকারীকে পাঠানো হবে প্রাথমিক রেজিস্ট্রেশন ও ট্যানজিট সেন্টারে৷ সেটা কোথায় এবং জার্মানির কোন রাজ্যে, তা নির্ধারিত হয় তথাকথিত ক্যোনিগস্টাইন সূত্র অনুযায়ী৷
জার্মানিতে রাজনৈতিক আশ্রয়প্রার্থীদের ১৬টি রাজ্যে বেঁটে দেওয়ার কথা৷ যে রাজ্যের যত বেশি বাসিন্দা, তাকে তত বেশি রাজনৈতিক আশ্রয়প্রার্থী নিতে হবে: যেমন নর্থরাইন ওয়েস্টফালিয়াকে ২১ শতাংশ, কিন্তু ব্রান্ডেনবুর্গকে মাত্র তিন শতাংশ৷ তবে আগন্তুককে যে শিবির বা প্রতিষ্ঠানে পাঠানো হচ্ছে, সেখানে আসন খালি থাকা চাই৷
ট্র্যানজিট সেন্টার
এটা সাধারণত বেড়া দিয়ে ঘেরা একটা জায়গা, যেখানে উদ্বাস্তুদের শোয়ার জন্য বড় বড় ডর্মিটরি, সেই সঙ্গে পুলিশ, ডাক্তার, ক্যানটিন, সবই আছে৷ প্রত্যেক রাজনৈতিক আশ্রয়প্রার্থীর থাকার জন্য অন্তত সাড়ে ছয় বর্গমিটার জায়গা দিতে হবে৷ খাবার-দাবার, প্রয়োজনে জামা-কাপড়, অসুখ-বিসুখের টিকা এবং অন্যান্য সাহায্যের ব্যবস্থা আছে৷ বাচ্চারা যা-তে স্কুলে যেতে পারে, সেজন্য অতিরিক্ত সাহায্য দেওয়া হয়ে থাকে৷
তুরস্ক জানিয়েছে, তিন হাজারের মতো শরণার্থী সপ্তাহান্তে সেদেশে প্রবেশ করেছে৷ ‘ইসলামিক স্টেট’ এবং কুর্দি বাহিনীর মধ্যে যুদ্ধের মাত্রা বাড়ায় সিরীয়রা তাদের সবকিছু ফেলে রেখে দেশত্যাগ করছে৷
ছবি: Getty Images/AFP/B. Kilic
বাধ্য হয়ে পলায়ন
গত সপ্তাহে ১৩ হাজারের মতো সিরীয় সেদেশের তেল আবিয়াত শহর ত্যাগ করে অন্যত্র চলে গেছে৷ আধুনিক ‘খেলাফত’ প্রতিষ্ঠার নামে সহিংস প্রচারণার জন্য বিদেশে সেনা নিয়োগে শহরটি ব্যবহার করে জঙ্গিগোষ্ঠী৷ তুরস্ক অবশ্য শরণার্থীদের জন্য সীমান্ত খুলে দেয়নি৷ ফলে অবৈধভাবে দেশত্যাগ করেছে তারা৷
ছবি: Getty Images/AFP/B. Kilic
জঙ্গি এবং বন্ধ সীমান্তের মাঝে
কুর্দি সেনারা ধীরে ধীরে তেল আবিয়াত শহরের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে৷ ইতোমধ্যে শহরটির কাছের একটি গুরুত্বপূর্ণ গ্রাম দখল করেছে তারা৷ কুর্দিদের ঠেকাতে দুটি সেতু ধ্বংস করে দিয়েছে ‘ইসলামিক স্টেট৷’ তবে, কিছু সিরীয় গোলাগুলির মাঝে আটকে পড়ে শহরটিতে রয়ে গেছে৷ আর যারা সেখান থেকে বের হতে পেরেছে, তারা বাধা পেয়েছে সীমান্তে৷
ছবি: Getty Images/AFP/B. Kilic
‘ইসলামিক স্টেট’-এর থাবা থেকে রক্ষা
গত সপ্তাহান্তে তিন হাজারের মতো শরণার্থী সিরীয়-তুর্কি সীমান্ত অতিক্রম করেছে৷ ছবিতে কিছু সিরীয়কে দেখা যাচ্ছে, যারা অবৈধভাবে কাটাতারের বেড়া অতিক্রম করে তুরস্কে প্রবেশের চেষ্টা করছে৷ তেল আবিয়াত ‘ইসলামিক স্টেট’-এর নিয়োগ কেন্দ্র হলেও কুর্দি সেনারা সেখানে না পৌঁছানো পর্যন্ত মানিয়ে চলার চেষ্টা করেছিল সিরীয়রা৷
ছবি: Reuters/K. Celikcan
‘সীমান্তের মধ্যে থাকুন’
সিরীয়রা সীমান্ত অতিক্রমের চেষ্টা করলে গরম পানি এবং ‘পিপার স্প্রে’ করে তুর্কি বাহিনী৷ এক পর্যায়ে অবশ্য একটি সীমান্ত অনিচ্ছুকভাবে খুলে দেয়া হয়৷ তুরস্কের উপ-প্রধানমন্ত্রী নুমান কুর্টুলমুস জানিয়েছেন, সিরীয়রা মার্কিন নেতৃত্বাধীন বিমান হামলা এড়ানোর চেষ্টা করছেন৷ আমরা তাদের সীমান্তের মধ্যে রাখার দিকে গুরুত্ব দিচ্ছি, বলেন তিনি৷
ছবি: picture-alliance/dpa/Str
ইউএনএইচসিআর-এর কাছে নথিভুক্ত ৪০ লাখ সিরীয়
জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআর মে মাসের শেষের দিকে জানিয়েছে, চল্লিশ লাখের মতো শরণার্থী তাদের কাছে রাজনৈতিক আশ্রয়ের জন্য নথিভুক্ত হয়েছে৷ সিরিয়ার সরকারি বাহিনী এবং বিদ্রোহীদের মধ্যে সংঘর্ষ শুরুর পর থেকে এখন অবধি সতের লাখের মতো শরণার্থী গ্রহণ করেছে তুরস্ক৷
ছবি: picture-alliance/dpa/V. Gurgah
সবচেয়ে ‘বেশি ভুগছে’ শিশুরা
জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক কমিশনার আন্থনিও গুটারেস এক বিবৃতিতে বলেছেন, সিরিয়ায় সংঘাতের কারণে সিরীয় ছেলে-মেয়েরা ব্যাপকহারে শারীরিক এবং মানসিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে৷ তুরস্কে নিবন্ধিত সিরীয় শরণার্থীদের মধ্যে অর্ধেকই শিশু৷
ছবি: Getty Images/AFP/B. Kilic
যথেষ্ট নয়
চলতি বছরের শুরুতে তুরস্ক সিরীয় শরণার্থীদের জন্য তাদের সবচেয়ে বড় শরণার্থী ক্যাম্পটি খুলে দিয়েছে৷ সুরুচ ক্যাম্পে ৩৫ হাজারের মতো শরণার্থী বসবাস করে৷ আরো ৯০ হাজার শরণার্থীর অবস্থান দেশটির ২৫টি ক্যাম্পে৷ তবে ইউএনএইচসিআর-এর প্রশংসা সত্ত্বেও তুরস্ক রেকর্ড সংখ্যক সিরীয় শরণার্থীর চাহিদা মেটাতে সক্ষম হচ্ছে না৷
ছবি: Getty Images/AFP/B. Kilic
পেছনে ফেলে আসা
তেল আবিয়াত শহর থেকে মাত্র ৫০ কিলোমিটার দূরে কোবানিতে এখনও কিছু সিরীয় রয়ে গেছেন৷ ইসলামিক স্টেট-এর গণহারে মানুষ হত্যা এবং কুর্দি পেশমার্গা বাহিনীর হামলায় শহরটি কার্যত ধ্বংসস্তুতে পরিণত হয়েছে৷ সেখানে খাবার এবং বিদ্যুতের অভাব রয়েছে৷ তা সত্ত্বেও অল্প কিছু মানুষ শহরটিতে টিকে থাকার লড়াই করছে৷
ছবি: DW/K. Sheikho
8 ছবি1 | 8
ট্র্যানজিট সেন্টারে উদ্বাস্তুদের ছবি তোলা হয় এবং আঙুলের ছাপ নেওয়া হয় – ফেডারাল অপরাধ দপ্তরের জন্য৷ সেখানে সেই ফিঙ্গারপ্রিন্ট ইউরোপীয় ডাটা ব্যাংকের সঙ্গে মিলিয়ে দেখা হয়, সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি অন্য কোনো দেশে রাজনৈতিক আশ্রয়ের আবেদন করেছে কিনা৷
ট্র্যানজিট সেন্টারে ফেডারাল অভিবাসন এবং উদ্বাস্তু দপ্তরের কর্মকর্তারা রাজনৈতিক আশ্রয়প্রার্থীর স্বদেশত্যাগের কারণ সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ করেন – অবশ্যই নিভৃতে, প্রকাশ্যভাবে নয়৷ এখানে রাজনৈতিক আশ্রয়প্রার্থীকে মৌখিকভাবে জানাতে হবে, তিনি কেন দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন৷ ভাষান্তরের জন্য দোভাষী উপস্থিত থাকেন৷ আলাপচারিতার পর একটি রিপোর্ট তৈরি করা হয়৷ তারপর নির্দিষ্ট করা হয়, রাজনৈতিক আশ্রয়প্রার্থনার প্রক্রিয়াটি আদৌ সূচিত করা হবে কিনা৷ বিশেষ করে অন্য কোনো ইউরোপীয় ইউনিয়ন বা ইইউ-ভুক্ত দেশ যদি সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে রাজনৈতিক আশ্রয় প্রদান – অথবা প্রত্যাখ্যানের দায়িত্বে থাকে, তাহলে সেই ব্যক্তিকে যথাশীঘ্র সংশ্লিষ্ট দেশটিতে বহিষ্কার করা হয়ে থাকে৷
দ্বিতীয় পর্যায়
ট্র্যানজিট সেন্টারে উদ্বাস্তুরা তিন মাসের বেশি থাকতে পারেন না৷ তারপর একটি বিশেষ ফর্মুলা অনুযায়ী তাঁদের রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় পাঠানো হয়৷ সেখানেও তাঁরা দাতব্য প্রতিষ্ঠানগুলির পরিচালিত যৌথ শিবিরে বাস করেন৷ কিছু কিছু পৌর এলাকায় উদ্বাস্তুদের ফ্ল্যাটেও বাস করতে দেওয়া হয়৷ উদ্বাস্তুরা আত্মীয়স্বজনের সঙ্গেও বাস করতে পারেন – অবশ্য সেই সম্পর্ক স্বামী-স্ত্রী কিংবা অপ্রাপ্তবয়স্ক শিশুর মতো ঘনিষ্ঠ হওয়া চাই৷
এখন থেকে উদ্বাস্তুরা জার্মানিতে মুক্তভাবে যাতায়াত করতে পারেন৷ তাঁদের বাসের স্থানগুলি কিন্তু এখন আর ফেডারাল সরকারের তাঁবে নেই, বরং জেলা বা নগর প্রশাসনের দায়িত্বে রয়েছে – ফেডারাল সরকার উদ্বাস্তু পিছু একটা থোক টাকা দিয়ে খালাস হচ্ছেন৷
প্রাণের মায়া না করে ইউরোপে আসার প্রচেষ্টা
লিবিয়ার উপকূলে আটশো’র বেশি উদ্বাস্তু নড়বড়ে জাহাজে ইউরোপে আসার চেষ্টা করতে গিয়ে প্রাণ হারিয়েছেন৷ এই ঘটনা ইউরোপের মানুষদের গভীরভাবে নাড়া দিয়েছে, কিন্তু ট্র্যাজেডির বোধহয় এখানেই শেষ নয়৷...
ছবি: REUTERS
প্রাণে বাঁচা
২০শে এপ্রিল, ২০১৫: একটি ছোট পালের নৌকা গ্রিসের রোডোস দ্বীপের কাছে চড়ায় আটকালে সীমান্তরক্ষী আর স্থানীয় মানুষেরা বেশ কিছু উদ্বাস্তুকে উদ্ধার করেন৷ তা সত্ত্বেও এই দুর্ঘটনায় তিনজন উদ্বাস্তু জলে ডুবে মারা যান৷
ছবি: REUTERS/Argiris Mantikos/Eurokinissi
সীমান্তরক্ষীদের ডিঙিতে
১৩ই এপ্রিল, ২০১৫: উদ্বাস্তুরা কোস্ট গার্ডের ইনফ্ল্যাটেবল বোটে চড়ে সিসিলি-র একটি বন্দরে পৌঁছচ্ছে৷ সীমান্তরক্ষীরা লিবিয়ার উপকূলে একটি ডোবা নৌকা দেখতে পেয়ে ১৪৪ জন উদ্বাস্তুকে উদ্ধার করেন – এবং যুগপৎ ন’টি মৃতদেহকে সাগরের জলে ভাসতে দেখেন৷ আবহাওয়া ভালো থাকায় এপ্রিলের শুরু থেকে উদ্বাস্তুরা আরো বেশি সংখ্যায় আফ্রিকা থেকে ভূমধ্যসাগর পার হয়ে ইউরোপে আসার চেষ্টা করছে৷
ছবি: picture-alliance/AP Photo/C. Montanalampo
বাহন
১২ই এপ্রিল, ২০১৫: ওপিয়েলক অফশোর ক্যারিয়ার কোম্পানির ‘জাগুয়ার’ নামধারী মালবাহী জাহাজের অতি কাছে ডুবে যায় একটি উদ্বাস্তু বোট৷ এই কোম্পানির জাহাজগুলি গত ডিসেম্বর মাস যাবৎ দেড় হাজারের বেশি উদ্বাস্তুকে সমুদ্রবক্ষ থেকে উদ্ধার করেছে৷
ছবি: Opielok Offshore Carriers/dpa
হাঁটাপথে
২৮শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫: পশ্চিম আফ্রিকা থেকে আসা উদ্বাস্তুরা ম্যাসিডোনিয়া সীমান্তের দিকে হেঁটে চলেছেন৷ আশা, এইভাবে ‘খিড়কির দরজা’ দিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নে প্রবেশ – যদিও সে প্রচেষ্টা অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ব্যর্থ হয়৷
ছবি: picture-alliance/AP Photo/D. Bennett
ব্রিটেন যাওয়ার শেষ পন্থা
১৭ই ডিসেম্বর, ২০১৪: ফ্রান্সের ক্যালে বন্দর-শহরের কাছের হাইওয়েতে ব্রিটেনগামী লরিতে ওঠার সুযোগের অপেক্ষায় উদ্বাস্তুরা৷ সে আমলে ক্যালে-র পাঁচ-পাঁচটি বেআইনি ক্যাম্পে প্লাস্টিকের ঝুপড়িতে বাস করছিল তিন থেকে পাঁচ হাজার উদ্বাস্তু, শুধুমাত্র ইংল্যান্ড যাবার আশায়৷
ছবি: Reuters/P. Wojazer
‘সেভ আওয়ার সোলস’
২৫শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪: ভূমধ্যসাগরে সাইপ্রাসের কাছে একটি শরণার্থী নৌকা বিপদ সঙ্কেত পাঠানোর পর সাগরে ভাসতে থাকে – ৩০০ উদ্বাস্তু নিয়ে৷
ছবি: picture-alliance/dpa
যারা কোনো বাধা মানে না
১৭ই মে, ২০১৪: আফ্রিকান উদ্বাস্তুরা মরক্কোর উপকূলে স্পেনের এক্সক্লেভ মেলিলা-র চারপাশের উঁচু তারের বেড়া পার হওয়ার চেষ্টা করছে৷ প্রায় ৫০০ মানুষ সীমান্ত পার হবার চেষ্টা করে, তাদের মধ্যে জনা ত্রিশেক সফলও হয়, কিন্তু পরে তাদের আবার মরক্কোয় ফেরৎ পাঠিয়ে দেওয়া হয়৷
ছবি: REUTERS
7 ছবি1 | 7
উদ্বাস্তুরা এবার জার্মানিতে কাজও করতে পারেন, যদিও কাজ পাওয়া খুব সহজ কথা নয়৷ নয়ত কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে প্রতি উদ্বাস্তুকে মাসে ৩৫২ ইউরো দেওয়া হয়৷ সেই সঙ্গে বাড়িভাড়া এবং ‘হিটিং'-এর খরচ৷ তার পরেও ফেডারাল সরকারের কাছ থেকে অতিরিক্ত সাহায্য পাওয়া যেতে পারে৷
হ্যাঁ কিংবা না
রাজনৈতিক আশ্রয় দেওয়া হবে কিনা, তা নির্ধারণের প্রক্রিয়া তিন মাসের মধ্যেই সমাপ্ত হওয়ার কথা – কিন্তু বাস্তবে তা-তে অনেক বেশি সময় লাগে, ক্ষেত্রবিশেষে এক বছরেরও বেশি৷ বর্তমানে সিরিয়া এবং ইরাক থেকে আসা উদ্বাস্তুদেরই স্বল্পসময়ের মধ্যে রাজনৈতিক আশ্রয় পাবার সম্ভাবনা বেশি৷ অপরদিকে সার্বিয়া কিংবা ম্যাসিডোনিয়ার মতো ‘‘নিরাপদ'' দেশ থেকে আগত উদ্বাস্তুদের ক্ষেত্রেও স্বল্পসময়ের মধ্যে সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা ভাবছেন জার্মান সরকার৷
রাজনৈতিক আশ্রয়ের আবেদন গ্রাহ্য হলে তিন বছরের ভিসা দেওয়া হয় এবং সেই সঙ্গে বিভিন্ন সামাজিক সাহায্য পাবার অধিকার৷ অপরদিকে আবেদন অগ্রাহ্য হলে, আবেদনকারীকে ‘‘বহিষ্কার'' করার প্রক্রিয়া শুরু হয়: গতবছর জার্মান থেকে দশ হাজার মানুষকে এভাবে ‘বহিষ্কার' করা হয়েছে, মূলত বিমানযোগে৷ তবে সংশ্লিষ্ট উদ্বাস্তুর কোনো পাসপোর্ট না থাকলে, অথবা সংশ্লিষ্ট দেশের জন্য কোনো উড়াল না থাকলে, তাঁকে সাময়িকভাবে বসবাসের অধিকার দেওয় যেতে পারে – জার্মানে যাকে বলে ‘‘ডুল্ডুং'' বা ‘সহ্য করা'৷