1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

রাজনৈতিক আশ্রয় প্রার্থীদের তথ্য

ভল্ফগাং ডিক/আরবি২৭ নভেম্বর ২০১৩

যে সব মানুষ নিজ দেশে রাজনৈতিক ক্ষেত্রে নির্যাতনের শিকার, তাঁদের জার্মানিতে রাজনৈতিক আশ্রয় দেওয়ার বিধান রয়েছে৷ তবে কঠোর পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও অনুসন্ধান করার পরই এই অনুমতি দেওয়া হয়৷

Migranten und Migrantinnen stehen am Mittwoch (01.10.2008) auf einer Treppe im Bundeskanzleramt in Berlin (Zoomeffekt). "Deutschland sagt Danke!", unter diesem Motto würdigte die Bundeskanzlerin die Leistungen ausländischer Arbeitskräfte für Deutschland. Rund 200 Arbeitnehmerinnen und Arbeitnehmer der ersten Generation von Gast- und Vertragsarbeitern waren ins Bundeskanzleramt geladen. Foto: Rainer Jensen dpa/lbn +++(c) dpa - Bildfunk+++
ছবি: picture-alliance/dpa

জার্মানিতে থাকার অনুমতি পাওয়ার জন্য রাজনৈতিক আশ্রয়প্রার্থীদের নানা রকম পরীক্ষা-নিরীক্ষার সম্মুখীন হতে হয়৷ সংশ্লিষ্ট দপ্তরে নানা রকম প্রশ্ন করা হয় তাঁদের৷ বিশেষ করে, তাঁরা রাজনৈতিক নিপীড়নের শিকার কিনা – তা জানতে চাওয়া হয়৷ কোন পথে তাঁরা জার্মানিতে এসেছেন সেটাও জিজ্ঞাসা করা হয়৷ এইভাবে বের করার চেষ্টা হয় যে, তাঁরা কোনো অপরাধী দালাল চক্রের মাধ্যমে জার্মানিতে ঢুকেছেন কিনা৷ কিংবা জার্মানিতে আসার আগে ইউরোপীয় ইউনিয়নের অন্য কোনো দেশে অবস্থান করেছেন কিনা৷ সে রকম হলে, আইন আনুযায়ী সেই দেশেই ফিরে যেতে হয় আশ্রয়প্রার্থীদের৷

তৎপর গোয়েন্দা সংস্থাগুলিও

এ সব ব্যাপারে খোঁজ-খবরের জন্য আরো একটি দপ্তরকে সম্পৃক্ত করা হয়৷ ১৯৫৮ সাল থেকে এই সংস্থাটি গোয়েন্দা প্রতিষ্ঠানের মতো কাজকর্ম করে৷ অর্থাৎ, সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করে থাকে তারা৷ যেমন, কেউ সন্ত্রাসী সংগঠনের সঙ্গে সম্পৃক্ত কিনা কিংবা কারো অস্ত্রভাণ্ডারের খবর জানা আছে কিনা ইত্যাদি ইত্যাদি৷ এসব তথ্য জার্মানির বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থাগুলিকেও জানানো হয়৷

ছবি: Fars

রাজনৈতিক আশ্রয়প্রার্থীদের আইনজীবীদের অনেকেই এই দপ্তরটি সম্পর্কে খবরাখবর রাখেন৷ তাঁদেরই একজন ভিক্টর পাফ৷ তবে তিনি ঐ সংস্থার (এইচবিডাব্লিউ) কর্মীদের সঙ্গে কথাবার্তা বলে সন্তুষ্ট৷ পাফ জানান, তাঁর ৪০ বছরের পেশা জীবনে রাজনৈতিক আশ্রয়প্রার্থীদের কেউ এই দপ্তরটি সম্পর্কে অভিযোগ করেননি৷ বরং উল্টোটাই লক্ষ্য করেছেন তিনি৷ আবেদন সংক্রান্ত প্রক্রিয়া যাতে দ্রুত গতিতে হয়, সে জন্য এই দপ্তরের সাহায্যও পেয়েছেন পাফ৷

দ্রুত সিদ্ধান্ত পাওয়ার আশা

প্রয়োজনীয় তথ্য দিতে পারলে থাকার অনুমতি বা পাসপোর্টও দ্রুত পেয়ে যান তাঁর ক্লায়েন্টরা৷ তবে সমস্যা হলো, রাজনৈতিক আশ্রয়প্রার্থীদের জেরা করার সময় যদি গোপনে গোয়েন্দারা তা শুনে কোনো বিদেশি গোয়েন্দা সংস্থাকে জানিয়ে দেয়৷ সে ক্ষেত্রে বিষয়টি সন্ত্রাসীদের কানে পৌঁছালে তথাকথিত ‘বিশ্বাসঘাতকের' ওপর প্রতিশোধ নেওয়ার চেষ্টা করতে পারে তারা, হত্যাও করতে পারে৷ এ ধরনের ঘটনার সম্মুখীন কখনও হননি পাফ, তবে সহকর্মীদের কাছে শুনেছেন৷

ক্লাউস উলরিশ প্র্যোলস কোলনের শরণার্থী পরিষদের ব্যবস্থাপনা পরিচালক৷ তিনি জানান, কীভাবে রাজনৈতিক আশ্রয়প্রার্থীদের অনেকে গোয়েন্দা সংস্থার লোকজনের জেরার সম্মুখীন হন৷ তাঁর কথায়,‘‘অনেকে আশা করেন এইভাবে তাঁদের আবেদনের প্রক্রিয়াটা দ্রুত হবে৷ অনেকে বিষয়টি বুঝতেই পারেন না৷'' এই ধরনের দপ্তরের সঙ্গে যোগাযোগ না করার পরামর্শ দেন প্র্যোসল৷ ‘মার্কিন ন্যাশনাল সিকিউরিটি এজেন্সি' বা এনএসএ-র ঘটনার পর এই সম্ভবনা উড়িয়ে দেওয়া যায় না যে, বিভিন্ন তথ্যাবলী বিদেশেও চলে যেতে পারে৷

সতর্ক থাকতে বলেন আইনজীবীরা

রাজনৈতিক আশ্রয় আইন সংক্রান্ত কোলনের আর এক আইনজীবী কোশুয়াশভিলি৷ তিনি এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্টদের সতর্ক করে দেন৷ এমনকি দোভাষীদের ব্যাপারেও সতর্ক থাকার কথা বলেন তিনি৷ প্রায়ই লক্ষ্য করা যায় দোভাষীরা নিজস্ব মতামতও অনুবাদের সময় দিয়ে থাকেন৷ তাঁর ক্লায়েন্টদের অনেকেই এই অভিযোগ করেছেন যে, তাঁরা কথাটি ওভাবে বলেননি৷

কোশুয়াশভিলি নিজে জন্মসূত্রে জর্জিয়ান৷ তাঁর স্বদেশ থেকে আসা মক্কেলদের ভাষা ও আইনগত সহায়তা যথাযথভাবে দিতে পারেন তিনি৷ তবে রাজনৈতিক আশ্রয় সংক্রান্ত দপ্তর থেকে প্রার্থীদের জেরা করার সময় আইনজীবীদের উপস্থিত থাকার অনুমতি প্রায় দেওয়াই হয় না৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ