1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

জার্মানিতে রাষ্ট্রীয় সফরে আসছেন এর্দোয়ান

২৮ জুলাই ২০১৮

জার্মানি এবং তুরস্কের নেতাদের মধ্যে আলোচনার জন্য অসংখ্য বিষয় রয়েছে৷ তাসত্ত্বেও স্বৈরাচারী এই তুর্কি নেতার জন্য জার্মানিতে লাল গালিচা বিছিয়ে দেয়া হলে তা কারো কারো পক্ষে মেনে নেয়া কঠিন হবে৷

Türkei 1. Jahrestag nach Putschversuch Präsident Erdogan
ছবি: Reuters/U. Bektas

তুর্কি প্রেসিডেন্ট রেচেপ তাইয়েপ এর্দোয়ান সেপ্টেম্বরের শেষ নাগাদ জার্মানিতে রাষ্ট্রীয় সফর করবেন বলে এক প্রতিবেদনে লিখেছে জার্মান পত্রিকা বিল্ড৷ এটা হবে গত চার বছরে দেশটিতে এর্দোয়ানের প্রথম রাষ্ট্রীয় সফর৷ অবশ্য তুরস্ক এবং জার্মানির আনুষ্ঠানিক সূত্র থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে বিল্ড সংবাদটি প্রকাশ করেছে দাবি করলেও কোনো দেশই আনুষ্ঠানিকভাবে এখনো এই সফর নিশ্চিত করেনি৷

সেপ্টেম্বরের সফরে এর্দোয়ানের জন্য তাঁর সম্মানে সামরিক ‘গার্ড অফ অনার' এবং রাষ্ট্রীয় ভোজের আয়োজনও করা হবে বলে জানিয়েছে বিল্ড পত্রিকা৷ তবে এর্দোয়ানের জন্য এত আয়োজন জার্মানিতে বিরুপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে বলেও মনে করেন বিশ্লেষকরা৷ কেননা, ২০১৬ সালে তুরস্কে এক ব্যর্থ সামরিক অভ্যুত্থানের পর এর্দোয়ান যেভাবে তাঁর প্রকৃত এবং কাল্পনিক শত্রুদের উপর দমনপীড়ন শুরু করেন, তার সমালোচনায় মুখর হয় জার্মানি তথা গোটা ইউরোপ৷ 

জার্মানির সঙ্গে তুরস্কের সম্পর্ক তলানিতে ঠেকে যখন একাধিক জার্মান সাংবাদিক, মানবাধিকার কর্মীকে গ্রেপ্তার করে তুরস্ক সরকার৷ দু'দেশ নানা ইস্যুতে একে অপরকে দোষারোপও শুরু করে৷ তুরস্কের অভিযোগ, এর্দোয়ান যাকে সেনা অভ্যুত্থানের মদদদাতা মনে করেন, সেই গুলেনের সমর্থকদের আশ্রয় দিয়েছে জার্মানি৷ পাশাপাশি, তুরস্কে অবৈধ ঘোষিত কুর্দিশ ওয়ার্কার্স পার্টিও (পিকেকে) জার্মানি থেকে কার্যক্রম পরিচালনার সুযোগ দিয়েছে বার্লিন৷

দু'দেশের সম্পর্ক অবশ্য কিছুটা শান্ত হয়, যখন গতবছরের অক্টোবর মাসে জার্মান মানবাধিকার কর্মী টার স্টয়েড্টনারকে মুক্তি দেয় তুরস্ক৷ চলতি বছর ফেব্রুয়ারি মাসে জার্মানির ডি ভেল্ট পত্রিকার সাংবাদিক ডেনিজ ইউচেলকেও ছেড়ে দেয় দেশটি৷

সম্প্রতি তুর্কি বংশোদ্ভূত জার্মান ফুটবলার মেসুত ও্যজিলের অবসর নিয়েও সরব রয়েছে দু'দেশের গণমাধ্যম৷ গত মে মাসে তুর্কি প্রেসিডেন্টের সঙ্গে লন্ডনে এক ছবি তুলেছিলেন ও্যজিল, যার সমালোচনা করেছেন অনেকে৷ বিশ্বকাপে জার্মানির ভরাডুবির এক কারণ হিসেবেও কেউ কেউ ছবিটিকে সামনে তুলে আনেন৷ ফলশ্রুতিতে বর্ণবাদের অভিযোগ এনে জাতীয় দল থেকে অবসর নেন ও্যজিল৷

চেস উইন্টার/এআই

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ