রেকর্ড পরিমাণ মাদকদ্রব্য উদ্ধারের কথা জানিয়েছে জার্মান পুলিশ৷ দক্ষিণ-পশ্চিম জার্মানির রাইনলান্ড–পালাটিনাটে রাজ্যের পুলিশ সোমবার জানিয়েছে, এ বছরের শুরুর দিকে দুটি এলাকায় অভিযান চালানো হয়৷
বিজ্ঞাপন
জার্মানির ইতিহাসে সবচেয়ে বড় এই অভিযানে উদ্ধার করা হয় ৬৪৬ কেজি মাদকদ্রব্য৷ এর মধ্যে ৪৯ হাজার ৫০০ এলএসডি বড়িও রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ৷ জব্দ করা মাদকের দাম প্রায় ১১ মিলিয়ন ডলার হতে পারে বলেও জানিয়েছে পুলিশ৷
জানুয়ারির এই অভিযানে ৭ সন্দেহভাজনকে আটকের কথাও জানিয়েছে পুলিশ৷
এই মাদক মজুত ও চোরাচালানের পেছনে আন্তর্জাতিক মাদক চোরাচালানচক্র জড়িত বলে ধারণা পুলিশের৷ গত বছরের মাঝামাঝি সুইডিশ পুলিশের তদন্তে রাজ্যের আন্ডেরনাখ শহরে এক তরুণ দম্পতির সন্ধান পায় জার্মান পুলিশ৷
আরো তদন্তের মাধ্যমে মোট ১১ জনকে চিহ্নিত করা হয়েছে৷ এরা একটি আন্তর্জাতিক চক্রের সদস্য বলে ধারণা করা হচ্ছে৷ জার্মানি, যুক্তরাজ্য, বেলজিয়াম, নেদারল্যান্ডস, নরওয়ে এবং সুইডেনে সক্রিয় এই চক্রের সদস্যরা৷
তদন্তকারীদের মুখপাত্র রল্ফ ভিসেন জানিয়েছেন, মাদক চক্রের সন্ধানে এখনও তদন্ত চলছে বলেই এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করা হচ্ছে না৷
এডিকে/এসিবি (ডিপিএ)
ফুটবলের অপরাধীরা
মাদক ব্যবসায়ীদের সাথে কাজ করার অভিযোগ উঠেছে মেক্সিকান ফুটবল তারকা রাফায়েল মার্কোয়েজের বিরুদ্ধে৷ তবে মার্কোয়েজই প্রথম ফুটবলার না, যার বিরুদ্ধে বড় ধরনের অপরাধে জড়ানোর এমন অভিযোগ উঠলো৷ ফুটবলের বড় অপরাধীদের নিয়ে এই ছবিঘর৷
ছবি: picture-alliance/dpa/U. Deck/dpa
রাফায়েল ‘রাফা’ মার্কেজ
কুখ্যাত মাদক ব্যবসায়ী রাউল ফ্লোরেস হার্নান্দেজের ‘ডান হাত’ মেক্সিকোর জাতীয় ফুটবল দলের অধিনায়ক রাফায়েল৷ এমন অভিযোগ উঠেছে মার্কিন রাজস্ব বিভাগের পক্ষ থেকে৷ তবে মার্কেজ অবশ্য বরাবরই এমন অভিযোগ অস্বীকার করে আসছেন৷
ছবি: Reuters/H. Romero
লিওনেল মেসি
পাঁচবারের ফিফা বর্ষসেরার পুরস্কার জয়ী এই তারকাকে ২০১৬ সালে কর ফাঁকির মামলায় ২১ মাসের কারদণ্ড দেয় স্পেনের আদালত৷ স্পেনে ৪১ লাখ ইউরো বা প্রায় ৩৭ কোটি টাকা কর ফাঁকির অভিযোগ প্রমাণিত হয় মেসি ও তার বাবার বিরুদ্ধে৷ তবে স্পেনে দু’বছরের কম সময়ের সাজা জেলের বাইরেই নজরদারির মধ্যে কাটানোর নিয়ম আছে৷ ফলে, সাজা খাটতে জেলে যেতে হয়নি এই আর্জেন্টাইন তারকাকে৷ কিন্তু দিতে হয়েছিল ১৭ লাখ ইউরো বা ১৫ কোটি টাকা জরিমানা৷
ছবি: picture-alliance/AP/D. Ochoa De Olza
দিয়েগো মারাদোনা
ফুটবলের ইতিহাসের সবচেয়ে বিখ্যাত খেলোয়াড়দের একজন মারাদোনা৷ ১৯৮৬ সালে প্রায় একক নৈপূণ্যে আর্জেন্টিনাকে এনে দেন বিশ্বকাপ৷ কিন্তু তাঁর পরবর্তী জীবন ছিল বেশ বিতর্কিত৷ কোকেন টেস্টে পজিটিভ হওয়ায় ১৯৯১ সালে ১৫ মাসের জন্য নিষিদ্ধ হন সব ধরনের ফুটবল থেকে৷ তাঁর ইটালিয়ান ক্লাম নেপোলি তাকে বহিষ্কার করে৷ এয়ার রাইফেল দিয়ে সাংবাদিকদের গুলি করায় ১৯৯৮ সালে তাকে দুই বছরের স্থগিত কারাদণ্ড দেয়া হয়৷
ছবি: picture-alliance/dpa
ব্রেনো ভিনিসিউস
বায়ার্ন মিউনিখের সাবেক ডিফেন্ডার ব্রেনো ভিনিসিউস রদ্রিগেজ বোর্জেস আগুন দেয়ার অভিযোগে তিন বছর নয় মাসের কারাদণ্ড হয়েছিল৷ ২০১১ সালের সেপ্টেম্বরে মিউনিখে নিজের ভাড়া করা বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দিয়েছিলেন ব্রেনো৷ পরে অবশ্য মাদকাসক্ত থাকার কথা স্বীকার করেছিলেন ব্রেনো৷ ২০১৪ সালের ক্রিসমাসে মুক্তি পাওয়ার পর ব্রাজিলের সাও পাওলো ক্লাবে যোগ দেন তিনি৷
ছবি: Reuters
জোয়ি বার্টন
এই ইংলিশ মিডফিল্ডারের ঝগড়াঝাঁটি, এমনকি মারামারিতে জড়ানোর ইতিহাস আছে৷ ২০০৭ সালে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের টিমমেট ওউসমেইন ডাবোকে এমনভাবে পিটিয়ে আহত করেন যে তাকে হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়৷ বার্টনকে চার মাসের স্থগিত বহিষ্কারাদেশ দেয়া হয়৷ ২০০৮ সালে এক বাস স্টেশনে একজনের ওপর হামলা করার অপরাধে তাকে ৬ মাসের কারাদণ্ড দেয়া হয়৷ সর্বশেষ ক্লাব বার্নলেতে খেলার সময় বাজি ধরার অপরাধে তাকে ১৮ মাসের জন্য বহিষ্কার করা হয়৷
ছবি: Getty Images/A. Livesey
হেলমুট রান
রান (ছবিতে ডানে) জার্মানির একজন ফুটবল লেজেন্ড৷ ১৯৫৪ সালের ফাইনালে হাঙ্গেরির বিরুদ্ধে গোল করে তিনিই জার্মানিকে প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপ জিতিয়েছিলেন৷ মাতাল অবস্থায় গাড়ি চালিয়ে একটি নির্মাণধীন ভবনে ঢুকে যাওয়া এবং পরে তাকে গ্রেপ্তার করতে আসা পুলিশ অফিসারদের ওপর হামলার দায়ে ১৯৫৮ সালে রানকে দু’সপ্তাহের জন্য কারাগারে কাটাতে হয়৷
ছবি: picture-alliance/dpa
রেনে হিগুইতা
কলম্বিয়া জাতীয় দলের এই সাবেক গোলকিপার ‘এল লোকো’ বা ‘ক্ষ্যাপাটে’ হিসেবেও পরিচিত৷ ‘স্করপিয়ন কিং’ ভঙ্গিমায় গোল ঠেকানো বা মাঠে পাগলাটে সব কাণ্ডকারখানা তাকে এই নাম এনে দিয়েছে৷ কিন্তু মাঠের বাইরেও তার জীবনটা ক্ষ্যাপাটেই ছিল৷ ২০০২ এবং ২০০৪ সালে কোকেন পরীক্ষায় পজিটিভ রেজাল্ট আসে পাবলো এসকোবারের বন্ধু হিগুইতার৷ এক অপহরণের ঘটনায় মধ্যস্থতা করায় তাকে সাত মাস জেলে কাটাতে হয়৷
ছবি: Dibyangshu Sarkar/AFP/Getty Images
ব্রুনো ফার্নান্দেজ ডি সুজা
ডি সুজার কাহিনিটাই সবচেয়ে ভয়ংকর৷ গর্ভপাতে রাজি না হওয়ায় নিজের প্রেমিকাকে খুন করার আদেশ দেয়ার অপরাধে ২০১৩ সালে তার সাজা হয়৷ প্রেমিকার মরদেহ টুকরো টুকরো করে কুকুরকে খাইয়ে দেয়ার অভিযোগও ছিল তার বিরুদ্ধে৷ ২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারিতে প্যারোলে মুক্তি পাওয়ার পর বোয়া এসপোর্তে তাকে দলে নেয়৷ কিন্তু কিছুদিনের মধ্যেই তা প্যারোল বাতিল করা হয়৷ এখন কারাগারেই আছেন এই খেলোয়াড়৷