২০১৫ সালে জার্মানিতে যত শিশু জন্মায়, তাদের মধ্যে প্রত্যেক পঞ্চম নবজাতকের মা ছিলেন অন্য কোনো দেশের নাগরিক৷ ওদিকে জার্মান হাসপাতালে বিদেশি পেশেন্টদের ট্রিটমেন্ট একটা আর্থিক ও প্রশাসনিক সমস্যা বিশেষ৷
বিজ্ঞাপন
ফেডারাল পরিসংখ্যান দপ্তরের বিবরণ অনুযায়ী, ২০১৫ সালে জার্মানিতে যত শিশু জন্ম নেয়, তাদের প্রত্যেক পাঁচটি শিশুর মধ্যে একজনের মা ছিলেন অ-জার্মান, অর্থাৎ অন্য কোনো দেশের নাগরিকত্বধারী৷ ওদিকে ২০১৪ সালের তুলনায় জার্মানিতে বিদেশি মায়ের গর্ভজাত সন্তানদের সংখ্যা বেড়েছে প্রায় ২০ শতাংশ – অবশ্যই গতবছর যে পরিমাণ উদ্বাস্তু ও অভিবাসী জার্মানিতে এসেছেন – বিশেষ করে পূর্ব ইউরোপ থেকে – তাদের কারণে৷
২০১৫ সালে ৪,৮০০ সিরীয় মহিলা জার্মানিতে সন্তানের জন্ম দেন; ২০১৪ সালে এই সংখ্যা ছিল ২,৩০০৷ পূর্ব ইউরোপের অন্যান্য দেশ থেকে আসা মহিলাদের সঙ্গে তুলনা করলে কিন্তু সংখ্যাটা খুব বেশি নয়৷ যেমন ২০১৪ সালে জার্মানিতে রুমেনীয় মায়েদের ৫,৫৫১টি সন্তান জন্ম নেয়, যা ২০১৫ সালে ৪৭ শতাংশ বেড়ে দাঁড়ায় ৮,১৫৪-য়৷ জার্মানিতে বুলগেরীয় মহিলারা ২০১৪ সালে জন্ম দেন ৩,১৩৫টি শিশুর, যা ২০১৫-য় ৩৪ শতাংশ বেড়ে দাঁড়ায় ৪,২০২-তে৷
‘বেবিব্লুজ’ বা নতুন মায়েদের বিষণ্ণতায় যা করবেন
শিশুর জন্মের পর যে কোনো মায়ের অনুভূতিই হয় আনন্দের৷ তবে কয়েকদিন যেতে না যেতেই অনেকসময় সে আনন্দ বিষণ্ণতায় পরিণত হয়৷ কেন এমন হয় এবং তখন কী করা উচিত, জেনে নিন এই ছবিঘর থেকে৷
ছবি: picture-alliance/dpa
মা হওয়ার স্বপ্ন প্রতিটি নারীর
পুতুল নিয়ে খেলার বয়স থেকেই মেয়েরা মা হওয়ার স্বপ্ন দেখে৷ আর তারা যখন গর্ভবতী হয়, তখন সেই স্বপ্ন বাস্তবে রূপায়নের প্রস্তুতি চলে৷ সে জন্যই হয়ত সদ্য ভূমিষ্ঠ হওয়া শিশুকে বুকে জড়িয়ে ধরার আবেগ-অনুভূতির কথা কাউকে বোঝানো যায় না৷ এটা যে একান্তই শুধু মায়ের অনুভূতি...৷
ছবি: Fotolia/philipus
বাড়িতে নতুন অতিথি
বাড়িতে নতুন শিশুর জন্ম হওয়া মানেই বাড়িতে বা পুরো পরিবারের মধ্যে একটা বিরাট পরিবর্তন আসা৷ এ সময় পরিবারের নতুন সদস্যকে নিয়ে চলে হৈচৈ আর আনন্দ৷ আর এই আনন্দ যখন স্বাভাবিক নিয়ম হতে থাকে তখন নতুন মায়ের মধ্যে আসে অন্যরকম কিছু পরিবর্তন৷
ছবি: picture-alliance/dpa/Yu Ping
বেবিব্লুজ
শিশুর জন্মের ক’দিন না যেতেই মা ধীরে ধীরে বুঝতে পারেন, শিশুর লালন-পালনের সাথে জড়িয়ে আছে হাজরো কাজ৷ তখন ধীরে ধীরে কমে যেতে শুরু করে মায়ের আনন্দ৷ পরিবর্তে নতুন মায়ের মনের মধ্যে দেখা দেয় নানা দ্বন্দ্ব৷ মন খারাপ হয়, এমনকি এটাও মনে হতে থাকে যে সন্তানের জন্ম হয়ত শুধুই আনন্দের নয়৷ বরং এটা কাজের চাপ অসম্ভব বাড়িয়ে দেয়৷ এর থেকেই শুরু হয় বিষণ্ণতা, যাকে ডাক্তারি ভাষায় বলা হয় ‘বেবিব্লুজ’৷
ছবি: imago/imagebroker
পরিবর্তন
সন্তান জন্মের আগে এবং পরে মায়ের শরীর এবং মনে অনেক পরিবর্তেন হয়, বিশেষ করে হরমোনের নানা পরিবর্তন ঘটে৷ এর ফলে ঘুমের ব্যাঘাত ঘটে, শরীর ঝিমিয়ে পড়ে৷ তার ওপর নতুন পরিস্থিতির সাথে মানিয়ে নিতে গিয়ে মা হয়ে পড়েন ক্লান্ত৷ সংসার ও সন্তানের দেখাশোনা করতে গিয়ে হাপিয়ে ওঠেন তিনি৷ তখন সদ্য মা হওয়া অনেক নারীই মনে করেন যে, তিনি ‘মা’ হওয়ার যোগ্য নন৷
ছবি: Colourbox
যাদের হয়?
জার্মানির হেল্থ কেয়ার উন্নয়ন সংস্থার হিসেব অনুযায়ী, শিশুর জন্মের পর শতকরা ১৫ ভাগ নতুন মায়ের মধ্যেই ‘বেবিব্লুজ’-এর লক্ষ্যণ দেখা যায়৷ তবে এই ১৫ শতাংশের মধ্যে অর্ধেক মায়ের লক্ষ্যণ তেমন জটিল নয়৷ বেবিব্লুজ-এর কারণগুলোর মধ্যে থাকে মায়ের শরীরে হরমোনের তারতম্য, সামাজিক পরিবর্তন, পরিবার থেকে সহযোগিতার অভাব অথবা আগে ছোট কোনো শিশুর সংস্পর্শে না আসা বা অভিজ্ঞতা না থাকা৷
ছবি: picture-alliance/dpa/W. Grubitzsch
জীবনের গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়
মা হওয়া যে কোনো নারীর জীবনেই একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়৷ আর এই অধ্যায়ের শুরুতেই যদি বিষণ্ণতা দেখা দেয়, তাহলে বিষয়টিকে অবশ্যই যথাযথ গুরুত্ব দেওয়া উচিত বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা৷ ‘বেবিব্লুজ’ বা নতুন মায়ের বিষণ্ণতা রোগটি আগেও হতো, তবে তখন তা নিয়ে কথা বলা বা আলোচনা হতো না৷ তবে বর্তমান সময়ের শিক্ষিত মায়েরাই কিন্তু বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করতে আগ্রহী৷
বড় শহর বা পাশ্চাত্যের দেশগুলোতে এ সমস্যা দিনদিন বাড়ছে৷ তাই বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, এ সময়ে সদ্য মায়ের সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন তাঁর নিজের মা বা শ্বাশুরিকে৷ এর সঙ্গে প্রয়োজন স্বামীর সহযোগিতাও৷ তবে প্রথম কিছুদিন নিয়মিতভাবে একজন অভিজ্ঞ ধাত্রীর সাহায্য পেলেও অনেক উপকার হয়৷ জার্মানিতে অবশ্য সদ্য জন্ম নেওয়া শিশু ও মায়েরা বেশ কয়েক বছর থেকেই এ সাহায্য পাচ্ছেন৷
বিশেষজ্ঞের পরামর্শ
শিশুর জন্মের কয়েক সপ্তাহ পরও ‘বেবিব্লুজ’ বা বিষণ্ণতা যদি না কমে, তাহলে অবশ্যই স্ত্রী-রোগ বিশেষজ্ঞ, শিশু বিশেষজ্ঞ কিংবা কোনো মনোরোগ বিশেষজ্ঞের সাথে খোলাখুলি আলোচনা করা প্রয়োজন, বলছেন বিশেষজ্ঞরা৷ কারণ তা না হলে মায়ের বিষণ্ণতার নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে শিশু ওপর, যা শিশুর মানসিক বিকাশকে বাধাগ্রস্ত করতে পারে৷
ছবি: picture-alliance/dpa
8 ছবি1 | 8
তবে ২০১৫ সালে যে সব বিদেশি মায়েরা জার্মানিতে শিশুর জন্ম দিয়েছেন, তাদের তালিকার শীর্ষে রয়েছেন তুর্কি মায়েরা, যারা ২০১৫ সালে ২১,৫৫৫টি শিশুর জন্ম দেন৷ তার পরেই ছিলেন পোলিশ মায়েরা: ২০১৫-য় তারা ১০,৮৩১টি শিশুর জন্ম দেন৷
বার্লিনের শারিটে হলো ইউরোপের বৃহত্তম ইউনিভার্সিটি হসপিটালগুলির মধ্যে একটি৷ এখানকার সূচিকা কক্ষে ডাক্তার, ধাই, শিশু কোলে মায়েরা, নবজাতকের কান্না৷ মায়েদের মধ্যে অনেকেই বিদেশিনী৷ তবে সেটা সমস্যারও সৃষ্টি করতে পারে – যেমন শারিটে হাসপাতালে অবস্টেট্রিক্স বা ধাত্রীবিদ্যা বিভাগের প্রধান ডক্টর ভোলফগাং হেনরিশ ডয়চে ভেলেকে বললেন, ‘‘স্বভাবতই আমরা সন্তানসম্ভবা উদ্বাস্তু মহিলাদের সংখ্যা বাড়তে দেখেছি৷ আমাদের প্রধান সমস্যা হলো ভাষা৷ আমাদের নিশ্চিত করতে হয় যে, দোভাষী ‘বুক' করা হয়েছে, নয়ত হাসপাতালেই কাজ চালানোর মতো কাউকে খুঁজে বার করতে হয়৷ এছাড়া আমরা এমন সব হেল্থ কেয়ার অ্যাসিস্ট্যান্ট নিয়োগ করার চেষ্টা করি, যারা বিদেশি ভাষা জানে৷''
বছরে যেখানে পাঁচ হাজারের বেশি শিশুর জন্ম হচ্ছে, শারিটে কর্তৃপক্ষ বার্লিনে তাদের চারটি হাসপাতালের জন্য ইতিমধ্যেই অন্তত একজন করে সিরীয় চিকিৎসক নিয়োগ করেছেন৷ ‘‘এ-বছর দোভাষীদের খরচ বেশ কয়েক লাখ ইউরোয় গিয়ে দাঁড়িয়েছে, কেননা বিদেশি মহিলারা স্রেফ হাসপাতালে পৌঁছে যান'', জানালেন ড. হেনরিশ৷ ‘‘আমি শুধু সিরীয় মহিলা নয়, ইরাক, ইরান, আফগানিস্তান বা আফ্রিকার বিভিন্ন দেশ থেকে যে সব মহিলারা এসেছেন, তাদের কথাও বলছি৷ এ সব ক্ষেত্রে আমাদের স্বল্পসময়ের মধ্যে দোভাষীর ব্যবস্থা করতে হয়৷ তার জন্য অর্থসংস্থানও একটা অমীমাংসিত সমস্যা৷''
‘শিশু কাঁদলে, তাকে কোলে তুলে নিন’
বাচ্চা কাঁদলে কোলে তুলে নেয়াটাই স্বাভাবিক, বিশেষ করে উপ-মহাদেশের বাবা-মা এবং পরিবারের মানুষদের কাছে৷ এ নিয়ে তাঁদের মনে কোনো প্রশ্ন নেই৷ কিন্তু জার্মানিতে? চলুন বিস্তারিত জানা যাক এই ছবিঘর থেকে৷
ছবি: Fotolia/st-fotograf
শিশুরা কাঁদে কেন?
যে কোনো শিশুই চিৎকার করে কেঁদে তার ভূমিষ্ঠ হওয়ার খবর জানিয়ে দেয়৷ তারপরও কারণে-অকারণেই ওরা কাঁদে৷ এই সুন্দর ভুবনের সাথে মানিয়ে নিতে ওদের যেমন কিছুটা সময় লাগে, তেমনই নতুন মা-বাবারও লাগে খানিকটা সময় সব কিছু গুছিয়ে নিতে৷ যা খুবই স্বাভাবিক৷
ছবি: Fotolia/S.Kobold
আমার কান্না কেউ কি শুনছে না?
মাঝে মাঝে শিশুরা চিৎকার করে ওঠে, বিশেষ করে কাছাকাছি অনেকক্ষণ কোনো শব্দ শুনতে না পেলে৷ অন্যের দৃষ্টি আকর্ষণ করার জন্যই হয়ত তখন কাঁদে তারা৷ মজার ব্যাপার, ঐ মুহূর্তে কেউ কাছে গিয়ে কথা বললে বা কোলে তুলে নিলে সাথে সাথেই শিশুদের কান্না থেমে যায়৷
ছবি: picture-alliance/dpa
বাঙালি বাবা-মায়ের সন্তান
দেশে সন্তান জন্মের পর থেকেই সে বাচ্চা কোলে কোলে থাকে৷ বাচ্চা কাঁদুক আর না কাঁদুক৷ নতুন মা সারাক্ষণই তাঁর শিশুটিকে নিয়ে ব্যস্ত আর সেই শিশু সর্বক্ষণই পেয়ে থাকে মায়ের শরীরের উষ্ণতা৷ শিশুকে কোলে নেওয়ার জন্য বাবা-মা ছাড়াও আত্মীয়স্বজন থাকেন৷ এছাড়া, বাচ্চাকে শুধু দেখাশোনা করার জন্য আলাদা লোকও অনেক সময় রাখা হয়৷
ছবি: picture-alliance/Joker
জার্মান শিশু
জার্মানিতে কোনো শিশু কাঁদলেই চট করে কোলো তুলে নেওয়া হতো না কয়েক বছর আগ পর্যন্তও৷ শিশু কাঁদলে ওকে শুইয়ে রাখা হতো৷ এক সময় সেই ছোট্ট শিশু কেঁদে কেঁদে ঘুমিয়ে পরতো৷ কারণ, মা সারাক্ষণ বাচ্চাকে কোলো নিলে বাড়ির অন্য কাজ কে করবে? রাতে প্রতিদিন ঘড়ি ধরে একই সময়ে বাচ্চাকে বিছানায় শুইয়ে দেওয়া হতো ঘর অন্ধকার করে৷ বলা বাহুল্য জার্মানিতে গ্রীষ্মকালে প্রায় ১১টা পর্যন্ত বাইরে সূর্যের আলো থাকে৷
ছবি: Getty Images/Afp/Timothy Clary
সময় পাল্টেছে, বদলেছে চিন্তাধারা
একদিকে যেমন জার্মানির মতো উন্নত দেশগুলিতে প্রযুক্তি দ্রুত গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে, তেমনই অন্যদিকে উন্নয়নশীল দেশেরও কিছু বিষয় গ্রহণ করতে শুরু করেছে তারা৷ শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. গেন কামেদা বলেন, পশ্চিমের সংস্কৃতিটা এমন যে শিশুরা মায়ের শরীরের উষ্ণতা কম পায়, কারণ এ দেশে বাচ্চারা বিছানায় বেশি সময় থাকে আর এটাই হয়ত শিশুদের রাতে কান্নাকটি করার বড় কারণ৷
ছবি: Yuri Arcurs/Fotolia
নতুন বাবা-মা
নতুন মা-বাবার নানা প্রশ্ন, শিশুটির কান্নার কারণ তাঁরা বুঝতে পারেন না৷ ক্ষুধা, শরীর খারাপ, ক্লান্ত নাকি আদর, কি চায় বেবিটি? আসলে শরীরের উষ্ণতা পেলে শিশুরা সব কিছুই ভুলে যায়, যদি না বড় কোনো শারীরিক কষ্ট থেকে থাকে, বলেন ডা. কামেদা৷ তাঁর পরামর্শ, পিতা-মাতা হলে অনেককিছুই বাদ দিতে হয়, তাই বাইরে গেলে শিশুকে কোলে করে সঙ্গে নেবার চেষ্টা করবেন – যাতে শিশুটি শরীরের উষ্ণতা পায়৷
ছবি: Fotolia/detailblick
ডাক্তারের পরামর্শ
নতুন বাবা-মায়ের জন্য ডাক্তার কামেদার আরো পরামর্শ, শিশুর কাছাকাছি থাকুন, শিশুকে সময় দিন, কোলে তুলে নিন৷ অল্প কিছুদিন পরেই দেখবেন, শিশু শুধু কাঁদেই না, বরং খুব শীঘ্রই তারা হাসতে শিখবে, হাসাবে মা-বাবাকেও৷
ছবি: Fotolia/st-fotograf
7 ছবি1 | 7
আরেকটি সমস্যা হলো, বিদেশি পেশেন্টদের চিকিৎসা ও পরিচর্যার খরচ কে দেবে৷ জার্মানিতে বসবাসকারী সব ইইউ নাগরিকদের জন্য স্বল্পমেয়াদি ইউরোপীয় স্বাস্থ্যবীমা কার্ড, নয়ত কোনো সরকারি বা বেসরকারি জার্মান স্বাস্থ্যবীমা সংস্থার সদস্যতা বাধ্যতামূলক৷ উদ্বাস্তুদের যদি জার্মানিতে আসার পর প্রথম ১৫ মাসে হঠাৎ হাসপাতালে যাবার দরকার পড়ে – অথবা সন্তানের জন্মের জন্য মায়েদের হাসপাতালে যেতে হয় – তবে তার খরচ জোগান স্থানীয় কর্তৃপক্ষ৷ সেই ১৫ মাসের মধ্যে যদি তাদের রাজনৈতিক আশ্রয়প্রাপ্তির আবেদন সম্পর্কে কোনো সিদ্ধান্ত না নেওয়া হয়ে থাকে, তাহলে উদ্বাস্তুরা জার্মান নাগরিকদের মতোই বাধ্যতামূলক স্বাস্থ্যসেবা পাবেন৷ তবে মেডিক্যাল এমার্জেন্সির ক্ষেত্রে কোনো পেশেন্টকে ফিরিয়ে দেওয়া হবে না৷