1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

জার্মানিতে লকডাউন-বিরোধী বিক্ষোভ

৭ আগস্ট ২০২০

গত শনিবার বার্লিনে প্রায় ২০ হাজার মানুষ করোনা প্রতিরোধে সরকারের নেয়া বিভিন্ন সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে বিক্ষোভ করেছেন৷ আনসেল্ম লেনৎস নামের সাবেক এক সাংবাদিক প্রথম এমন বিক্ষোভ শুরু করেছিলেন৷

Berlin I Proteste gegen Corona-Auflagen I Day of Freedom
ছবি: Getty Images/M. Hitij

লেনৎসের অভিযোগ, গণতন্ত্র বিলুপ্ত করতে জার্মান রাষ্ট্র বিভিন্ন ওষুধ ও প্রযুক্তি কোম্পানির সঙ্গে হাত মিলিয়েছে৷ তার আহ্বানে সাড়া দিয়ে বার্লিনের রোজা লুক্সেমবুর্গ চত্বরে ৪০ জন মানুষ জার্মানির প্রথম লকডাউন-বিরোধী বিক্ষোভে অংশ নিয়েছিল৷

প্রথম বিক্ষোভের প্রায় একমাস পর আয়োজিত আরেক বিক্ষোভে অংশগ্রহণকারীর সংখ্যা বেড়ে প্রায় এক হাজার জন হয়৷ তাদের কয়েকজন মাইক্রোসফট প্রতিষ্ঠাতা বিল গেটসের বিরুদ্ধে ‘ভ্যাকসিনেশন ডিক্টেটরশিপ'-এর অভিযোগ আনেন৷

বিক্ষোভে অংশ নেয়া প্রথম প্রখ্যাত ব্যক্তি ছিলেন কেন ইয়েবসেন৷ তিনি একজন সাবেক বেতার সাংবাদিক৷ ইহুদি-বিরোধী মন্তব্যের কারণে ২০১১ সালে তার চাকরি চলে যায়৷ এরপর তিনি ইউটিউবে একটি চ্যানেল খোলেন৷ প্রায় পাঁচ লাখ অনুসারী নিয়মিত তার ভিডিও দেখে থাকেন৷ এমন এক ভিডিওতে ইয়েবসেন দাবি করেন, টিকা বিক্রি করে টাকা কামাতে বিল গেটস বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকে নিয়ন্ত্রণ করছেন৷ মাত্র এক সপ্তাহে এই ভিডিও ৩০ লাখ বার দেখা হয়৷

ছবি: Getty Images/M. Hitij

জার্মানির প্রখ্যাত ভেগান রাঁধুনি আটিলা হিল্ডমান বিল গেটসকে ‘শয়তান' মনে করেন৷ আর জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেলকে মনে করেন ‘চীনের পুতুল'৷ সাম্প্রতিক সময়ে লকডাউনের অন্যতম সমালোচক হয়ে উঠেছেন হিল্ডমান৷ ইন্সটাগ্রাম থেকে নিষিদ্ধ হওয়ার পর তিনি ‘টেলিগ্রাম'-এ অ্যাকাউন্ট খোলেন৷ প্রায় ৬৮ হাজার জন তাকে অনুসরণ করেন৷

ইয়েবসেন ও হিল্ডমানের মতো আরো কয়েকজন ষড়যন্ত্র তাত্ত্বিক অনলাইনে বিভিন্ন বিষয় শেয়ার করে লকডাউন-বিরোধী একটি অংশ গড়ে তুলতে সমর্থ হয়েছেন৷ তারাই শনিবার বার্লিনে বিক্ষোভে অংশ নিয়েছিল৷

ইয়েবসেন ও হিল্ডমান এই বিক্ষোভ অনলাইনে সরাসরি সম্প্রচার করেছেন৷ অংশগ্রহণকারীদের তারা ‘মুক্তিযোদ্ধা' বলে আখ্যায়িত করেছেন৷ বিক্ষোভে প্রায় দশ লাখ মানুষ অংশ নিয়েছেন বলে দাবি করেছেন তারা৷ যদিও বাস্তবে সংখ্যাটি মাত্র ২০ হাজার৷

বিক্ষোভের খবর সংগ্রহ করতে যাওয়া ডয়চে ভেলের সাংবাদিককে নানাভাবে অপমান করা হয়েছে এবং তার মাস্ক খুলে ফেলতে বলা হয়েছে৷

জার্মানিতে এখন পর্যন্ত দুই লাখ ১৪ হাজার ২১৪ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন৷ মারা গেছেন নয় হাজার ১৮৩ জন৷

সাম্প্রতিক সময়ে জার্মানিতে করোনা সংক্রমণের সংখ্যা অনেকটা কমে এলেও গত দুইদিনে সংখ্যাটি আবার দিনপ্রতি এক হাজারের বেশি করে বেড়েছে৷

করোনা সংক্রমণের হার যখন অনেক বেশি ছিল তখন তার বিস্তার ঠেকাতে সরকার চলাফেরায় কড়াকড়ি আরোপ করেছিল৷ স্কুল বন্ধ করে দেয়া হয়েছিল৷ কর্মক্ষেত্রেও উপস্থিতি কমাতে বলা হয়েছিল৷ বড় ইভেন্ট আয়োজন বন্ধ ছিল৷ হোটেল-রেস্তোরাঁ বন্ধ ছিল৷ মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক ছিল৷

এখন অনেককিছুই শিথিল করা হয়েছে৷ তবে গণপরিবহণ, দোকানপাটে এখনও বাধ্যতামূলকভাবে মাস্ক পরতে হচ্ছে৷

আনে হ্যোন/জেডএইচ

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ