বার্লিনের একটি সাইকেল কোম্পানির নকশাকার ডানিয়েল ফোগেল-এসেক্স (বামে) স্টেফান ব্রুনিং (ডানে)-এর সঙ্গে মিলে একটি ওয়ার্কশপ চালু করেছেন৷ যেসব ক্রেতা বাঁশের তৈরি সাইকেল পেতে আগ্রহী তাদের জন্য কাজ করেন এই দুই তরুণ৷

বাঁশের একটা বড় গুণ এর স্থায়ীত্ব৷ এর ভেতরে ও বাইরে যে আঁশ রয়েছে সেটা বাঁশকে যেমন শক্ত করে তেমনি রাস্তায় চলতে গিয়ে যে ঝাঁকুনি তৈরি হয় সেটাকে দমিয়ে রাখে৷

বাঁশের আরেকটা বৈশিষ্ট্য হলো, একে খুব সহজেই করাত দিয়ে পরিমাণ মতো কাটা যায়৷ এরপর শিরিস কাগজ আর বার্নিশ দিয়ে সাইকেলে ব্যবহারের উপযোগী করা যায়৷

বাঁশের একটা নলের সঙ্গে আরেকটা জোড়া লাগিয়ে সাইকেলের অবকাঠামো তৈরির একটা বড় চ্যালেঞ্জ৷ এজন্য একেকজন একেক ধরণের পদ্ধতি ব্যবহার করে৷ কেউ ব্যবহার করে ইস্পাত আর কেউবা বার্নিশ, যা-তে মিশ্রিত থাকে শণজাতীয় উদ্ভিদের আঠা৷

মজার বিষয় হচ্ছে, ওয়ার্কশপে সাইকেল তৈরির উপাদান যেমন বাঁশের, তেমনি যেসব উপকরণ ব্যবহার করে বাঁশকে সাইকেল তৈরির উপযোগী করা হয়, সেগুলোও বাঁশেরই তৈরি৷

যারা নিজের জন্য বাঁশের তৈরি সাইকেল চান তাদের সহায়তা করতে সপ্তাহান্তে ওয়ার্কশপ চালু রাখেন এসেক্স ও ব্রুনিং৷ বাঁশের তৈরি এই সাইকেলের চাহিদা ক্রমশ বাড়ছে৷ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ঘানা, জাম্বিয়া এবং সিংগাপুরে কিছু ছোট ছোট প্রতিষ্ঠানও গড়ে উঠেছে, যারা সাইকেলের জন্য বাঁশের ফ্রেম তৈরি করছে৷

এসেক্স বলছেন, বাঁশের সাইকেল হাতেই তৈরি করতে হবে৷ কারণ বড় শিল্পের মতো ঢালাওভাবে সাইকেল উৎপাদনের ক্ষেত্রে বাঁশ ঠিক মানানসই উপকরণ নয়৷