1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

শরণার্থীদের নতুন সুযোগ

হাইনার কিসেল/জেডএইচ২৮ এপ্রিল ২০১৫

জার্মানিতে যে সমস্ত বিদেশি বৈধ কাগজপত্র ছাড়া বসবাস করছেন, তাঁরা নিজেরাই যদি নিজ জীবিকা নির্বাহে সক্ষম হন, তাহলে কিছু শর্ত পূরণ সাপেক্ষে এ দেশে থাকার অনুমতি পেতে পারেন৷

Syrische Flüchtlinge in Deutschland
ছবি: picture-alliance/dpa

গত ডিসেম্বরে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রকাশ করা একটি নতুন আইনের খসড়ায় এই সুবিধা দেয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে৷ তবে এর আওতায় বিদেশি অপরাধীদের তাদের দেশে পাঠিয়ে দেয়ার ব্যবস্থাও সহজ করার কথা বলা হয়েছে৷

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলছেন, নতুন আইনের আওতায় অবৈধ বিদেশিদের থাকার অনুমতিপত্র পেতে কয়েকটি শর্ত পূরণ করতে হবে৷ যেমন জার্মানিতে আট বছরের বেশি সময় ধরে থাকতে হবে, নিজেরা উপার্জন করে চলতে সমর্থ হতে হবে, জার্মান ভাষার পর্যাপ্ত জ্ঞান থাকতে হবে৷ তবে শরণার্থীরা যদি বাবা-মা হন, তাহলে তাঁদের জার্মানিতে কমপক্ষে ছয় বছর থাকলেই হবে৷

তবে থাকার অনুমতি ছাড়াই যে সব বিদেশি জার্মানিতে বসবাস করছেন, নতুন আইন তাঁদের অবস্থা আরও কঠিন করে তুলতে পারে – বিশেষ করে তাঁরা যদি সহযোগিতা না করেন কিংবা আইনের শর্তগুলো লঙ্ঘন করেন৷

জার্মানিতে এমন অনেক মানুষ আছেন যাঁরা বিতাড়িত হওয়ার ভয়ে নিজেদের পরিচয় গোপন রাখেন৷ সেক্ষেত্রে নতুন আইন কর্তৃপক্ষকে ই-মেল অ্যাকাউন্ট, মোবাইল ফোন ও পেনড্রাইভের তথ্য ব্যবহার করে পরিচয় গোপনকারীর পরিচয় উদ্ধারের অনুমতি দেবে৷ উল্লেখ্য, প্রতিবছর জার্মানি থেকে গড়ে ১০ হাজার অবৈধ বিদেশিকে তাঁদের দেশে ফেরত পাঠিয়ে দেয়া হয়৷

এছাড়া অনুমতি থাকা সত্ত্বেও কোনো বিদেশিকে যদি জার্মানির জন্য হুমকি মনে করা হয় কিংবা তাঁকে যদি কোনো অপরাধে এক বছরের সাজা দেয়া হয়, তাহলে খসড়া আইনে ঐ বিদেশিকে বিতাড়নের প্রক্রিয়া আরও সহজ করা হয়েছে৷

কিছু পরিসংখ্যান

কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের হিসেব অনুযায়ী, জার্মানিতে বর্তমানে অনুমতিপত্র ছাড়া বসবাস করা বিদেশির সংখ্যা প্রায় দেড় লক্ষ৷ এর মধ্যে প্রায় ৩০ হাজার বিদেশি আট বছরের বেশি সময় ধরে জার্মানিতে বাস করছেন৷ ফলে খসড়া আইনের আওতায় তাঁরা হয়ত অনুমতিপত্র পেতে পারেন৷ তবে কিছু শর্ত আরও কঠিন হওয়ায় কতজনকে দুর্ভোগ পোহাতে হবে, সেটা পরিষ্কার নয়৷

কে কী বলছেন...

জার্মানির শাসক দল বা খ্রিষ্টীয় গণতন্ত্রী দল সিডিইউ প্রস্তাবিত এই খসড়া আইনের প্রশংসা করেছে৷ অন্যদিকে সবুজ ও বাম দল এর সমালোচনা করেছে৷ বাম রাজনীতিক উলা ইয়েল্পকে বলেছেন, খসড়া আইনের মানে হচ্ছে, ‘‘যাঁরা আমাদের কাজে আসছেন এবং যাঁদের থাকতে দিতে সরকারের কোনো খরচ হচ্ছে না, শুধু তাঁরাই থাকতে পারবে৷ এটা অমানবিক৷''

এদিকে ক্যাথলিকদের সংস্থা জেআরসি, যারা শরণার্থীদের সহায়তা দিয়ে থাকে, তাদের জার্মান শাখার একজন পরিচালক ফাদার ফ্রিডো ফ্ল্যুগার বলছেন, ‘‘২০১৪ সালে জার্মানিতে এক লক্ষ ৪০ হাজার শরণার্থী এসেছে৷ জার্মানির মতো ধনী দেশের জন্য সেটা বড় কোনো সমস্যা হওয়ার কথা নয়৷''

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ