সংগঠনটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ভেরেনা রোজেনকে জানান, মৃতদের কয়েকজনের ময়নাতদন্তের কাজ চলছে৷ তবে ধারণা করা যাচ্ছে, শীতের তীব্রতার কারণেই এই প্রাণহানি৷
তিনি আরো জানান, বন্দর নগরী হামবুর্গে ৪জন, ড্যুসেলডর্ফে দুইজন এবং কোলন, এসেন ও লাউশহামারে একজন করে মোট ৯ জনের মৃত্যু ঘটেছে এ পর্যন্ত৷ ২০১৭ সালে এই সময়ে শীতে তিন জনের মৃ্ত্যু হয়েছিল বলে জানায় সংগঠনটি৷ তারা এ-ও দাবি করে যে, গত বছর এমন অনেক মৃ্ত্যুর ঘটনাই তালিকাভূক্ত হয়নি৷
গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদের ভিত্তিতে ঠান্ডায় মৃত্যুর তালিকা করা হয়েছে৷ বিবৃতিতে জার্মান সরকারের তীব্র সমালোচনা করে বিএজিডব্লিউ৷ উল্লেখ্য, ১৯৯০ সাল থেকে এ পর্যন্ত জার্মানিতে ঠান্ডায় মোট প্রায় ৩০০ জনের মৃত্যু হয়েছে৷
সংগঠনটি আরো জানায়, জার্মানিতে গৃহহীনদের সংখ্যা বাড়ছে৷ প্রথমবারের মতো এ সংখ্যা ১০ লাখ ছাড়িয়ে গেছে৷ এর আগে ২০১৭ সালে বিএজিডব্লিউ-এর প্রতিবেদনে বলা হয়, গৃহহীনের সংখ্যা ৮ লাখ ৬০ হাজার৷ তাঁদের নিজেদের থাকার কোনো আবাস নেই৷ এর মধ্যে ৫২ হাজার খোলা আকাশের নীচে রাত কাটায়৷
ভেরেনা রোজেনকে বলেন, ‘‘গত বছর প্রতিবেদন প্রকাশের সময়ই আমরা জানিয়েছিলাম এই সংখ্যা বাড়বে৷''
যাঁদের কোন বাড়ি বা স্থায়ী ঠিকানা নেই, তাঁরা কিভাবে বেঁচে থাকবেন? এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজে বের করতে চায় স্কটল্যান্ড৷ দেশটিতে শুধু গৃহহীন মানুষদের জন্য নির্মিত হয়েছে আস্ত একটি গ্রাম৷
ছবি: Getty Images/AFP/A. Buchanan‘সোশ্যাল বাইট’ নামের একটি সামাজিক সংস্থা গৃহহীনদের আশ্রয়নে এই প্রকল্প হাতে নিয়েছে৷ এডিনবরার প্রায় দেড় একর জায়গা জুড়ে বানানো এই গ্রামে আপাতত আশ্রয় পাবেন ২০ জন গৃহহীন মানুষ৷
ছবি: Getty Images/AFP/A. Buchanan১২ থেকে ১৮ মাসের জন্য গৃহহীনরা এই বাড়িতে বিনামূল্যে বসবাস করতে পারবেন৷ এই সময় ‘সোশ্যাল বাইট’ সংস্থাটি তাঁদের জন্য চাকরি এবং নতুন বাড়ি খুঁজে দেয়ার চেষ্টা করবে৷
ছবি: Getty Images/AFP/A. Buchananগ্রামের প্রতিটি ঘরে আছে একটি শয়নকক্ষ, খোলা রান্নাঘর এবং বাথরুম৷ রান্নাঘরে পাত্র এবং সরঞ্জামও দেয়াই আছে৷ এমনকি অবসরের বিনোদনের জন্য বরাদ্দ রয়েছে একটি টেলিভিশনও৷
ছবি: Getty Images/AFP/A. Buchananসব ঘর টেকসই পদ্ধতিতে কাঠ থেকে তৈরি করা হয়েছে৷ বাইরের দেয়ালগুলি ২৫ সেন্টিমিটার পুরু৷ ঘরগুলি শীতকালে হালকা উষ্ণ এবং গ্রীষ্মকালে বেশ ঠান্ডা হয়৷
ছবি: Getty Images/AFP/A. Buchananবেডরুম খুব বড় না হলেও বেশ আরামদায়ক৷ প্রতিটি ঘরের ভেতরই এমনভাবে সাজানো হয়েছে, যাতে সবচেয়ে বেশি স্থান সংরক্ষণ করা যায়৷
ছবি: Getty Images/AFP/A. Buchananসোশ্যাল বাইটের লক্ষ্য হচ্ছে গৃহহীন মানুষকে নিজের পায়ে দাঁড়াতে সহায়তা করা৷ ১৮ মাসে এখানে থাকার সময়ই নিজেদের ছাদ খুঁজে নেন গৃহহীনরা৷ ফাউন্ডেশনের কর্মচারী সোনি মারে (বামে) কলিন চাইল্ডস (ডানে)-ও একসময় গৃহহীন ছিলেন৷
ছবি: Getty Images/AFP/A. Buchanan এফএ/এসিবি (কেএনএ/ এএফপি )