একদিকে মত প্রকাশের অধিকার, অন্যদিকে দায়িত্বজ্ঞান সম্পর্কে সচেতনতা৷ গণতন্ত্র হিসেবে জার্মানিতে এই দুইয়ের মেলবন্ধন দেখা যায়৷ আইনের সীমারেখা তো রয়েছেই৷ তবে সংঘাতের ঘটনাও বিরল নয়৷
বিজ্ঞাপন
কোনো গণতন্ত্রে মত প্রকাশের অধিকার কি সম্পূর্ণ লাগামহীন? সংবাদ মাধ্যমের ক্ষেত্রেও কি সেই স্বাধীনতা পুরোপুরি প্রযোজ্য? স্বাধীনতার সংজ্ঞা নিয়ে যুগে যুগে তর্ক-বিতর্ক চলে আসছে৷ জার্মানিও তার ব্যতিক্রম নয়৷ বিশেষ করে নাৎসি জমানার কালো ইতিহাসের ভার বহন করার প্রেক্ষাপটে সে দেশে বাকস্বাধীনতার একটা বিশেষ তাৎপর্য রয়েছে৷ তাছাড়া প্রায় ৪০ বছর ধরে কমিউনিস্ট পূর্ব জার্মানির স্বৈরাচারী শাসনকালে যা ঘটেছে, তার আঁচ আজও পুনরেকত্রিত জার্মানির উপর পড়ে৷ ফলে একদিকে সরকার ও প্রশাসনের ত্রুটি-বিচ্যুতি তুলে ধরা যেমন সংবাদ মাধ্যমের কর্তব্যের মধ্যে পড়ে, অন্যদিকে নৈতিকতার একটা চাপও গোটা সমাজের উপর কাজ করে৷
পশ্চিমা গণতন্ত্র হিসেবে মত প্রকাশের অধিকার এবং সেইসঙ্গে সংবাদ মাধ্যমের স্বাধীনতা জার্মানিতেও স্বীকৃত ও প্রচলিত, এ বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই৷ সরকার ও জনগণের মাশুলের অর্থে চালিত পাবলিক রেডিও ও টেলিভিশন নেটওয়ার্কেও তাই সরকারের কাজকর্মের কড়া সমালোচনার দৃষ্টান্ত বিরল নয়৷ তবে জার্মান সংবিধানে সেই স্বাধীনতার সীমাও স্থির করে দেওয়া রয়েছে৷ পঞ্চম অনুচ্ছেদ অনুযায়ী মত প্রকাশের অধিকারের আওতায় শিশু-কিশোরদের সুরক্ষা ও ব্যক্তিগত সম্মান ও মর্যাদার ক্ষতি করা চলবে না৷ এছাড়া কেউই দেশের প্রচলিত আইনের কাঠামোর ঊর্ধ্বে নয়৷ তাই নাৎসিদের জয়গান, ইহুদি নিধনযজ্ঞ বা হলোকস্ট অস্বীকার, ইহুদি বিদ্বেষের প্রকাশ আইনি পথেই মোকাবিলা করা হয়৷
হিটলারের নকল ডায়েরি প্রকাশের ৩০ বছর
১৯৮৩ সালের ২৫ এপ্রিল জার্মানির হামবুর্গে এক সংবাদ সম্মেলনে হিটলারের ডায়েরি পাওয়া যাওয়ার খবর দেয়া হয়৷ পরে যেটা নকল বলে প্রমাণিত হয়৷
ছবি: picture-alliance/dpa
সংবাদ সম্মেলন ডেকে ডায়েরি প্রকাশ
১৯৮৩ সালের ২৫ এপ্রিল জার্মানির হামবুর্গে একটি সংবাদ সম্মেলন ডাকেন সাংবাদিক গের্ড হাইডেমান৷ সেখানে সারা বিশ্ব থেকে যাওয়া সাংবাদিকদের সামনে তিনি হিটলারের হাতে লেখা একটি ডায়েরি উপস্থাপন করেন৷ পরবর্তীতে যেটা নকল বলে প্রমাণিত হয়৷
ছবি: picture-alliance/dpa
‘বড় গল্পের সন্ধান’
গের্ড হাইডেমান ছিলেন একজন অনুসন্ধানী সাংবাদিক৷ যখন তাঁর কাছে নকল ডায়েরিটা নিয়ে যাওয়া হয় তখন তিনি সেটা দিয়ে বড় ব্যবসা করার পরিকল্পনা করেন৷
ছবি: ullstein bild
সংবাদ সম্মেলনে বিশেষজ্ঞের উপস্থিতি
হিটলারের ডায়েরিকে আসল প্রমাণ করতে হামবুর্গের সংবাদ সম্মেলনে ব্রিটিশ ইতিহাসবিদ ও হিটলার বিশেষজ্ঞ হিউ ট্রেভর-রোপার ও মার্কিন ইতিহাসবিদ গেরহার্ড লুডভিগ ভাইনবের্গকে হাজির করা হয়েছিল৷
ছবি: picture-alliance/dpa
নকল প্রমাণিত
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থাপন করার মাত্র ১১ দিনের মাথায় সেটা নকল বলে খবর প্রকাশ করে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যম৷ সরকারের দুটো মন্ত্রণালয় প্রমাণ করে দেখায় যে, ঐ ডায়েরি বাঁধাই করতে যে উপাদান ব্যবহার করা হয়েছে সেটা তৈরিই হয়েছে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর৷
ছবি: picture alliance/AP Photo
যিনি নকল করেছেন
ইনি হলেন কনরাড কুয়াও৷ তাঁকে দিয়েই হিটলারের হাতের লেখা নকল করে ডায়েরিটা বানানো হয়েছিল৷ এ জন্য কুয়াওকে মোটা অংকের টাকা দেয়া হয়৷
ছবি: AP
কারাভোগ
ধরা পড়ার পর বিচার প্রক্রিয়া শেষে হাইডেমানকে চার বছর আট মাস আর কুয়াওকে চার বছর ছয় মাসের কারাদণ্ড দেয়া হয়৷
ছবি: picture-alliance/dpa
মঞ্চনাটক
এই ঘটনা নিয়ে ১৯৯২ সালে জার্মানিতে একটি হাস্যরসাত্মক মঞ্চনাটক হয়েছে৷ ছবিতে তার একটি দৃশ্য দেখা যাচ্ছে৷
ছবি: imago stock&people
‘জনপ্রিয়তা’ অর্জন
গলায় ক্যান্সারের কারণে কুয়াওকে মাত্র তিন বছর জেল খাটতে হয়েছে৷ হিটলারের ডায়েরি নকলের ঘটনায় পাওয়া ‘জনপ্রিয়তা’-কে কাজে লাগিয়ে পরবর্তীতে তিনি একটি দোকান খোলেন যেখানে তিনি ‘আসল কুয়াও-নকল’ ছবি বিক্রি করতেন৷ ২০০০ সালে তিনি মারা যান৷
ছবি: picture-alliance/dpa
হাইডেমানের করুণ দশা
নকল ডায়েরি ঘটনার কারণে হাইডেমানের সাংবাদিক জীবন শেষ হয়ে যায়৷ বর্তমানে ৮১ বছর বয়সি হাইডেমান হামবুর্গে অনেকটা দরিদ্র জীবনযাপন করছেন৷
ছবি: picture-alliance/dpa
9 ছবি1 | 9
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর রাষ্ট্র হিসেবে ফেডারেল জার্মানির বিকাশের উপর মিত্রশক্তিসহ গোটা বিশ্বের কড়া নজর ছিল৷ নাৎসি জমানার পুনরাবৃত্তি রুখতে তাই একাধিক কাঠামোগত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়৷ বিশেষ করে শাসকগোষ্ঠীর হাতে লাগামহীন ক্ষমতা এড়াতে বিকেন্দ্রীকরণের উপর জোর দেওয়া হয়েছিল৷ তাছাড়া মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উদ্যোগে ফেডারেল জার্মানিতে সংবাদ মাধ্যমের স্বাধীনতা প্রতিষ্ঠার পদক্ষেপ নেওয়া হয়৷ তারপর জার্মান সংবিধানে মত প্রকাশের অধিকার পাকাপাকিভাবে স্থান পায়৷ জার্মানিতে এমনকি রাষ্ট্রীয় সেন্সরশিপও নিষিদ্ধ৷
অর্থাৎ, একদিকে সংববিধান মত প্রকাশের অধিকারের স্বাধীনতা দিলেও দায়িত্বজ্ঞানহীন আচরণ থেকে বিরত থাকার একটা পরিবেশও সৃষ্টি হয়েছে৷ সংবাদমাধ্যমও সামগ্রিকভাবে সেই অলিখিত আচরণবিধি মেনে চলে৷ এমনকি ট্যাবলয়েড সংবাদপত্রগুলিও সম্পূর্ণ লাগামহীন আচরণ এড়িয়ে চলে৷ যেমন রাজনৈতিক নেতাদের ব্যক্তিগত জীবনযাত্রার কিছু দিক নিয়ে চর্চা হয় না৷ জার্মান চ্যান্সেলর হিসেবে গেয়ারহার্ড শ্র্যোডার নিজের কিশোরী কন্যাকে সংবাদ মাধ্যমের স্পটলাইটের আড়ালে রাখতে চেয়েছিলেন৷ সরকারি-বেসরকারি সংবাদ মাধ্যম সেই ইচ্ছার মর্যাদা দিয়েছিল৷
তা সত্ত্বেও আধুনিক জার্মানির ইতিহাসে সংবাদ মাধ্যমের উপর রাজনৈতিক হস্তক্ষেপের প্রচেষ্টার বেশ কয়েকটি উল্লেখযোগ্য দৃষ্টান্ত রয়েছে৷ বিখ্যাত পত্রিকা ‘ডেয়ার স্পিগেল' এমনই এক ঘটনার শিকার হয়েছিল৷ সে যাত্রায় দেশের সর্বোচ্চ আদালতের হস্তক্ষেপে সংবাদ মাধ্যমের স্বাধীনতা বাড়তি গুরুত্ব পায়৷ আদালত এর পরেও বার বার সেই অধিকারকে আরও শক্তিশালী করে তুলেছে৷
জার্মানিতে সাংবাদিকদের একটি বিশেষ অধিকার রয়েছে৷ তাঁরা ইচ্ছা করলে তাঁদের তথ্যের সূত্র গোপন রাখতে পারেন৷ ফলে তাঁদের বাড়ি অথবা দফতরে তল্লাশি চালানো বা কোনো কিছু বাজেয়াপ্ত করা চলে না৷ কারণ, একমাত্র সে ক্ষেত্রেই কেউ সাংবাদিকদের আস্থা করে খবর দেবে৷ তদন্তের সময় কর্তৃপক্ষ এই অধিকার চ্যালেঞ্জ করে আদালতের দ্বারস্থ হতে পারে৷ প্রতিটি ক্ষেত্রে আদালতকে সিদ্ধান্ত নিতে হয়৷
বাংলাদেশের গণমাধ্যম আইন এখনো পড়ে আছে ব্রিটিশ আমলে
ব্রিটিশ আমল থেকে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের গণমাধ্যম সংক্রান্ত যেসব আইন তৈরি হয়েছে, এবং এখনো বলবৎ আছে, তাতে কী বলা হয়েছে৷ ছবিঘরে জেনে নিন কিছু আশ্চর্য আইনের কথা৷
ছবি: picture-alliance/dpa
ছাপাখানা প্রকাশনা (ঘোষণা ও নিবন্ধীকরণ) আইন ১৯৭৩
ব্রিটিশ আমলে ভারতীয় উপমহাদেশের মানুষের মত প্রকাশের স্বাধীনতা খর্ব করতে বেশ কিছু আইন প্রণয়ন করা হয়েছিল, যার কয়েকটি কিছুটা সংশোধিত আকারে আজও রয়ে গেছে৷ যেমন: ছাপাখানা প্রকাশনা (ঘোষণা ও নিবন্ধীকরণ) আইন ১৯৭৩৷ এ আইন অনুযায়ী, যে কোনো সংবাদপত্র প্রকাশের আগে জেলার ডেপুটি কমিশনারের লিখিত অনুমোদন লাগবে৷ এটি ১৮২৩ সালে ভারতের তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত গর্ভনর জেনারেল জন অ্যাডামের অধ্যাদেশ৷
ছবি: picture-alliance/akg-images
দণ্ডবিধি ১৮৬০
১৮৬০ সালের দণ্ডবিধি ‘১২৪ ক’ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, কোনো ব্যক্তি যদি সরকারের প্রতি অসন্তোষ প্রকাশ করে, তার তিন বছরের কারাদণ্ড বা জরিমানার বিধান রয়েছে৷ এটি একেবারেই মানুষের মত প্রকাশের স্বাধীনতার লঙ্ঘন৷ একই আইনের ‘৫০৫ খ’ অনুচ্ছেদে বলা হয়, কোনো প্রতিবেদন বা বিবৃতি যদি রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে যায়, তাহলে তাকে ৭ বছর কারাভোগ করতে হবে৷ একইভাবে মানহানির জন্য ৪৯৯ এবং ৫০১ অনুচ্ছেদে শাস্তির বিধান রয়েছে৷
ছবি: picture-alliance/dpa
বিশেষ ক্ষমতা আইন ১৯৭৪
বাংলাদেশের অবাধ তথ্যের প্রবাহের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় বাধা হল অফিশিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্ট ১৯২৩ এবং বিশেষ ক্ষমতা আইন বা স্পেশাল পাওয়ার অ্যাক্ট ১৯৭৪৷ প্রথমটিতে রাষ্ট্রের নিরাপত্তা বিঘ্নিত করা যেতে পারে এমন কোনো বিষয় কাউকে দেয়ার ক্ষেত্রে সরকারি কর্মকর্তাদের উপর বিধি নিষেধ আরোপ করা হয়েছে৷ দ্বিতীয় আইনে রাষ্ট্রের চোখে অনিষ্টকর কোনো তথ্য গণমাধ্যমে কেউ প্রকাশ করলে পাঁচ বছরের কারাদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে৷
ছবি: picture-alliance/dpa
সংবিধানের ৩৯ অনুচ্ছেদ
বাংলাদেশের সংবিধানের ৩৯ (১) অনুচ্ছেদে ‘চিন্তা ও বিবেকের স্বাধীনতা’র কথা বলা হয়েছে৷ অথচ ৩৯(২)-এ এই স্বাধীনতা আইনের দ্বারা আরোপিত ‘যুক্তিসঙ্গত বাধা-নিষেধ সাপেক্ষেই’ নিশ্চিত হবে বলা হয়েছে৷ রাষ্ট্রের নিরাপত্তা, বিদেশি রাষ্ট্রসমূহের সহিত বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক, জনশৃংখলা, শালীনতা বা নৈতিকতার স্বার্থে অথবা আদালত অবমাননা, মানহানি বা অপরাধ সংঘটনে প্ররোচনা সম্পর্কে এই বাধা-নিষেধের কথা বলা হয়েছে৷
ছবি: picture-alliance/dpa/C. Jaspersen
তথ্যপ্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারা
২০১৩ সালের সংশোধিত আইনে কোনো ব্যক্তি যদি ইন্টারনেটে এমন কিছু প্রকাশ বা সম্প্রচার করেন, যার দ্বারা কারো মানহানি ঘটে, কিংবা আইন-শৃঙ্খলার অবনতি ঘটে বা ঘটার সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়, রাষ্ট্র ও ব্যক্তির ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হয় বা ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করে বা করতে পারে, বা এ ধরনের তথ্য কোনো ব্যক্তি বা সংগঠনের বিরুদ্ধে দেয়া হয়, তাহলে এটি অপরাধ এবং সেই অপরাধে ৭ থেকে ১৪ বছরের কারাদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে৷
ছবি: Schlierner - Fotolia.com
ডিজিটাল আইনের ৩২ ধারা
এ আইনে বলা হয়েছে, কোনো ব্যক্তি বেআইনিভাবে প্রবেশের মাধ্যমে কোনো সরকারি, আধা সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত বা বিধিবদ্ধ কোনো সংস্থার অতিগোপনীয় বা গোপনীয় তথ্য-উপাত্ত কম্পিউটার, ডিজিটাল যন্ত্র, কম্পিউটার নেটওয়ার্ক, ডিজিটাল নেটওয়ার্ক বা অন্য কোনো ইলেকট্রনিক মাধ্যমে ধারণ, প্রেরণ বা সংরক্ষণ করেন বা করতে সহায়তা করেন, তাহলে সেই কাজ হবে কম্পিউটার বা ডিজিটাল গুপ্তচরবৃত্তির অপরাধ৷
ছবি: Badruddoza Babu
৩২ ধারায় শাস্তি
এই অপরাধের জন্য সর্বোচ্চ ১৪ বছরের কারাদণ্ড বা সর্বোচ্চ ২৫ লাখ টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ড হবে৷ কেউ যদি এই অপরাধ দ্বিতীয়বার বা বারবার করেন, তাহলে তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড বা সর্বোচ্চ ১ কোটি টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ড ভোগ করতে হবে৷
ছবি: Imago/IPON
তথ্য অধিকার আইন ২০০৯
এই আইনটি বাক স্বাধীনতার পক্ষে৷ বলা হয়েছে, ‘‘এই আইনের বিধানাবলী সাপেক্ষে, কর্তৃপক্ষের নিকট হইতে প্রত্যেক নাগরিকের তথ্য লাভের অধিকার থাকিবে এবং কোন নাগরিকের অনুরোধের প্রেক্ষিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ তাহাকে তথ্য সরবরাহ করিতে বাধ্য থাকিবে৷’’ আরো বলা হয়েছে, ‘‘তথ্য প্রদানে বাধা সংক্রান্ত বিধানাবলী এই আইনের বিধানাবলীর সহিত সাংঘর্ষিক হইলে, এই আইনের বিধানাবলী প্রাধান্য পাইবে৷’’
ছবি: picture-alliance/dpa/Dinodia Photo Library
8 ছবি1 | 8
এসবি/এসিবি
জার্মানিতে বাক স্বাধীনতার এই চিত্র নিয়ে আপনার কি কিছু বলার আছে? লিখুন নিচের মন্তব্যের ঘরে৷